ভীমরতি
ভাই দ্যাখছেন ভীমরতি কারে কয়?
বললাম ক্যান কি হইছে?
ক্যান জানেন না রেলমন্ত্রী এই বয়সে বিয়া করছে?
কথাটা শুনে নচিকেতার গানটা মনে পড়ে গেলো->
সে ছিলো তখন উনিশ,আমি ছিলাম ছত্রিশ
প্রেমে পড়তে লাগেনা বয়স
মনে লাগেনা উনিশ বিশ
অনুভূতিরা কি বাধ্যতামূলক থাকে অহর্নিশ??
মনে মনে গানটা গুনগুন করে গাইতে গাইতেই বললাম হুম জানি ব্যাপারটাতো কয়দিন ধরে অসুস্থ মিডিয়া আর কিছু সংকীর্ণ মানসিকতার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাটতি বাড়ানোর রগরগে টপিক। তা তুমি বিয়া কেমন খাইলা?
আমি বিয়া খামু ক্যান? আমারে কি দাওয়াত দিছে?
হাসতে হাসতে বললাম এইবার বুঝলা তো “যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পড়শীর ঘুম নাই”প্রবাদটার মূল ভাবার্থ?
ব্যাপার মনে হয় ভীমরতি না ব্যাপারটা আসলে জাতি হিসেবে আমরা মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাতে পছন্দ করি এবং ঈর্ষাকাতর। চোখ টিপে বললাম- রেলমন্ত্রী এই বয়সে এতো সুন্দর বউ পাইছে তা তোমার আমার “তলে তলে একটু জ্বলুনিরও” বহিঃপ্রকাশ বলতে পারো।
"নিচে পদ্ম চরকবাণে
যুগল মিলন চাঁদ চকোরা।
সূর্যের সুসঙ্গে কমল কিরূপে হয় যুগল মিলন
জানলিনে মন হলি কেবল কামাবেশে মাতোয়ারা"।।--(লালন)
'সমাজে' তুমি মেয়ে মানুষকে শুধু মাংসপিণ্ড ভেবে মুখশ্রী দর্শনের আগে পা থেকে দেখা শুরু করো, বুক পর্যন্ত গিয়ে কামুক চোখে আটকে থাকো, মুখটা দেখার জন্য আরেকটু ওপরে ওঠার সময় পাও না বা তাকাতেই চাওনা।
তোমার ভেতরের পশুটা লকলকে জিভ বের করে নারী শরীরটাকে চেটেপুটে খায়। পশুটাকে তুমি নিয়ন্ত্রন করতে শেখোনি। তাই হয়তো সাহসের অভাবে এখনও ধর্ষক হতে পারোনি।
“তুমি আসলে শৌর্যহীন কামুক, পৌরুষ ঐশ্বর্যে দীপ্ত পুরুষ নও”। এই তোমরাই সম্পর্কের সমালোচনা করো সঙ্গীকে শুধুই কামচিন্তক বিবেচনা থেকে আর বয়সের বাহানায় প্রশ্নবিদ্ধ করে তৃপ্ত হও।
সঙ্গী কি শুধুই বিছানাসঙ্গী? নাকি সঙ্গী সম্পর্কীয় চিন্তা ভাবনার সংকীর্ণতা??
একটা বয়সে গিয়ে সকলেরই যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়, আমার বাবা মায়ের বেলায়ও তাই ঘটেছে। তাতে কি তাড়া সম্পর্ক ভেঙ্গে দুজনকে ছেড়ে চলে গিয়েছে?? আর রয়েই যখন গেছে তবে কিসের টানে রয়ে গেছে??
