ক্ষণিক মিলন
আসসালামু আলাইকুম
ওয়ালাইকুম আসসালাম
কে আপনি? চিনিনাতো আপনাকে।
চিনবেননা আমাকে।
এটা কি আনাউল্লা সাহেবের কেল্লা?
হুম, ঠিক তাই আর আমি আনাউল্লা।
কিন্তু আপনি কে? চিনতে তো পারছিনা আপনারে।
কি করে চিনবেন ছিলাম তো দেশের বাইরে।
ও তাই! তা ঝটফট পরিচয়টা দিনতো।
দিবো, দিবো ব্যস্ত কেন হননা একটু শান্ত।
আমার নাম জাহির মিয়া ডাক নামটি জনা।
এই নামটি শুনেছি কোথায় লাগে বড় চেনা।
ও-হো-হো বুঝতে তুমি পারনি আমায় চিনতে পারনি ভাই,
তুমি মোরে ভুলেছো বন্ধু আমিতো ভুলি নাই।
ছোট কালের বন্ধু মোরা ভুলেছো কি মোরে আনা?
আমি তোমার প্রিয় বন্ধু জাহির আলী জনা।
চিনেছি এবার ভুলিনি তোরে কোথায় ছিলিরে জনা?
কতদিন পর দেখা হলো বল গল্পের ঝুলি রয়েছে কত জমা।
বুকে বুক মিশে অশ্রু সিক্ত নয়নে দাঁড়ালো সামনে দুজনে,
কোন কথা নয়; যেন বোবা কান্নায় অপলক দুটি নয়নে।
২৫ বছর পর আবার দেখা মোদের তাইনা বন্ধু আনা?
ঠিক তাই, এজন্য তোকে চিনতে পারিনি আমি ওরে জনা।
কত দিন গেছে চলে, কত স্মৃতি মুছে গেছে,
তবু দুজনে এক হয়েছি এতদিন পরে এসে।
ওহো বন্ধু হয়নি জানা এতদিন তুই ছিলি কোথায়?
বিএ পাশ করে চাকরি নিয়ে আছি কলকাতায়।
ভাবি কেমন আছে; জেনেছি তোর এক ছেলে হয়েছে?
তা ছেলে নিশ্চয় অনেক বড় হয়ে গেছে?
হ্যাঁ অনেক বড় হয়েছে সে; পড়ে ক্লাস টেনে
দোয়া করিস সারাবিশ্বের লোক যেন ওকে চেনে।
ওরে বোকা আমার দোয়া থাকবে সর্বক্ষণ ওর সাথে,
এই দোয়া কভূ হয় কি চেয়ে নিতে।
আনা মনে আছে; তোর মেয়ে আর আমার ছেলের বিয়ে?
তোর মেয়েকে নিয়ে যাবো আমার ছেলে দিয়ে।
আমার ছেলে হলে বলেছিলি তুই মেয়ে হলে তাকে আমার ছেলেকে দিবি,
বন্ধু তোর মেয়েকে দেখছি না যে আর কোথায় আছে ভাবি?
কিরে কি হলো তোর চোখের কোনে ও কিসের জল?
কি হয়েছে বলনা আমায় সব তুই খুলে বল।
কি করে বলি সেই কথা; কি করে এই বুক বাধি।
চিরদিনের মত তোর কাছে আমি হয়ে গেলাম অপরাধী।
কন্ঠ যে মোর চাইনা সরিতে কেমনে সেই দৃশ্য বলি বল।
আনা তাড়াতাড়ি বল সেই ঘটনা করিস কেন এত ছল।
আয় মোর পিছু; কোথায় তারা দেখাবো আমি তোর।
বাড়ির পিছনে, ফুল বাগানে আনা ইশারায় দেখায় গোর।
কি করে হলো? কি হয়েছিলো? কে এত সর্বনাশ করলো তোর?
এই ঘটনা জানিনা আমি, কেন আমায় দিলিনা খবর?
সব খুলে বলরে আমায় বলরে ওরে আনা,
আমারে তুই কেন ভাবিস পর আমি বন্ধুযে তোরি জনা।
রাগ তুই করিসনা ওরে; উঠবি শিউরে শুনলে সেই ভয়াল কাহিনী।
খোদা যে মোর এমন শাস্তি দেবে কখনো আমি ভাবিনি।
শান্ত হ তুই কাঁদিসনা ওরে বন্ধু আমার আনা।
আমিতো পাশে আছিরে তোর জাহির আলী জনা।
কি করে আমি হবোরে শান'ত ওরে বন্ধু জনা?
