জাপানী আদলে বাংলা হাইকু-৩ (বিশ্ব প্রেম-৩)
দুঃখ পরশ
আত্মা কষ্টেই তৃপ্ত
কয়লায় হীরা।
বাঁশির সুরে-
নীরবে অশ্রু ঝরে
বিচ্ছেদে অগ্নি।
আপনি ফানা
কিসের পড়াশুনা
না চিনলে নফস?
নিজের প্রেমে
হাবুডুবু যে জন
কিঞ্চিৎ জ্ঞান।
স্বরূপ দেখা
ঘর মধ্যে রসিক
রূপ সাধন।
তোরা দেখবি যা-
অন্তরে খবর নে
বারামখানার।
কালার বাঁশি
আকুল ভরা প্রাণ
সুধার টান।
কোকিল কান্না
জ্বলছে ত্রিগুণ অগ্নি
বসন্ত যায়।
মনের কথা
না যায় বলা বন্ধু
ভ্রমরে গান।
গৃহে রয় না-
যেম্নি সুন্দর পাখি
বাঁচে না প্রাণ।
প্রেম তরঙ্গ
জলে মীনের দৃশ্যে
দুলিছে অঙ্গ।
সাধনে মিলে
দুধ সংযোগে ঘৃত
মায়া বন্ধন।
সম্বল বাঁন্ধো
পরের জন্য না কেঁদে
আপনি কান্দ।
নিশ্চিন্তে আছ?
পিঞ্জরে বান্দা পাখি
শমনে পাড়ি।
স্বরূপে মেশো
স্বরূপে লীলাখেলা
ভাবেই মজো।
কেঁদো না মন
সব জায়গায় তিনি
বায়ু বর্ষণ।
দয়াল গুরু
কেমনে দ্যাখবো আমি
নূরে চরণ?
প্রেমের জ্বালা
জ্বলেরে বন্ধু জ্বলে
অন্তর বলে।
প্রেমের হাট
চাঁদে-চাঁদে নাটক
দৃষ্টি খোলো চে।
প্রেমের বিষে
এ অঙ্গ জরোজরো
বিঁধলো কাঁটা ঘাঁ।
দরদী আশে
ঝরা ফুলে জানে কী
বেভুল নাশে?
চাঁদের প্রেম
রাতের সাথে স্থির
মৌমাছি ফুলে।
প্রেম জ্বালায়
শরীর পুড়ে ছাই
কীসে নিবাই?
গভীর রাতে
ভেবে বদন ভিজে
সাধন খাঁটি।
আমিই সত্য
আমার মধ্যে তুমি
তোমাতে নাই।
প্রেম সমুদ্রে
ঝাঁপাতে চেষ্টা কর
নিশ্চিত মুক্তো।
অদৃশ্য হও
প্রভু দিপ্তি দিবেন
জান্নাত খুলবে।
জলের মধ্যে
তোমাকে দেখতে পাই
অন্তরে প্রেম ।
কুয়াশা জালে
আমি আটকিয়ে যাই
তারা দৃষ্টিতে।
হৃদ তন্ত্রীতে
পরিস্কার ঝকঝকে
অবুঝ প্রেম।
আগুন জ্বালো
অগ্নিশিখায় খুঁজো
ভক্ত ক’জন।
হৃদয় আলো-
গন্তব্যে যাওয়া পথ
চিনিয়ে দেবে।
প্রেমের দীক্ষা
তোমার আলো থেকে-
সৌন্দর্যে পদ্য।
অতীতে নয়-
ভবিষ্যতে ভেবো না
এখনি ভাবো।
চোখের পাতা
মনের কথা বলে
কাব্যের খাতা।
আমি যা খুঁজি
সেটা আমায় খোঁজে
কঠিন প্রেম।
আত্মার স্থান
উচ্চ ঝর্ণা থেকেই
তৃষ্ণা মেটাও।
নিজের শত্রু
নিজকে পোষণ করো
বন্ধু বানাও।
আমার প্রেম
সৌন্দর্যবোধকে দেখ
প্রকাশ স্পষ্ট।
কতটা প্রেমে
পৃথিবী আলোকিত
সূর্যের ঋণ।
পাখিরা উড়ে
শূণ্যেই বৃত্ত আঁকে
শিখছে কোথায়?
