সাক্ষাত
. . . ঘরের চারিদিকে যেন খুশির মাতন ,ছোট্ট খোকাটাও বেশ হৈ হৈ হুল্লুড়ে ।সারা ঘরে ছোট ছোট পায়ে দৌড়ে দৌড়ে খেলা করছে সে ।নাতীর এমন কোমল পায়ের দৌড়ানো দেখে তার দাদুও বেশ খুশী ।খোকারো বয়স তেমন বেশী নয় বছর দুয়েক হবে ।
তেমন বুলি ফুটে নি এখনো বাব্বা ,আম্মু দাদ্দু এই দুই তিন কথা বলতে পারে সে ।কতক্ষণ সে দৌড়ায় ,কতক্ষণ দৌড়ে এসে দাদুর কোলে বসে ,নানান ধরণের না বোঝা কথা বলে ।
দাদুর মন ও আজ বেশ খুশি ।বছর তিনেক পর তার খোকার দেশে ফেরা আজ ।
সে যে কবে গেল বিদেশে ,আজ প্রথম দেশে আসছে খোকা ।এইতো কিছুক্ষণ পরেই তো খোকা দেশের মাটিতে নামবে ।এই অপেক্ষারো যেন তশ সয়ছে না ।কখন এয়ারপোর্ট নেমে বাড়ী আসবে এই অপেক্ষা এখন ,ঘরটা সে সকাল থেকে প্রস্তুত করছে সবাই ।এয়ারপোর্টে গেছে মেঝ খোকা ,ছোট খোকা তাদের দাদাকে আনতে যাবে ।আর মেয়েরা তাদের ঘর গুছাই আর দাদার জন্য রান্না করছে বেশ সখের সাথে ....
সবাই রাতের খাবার তাড়াহুড়ো করে শেষ করছে মনে যে খুশি আজ ।খাওয়া শেষ করে মেঝ আর ছোট এর সাথে এয়ারপোর্ট যাবে খোকার বছর দুয়েক বছরের খোকা তার বাব্বাকে দেখতে ।বাবা ওপার থেকে বিমানে উঠছে ,এইখানে পৌছাতে লাগবে চারি ঘন্টা ।এই সময়ে তারা এয়ারপোর্ট পৌছুবে ....
দাদা দেশে আসছে ,কত জনের কত চাওয়া ,
মেঝ বোন ,আমার জন্য একটা শাড়ি ,
ছোট বোন ,আমার জন্য কলম আর কানের দোল ,
তেমনি সবার একটা না একটা চাওয়া ,দাদা আসবে আর আমার জিনিস আনছে ,কত খুশি ...
তারা সময় মতো এয়ারপোর্ট পৌছালো কার করে গেল সবাই ।সেই ভোর চারটায় ফ্লাইট নামবে ।তারা তিনটের পৌছে গেল ।ছোট্ট খোকা বাবার অপেক্ষাই এই প্রথম দেখবে সে তার বাব্বাকে ...
খুশিতে দৌড়াদৌড়ি করছে এদিক উদিক ,বিমান দেখছে ,আরো কত মজা ...
এই করতে করতে সময় পেরিয়ে চারটা বাজে তবে ফ্লাইট এখনো নামে না ,চারটা থেকে পাঁচটা ....যায় দিন যায় মাস ,পেরিয়ে যায় আরো কত বছর ,এখন খোকার বয়স প্রায় পনের ছুই ছুই .....আর তার ডায়েরীর শেষ পৃষ্টায় লিখা ,বাবা হয়নি তোমায় কিছু বলা ,আমার পৃথিবীর খুব সৌভাগ্যবান একজন যে তার বাবাকে দেখেছে তবে তার বাবা ছিল ঘুমিয়ে তাই কোন কথাই হয় নি ।
বাবা তুমি আমার জন্য উপরা থেকে এনেছ অনেক কিছু ,কাপড় ,খেলনা ....
আর আমি দিয়ে দিলাম তোমায় কয়েক ফোঁটা জল ,যদদূর মনে পড়ে এই দিলাম .......
এর পর থেকে খোকার মুখে কখনোই শুনি নি ,আজ বাব্বা আসবে .....
