যখন তুমি ছোট ছিলে
ঢাকার "আশুরা ভিলা", সেদিন অনেক রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ছিল। তুমি তখন অনেক ছোট। তোমার হাত-পায়ের নড়া-চড়া দেখেই সবাই মুগ্ধ হয়ে যেত। তুমি যেন সবসময় নিজের ছোট্ট হাতগুলো দিয়ে কিছু ধরার চেষ্টা করতে আর পায়ের আঙ্গুলগুলো মিষ্টি করে নাড়তে।
মুখে এক অদ্ভুত মিষ্টি হাসি ছিল। তুমি যখন হাসতে, তোমার মা-বাবা আর ভাই-বোনদের মন খুশিতে ভরে যেত। মাঝে মাঝে তুমি হঠাৎ করে কেঁদে উঠতে, তাতে সবাই ব্যস্ত হয়ে যেত তোমাকে শান্ত করার জন্য। তোমার কান্নাও মিষ্টি ছিল, আর সেই কান্নার ধরন দেখে সবাই বুঝতে পারতো তোমার কি প্রয়োজন।
তোমার কথা শেখার সময়গুলো ছিল অসাধারণ। তুমি প্রথম যখন "মা" বা "বাবা" শব্দটা উচ্চারণ করেছিলে, তোমার মা-বাবা আনন্দে কেঁদে উঠেছিল। তারা যেন পুরো পৃথিবীটা পেয়ে গিয়েছিল সেই ছোট্ট শব্দগুলোর মধ্যে।
একদিন তুমি হাটি হাটি পা পা করে হাঁটা শিখলে। প্রথম প্রথম পড়ে যাওয়া ছিল খুব সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু তুমি হাল ছাড়োনি। আবার উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করতে, তোমার ছোট্ট পায়ে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করলে। তোমার মা-বাবা তোমার এই সাহসিকতা দেখে আনন্দে মুগ্ধ হয়ে যেত।
তুমি যখন একদিন পুরো ঘর দৌড়াতে শিখে গেলে, সেই দিনটা ছিল সবচেয়ে আনন্দময়। তোমার দাদা-দিদা তোমার এই সাফল্য দেখে এতটাই খুশি হয়েছিল যে তারা তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেক আদর করেছিল।
তুমি যখন ছোট ছিলে, তোমার মা তোমাকে কোলে নিয়ে বাগানে ঘুরতে যেতেন। তোমার দৃষ্টিতে ছিল কৌতূহল আর মুখে মিষ্টি হাসি। বাগানের ফুল, পাখি আর প্রজাপতিগুলো তোমার চোখে ছিল জাদুর মতো। তুমি যখন কোনো প্রজাপতি দেখতে পেতে, তখন হাত পা নেড়ে যেন তাকে ধরার চেষ্টা করতে।
একদিন তুমি বাগানে খেলতে খেলতে পড়ে গেলে। তোমার মা দৌড়ে এসে তোমাকে তুলে নিলেন। তুমি তখন কাঁদছিলে, কিন্তু মায়ের কোলে গিয়ে তোমার কান্না থেমে গেল। তোমার মা তোমাকে আদর করে বললেন, "আমার বীর যোদ্ধা, ভয় পেয়ো না। তুমি তো সব পারো।" এই কথা শুনে তোমার মুখে আবার সেই মিষ্টি হাসি ফুটে উঠল।
তোমার শৈশবের আরেকটি মজার স্মৃতি হলো তোমার প্রথম জন্মদিন। সেদিন পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছিল। তোমার মা-বাবা, দাদা-দিদা সবাই মিলে তোমার জন্য একটা বড় কেক বানিয়েছিল। তুমি যখন কেক কাটতে গেলে, তোমার ছোট্ট হাতগুলো কেকের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। সবাই হাসতে লাগল আর তোমাকে আদর করতে লাগল।
তুমি যখন একটু বড় হলে, স্কুলে যেতে শুরু করলে। প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার সময় তোমার মা তোমার হাত ধরে রেখেছিলেন। তুমি একটু ভয় পাচ্ছিলে, কিন্তু তোমার মায়ের সাহসের কথা মনে পড়তেই তুমি সাহসী হয়ে উঠলে। স্কুলে গিয়েই তুমি নতুন বন্ধু বানালে আর সবাই মিলে খেলাধুলা করতে লাগলে।
তোমার স্কুলের প্রথম শিক্ষক তোমাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি তোমাকে বলতেন, "তুমি বড় হয়ে অনেক বড় কিছু হবে। তোমার মেধা আর সাহস আছে।" তুমি এই কথা শুনে খুব খুশি হতে আর নিজের পড়াশোনায় মন দিতে।