ঐখানে যে ঘুমিয়ে আছে আমার দুটি সোনা।
চুপ কর আনা; বল সেই কাহিনী বলনারে তুই আমার,
সেই ঘটনা শুনবো আমি ইচ্ছে খুবই জানার।
শোন তবে; এক বিকেল বেলা রান্নাঘরের অনল করাল গ্রাসে,
সবকিছু করিলো দগ্ধ গগন ভেদিলো মরণ ত্রাসে।
থামিলো যখন বহ্নি সব হয়ে গেছে নিঃশেষ,
আমারে সে করিলো নিঃস্ব রাখিলনা কিছু অবশেষ।
কাউকেই আমি পারিনি বাঁচাতে দুরে গেছে তারা চলে,
দুজনেই তারা গেল চলে আমারে একা ফেলে।
বুক ফেটে মোর কান্না আসে কাঁদিতে পারিনা জোরে,
দুটি রত্ন মোর কি সুখে দেখ গুমিয়ে ঐ গোরে।
মাথাটা কেমন চিনচিন করে ধর জনা তুই মোরে,
কথা দিয়ে আমি পারিনি রাখতে ক্ষমা করিস তুই ওরে।
চুপ কর আনা বন্ধু আমার শান্ত হ একবার,
নাইবা হলো আত্বীয়তা তবু বন্ধুতো তুই আমার।
ছিলাম যেমন বন্ধু মোরা থাকবো তেমনি চিরকাল,
বন্ধুর তরে বন্ধু দুজন ছিঁড়বো সকল দুঃখের জাল।
কেন বন্ধু তুই দিস মোরে আজ মিছে এই শান্তনা,
আমার সময় বেশি নেই বুঝি ওরে বন্ধু জনা।
এই কাহিনী বলবার জন্য হয়তো ছিলাম বেঁচে।
কাঁদছিস কেন পাগল কোথাকার; অশ্রু ফেল মুছে।
বিদায় বেলা তোকে আমি পারলাম দেখে যেতে,
আয় বুকে আয় শেষ আলিঙ্গনে আমারে ধর শক্ত হাতে।
কোন সংশয় রাখিসনা মনে যাবার কালে অনুরোধ করি তোর,
আমার মরণের পর শবদেহটারে ঐ সমাধির পাশে দিসরে কবর।
সময় হয়েছে বিদায় বন্ধু; চলে যাচ্ছি আমি আনাউল্লাহ,
ওরে সোনারা আসছি আমি; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
ওয়ালাইকুম আসসালাম
কে আপনি? চিনিনাতো আপনাকে।
চিনবেননা আমাকে।
এটা কি আনাউল্লা সাহেবের কেল্লা?
হুম, ঠিক তাই আর আমি আনাউল্লা।
কিন্তু আপনি কে? চিনতে তো পারছিনা আপনারে।
কি করে চিনবেন ছিলাম তো দেশের বাইরে।
ও তাই! তা ঝটফট পরিচয়টা দিনতো।
দিবো, দিবো ব্যস্ত কেন হননা একটু শান্ত।
আমার নাম জাহির মিয়া ডাক নামটি জনা।
এই নামটি শুনেছি কোথায় লাগে বড় চেনা।
ও-হো-হো বুঝতে তুমি পারনি আমায় চিনতে পারনি ভাই,
তুমি মোরে ভুলেছো বন্ধু আমিতো ভুলি নাই।
ছোট কালের বন্ধু মোরা ভুলেছো কি মোরে আনা?
আমি তোমার প্রিয় বন্ধু জাহির আলী জনা।
চিনেছি এবার ভুলিনি তোরে কোথায় ছিলিরে জনা?
কতদিন পর দেখা হলো বল গল্পের ঝুলি রয়েছে কত জমা।
বুকে বুক মিশে অশ্রু সিক্ত নয়নে দাঁড়ালো সামনে দুজনে,
কোন কথা নয়; যেন বোবা কান্নায় অপলক দুটি নয়নে।
২৫ বছর পর আবার দেখা মোদের তাইনা বন্ধু আনা?
ঠিক তাই, এজন্য তোকে চিনতে পারিনি আমি ওরে জনা।
কত দিন গেছে চলে, কত স্মৃতি মুছে গেছে,
তবু দুজনে এক হয়েছি এতদিন পরে এসে।
ওহো বন্ধু হয়নি জানা এতদিন তুই ছিলি কোথায়?
বিএ পাশ করে চাকরি নিয়ে আছি কলকাতায়।
ভাবি কেমন আছে; জেনেছি তোর এক ছেলে হয়েছে?
তা ছেলে নিশ্চয় অনেক বড় হয়ে গেছে?