আর তার দাদুরো কোন অপেক্ষা ছিল না সেই থেকে .....
@ Writted By wahid
তেমন বুলি ফুটে নি এখনো বাব্বা ,আম্মু দাদ্দু এই দুই তিন কথা বলতে পারে সে ।কতক্ষণ সে দৌড়ায় ,কতক্ষণ দৌড়ে এসে দাদুর কোলে বসে ,নানান ধরণের না বোঝা কথা বলে ।
দাদুর মন ও আজ বেশ খুশি ।বছর তিনেক পর তার খোকার দেশে ফেরা আজ ।
সে যে কবে গেল বিদেশে ,আজ প্রথম দেশে আসছে খোকা ।এইতো কিছুক্ষণ পরেই তো খোকা দেশের মাটিতে নামবে ।এই অপেক্ষারো যেন তশ সয়ছে না ।কখন এয়ারপোর্ট নেমে বাড়ী আসবে এই অপেক্ষা এখন ,ঘরটা সে সকাল থেকে প্রস্তুত করছে সবাই ।এয়ারপোর্টে গেছে মেঝ খোকা ,ছোট খোকা তাদের দাদাকে আনতে যাবে ।আর মেয়েরা তাদের ঘর গুছাই আর দাদার জন্য রান্না করছে বেশ সখের সাথে ....
সবাই রাতের খাবার তাড়াহুড়ো করে শেষ করছে মনে যে খুশি আজ ।খাওয়া শেষ করে মেঝ আর ছোট এর সাথে এয়ারপোর্ট যাবে খোকার বছর দুয়েক বছরের খোকা তার বাব্বাকে দেখতে ।বাবা ওপার থেকে বিমানে উঠছে ,এইখানে পৌছাতে লাগবে চারি ঘন্টা ।এই সময়ে তারা এয়ারপোর্ট পৌছুবে ....
দাদা দেশে আসছে ,কত জনের কত চাওয়া ,
মেঝ বোন ,আমার জন্য একটা শাড়ি ,
ছোট বোন ,আমার জন্য কলম আর কানের দোল ,
তেমনি সবার একটা না একটা চাওয়া ,দাদা আসবে আর আমার জিনিস আনছে ,কত খুশি ...
তারা সময় মতো এয়ারপোর্ট পৌছালো কার করে গেল সবাই ।সেই ভোর চারটায় ফ্লাইট নামবে ।তারা তিনটের পৌছে গেল ।ছোট্ট খোকা বাবার অপেক্ষাই এই প্রথম দেখবে সে তার বাব্বাকে ...
খুশিতে দৌড়াদৌড়ি করছে এদিক উদিক ,বিমান দেখছে ,আরো কত মজা ...
এই করতে করতে সময় পেরিয়ে চারটা বাজে তবে ফ্লাইট এখনো নামে না ,চারটা থেকে পাঁচটা ....যায় দিন যায় মাস ,পেরিয়ে যায় আরো কত বছর ,এখন খোকার বয়স প্রায় পনের ছুই ছুই .....আর তার ডায়েরীর শেষ পৃষ্টায় লিখা ,বাবা হয়নি তোমায় কিছু বলা ,আমার পৃথিবীর খুব সৌভাগ্যবান একজন যে তার বাবাকে দেখেছে তবে তার বাবা ছিল ঘুমিয়ে তাই কোন কথাই হয় নি ।
বাবা তুমি আমার জন্য উপরা থেকে এনেছ অনেক কিছু ,কাপড় ,খেলনা ....
আর আমি দিয়ে দিলাম তোমায় কয়েক ফোঁটা জল ,যদদূর মনে পড়ে এই দিলাম .......
এর পর থেকে খোকার মুখে কখনোই শুনি নি ,আজ বাব্বা আসবে .....
আর তার দাদুরো কোন অপেক্ষা ছিল না সেই থেকে .....
@ Writted By wahid
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ ১০/১১/২০১৩বাহ্ চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ নিন।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১০/১১/২০১৩দারুণ লেখনী। চমৎকার হয়েছে।
-
সায়েম খান ১০/১১/২০১৩হৃদয়বিদারক একটি গল্প,অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনার দাওয়াত রইলো।