আমি তো দেখছি
তুমি দেখছো আমাকে
মহাবিশ্বও।
চোখের তারা
জ্বলে বলেই দেখি
আত্মার আলো।
এমন অন্ধ
অন্যটি খোলা তাই
দু’চোখ বন্ধ।
তুমি জম্মেছো
আদর্শিক কল্যাণে
উন্মুক্ত ডানা।
উড়তেই শেখো
ডানার বিশ্বাসেই
পাবে গন্তব্য।
একবার মৃত্যু
আবার জেগে উঠবো
হারাবো কোথা?
মুহুর্তে সুখ
দৃশ্যের অন্তরালে
নাড়ো প্রেমকাঁঠি।
অনেক প্রেম
মনে প্রচুর ব্যথা
সফল জন।
চিনলি না মন
প্রেম কি ধন ভবে
সেবা সাধন।
আপন ঘরে
যার বাস না জানি
বাঞ্ছা পরচেনা?
শমন ভুলে
মনে মন মিশালে
পাবে রতন।
বেড়ায় মন
নিজ অন্তর ছাড়ি
তত্ত্ব সন্ধানে।
প্রেম পাথারে
খেলছো তুমি প্রিয়
প্রেম ঝাঁপই।
মনে বাঁধন
প্রেম ঋণে সেলাই
পদো ভিখারী।
পঞ্চ সুরের
বন্ধু হৃদ গহীনে
আছো আনন্দে।
পাগল মন
বন্ধুহীনে আনমন
জলে আগুন।
মেঘে গর্জন
আকাশ হলো ভারি
ওনামে কান্দি।
লক্ষ অশ্রুর
বইছে নদীর জল
বন্ধুর প্রেমে।
বন্ধু দরদী
পাগল মজনু হইছি
সকল ত্যাগে।
দিল দরিয়া
মাঝি নৌকা চালায়
ঘুরছি কেবলই।
বিশ্ব ভূবন
অশান্তি আঘাতেই
শান্তির বীণা।
তোমার বাঁশি
যেথা বেসুর বাজে
সেথায় দীক্ষা।
কেমন গুণী
সুরে পরান কাঁদে
মায়া বন্ধনী।
নামের ধ্বনি
সারা বেলা আকুল
ভরেছো প্রাণ।
সজল চোখ
বুকে স্বর্ণ কমল
কয়লার গুণ।
কমল বন
পথ ভুলালো বায়ু
অরুণ পথে।
বন্ধুর চোখ
গভীর ¯্রােতে ডাকে
পরশ নিতে।
মাটির শিখা
চালাও ইচ্ছেধীন
পূণ্যেই ধন্য।
নাও ছাড়লাম
ভাসি মরণ লীলা
নীল সমুদ্রে।
আকাশ বাণী
হৃদ গভীরে বাজে
বন্ধুর নামে।
লেখায় তুমি
অন্তরের প্রবাহে
নীরব ছন্দে।
পৃত্থি দর্শন
তোমায় দেখি জানি
হৃদয় দোলে।
দ্বীনের নাও
ডুবি-ভাসি-হারাই
ধন্য এ খেলা।
হেরার মায়া
প্রথম সুর ¯্রােত
আলোক বিশ্ব।
রসিক প্রিয়
বাজাও প্রেমো বাঁশি
কোথায় কড়ি?
খাঁচার ঘরে
একাই পোষা পাখি
ছিটকে পালাবে।
পরশ দিয়ো
সারা জীবন তৃষ্ণা
মিটবে কী করে?
অন্তরে ক্ষুধা
চাই আলোক সুধা
আপনই প্রিয়।
গোপনে আছ
বাইরে এসে তাকাও
মিলাও পূণ্য।
ভরিয়ে দাও
প্রেমের রাজ টিকা
ভান্ডারে ধন।
পূর্ণিমা চাঁদ
গগনে প্রেম জ্বালো
আপন মুখে।
ফসল তুলি
প্রেম বোঁঝাই তরী
পায়ের তটে।
চীর কালের
প্রেমঢেউয়ে কাঁপে মন
শূন্যে রোদন।
আত্মা কষ্টেই তৃপ্ত
কয়লায় হীরা।
বাঁশির সুরে-
নীরবে অশ্রু ঝরে
বিচ্ছেদে অগ্নি।
আপনি ফানা
কিসের পড়াশুনা
না চিনলে নফস?
