হরতাল অবরোধ প্রশ্নফাঁস
২ ফেব্রুয়ারীর শুরু হতে যাওয়া এস. এস. সি. পরিক্ষা হরতাল অবরোধের কারণে আজ ৬ ফেব্রুয়ারী শুরু হলো। পরিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে হরতাল অবরোধ প্রত্যাহারের দাবী করে আসছিল খোদ শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল। বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছিল। যদিও সেখানে কতজন প্রকৃত অভিভাবক আর শিক্ষার্থী ছিল তা বলা সম্ভব নয় তবে সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি তাদের সমর্থন করি।
হরতাল অবরোধ পেট্রোল বোমা আর ক্রসফায়ারের মাধ্যমে জনমনে আতংক তৈরী করা কোন রাজনীতির অংশ হতে পারে না। হরতাল অবরোধে পরিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে বলে সরকারের বিভিন্ন মহল চিন্তা গ্রস্হহলেও প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও কেউ এই প্রক্রিয়া নিয়ে টু শব্দ পর্যন্ত করেনি। প্রশ্ন ফাঁস হওয়া কি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ধ্বংসের অন্তরায় নয়.?
আজ সকালে একটা কাজে বের হয়েছিলাম। এক স্টুডেন্ট কে পরিক্ষার হলে এগিয়ে দেয়া এই আর কি। তো পাশে দুই মেয়ে গল্প করছে...
১ম মেয়ে : তুই বাংলা প্রশ্ন পেয়েছিলি?
২য় মেয়ে : না তো কেন, তুই পেয়েছিলি কি?
১ম মেয়ে : হা আমিতো দু তিন দিন আগেই পেয়েছি।
২য় মেয়ে : অভিমানের সুরে, তা আমায় দিলি না কেন?
১ম মেয়ে : আমি তো ভাবছি তুইও পেয়েছিস। আর তাছাড়া তোর ফোন নেই কিভাবে জানাবো?
২য় মেয়ে : ও তা কিভাবে পেলি?
১ম মেয়ে : আর ফেসবুক আছে না, ওখানে তো সব পরিক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় !
২য় মেয়ে : কি বলিস সত্য নাকি?
১ম মেয়ে : আরে হ্যাঁ আব্বু তো এইজন্য টেস্ট পরিক্ষার পর পরই একটা ফোন কিনে দিয়েছিল যাতে আমি আগে থেকে প্রশ্ন পেয়ে ভাল রেজাল্ট করতে পারি।
২য় মেয়ে : আমায় আব্বু বলছে পরিক্ষায় এ প্লাস পেলে ফোন কিনে দিবে
১ম মেয়ে : একটু মুচকি হাসি দিয়ে আরে তোর আব্বুকে আজই বল ফোন কিনে দিতে তাহলে আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে যাবি আর এ প্লাস তো আসবেই।
২য় মেয়ে : দেখি আব্বুকে বলে যদি রাজি হয়।
তো এদের কথা শুনে আমি বললাম আপুমনিরা আপনারা তো প্রশ্ন পেয়ে না হয় এ প্লাস পেলেন পরবর্তী ভার্সিটি অ্যাডমিশন পরিক্ষার তো আর প্রশ্ন পাওয়া যায় না, তখন কি করবেন ?
এ প্লাস আর ভার্সিটির আলোচনা শুনে হঠাত্ ৩য় এক মেয়ে এসে বলল আরে হরতাল অবরোধে পরিক্ষা শেষ করো আগে তো তারপর না হয় এ প্লাস আর ভার্সিটির চিন্তা করো।
আসলেই তো যে হারে হরতাল অবরোধ শুরু হয়েছে এবার এস এস সি পরিক্ষা শেষ হবে তো?
হরতাল অবরোধ পেট্রোল বোমা আর ক্রসফায়ারের মাধ্যমে জনমনে আতংক তৈরী করা কোন রাজনীতির অংশ হতে পারে না। হরতাল অবরোধে পরিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে বলে সরকারের বিভিন্ন মহল চিন্তা গ্রস্হহলেও প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও কেউ এই প্রক্রিয়া নিয়ে টু শব্দ পর্যন্ত করেনি। প্রশ্ন ফাঁস হওয়া কি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ধ্বংসের অন্তরায় নয়.?
আজ সকালে একটা কাজে বের হয়েছিলাম। এক স্টুডেন্ট কে পরিক্ষার হলে এগিয়ে দেয়া এই আর কি। তো পাশে দুই মেয়ে গল্প করছে...
১ম মেয়ে : তুই বাংলা প্রশ্ন পেয়েছিলি?
২য় মেয়ে : না তো কেন, তুই পেয়েছিলি কি?
১ম মেয়ে : হা আমিতো দু তিন দিন আগেই পেয়েছি।
২য় মেয়ে : অভিমানের সুরে, তা আমায় দিলি না কেন?
১ম মেয়ে : আমি তো ভাবছি তুইও পেয়েছিস। আর তাছাড়া তোর ফোন নেই কিভাবে জানাবো?
২য় মেয়ে : ও তা কিভাবে পেলি?
১ম মেয়ে : আর ফেসবুক আছে না, ওখানে তো সব পরিক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় !
২য় মেয়ে : কি বলিস সত্য নাকি?
১ম মেয়ে : আরে হ্যাঁ আব্বু তো এইজন্য টেস্ট পরিক্ষার পর পরই একটা ফোন কিনে দিয়েছিল যাতে আমি আগে থেকে প্রশ্ন পেয়ে ভাল রেজাল্ট করতে পারি।
২য় মেয়ে : আমায় আব্বু বলছে পরিক্ষায় এ প্লাস পেলে ফোন কিনে দিবে
১ম মেয়ে : একটু মুচকি হাসি দিয়ে আরে তোর আব্বুকে আজই বল ফোন কিনে দিতে তাহলে আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে যাবি আর এ প্লাস তো আসবেই।
২য় মেয়ে : দেখি আব্বুকে বলে যদি রাজি হয়।
তো এদের কথা শুনে আমি বললাম আপুমনিরা আপনারা তো প্রশ্ন পেয়ে না হয় এ প্লাস পেলেন পরবর্তী ভার্সিটি অ্যাডমিশন পরিক্ষার তো আর প্রশ্ন পাওয়া যায় না, তখন কি করবেন ?
এ প্লাস আর ভার্সিটির আলোচনা শুনে হঠাত্ ৩য় এক মেয়ে এসে বলল আরে হরতাল অবরোধে পরিক্ষা শেষ করো আগে তো তারপর না হয় এ প্লাস আর ভার্সিটির চিন্তা করো।
আসলেই তো যে হারে হরতাল অবরোধ শুরু হয়েছে এবার এস এস সি পরিক্ষা শেষ হবে তো?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৮/০২/২০১৫i hate hortal @@ hate hortal
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৭/০২/২০১৫anek valo laglo
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৭/০২/২০১৫ভালো লিখেছেন। এই প্রশ্ন আজ সমগ্র জাতির কাছে॥