মৌ যখন বউ
" মৌ যখন বউ "
- শরীফুল ইসলাম আরশ
(পর্ব - এক)
‘কী মাসুদ সাহেব আর কতদিন?’ জানতে চাইলেন পারভেজ। মাসুদের ইমিডিয়েট বস।
সম্প্রতি ও ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দিয়েছে। থাকে একা একটা মেসে। ব্যাচেলর শুনে সবাই ওকে বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সবাই শুধু মেয়ে দেখাতে চায়। সবগুলিই বিশ্বসুন্দরী। রূপে গুণে অনন্যা।
‘মাসুদ সাহেব, কিছু বলছেন না যে?’ পারভেজ জানতে চাইলেন।
‘কী বলব।’ বিব্রত হল মাসুদ।
‘শোনেন, বিয়েটা করে ফেলুন তাড়াতাড়ি। এতে আপনি সাতটি সুবিধা পাবেন।
‘সাতটি?’
ওর বস হাসলেন!
‘এক- সকাল সকাল গরম পানি পাবেন বাসন মাজার জন্য।
দুই- ছোট ছোট বাচ্চা পাবেন- গাধা সাজার জন্য।
তিন- বউয়ের মিষ্টি কথা শুনতে পারবেন- নতুন শাড়ি গয়নার আবদারের জন্য।
চার- বউ মাঝে মাঝে তাকে জড়িয়ে ধরতে দেবে, মাসিক খরচ বৃদ্ধির জন্য।
পাঁচ. গায়ক হতে পারবেন -বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য।
ছয়- বউয়ের সুন্দর সাজ দেখতে পারবেন- শপিংয়ে যাওয়ার জন্য।
সাত- ফ্রি ফ্রি বকাঝকা শুনতে পারবেন- আপনি যে সেরা বোকা স্বামী সেটা উপলব্ধি করার জন্য।’
মাসুদ হাসল। বোকা মার্কা হাসি।
দিনখানেক পর আজ বিয়ে করার সেই সৌভাগ্য হলো মাসুদের। মাসুদের সৌভাগ্যের দরজায় যে উকিঁ মেরেছে তার নাম মৌ।
মৌ হাসল। ‘এ্যাই শোন, আজ থেকে আমরা তো স্বামী-স্ত্রী। আজ আমাদের বাসররাত। এসো আমরা দুজনকে কথা দিই, কারো কাছে কোন কিছু লুকাবো না। রাজি?’
মাথা নাড়ল মাসুদ। এত সুন্দর মেয়েটা ওর স্ত্রী ভাবতেই লজ্জা লাগছে।
‘এ্যাই শোন, একটা ছোট কাজ করবো। রাগ করবে না তো?’ মৌ বলল।
মাথা দোলাল মাসুদ।
‘কাছে এসে বসো।’
এসে বসল মাসুদ।
‘চোখ বন্ধ কর।’
করল ও।
‘একটা ছোট্ট কাজ করব লক্ষ্মিটি। রাগ কোরো না। একটু লক্ষ্মি ছেলের মত বসো। চোখ বন্ধ কর। ভয় নেই। একদম ব্যথা দেব না।’
দারুণ! দারুণ উত্তেজনা ভর করল মাসুদের মনে-শরীরে।
যাক বউ তাহলে ভালই হয়েছে। বেশ অ্যাগ্রেসিভ। মনে মনে পুলকিত হল মাসুদ।
তারপরই তীব্র ব্যথায় চিৎকার করে উঠল ও। ওর গালে সদ্য গজানো কাঁচা ফোঁড়াটা সজোরে টিপে দিয়েছে মৌ। চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেল ওর।
‘লেগেছে? খুব লেগেছে??’ বেরসিকের মত জানতে চাইল ওর নতুন বউ।
(চলবে.....! চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে)
- শরীফুল ইসলাম আরশ
(পর্ব - এক)
‘কী মাসুদ সাহেব আর কতদিন?’ জানতে চাইলেন পারভেজ। মাসুদের ইমিডিয়েট বস।
সম্প্রতি ও ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দিয়েছে। থাকে একা একটা মেসে। ব্যাচেলর শুনে সবাই ওকে বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সবাই শুধু মেয়ে দেখাতে চায়। সবগুলিই বিশ্বসুন্দরী। রূপে গুণে অনন্যা।
‘মাসুদ সাহেব, কিছু বলছেন না যে?’ পারভেজ জানতে চাইলেন।
‘কী বলব।’ বিব্রত হল মাসুদ।
‘শোনেন, বিয়েটা করে ফেলুন তাড়াতাড়ি। এতে আপনি সাতটি সুবিধা পাবেন।
‘সাতটি?’