নিজের প্রেমে
হাবুডুবু যে জন
কিঞ্চিৎ জ্ঞান।
স্বরূপ দেখা
ঘর মধ্যে রসিক
রূপ সাধন।
তোরা দেখবি যা-
অন্তরে খবর নে
বারামখানার।
কালার বাঁশি
আকুল ভরা প্রাণ
সুধার টান।
কোকিল কান্না
জ্বলছে ত্রিগুণ অগ্নি
বসন্ত যায়।
মনের কথা
না যায় বলা বন্ধু
ভ্রমরে গান।
গৃহে রয় না-
যেম্নি সুন্দর পাখি
বাঁচে না প্রাণ।
প্রেম তরঙ্গ
জলে মীনের দৃশ্যে
দুলিছে অঙ্গ।
সাধনে মিলে
দুধ সংযোগে ঘৃত
মায়া বন্ধন।
সম্বল বাঁন্ধো
পরের জন্য না কেঁদে
আপনি কান্দ।
নিশ্চিন্তে আছ?
পিঞ্জরে বান্দা পাখি
শমনে পাড়ি।
স্বরূপে মেশো
স্বরূপে লীলাখেলা
ভাবেই মজো।
কেঁদো না মন
সব জায়গায় তিনি
বায়ু বর্ষণ।
দয়াল গুরু
কেমনে দ্যাখবো আমি
নূরে চরণ?
প্রেমের জ্বালা
জ্বলেরে বন্ধু জ্বলে
অন্তর বলে।
প্রেমের হাট
চাঁদে-চাঁদে নাটক
দৃষ্টি খোলো চে।
প্রেমের বিষে
এ অঙ্গ জরোজরো
বিঁধলো কাঁটা ঘাঁ।
দরদী আশে
ঝরা ফুলে জানে কী
বেভুল নাশে?
চাঁদের প্রেম
রাতের সাথে স্থির
মৌমাছি ফুলে।
প্রেম জ্বালায়
শরীর পুড়ে ছাই
কীসে নিবাই?
গভীর রাতে
ভেবে বদন ভিজে
সাধন খাঁটি।
আমিই সত্য
আমার মধ্যে তুমি
তোমাতে নাই।
প্রেম সমুদ্রে
ঝাঁপাতে চেষ্টা কর
নিশ্চিত মুক্তো।
অদৃশ্য হও
প্রভু দিপ্তি দিবেন
জান্নাত খুলবে।
জলের মধ্যে
তোমাকে দেখতে পাই
অন্তরে প্রেম ।
কুয়াশা জালে
আমি আটকিয়ে যাই
তারা দৃষ্টিতে।
হৃদ তন্ত্রীতে
পরিস্কার ঝকঝকে
অবুঝ প্রেম।
আগুন জ্বালো
অগ্নিশিখায় খুঁজো
ভক্ত ক’জন।
হৃদয় আলো-
গন্তব্যে যাওয়া পথ
চিনিয়ে দেবে।
প্রেমের দীক্ষা
তোমার আলো থেকে-
সৌন্দর্যে পদ্য।
অতীতে নয়-
ভবিষ্যতে ভেবো না
এখনি ভাবো।
চোখের পাতা
মনের কথা বলে
কাব্যের খাতা।
আমি যা খুঁজি
সেটা আমায় খোঁজে
কঠিন প্রেম।
আত্মার স্থান
উচ্চ ঝর্ণা থেকেই
তৃষ্ণা মেটাও।
নিজের শত্রু
নিজকে পোষণ করো
বন্ধু বানাও।
আমার প্রেম
সৌন্দর্যবোধকে দেখ
প্রকাশ স্পষ্ট।
কতটা প্রেমে
পৃথিবী আলোকিত
সূর্যের ঋণ।
পাখিরা উড়ে
শূণ্যেই বৃত্ত আঁকে
শিখছে কোথায়?