হ্যাঁ অনেক বড় হয়েছে সে; পড়ে ক্লাস টেনে
দোয়া করিস সারাবিশ্বের লোক যেন ওকে চেনে।
ওরে বোকা আমার দোয়া থাকবে সর্বক্ষণ ওর সাথে,
এই দোয়া কভূ হয় কি চেয়ে নিতে।
আনা মনে আছে; তোর মেয়ে আর আমার ছেলের বিয়ে?
তোর মেয়েকে নিয়ে যাবো আমার ছেলে দিয়ে।
আমার ছেলে হলে বলেছিলি তুই মেয়ে হলে তাকে আমার ছেলেকে দিবি,
বন্ধু তোর মেয়েকে দেখছি না যে আর কোথায় আছে ভাবি?
কিরে কি হলো তোর চোখের কোনে ও কিসের জল?
কি হয়েছে বলনা আমায় সব তুই খুলে বল।
কি করে বলি সেই কথা; কি করে এই বুক বাধি।
চিরদিনের মত তোর কাছে আমি হয়ে গেলাম অপরাধী।
কন্ঠ যে মোর চাইনা সরিতে কেমনে সেই দৃশ্য বলি বল।
আনা তাড়াতাড়ি বল সেই ঘটনা করিস কেন এত ছল।
আয় মোর পিছু; কোথায় তারা দেখাবো আমি তোর।
বাড়ির পিছনে, ফুল বাগানে আনা ইশারায় দেখায় গোর।
কি করে হলো? কি হয়েছিলো? কে এত সর্বনাশ করলো তোর?
এই ঘটনা জানিনা আমি, কেন আমায় দিলিনা খবর?
সব খুলে বলরে আমায় বলরে ওরে আনা,
আমারে তুই কেন ভাবিস পর আমি বন্ধুযে তোরি জনা।
রাগ তুই করিসনা ওরে; উঠবি শিউরে শুনলে সেই ভয়াল কাহিনী।
খোদা যে মোর এমন শাস্তি দেবে কখনো আমি ভাবিনি।
শান্ত হ তুই কাঁদিসনা ওরে বন্ধু আমার আনা।
আমিতো পাশে আছিরে তোর জাহির আলী জনা।
কি করে আমি হবোরে শান'ত ওরে বন্ধু জনা?
ঐখানে যে ঘুমিয়ে আছে আমার দুটি সোনা।
চুপ কর আনা; বল সেই কাহিনী বলনারে তুই আমার,
সেই ঘটনা শুনবো আমি ইচ্ছে খুবই জানার।
শোন তবে; এক বিকেল বেলা রান্নাঘরের অনল করাল গ্রাসে,
সবকিছু করিলো দগ্ধ গগন ভেদিলো মরণ ত্রাসে।
থামিলো যখন বহ্নি সব হয়ে গেছে নিঃশেষ,
আমারে সে করিলো নিঃস্ব রাখিলনা কিছু অবশেষ।
কাউকেই আমি পারিনি বাঁচাতে দুরে গেছে তারা চলে,
দুজনেই তারা গেল চলে আমারে একা ফেলে।
বুক ফেটে মোর কান্না আসে কাঁদিতে পারিনা জোরে,
দুটি রত্ন মোর কি সুখে দেখ গুমিয়ে ঐ গোরে।
মাথাটা কেমন চিনচিন করে ধর জনা তুই মোরে,
কথা দিয়ে আমি পারিনি রাখতে ক্ষমা করিস তুই ওরে।
চুপ কর আনা বন্ধু আমার শান্ত হ একবার,
নাইবা হলো আত্বীয়তা তবু বন্ধুতো তুই আমার।
ছিলাম যেমন বন্ধু মোরা থাকবো তেমনি চিরকাল,
বন্ধুর তরে বন্ধু দুজন ছিঁড়বো সকল দুঃখের জাল।
কেন বন্ধু তুই দিস মোরে আজ মিছে এই শান্তনা,
আমার সময় বেশি নেই বুঝি ওরে বন্ধু জনা।
এই কাহিনী বলবার জন্য হয়তো ছিলাম বেঁচে।
কাঁদছিস কেন পাগল কোথাকার; অশ্রু ফেল মুছে।
বিদায় বেলা তোকে আমি পারলাম দেখে যেতে,
আয় বুকে আয় শেষ আলিঙ্গনে আমারে ধর শক্ত হাতে।
কোন সংশয় রাখিসনা মনে যাবার কালে অনুরোধ করি তোর,
আমার মরণের পর শবদেহটারে ঐ সমাধির পাশে দিসরে কবর।
সময় হয়েছে বিদায় বন্ধু; চলে যাচ্ছি আমি আনাউল্লাহ,
ওরে সোনারা আসছি আমি; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।