অভাব
অভাব, অভাব, অভাব!
তোমার, আমার, সবার
জাতি, জগতের বিশ্ব প্রকৃতির সর্বত্র।
ধনী-নির্ধন ,জ্ঞানী-মহাজন
তুমি সবারই অজানা আপনজন,
কেউই তোমাকে চায় না কাছে
অথচ তুমি সবারই সঙ্গী,
ফুল আর মৌমাছির মতো
সব জীবনের কাছাকাছি-
তারা আর আকাশের মতো
রাত্রির বুকে পাশাপাশি,
অথবা নদী বা সমুদ্রের মতো
আলো-ছায়ার নিত্য সাথী ।
তুমি যে শ্রেষ্ঠ কিছুর আতসবাজি
তুমি ছাড়া জ্বলবে না সে
অন্ধ-ঘরের আলোর দ্বারে-
তোমাকে যে পেতেই হবে
জ্বালাতে জীবন-বাতি ।
ধনীর অভাব মনের অন্তরে
আরও ধন-দৌলত-সম্পদ
তুমি না থাকলে-তার হবে না জয়,
নির্ধন কাঁদে বাহিরে-অন্তরে
তুমি হাসছ তার সর্বত্র
নাই যে তার কিছুই আপন
অন্ন-বস্ত্র-বাস্তুর সদাই বিপর্যয়।
শুধু বোঝা দায় তুমি নেই
কার সাথে-যার কর্ম নেই জগতে-
যে চায় না জীবনে অন্তহীন আশা
দিশা-হীন আনন্দ,দৃষ্টিহীন সুখ
দেখে না অলীক স্বপ্ন মধ্যরাতে।
তোমার স্থিতি সবার ঘরে ঘরে
তোমাকে প্রয়োজন সবারই মনে
সকাল সন্ধ্যাবেলা
তাইতো এত বিশ্ব-খেলা!
তুমি সবারই সাথে, তবু
কারো আছে, কারো নেই কিছু
এমনই সে ভীষণ জ্বালা
তুমি যে তাদেরই জীবন-যন্ত্র
তারাই বুঝল না তোমার-খেলা।
প্রকৃতির মাঝে আকাশে-বাতাসে
তুমি নেই যেখানে, বিরূপ স্থিতি সেখানে
কোথাও মেঘ, কোথাও বৃষ্টি –রোদ
তবু তুমি ছাড়া সবই ছন্নছাড়া
কারো হবে না জয়
কারো যাবে না ভয়
আবার কেউ হবে নির্ভয়
কেউ হবে ভাগ্যছাড়া
যে যেমনই চলুক
মানব-জীবনে চলবে প্রকৃতির-ধারা।
কবি –শিল্পী –যশস্বী যশ-অপযশ
তুমিই ভেঙ্গেছ তাদের কর্ম-অলস
সার্থক তাই জীবন-ভূমি
কর্মেই থাক নিত্য তুমি,
তোমাকে করি বার বার-
শত শত নমস্কার!
অভাব,তোমাকে নমস্কার।
তুমিই কর্মের প্রেরণা
তুমিই উন্নতি আর সভ্যতার সোপান.
তুমি যে জীবনের আনন্দ-দুঃখ-
তাই আপনি হারায়ে সবার তরে
মানবেরে করেছ মহান।
অভাব-তুমি স্বভাব নয়
জীবনের মহান আশ্রয়,
তুমি ছাড়া মল্লভূমির
প্রেরণার কখনো হবে না জয় , এ নিশ্চয়।
সফল জীবন নূতন করে সার্থক করো
চলার পায়ে তোমার স্পন্দনখানি
পাহাড়ে নদীতে আছড়ে আছড়ে
প্রাণের অন্তরে অন্তরে শত জীবন ভরো-
তাই নির্ধন ধনী, অখ্যাত খ্যাতির খনি
পশ্চাতে তোমার জীবন বাণী
কঠিন অশ্রুপাতে রেখে যায় জীবনের ভার
অভাব,তোমাকে শত নমস্কার!
