বই পড়া মেয়েটি
অংকন ছোটবেলা থেকেই এক উজ্জ্বল প্রতিভার মেধাবী মেয়ে।। তার বই পড়ার প্রতি আকর্ষণ এবং নিবিড় ভালোবাসা সকলের নজর কাড়ে। সে যেকোনো নতুন বইয়ের পাতা উল্টে যেন নতুন এক জগতে চলে যায়। তার পরিবারের মধ্যে মা, বাবা, ভাই এবং বোন ছিল তার জীবন সঙ্গী। তারা সবাই তাকে ভালোবাসে এবং তার বই পড়ার অভ্যাসকে উৎসাহিত করে। অংকনের মা সব সময় বলতেন, "বই পড়া মানে শুধু জানার জন্য নয়, অনুভব করার জন্যও। প্রতিটি বইয়ের গল্পের মধ্যে লুকিয়ে থাকে জীবনের নানা দিক।"
অংকনের ঘরে ঢুকলেই মনে হয় একটা ছোট্ট লাইব্রেরি। সে যখন বই পড়ে, তার সমস্ত ইন্দ্রিয় যেন সক্রিয় হয়ে ওঠে। বইয়ের মলাটের স্পর্শ, পাতার গন্ধ, চোখে পড়া প্রতিটি শব্দের মায়া, সবকিছু মিলিয়ে সে যেন এক নতুন জগতে চলে যায়। অংকনের বই পড়ার অভ্যাস দেখে তার মা বলতেন, "তুমি যখন বই পড়, তখন মনে হয় তুমি অন্য এক জগতে আছো।"
অংকনের মা সব সময় তাকে বলতেন, "বই পড়া মানে শুধু জানার জন্য নয়, অনুভব করার জন্যও। প্রতিটি বইয়ের গল্পের মধ্যে লুকিয়ে থাকে জীবনের নানা দিক।" অংকনের বাবা যোগ করতেন, "যখন তুমি বই পড়ো, তখন তুমি শুধু জ্ঞান অর্জন করো না, বরং তুমি তোমার মন এবং অনুভূতি উন্নত করো।"
একদিন অংকনের স্কুলে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো, যার নাম ছিল "বই পড়ার আনন্দ"। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রিয় বই নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে এবং তা উপস্থাপন করতে হবে। অংকন ভীষণ উৎসাহী হয়ে তার প্রিয় বই, "মহাশ্বেতা দেবীর গল্পসমগ্র", নিয়ে লিখতে শুরু করলো। অংকনের গল্পে সে উল্লেখ করেছিল, কিভাবে মহাশ্বেতা দেবীর গল্পগুলোতে সমাজের অবহেলিত মানুষের কথা উঠে এসেছে। সে লিখেছিল, "মহাশ্বেতা দেবীর লেখায় আমরা অনুভব করতে পারি কিভাবে সমাজের অবহেলিত মানুষদের কষ্ট এবং সংগ্রামের কথা। তাঁর গল্পগুলো আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।"
প্রবন্ধ উপস্থাপনের দিন অংকন তার গল্প শোনালো। সে বলেছিল, "বই পড়ার মাধ্যমে আমি শুধু জ্ঞান অর্জন করি না, বরং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাই। আমি শিখি কিভাবে অন্যদের অনুভূতি বুঝতে হয়, কিভাবে তাদের কষ্টকে অনুভব করতে হয়।" তার প্রবন্ধ সবাইকে মুগ্ধ করলো এবং সে প্রথম স্থান অধিকার করলো।
পুরস্কার বিতরণের সময় অংকনের শিক্ষক বলেছিলেন, "অংকন আমাদের শিখিয়েছে বই পড়া মানে কেবল জ্ঞান অর্জন নয়, বরং অন্যদের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা অর্জন। "অংকনের এই সাফল্য দেখে তার মা-বাবা ভীষণ খুশি হলেন। তার বাবা বললেন, "আমরা জানতাম অংকন বই পড়তে ভালোবাসে, কিন্তু আজ আমরা দেখলাম তার বই পড়ার অভ্যাস তাকে কিভাবে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করছে।"
বই পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের চারপাশের দুনিয়াকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি। বই আমাদের মনে এনে দেয় সৃজনশীলতা, মমতা এবং জ্ঞান। অংকন যেমন তার গল্পের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছে, বই পড়ার আনন্দ আমাদের জীবনে এনে দেয় নতুন আলো। "বই পড়া শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের অনুভূতি ও মননশীলতার উন্নতি করে।"
তাং- ১৩/০৮/২০২৪ ইং