যাকে কথাগুলো বলছি তার প্রতিক্রিয়াটা আর বলতে চাইনা কারন এরপরের কথাগুলো আর কথা ছিলোনা, ছিল শুধুই খিস্তি খেউর।
এক বড়ো ভাই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নিজের জীবনের লক্ষ্য পূরণের আগ পর্যন্ত বিয়ে করবেন না। উদ্দেশ্য মহৎ ছিলো কারন তিনি চাননি তার জীবনসঙ্গীকে তার লক্ষ্য অপূরণের ব্যর্থতার গল্প দীর্ঘশ্বাসের সাথে বলতে।
সফল হয়ে তাকে বলতে চেয়েছেন সেই সফলতার গল্প সঙ্গী হিসেবে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।
এতোদিন পর্যন্ত অসুস্থ সমাজকে তার পেছনে তাকে সমকামী বলতে দেখেছি, অনেককেই তার পুরুষত্ব সক্ষমতায় সন্দেহ পোষণমূলক গল্প খুব আগ্রহ নিয়ে করতে দেখেছি।
কেউ কেউ তো এসে অহেতুক গালগল্প করতো তাকে অমুক বেশ্যাপাড়ায় দেখে এসেছে। কিন্তু জিজ্ঞেস করতেই লজ্জা পেয়েছি ওখানে তুমি কি করছিলে??
ভাই যখন সফল হলেন তখন তার বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে এবং এখন তিনি দুই ছেলের বাবা। এখনও সমাজ তাকে অপবাদী-ই করে রেখছে, তার সন্তান দুটির পিতৃ পরিচয় নিয়ে তার বউকে অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশার অপবাদে।
লক্ষ্য পূরণ হলে বিয়ে করবে ব্যাপারটায় সহযোগিতা/সম্মান/স্রদ্ধার বদলে অসুস্থ সমাজ তাকে শুধু অপবাদই দিতে পেরেছে। তবে হয়তো এতোদিনে দুঃসাহসী রেলমন্ত্রীর কৃপায় ভাই ওইসব অপবাদগুলো থেকে বাঁচতে পারবেন।
ভাগ্যিস ভাই এই দেশ আর এই বিকলাঙ্গ জাতি/সমাজের বড়োসড়ো কোন ব্যক্তিত্ত্ব নন...।
বললাম ক্যান কি হইছে?
ক্যান জানেন না রেলমন্ত্রী এই বয়সে বিয়া করছে?
কথাটা শুনে নচিকেতার গানটা মনে পড়ে গেলো->
সে ছিলো তখন উনিশ,আমি ছিলাম ছত্রিশ
প্রেমে পড়তে লাগেনা বয়স
মনে লাগেনা উনিশ বিশ
অনুভূতিরা কি বাধ্যতামূলক থাকে অহর্নিশ??
মনে মনে গানটা গুনগুন করে গাইতে গাইতেই বললাম হুম জানি ব্যাপারটাতো কয়দিন ধরে অসুস্থ মিডিয়া আর কিছু সংকীর্ণ মানসিকতার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাটতি বাড়ানোর রগরগে টপিক। তা তুমি বিয়া কেমন খাইলা?
আমি বিয়া খামু ক্যান? আমারে কি দাওয়াত দিছে?
হাসতে হাসতে বললাম এইবার বুঝলা তো “যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পড়শীর ঘুম নাই”প্রবাদটার মূল ভাবার্থ?