তোমার ছোটবেলার আরেকটি মজার স্মৃতি হলো তোমার প্রথম বই পড়া। তোমার মা তোমার জন্য একদিন একটা ছোট্ট বই এনে দিলেন। তুমি তখন পড়তে শিখেছিলে আর সেই বই পড়ে খুব আনন্দ পেলে। প্রতিদিন রাতে তুমি মায়ের কোলে বসে সেই বই পড়তে, আর মা তোমাকে আরও নতুন নতুন গল্প শোনাতে। তোমার মা তোমার চোখে ছিল জাদুকর, যে সবসময় নতুন কিছু শিখাতেন আর তোমাকে ভালোবাসতেন।
একদিন তোমার বাবা তোমাকে নিয়ে মাঠে খেলতে গেলেন। তোমার বাবার সাথে ফুটবল খেলতে তোমার খুব ভালো লাগত। তুমি যখন প্রথম বলটা কিক করলে, তোমার বাবা খুশিতে চিৎকার করে উঠলেন। "বাহ! আমার ছেলে/মেয়ে তো ফুটবলার হবে!" সেই দিনটা তোমার জন্য ছিল অসাধারণ। তুমি আর তোমার বাবা মিলে অনেক খেলাধুলা করলে আর তোমার বাবা তোমাকে সারা দিন ধরে প্রশংসা করতে থাকলেন।
তুমি যখন ছোট ছিলে, তোমার ভাই বা বোনের সাথে তোমার খুনসুটি ছিল অনেক মজার। তোমরা মিলে সারাদিন খেলাধুলা করতে আর মাঝেমাঝে ছোট ছোট ঝগড়াও হতে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যেত আর তোমরা আবার একসাথে খেলতে শুরু করতে। তোমাদের এই মিষ্টি খুনসুটি দেখে তোমার মা-বাবা হাসতে হাসতে বলতেন, "তোমরা একে অপরকে ছাড়া কিছুই না।
"তুমি যখন একটু বড় হলে, তোমার দাদা-দিদার কাছে গল্প শুনতে যেত। তোমার দাদা-দিদা তোমাকে শোনাতেন তাদের শৈশবের গল্প, তাদের সাহসিকতার গল্প। তুমি সেসব গল্প শুনে মুগ্ধ হতে আর স্বপ্ন দেখতে, একদিন তুমিও তাদের মতো সাহসী হবে। তোমার দাদা-দিদা তোমাকে বলতেন, "তুমি আমাদের গর্ব। তুমি আমাদের গল্পগুলোকে জীবন্ত রাখবে।"
তোমার শৈশবের এই মজার মজার মুহূর্তগুলো তোমার মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দিদার হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে। তোমার ছোটবেলার এই স্মৃতিগুলো সবাইকে আজও আনন্দ দেয় এবং হাসিতে ভরিয়ে দেয়।
তাং- ১০/০৭/২০২৪ ইং
-----
মুখে এক অদ্ভুত মিষ্টি হাসি ছিল। তুমি যখন হাসতে, তোমার মা-বাবা আর ভাই-বোনদের মন খুশিতে ভরে যেত। মাঝে মাঝে তুমি হঠাৎ করে কেঁদে উঠতে, তাতে সবাই ব্যস্ত হয়ে যেত তোমাকে শান্ত করার জন্য। তোমার কান্নাও মিষ্টি ছিল, আর সেই কান্নার ধরন দেখে সবাই বুঝতে পারতো তোমার কি প্রয়োজন।
তোমার কথা শেখার সময়গুলো ছিল অসাধারণ। তুমি প্রথম যখন "মা" বা "বাবা" শব্দটা উচ্চারণ করেছিলে, তোমার মা-বাবা আনন্দে কেঁদে উঠেছিল। তারা যেন পুরো পৃথিবীটা পেয়ে গিয়েছিল সেই ছোট্ট শব্দগুলোর মধ্যে।
একদিন তুমি হাটি হাটি পা পা করে হাঁটা শিখলে। প্রথম প্রথম পড়ে যাওয়া ছিল খুব সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু তুমি হাল ছাড়োনি। আবার উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করতে, তোমার ছোট্ট পায়ে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করলে। তোমার মা-বাবা তোমার এই সাহসিকতা দেখে আনন্দে মুগ্ধ হয়ে যেত।
তুমি যখন একদিন পুরো ঘর দৌড়াতে শিখে গেলে, সেই দিনটা ছিল সবচেয়ে আনন্দময়। তোমার দাদা-দিদা তোমার এই সাফল্য দেখে এতটাই খুশি হয়েছিল যে তারা তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেক আদর করেছিল।
তুমি যখন ছোট ছিলে, তোমার মা তোমাকে কোলে নিয়ে বাগানে ঘুরতে যেতেন। তোমার দৃষ্টিতে ছিল কৌতূহল আর মুখে মিষ্টি হাসি। বাগানের ফুল, পাখি আর প্রজাপতিগুলো তোমার চোখে ছিল জাদুর মতো। তুমি যখন কোনো প্রজাপতি দেখতে পেতে, তখন হাত পা নেড়ে যেন তাকে ধরার চেষ্টা করতে।