অংকনের ঘরে ঢুকলেই মনে হয় একটা ছোট্ট লাইব্রেরি। সে যখন বই পড়ে, তার সমস্ত ইন্দ্রিয় যেন সক্রিয় হয়ে ওঠে। বইয়ের মলাটের স্পর্শ, পাতার গন্ধ, চোখে পড়া প্রতিটি শব্দের মায়া, সবকিছু মিলিয়ে সে যেন এক নতুন জগতে চলে যায়। অংকনের বই পড়ার অভ্যাস দেখে তার মা বলতেন, "তুমি যখন বই পড়, তখন মনে হয় তুমি অন্য এক জগতে আছো।"
অংকনের মা সব সময় তাকে বলতেন, "বই পড়া মানে শুধু জানার জন্য নয়, অনুভব করার জন্যও। প্রতিটি বইয়ের গল্পের মধ্যে লুকিয়ে থাকে জীবনের নানা দিক।" অংকনের বাবা যোগ করতেন, "যখন তুমি বই পড়ো, তখন তুমি শুধু জ্ঞান অর্জন করো না, বরং তুমি তোমার মন এবং অনুভূতি উন্নত করো।"
একদিন অংকনের স্কুলে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো, যার নাম ছিল "বই পড়ার আনন্দ"। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রিয় বই নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে এবং তা উপস্থাপন করতে হবে। অংকন ভীষণ উৎসাহী হয়ে তার প্রিয় বই, "মহাশ্বেতা দেবীর গল্পসমগ্র", নিয়ে লিখতে শুরু করলো। অংকনের গল্পে সে উল্লেখ করেছিল, কিভাবে মহাশ্বেতা দেবীর গল্পগুলোতে সমাজের অবহেলিত মানুষের কথা উঠে এসেছে। সে লিখেছিল, "মহাশ্বেতা দেবীর লেখায় আমরা অনুভব করতে পারি কিভাবে সমাজের অবহেলিত মানুষদের কষ্ট এবং সংগ্রামের কথা। তাঁর গল্পগুলো আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।"
প্রবন্ধ উপস্থাপনের দিন অংকন তার গল্প শোনালো। সে বলেছিল, "বই পড়ার মাধ্যমে আমি শুধু জ্ঞান অর্জন করি না, বরং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাই। আমি শিখি কিভাবে অন্যদের অনুভূতি বুঝতে হয়, কিভাবে তাদের কষ্টকে অনুভব করতে হয়।" তার প্রবন্ধ সবাইকে মুগ্ধ করলো এবং সে প্রথম স্থান অধিকার করলো।
পুরস্কার বিতরণের সময় অংকনের শিক্ষক বলেছিলেন, "অংকন আমাদের শিখিয়েছে বই পড়া মানে কেবল জ্ঞান অর্জন নয়, বরং অন্যদের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা অর্জন। "অংকনের এই সাফল্য দেখে তার মা-বাবা ভীষণ খুশি হলেন। তার বাবা বললেন, "আমরা জানতাম অংকন বই পড়তে ভালোবাসে, কিন্তু আজ আমরা দেখলাম তার বই পড়ার অভ্যাস তাকে কিভাবে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করছে।"
বই পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের চারপাশের দুনিয়াকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি। বই আমাদের মনে এনে দেয় সৃজনশীলতা, মমতা এবং জ্ঞান। অংকন যেমন তার গল্পের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছে, বই পড়ার আনন্দ আমাদের জীবনে এনে দেয় নতুন আলো। "বই পড়া শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের অনুভূতি ও মননশীলতার উন্নতি করে।"
তাং- ১৩/০৮/২০২৪ ইং
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম. শহীদ ২৭/১১/২০২৪অনেক সুন্দর এবং পরিপাটি লেখা। শুভকামনা।
-
নাদেরা ফারনাছ শিমূল ৩০/০৯/২০২৪শিক্ষনীয় লেখা।শিক্ষা মানুষকে আলোকিত পথের দিশা দেয়।
-
suman ২৮/০৯/২০২৪মানুষের ভেতরকার মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করা আমাদের অন্যতম কাজ হয়ে উঠুক...
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ২৬/০৯/২০২৪শিক্ষ্নীয় একটি লেখা, দারুন ঘুচিয়ে লিখেছেন বটে । শুভেচ্ছা জানবেন ।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৬/০৯/২০২৪সুন্দর ব্যাখ্যা কবিবর
-
ফয়জুল মহী ২৬/০৯/২০২৪বাহ্ চমৎকার