ব্যাপার মনে হয় ভীমরতি না ব্যাপারটা আসলে জাতি হিসেবে আমরা মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাতে পছন্দ করি এবং ঈর্ষাকাতর। চোখ টিপে বললাম- রেলমন্ত্রী এই বয়সে এতো সুন্দর বউ পাইছে তা তোমার আমার “তলে তলে একটু জ্বলুনিরও” বহিঃপ্রকাশ বলতে পারো।
"নিচে পদ্ম চরকবাণে
যুগল মিলন চাঁদ চকোরা।
সূর্যের সুসঙ্গে কমল কিরূপে হয় যুগল মিলন
জানলিনে মন হলি কেবল কামাবেশে মাতোয়ারা"।।--(লালন)
'সমাজে' তুমি মেয়ে মানুষকে শুধু মাংসপিণ্ড ভেবে মুখশ্রী দর্শনের আগে পা থেকে দেখা শুরু করো, বুক পর্যন্ত গিয়ে কামুক চোখে আটকে থাকো, মুখটা দেখার জন্য আরেকটু ওপরে ওঠার সময় পাও না বা তাকাতেই চাওনা।
তোমার ভেতরের পশুটা লকলকে জিভ বের করে নারী শরীরটাকে চেটেপুটে খায়। পশুটাকে তুমি নিয়ন্ত্রন করতে শেখোনি। তাই হয়তো সাহসের অভাবে এখনও ধর্ষক হতে পারোনি।
“তুমি আসলে শৌর্যহীন কামুক, পৌরুষ ঐশ্বর্যে দীপ্ত পুরুষ নও”। এই তোমরাই সম্পর্কের সমালোচনা করো সঙ্গীকে শুধুই কামচিন্তক বিবেচনা থেকে আর বয়সের বাহানায় প্রশ্নবিদ্ধ করে তৃপ্ত হও।
সঙ্গী কি শুধুই বিছানাসঙ্গী? নাকি সঙ্গী সম্পর্কীয় চিন্তা ভাবনার সংকীর্ণতা??
একটা বয়সে গিয়ে সকলেরই যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়, আমার বাবা মায়ের বেলায়ও তাই ঘটেছে। তাতে কি তাড়া সম্পর্ক ভেঙ্গে দুজনকে ছেড়ে চলে গিয়েছে?? আর রয়েই যখন গেছে তবে কিসের টানে রয়ে গেছে??
যাকে কথাগুলো বলছি তার প্রতিক্রিয়াটা আর বলতে চাইনা কারন এরপরের কথাগুলো আর কথা ছিলোনা, ছিল শুধুই খিস্তি খেউর।
এক বড়ো ভাই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নিজের জীবনের লক্ষ্য পূরণের আগ পর্যন্ত বিয়ে করবেন না। উদ্দেশ্য মহৎ ছিলো কারন তিনি চাননি তার জীবনসঙ্গীকে তার লক্ষ্য অপূরণের ব্যর্থতার গল্প দীর্ঘশ্বাসের সাথে বলতে।
সফল হয়ে তাকে বলতে চেয়েছেন সেই সফলতার গল্প সঙ্গী হিসেবে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।
এতোদিন পর্যন্ত অসুস্থ সমাজকে তার পেছনে তাকে সমকামী বলতে দেখেছি, অনেককেই তার পুরুষত্ব সক্ষমতায় সন্দেহ পোষণমূলক গল্প খুব আগ্রহ নিয়ে করতে দেখেছি।
কেউ কেউ তো এসে অহেতুক গালগল্প করতো তাকে অমুক বেশ্যাপাড়ায় দেখে এসেছে। কিন্তু জিজ্ঞেস করতেই লজ্জা পেয়েছি ওখানে তুমি কি করছিলে??
ভাই যখন সফল হলেন তখন তার বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে এবং এখন তিনি দুই ছেলের বাবা। এখনও সমাজ তাকে অপবাদী-ই করে রেখছে, তার সন্তান দুটির পিতৃ পরিচয় নিয়ে তার বউকে অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশার অপবাদে।
লক্ষ্য পূরণ হলে বিয়ে করবে ব্যাপারটায় সহযোগিতা/সম্মান/স্রদ্ধার বদলে অসুস্থ সমাজ তাকে শুধু অপবাদই দিতে পেরেছে। তবে হয়তো এতোদিনে দুঃসাহসী রেলমন্ত্রীর কৃপায় ভাই ওইসব অপবাদগুলো থেকে বাঁচতে পারবেন।
ভাগ্যিস ভাই এই দেশ আর এই বিকলাঙ্গ জাতি/সমাজের বড়োসড়ো কোন ব্যক্তিত্ত্ব নন...।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০২/১১/২০১৪হাহহাহা জোস লাগল।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০২/১১/২০১৪আপনার লেখার হাত আছে বলতে হবে। আর টপিকসটা তো একদম সুপারহিট।