আমি তো দেখছি
তুমি দেখছো আমাকে
মহাবিশ্বও।
চোখের তারা
জ্বলে বলেই দেখি
আত্মার আলো।
এমন অন্ধ
অন্যটি খোলা তাই
দু’চোখ বন্ধ।
তুমি জম্মেছো
আদর্শিক কল্যাণে
উন্মুক্ত ডানা।
উড়তেই শেখো
ডানার বিশ্বাসেই
পাবে গন্তব্য।
একবার মৃত্যু
আবার জেগে উঠবো
হারাবো কোথা?
মুহুর্তে সুখ
দৃশ্যের অন্তরালে
নাড়ো প্রেমকাঁঠি।
অনেক প্রেম
মনে প্রচুর ব্যথা
সফল জন।
চিনলি না মন
প্রেম কি ধন ভবে
সেবা সাধন।
আপন ঘরে
যার বাস না জানি
বাঞ্ছা পরচেনা?
শমন ভুলে
মনে মন মিশালে
পাবে রতন।
বেড়ায় মন
নিজ অন্তর ছাড়ি
তত্ত্ব সন্ধানে।
প্রেম পাথারে
খেলছো তুমি প্রিয়
প্রেম ঝাঁপই।
মনে বাঁধন
প্রেম ঋণে সেলাই
পদো ভিখারী।
পঞ্চ সুরের
বন্ধু হৃদ গহীনে
আছো আনন্দে।
পাগল মন
বন্ধুহীনে আনমন
জলে আগুন।
মেঘে গর্জন
আকাশ হলো ভারি
ওনামে কান্দি।
লক্ষ অশ্রুর
বইছে নদীর জল
বন্ধুর প্রেমে।
বন্ধু দরদী
পাগল মজনু হইছি
সকল ত্যাগে।
দিল দরিয়া
মাঝি নৌকা চালায়
ঘুরছি কেবলই।
বিশ্ব ভূবন
অশান্তি আঘাতেই
শান্তির বীণা।
তোমার বাঁশি
যেথা বেসুর বাজে
সেথায় দীক্ষা।
কেমন গুণী
সুরে পরান কাঁদে
মায়া বন্ধনী।
নামের ধ্বনি
সারা বেলা আকুল
ভরেছো প্রাণ।
সজল চোখ
বুকে স্বর্ণ কমল
কয়লার গুণ।
কমল বন
পথ ভুলালো বায়ু
অরুণ পথে।
বন্ধুর চোখ
গভীর ¯্রােতে ডাকে
পরশ নিতে।
মাটির শিখা
চালাও ইচ্ছেধীন
পূণ্যেই ধন্য।
নাও ছাড়লাম
ভাসি মরণ লীলা
নীল সমুদ্রে।
আকাশ বাণী
হৃদ গভীরে বাজে
বন্ধুর নামে।
লেখায় তুমি
অন্তরের প্রবাহে
নীরব ছন্দে।
পৃত্থি দর্শন
তোমায় দেখি জানি
হৃদয় দোলে।
দ্বীনের নাও
ডুবি-ভাসি-হারাই
ধন্য এ খেলা।
হেরার মায়া
প্রথম সুর ¯্রােত
আলোক বিশ্ব।
রসিক প্রিয়
বাজাও প্রেমো বাঁশি
কোথায় কড়ি?
খাঁচার ঘরে
একাই পোষা পাখি
ছিটকে পালাবে।
পরশ দিয়ো
সারা জীবন তৃষ্ণা
মিটবে কী করে?
অন্তরে ক্ষুধা
চাই আলোক সুধা
আপনই প্রিয়।
গোপনে আছ
বাইরে এসে তাকাও
মিলাও পূণ্য।
ভরিয়ে দাও
প্রেমের রাজ টিকা
ভান্ডারে ধন।
পূর্ণিমা চাঁদ
গগনে প্রেম জ্বালো
আপন মুখে।
ফসল তুলি
প্রেম বোঁঝাই তরী
পায়ের তটে।
চীর কালের
প্রেমঢেউয়ে কাঁপে মন
শূন্যে রোদন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমি-তারেক ১৪/১২/২০১৬nice effort...
-
ইন্তিখাব আলম ১৪/১২/২০১৬khub valo
-
সোলাইমান ১৩/১২/২০১৬nice