এসো, এসো শত রূপে অনিবার
অভাব,তোমাকে শত নমস্কার।
==================================
তোমার, আমার, সবার
জাতি, জগতের বিশ্ব প্রকৃতির সর্বত্র।
ধনী-নির্ধন ,জ্ঞানী-মহাজন
তুমি সবারই অজানা আপনজন,
কেউই তোমাকে চায় না কাছে
অথচ তুমি সবারই সঙ্গী,
ফুল আর মৌমাছির মতো
সব জীবনের কাছাকাছি-
তারা আর আকাশের মতো
রাত্রির বুকে পাশাপাশি,
অথবা নদী বা সমুদ্রের মতো
আলো-ছায়ার নিত্য সাথী ।
তুমি যে শ্রেষ্ঠ কিছুর আতসবাজি
তুমি ছাড়া জ্বলবে না সে
অন্ধ-ঘরের আলোর দ্বারে-
তোমাকে যে পেতেই হবে
জ্বালাতে জীবন-বাতি ।
ধনীর অভাব মনের অন্তরে
আরও ধন-দৌলত-সম্পদ
তুমি না থাকলে-তার হবে না জয়,
নির্ধন কাঁদে বাহিরে-অন্তরে
তুমি হাসছ তার সর্বত্র
নাই যে তার কিছুই আপন
অন্ন-বস্ত্র-বাস্তুর সদাই বিপর্যয়।
শুধু বোঝা দায় তুমি নেই
কার সাথে-যার কর্ম নেই জগতে-
যে চায় না জীবনে অন্তহীন আশা
দিশা-হীন আনন্দ,দৃষ্টিহীন সুখ
দেখে না অলীক স্বপ্ন মধ্যরাতে।
তোমার স্থিতি সবার ঘরে ঘরে
তোমাকে প্রয়োজন সবারই মনে
সকাল সন্ধ্যাবেলা
তাইতো এত বিশ্ব-খেলা!
তুমি সবারই সাথে, তবু
কারো আছে, কারো নেই কিছু
এমনই সে ভীষণ জ্বালা
তুমি যে তাদেরই জীবন-যন্ত্র
তারাই বুঝল না তোমার-খেলা।
প্রকৃতির মাঝে আকাশে-বাতাসে
তুমি নেই যেখানে, বিরূপ স্থিতি সেখানে
কোথাও মেঘ, কোথাও বৃষ্টি –রোদ
তবু তুমি ছাড়া সবই ছন্নছাড়া
কারো হবে না জয়
কারো যাবে না ভয়
আবার কেউ হবে নির্ভয়
কেউ হবে ভাগ্যছাড়া
যে যেমনই চলুক
মানব-জীবনে চলবে প্রকৃতির-ধারা।
কবি –শিল্পী –যশস্বী যশ-অপযশ
তুমিই ভেঙ্গেছ তাদের কর্ম-অলস
সার্থক তাই জীবন-ভূমি
কর্মেই থাক নিত্য তুমি,
তোমাকে করি বার বার-
শত শত নমস্কার!
অভাব,তোমাকে নমস্কার।
তুমিই কর্মের প্রেরণা
তুমিই উন্নতি আর সভ্যতার সোপান.
তুমি যে জীবনের আনন্দ-দুঃখ-
তাই আপনি হারায়ে সবার তরে
মানবেরে করেছ মহান।
অভাব-তুমি স্বভাব নয়
জীবনের মহান আশ্রয়,
তুমি ছাড়া মল্লভূমির
প্রেরণার কখনো হবে না জয় , এ নিশ্চয়।
সফল জীবন নূতন করে সার্থক করো
চলার পায়ে তোমার স্পন্দনখানি
পাহাড়ে নদীতে আছড়ে আছড়ে
প্রাণের অন্তরে অন্তরে শত জীবন ভরো-
তাই নির্ধন ধনী, অখ্যাত খ্যাতির খনি
পশ্চাতে তোমার জীবন বাণী
কঠিন অশ্রুপাতে রেখে যায় জীবনের ভার
অভাব,তোমাকে শত নমস্কার!
এসো, এসো শত রূপে অনিবার
অভাব,তোমাকে শত নমস্কার।
==================================
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অঙ্কুর মজুমদার ২৩/০৬/২০১৬nice1