স্বাধীনতা
স্বাধীনতার আঁচল ঢাকা অচেনা পরাধীনতা
তোমাকে মারছে না কেউ-দেখছে সবাই
তবু সর্বদাই খাচ্ছ মার অন্তরে-বাহিরে,
সত্যকে ছাই-চাপা আগুনের মতো
অব্যক্ত যন্ত্রণায় ঢেকে রেখেছ স্বাধীনতার স্বাদে
আসলে স্বাধীনতা-একটা গোপন সর্ত!
অন্যায় শাসনের অধিকার -কয়েকজনের
আইনের আঁচলে বাঁধা অন্যায় অঙ্গীকার।
গণতন্ত্রের পথ ধরে ব্যক্তিগত বিবাদেও
আজ রাজনীতির অবাধ প্রবেশ
যেন সম্মুখ সমর সর্বদা।
দশের থেকেও ব্যক্তিগত প্রয়োজনই
সবার আদর্শ-আপন স্বার্থের মুখোশে,
স্বাধীনতার ফসল এখনো ক’জনার হাতে
সরকার এখনো প্রধানত: শতমুখী নয়-
দল ও আনুগত্য নির্ভর প্রতিষ্ঠান।
অনেক হয়েছে, তবে আরও অনেক হতে পারত!
দুর্নীতির অভিশাপে অভিশপ্ত দেশ-তা পায়নি
সত্তরের প্রৌঢ় হয়েও চোখে তোমার করুণার ঠুলী
বিবাদে পরাঙ্মুখ, ভীত শুধু মৃত্যুর আশঙ্কায়-
বিরোধিতায় পঙ্গু তোমার বিবেক আর চেতনা।
রাজনীতির থলে হাতে ভোট-বাজারে
গণতন্ত্রের সেবকদলের অসংখ্য ভিড়
দৈনন্দিন সেবার সামগ্রীর সঙ্গে
প্রয়োজনের ছাঁচে-ঢালা জনগণের জন্য,
শোষণ আর প্রতারণারও বিক্রি চলছে পণ্যের মতো-
চলছে তাঁবেদারর তদ্বির অন্যায়ের মুখোশে
যেন মনে না হয়-আইনের বাইরে বে-আইনি আছে।
গণতন্ত্রে আধিকারিকের থেকে চাপরাশি বেশি-
তাদেরই অঙ্গুলি হেলনে আইন চলছে বে-লাইনে
সু-ছাত্রের মতো-আজ্ঞাবাহক আইন সমাজের সর্বত্র।
স্বাধীনতা রাষ্ট্রের বিক্রিত বস্তু-
তোমার-আমার স্বাধীনতা বিক্রি হয়ে গেছে
গণতান্ত্রিক সেবক দলের কাছে-কারণ
ক্ষুধার্ত তারা তোমার-আমার সেবার জন্য!
নতজানু হয়ে যতই তুমি স্বাধীনতা চাও
পাবে না কখনো প্রতিবাদের অধিকার
ন্যায়-অনায়ের বিচারে-শুধুই পাবে অবিচার,
পাবে তুমি সরকারি অন্ন-বস্ত্র অনুদান-প্রয়োজনে
পাবে না অন্যায়-শাসনের প্রতিবাদের স্বীকৃতি
সংবিধান-সম্মত স্বাধীনতার পরম অধিকার
সে তোমার নয়-রাজনীতির রং-মাখানো হাতে।
তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত নাগরিকের তকমা নিয়ে
বেঁচে থাক নিশ্চিন্তে আজীবন অন্যায়ের কারাগারে,
সেখানে মৃত্যুর ভয় নেই-তোমার, আপনজনের, বন্ধুদের
শুধু অপমান লাঞ্ছনা অভাব আর দারিদ্রের
মাদুলি গলায় বেঁধে স্বাধীনতার দলিল হাতে
ঘুণ-ধরা সামাজিক জীবনের রঙ্গ-মঞ্চে
গেয়ে যাও বাঁচার জয়গান,
ধন্য হবে বীর-সেনানী,বীর বিপ্লবী শহীদের
অমূল্য অবদান-বলো প্রৌঢ় স্বাধীনতা
তুমি ভালো আছো,অনেক অনেক ভালো!