ওর বস হাসলেন!
‘এক- সকাল সকাল গরম পানি পাবেন বাসন মাজার জন্য।
দুই- ছোট ছোট বাচ্চা পাবেন- গাধা সাজার জন্য।
তিন- বউয়ের মিষ্টি কথা শুনতে পারবেন- নতুন শাড়ি গয়নার আবদারের জন্য।
চার- বউ মাঝে মাঝে তাকে জড়িয়ে ধরতে দেবে, মাসিক খরচ বৃদ্ধির জন্য।
পাঁচ. গায়ক হতে পারবেন -বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য।
ছয়- বউয়ের সুন্দর সাজ দেখতে পারবেন- শপিংয়ে যাওয়ার জন্য।
সাত- ফ্রি ফ্রি বকাঝকা শুনতে পারবেন- আপনি যে সেরা বোকা স্বামী সেটা উপলব্ধি করার জন্য।’
মাসুদ হাসল। বোকা মার্কা হাসি।
দিনখানেক পর আজ বিয়ে করার সেই সৌভাগ্য হলো মাসুদের। মাসুদের সৌভাগ্যের দরজায় যে উকিঁ মেরেছে তার নাম মৌ।
মৌ হাসল। ‘এ্যাই শোন, আজ থেকে আমরা তো স্বামী-স্ত্রী। আজ আমাদের বাসররাত। এসো আমরা দুজনকে কথা দিই, কারো কাছে কোন কিছু লুকাবো না। রাজি?’
মাথা নাড়ল মাসুদ। এত সুন্দর মেয়েটা ওর স্ত্রী ভাবতেই লজ্জা লাগছে।
‘এ্যাই শোন, একটা ছোট কাজ করবো। রাগ করবে না তো?’ মৌ বলল।
মাথা দোলাল মাসুদ।
‘কাছে এসে বসো।’
এসে বসল মাসুদ।
‘চোখ বন্ধ কর।’
করল ও।
‘একটা ছোট্ট কাজ করব লক্ষ্মিটি। রাগ কোরো না। একটু লক্ষ্মি ছেলের মত বসো। চোখ বন্ধ কর। ভয় নেই। একদম ব্যথা দেব না।’
দারুণ! দারুণ উত্তেজনা ভর করল মাসুদের মনে-শরীরে।
যাক বউ তাহলে ভালই হয়েছে। বেশ অ্যাগ্রেসিভ। মনে মনে পুলকিত হল মাসুদ।
তারপরই তীব্র ব্যথায় চিৎকার করে উঠল ও। ওর গালে সদ্য গজানো কাঁচা ফোঁড়াটা সজোরে টিপে দিয়েছে মৌ। চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেল ওর।
‘লেগেছে? খুব লেগেছে??’ বেরসিকের মত জানতে চাইল ওর নতুন বউ।
(চলবে.....! চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ১৪/০৯/২০১৬
-
সোলাইমান ০৪/০৯/২০১৬supper
-
অঙ্কুর মজুমদার ১৮/০৮/২০১৬vlo....,
-
ফয়জুল মহী ১৬/০৮/২০১৬রীতিমতো ভালো আপনার লেখা
-
আব্দুল হক ১৩/০৮/২০১৬nice
-
স্বপ্নময় স্বপন ১২/০৮/২০১৬ভালো লাগলো!
ধন্যবাদ জানাই।