একদিন তুমি বাগানে খেলতে খেলতে পড়ে গেলে। তোমার মা দৌড়ে এসে তোমাকে তুলে নিলেন। তুমি তখন কাঁদছিলে, কিন্তু মায়ের কোলে গিয়ে তোমার কান্না থেমে গেল। তোমার মা তোমাকে আদর করে বললেন, "আমার বীর যোদ্ধা, ভয় পেয়ো না। তুমি তো সব পারো।" এই কথা শুনে তোমার মুখে আবার সেই মিষ্টি হাসি ফুটে উঠল।
তোমার শৈশবের আরেকটি মজার স্মৃতি হলো তোমার প্রথম জন্মদিন। সেদিন পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছিল। তোমার মা-বাবা, দাদা-দিদা সবাই মিলে তোমার জন্য একটা বড় কেক বানিয়েছিল। তুমি যখন কেক কাটতে গেলে, তোমার ছোট্ট হাতগুলো কেকের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। সবাই হাসতে লাগল আর তোমাকে আদর করতে লাগল।
তুমি যখন একটু বড় হলে, স্কুলে যেতে শুরু করলে। প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার সময় তোমার মা তোমার হাত ধরে রেখেছিলেন। তুমি একটু ভয় পাচ্ছিলে, কিন্তু তোমার মায়ের সাহসের কথা মনে পড়তেই তুমি সাহসী হয়ে উঠলে। স্কুলে গিয়েই তুমি নতুন বন্ধু বানালে আর সবাই মিলে খেলাধুলা করতে লাগলে।
তোমার স্কুলের প্রথম শিক্ষক তোমাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি তোমাকে বলতেন, "তুমি বড় হয়ে অনেক বড় কিছু হবে। তোমার মেধা আর সাহস আছে।" তুমি এই কথা শুনে খুব খুশি হতে আর নিজের পড়াশোনায় মন দিতে।
তোমার ছোটবেলার আরেকটি মজার স্মৃতি হলো তোমার প্রথম বই পড়া। তোমার মা তোমার জন্য একদিন একটা ছোট্ট বই এনে দিলেন। তুমি তখন পড়তে শিখেছিলে আর সেই বই পড়ে খুব আনন্দ পেলে। প্রতিদিন রাতে তুমি মায়ের কোলে বসে সেই বই পড়তে, আর মা তোমাকে আরও নতুন নতুন গল্প শোনাতে। তোমার মা তোমার চোখে ছিল জাদুকর, যে সবসময় নতুন কিছু শিখাতেন আর তোমাকে ভালোবাসতেন।
একদিন তোমার বাবা তোমাকে নিয়ে মাঠে খেলতে গেলেন। তোমার বাবার সাথে ফুটবল খেলতে তোমার খুব ভালো লাগত। তুমি যখন প্রথম বলটা কিক করলে, তোমার বাবা খুশিতে চিৎকার করে উঠলেন। "বাহ! আমার ছেলে/মেয়ে তো ফুটবলার হবে!" সেই দিনটা তোমার জন্য ছিল অসাধারণ। তুমি আর তোমার বাবা মিলে অনেক খেলাধুলা করলে আর তোমার বাবা তোমাকে সারা দিন ধরে প্রশংসা করতে থাকলেন।
তুমি যখন ছোট ছিলে, তোমার ভাই বা বোনের সাথে তোমার খুনসুটি ছিল অনেক মজার। তোমরা মিলে সারাদিন খেলাধুলা করতে আর মাঝেমাঝে ছোট ছোট ঝগড়াও হতে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যেত আর তোমরা আবার একসাথে খেলতে শুরু করতে। তোমাদের এই মিষ্টি খুনসুটি দেখে তোমার মা-বাবা হাসতে হাসতে বলতেন, "তোমরা একে অপরকে ছাড়া কিছুই না।
"তুমি যখন একটু বড় হলে, তোমার দাদা-দিদার কাছে গল্প শুনতে যেত। তোমার দাদা-দিদা তোমাকে শোনাতেন তাদের শৈশবের গল্প, তাদের সাহসিকতার গল্প। তুমি সেসব গল্প শুনে মুগ্ধ হতে আর স্বপ্ন দেখতে, একদিন তুমিও তাদের মতো সাহসী হবে। তোমার দাদা-দিদা তোমাকে বলতেন, "তুমি আমাদের গর্ব। তুমি আমাদের গল্পগুলোকে জীবন্ত রাখবে।"
তোমার শৈশবের এই মজার মজার মুহূর্তগুলো তোমার মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দিদার হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে। তোমার ছোটবেলার এই স্মৃতিগুলো সবাইকে আজও আনন্দ দেয় এবং হাসিতে ভরিয়ে দেয়।
তাং- ১০/০৭/২০২৪ ইং
-----
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৬/০৯/২০২৪বাহ্ চমৎকার উপস্থাপন করলেন
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/০৯/২০২৪অনন্যা