অঙ্গীকারে উত্তর দাও-হইয়ো না ম্লান
স্বাধীনতা পরাধীনতার অভিধান।
২০/১০/২০১৬
রাত্রি-১১টা০৮মি
তোমাকে মারছে না কেউ-দেখছে সবাই
তবু সর্বদাই খাচ্ছ মার অন্তরে-বাহিরে,
সত্যকে ছাই-চাপা আগুনের মতো
অব্যক্ত যন্ত্রণায় ঢেকে রেখেছ স্বাধীনতার স্বাদে
আসলে স্বাধীনতা-একটা গোপন সর্ত!
অন্যায় শাসনের অধিকার -কয়েকজনের
আইনের আঁচলে বাঁধা অন্যায় অঙ্গীকার।
গণতন্ত্রের পথ ধরে ব্যক্তিগত বিবাদেও
আজ রাজনীতির অবাধ প্রবেশ
যেন সম্মুখ সমর সর্বদা।
দশের থেকেও ব্যক্তিগত প্রয়োজনই
সবার আদর্শ-আপন স্বার্থের মুখোশে,
স্বাধীনতার ফসল এখনো ক’জনার হাতে
সরকার এখনো প্রধানত: শতমুখী নয়-
দল ও আনুগত্য নির্ভর প্রতিষ্ঠান।
অনেক হয়েছে, তবে আরও অনেক হতে পারত!
দুর্নীতির অভিশাপে অভিশপ্ত দেশ-তা পায়নি
সত্তরের প্রৌঢ় হয়েও চোখে তোমার করুণার ঠুলী
বিবাদে পরাঙ্মুখ, ভীত শুধু মৃত্যুর আশঙ্কায়-
বিরোধিতায় পঙ্গু তোমার বিবেক আর চেতনা।
রাজনীতির থলে হাতে ভোট-বাজারে
গণতন্ত্রের সেবকদলের অসংখ্য ভিড়
দৈনন্দিন সেবার সামগ্রীর সঙ্গে
প্রয়োজনের ছাঁচে-ঢালা জনগণের জন্য,
শোষণ আর প্রতারণারও বিক্রি চলছে পণ্যের মতো-
চলছে তাঁবেদারর তদ্বির অন্যায়ের মুখোশে
যেন মনে না হয়-আইনের বাইরে বে-আইনি আছে।
গণতন্ত্রে আধিকারিকের থেকে চাপরাশি বেশি-
তাদেরই অঙ্গুলি হেলনে আইন চলছে বে-লাইনে
সু-ছাত্রের মতো-আজ্ঞাবাহক আইন সমাজের সর্বত্র।
স্বাধীনতা রাষ্ট্রের বিক্রিত বস্তু-
তোমার-আমার স্বাধীনতা বিক্রি হয়ে গেছে
গণতান্ত্রিক সেবক দলের কাছে-কারণ
ক্ষুধার্ত তারা তোমার-আমার সেবার জন্য!
নতজানু হয়ে যতই তুমি স্বাধীনতা চাও
পাবে না কখনো প্রতিবাদের অধিকার
ন্যায়-অনায়ের বিচারে-শুধুই পাবে অবিচার,
পাবে তুমি সরকারি অন্ন-বস্ত্র অনুদান-প্রয়োজনে
পাবে না অন্যায়-শাসনের প্রতিবাদের স্বীকৃতি
সংবিধান-সম্মত স্বাধীনতার পরম অধিকার
সে তোমার নয়-রাজনীতির রং-মাখানো হাতে।
তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত নাগরিকের তকমা নিয়ে
বেঁচে থাক নিশ্চিন্তে আজীবন অন্যায়ের কারাগারে,
সেখানে মৃত্যুর ভয় নেই-তোমার, আপনজনের, বন্ধুদের
শুধু অপমান লাঞ্ছনা অভাব আর দারিদ্রের
মাদুলি গলায় বেঁধে স্বাধীনতার দলিল হাতে
ঘুণ-ধরা সামাজিক জীবনের রঙ্গ-মঞ্চে
গেয়ে যাও বাঁচার জয়গান,
ধন্য হবে বীর-সেনানী,বীর বিপ্লবী শহীদের
অমূল্য অবদান-বলো প্রৌঢ় স্বাধীনতা
তুমি ভালো আছো,অনেক অনেক ভালো!
অঙ্গীকারে উত্তর দাও-হইয়ো না ম্লান
স্বাধীনতা পরাধীনতার অভিধান।
২০/১০/২০১৬
রাত্রি-১১টা০৮মি
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৩/১০/২০১৬বেশ, অনেক সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/১০/২০১৬বক্তৃতা হয়ে গেছে।