বাস্তবতা
একটা সময় পেয়েছিলাম যখন বাবার নিজের যোগ্যতায় গড়া প্রাচুর্যের খানিকটা ছুঁতে পেরেছিলাম মাত্র। আবার একটা সময় দেখেছি যখন আমার বেহিসেবি বাবার সৌখিন জীবনটাই জীর্ণশীর্ণ রুপে আমাকে জীবন মুদ্রার উল্টোপিঠটাও দেখিয়েছে।
আমার জীবনের এখনকার গল্প একেবারেই ভিন্ন, তবে আমার যখন খুব খারাপ সময় চলছিলো ঘটনাটা তখনকার-
আমি হাটার সময় গোড়ালি আগে পড়ে তাই আমার ওই সময়কার একজোড়া জুতো খুব বেশি পুরনো হওয়ায় জুতোজোড়ার গোড়ালির দিকে মধ্যমা আঙ্গুল ঢুকানো যায় এমন সাইজের ফুটো হয়ে গেছিলো। ব্যাপারটা এমন ছিলো যে যতোক্ষন পায়ে দিয়ে থাকতাম ততোক্ষণ ফুটোগুলো চোখে পড়তো না।
তো একদিন সেই জুতাজোড়া পড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় গেছিলাম খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন কেতাদুরস্ত মানুষের সাথে দেখা করতে। মিটিংটা ছিলো আমার জীবনের পরিবর্তন ঘটতে পারে এমন একটা মিটিং।
তো ভদ্রলোকের সাথে দেখা করলাম। অনেক কথা আর কাজ শেষে ভদ্রলোক আমাকে তার বাসায় দাওয়াত করলেন এবং একরকম জোর করেই নিয়ে গেলেন। তাতেও কোন সমস্যা ছিলোনা কিন্তু বিপত্তিটা ঘটলো তখন,
যখন আমি তার বাসার দরজায় আমার ফুটো জুতোজোড়া খুলতে গেলাম!!
জুতোজোড়ায় ফুটো দেখে যদি ভদ্রলোক আমাকে অবহেলা করে তাড়িয়ে দেন? যদি জুতোর ফুটোগুলো দেখে আমার গুরুত্ব কমে যায় এবং আমার অগোছালো জীবন গুছিয়ে নেবার সুযোগটা উনি অবজ্ঞা কোরে কেড়ে নেন?
ভয়ে আমি আমার সেই ফুটো জুতোজোড়ার ওপর ওদেরই দরজার এককোনায় রাখা ওদেরই একজোড়া পুরনো জুতো এনে আমার জুতোর ফুটোগুলো ঢেকে তারপর তাদের ঘরে ঢুকলাম।
কিন্তু তারপরও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না, এতো অভিজাত সুস্বাদু খাবার ছিল তারপরও খেতে পারছিলাম না। এই ভেবে যদি কেউ জুতোর ফুটোর ওপর থেকে জুতোটা সরিয়ে ফেলে তখন...??
যদি কোন কারনে উপরে রেখে আসা জুতোজোড়া সরে আমার জুতোর ফুটোগুলো বেরিয়ে পড়ে তখন?? দুশ্চিন্তায় খাবার আন্তরিকতা সবকিছু ফেলে তখন শুধু পালানোর পথ খুজছিলাম...।।
মানুষের জীবনে কিছু কিছু সময় আসে বাস্তবতার নগ্ন রুপ উপলব্ধির স্বার্থে। হয়তো আমার জীবনেও ওরকম কিছু সময় এসেছিলো আমাকে পরিবর্তনের স্বার্থে। হয়তো ওই সময়টা আমাকে বোঝাতে এসেছিলো “সুখটা একধরনের অসুখ”। মাঝে মাঝে এসে শুধু ভুগিয়ে যায়...।।
আমার জীবনের এখনকার গল্প একেবারেই ভিন্ন, তবে আমার যখন খুব খারাপ সময় চলছিলো ঘটনাটা তখনকার-
আমি হাটার সময় গোড়ালি আগে পড়ে তাই আমার ওই সময়কার একজোড়া জুতো খুব বেশি পুরনো হওয়ায় জুতোজোড়ার গোড়ালির দিকে মধ্যমা আঙ্গুল ঢুকানো যায় এমন সাইজের ফুটো হয়ে গেছিলো। ব্যাপারটা এমন ছিলো যে যতোক্ষন পায়ে দিয়ে থাকতাম ততোক্ষণ ফুটোগুলো চোখে পড়তো না।
তো একদিন সেই জুতাজোড়া পড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় গেছিলাম খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন কেতাদুরস্ত মানুষের সাথে দেখা করতে। মিটিংটা ছিলো আমার জীবনের পরিবর্তন ঘটতে পারে এমন একটা মিটিং।
তো ভদ্রলোকের সাথে দেখা করলাম। অনেক কথা আর কাজ শেষে ভদ্রলোক আমাকে তার বাসায় দাওয়াত করলেন এবং একরকম জোর করেই নিয়ে গেলেন। তাতেও কোন সমস্যা ছিলোনা কিন্তু বিপত্তিটা ঘটলো তখন,
যখন আমি তার বাসার দরজায় আমার ফুটো জুতোজোড়া খুলতে গেলাম!!
জুতোজোড়ায় ফুটো দেখে যদি ভদ্রলোক আমাকে অবহেলা করে তাড়িয়ে দেন? যদি জুতোর ফুটোগুলো দেখে আমার গুরুত্ব কমে যায় এবং আমার অগোছালো জীবন গুছিয়ে নেবার সুযোগটা উনি অবজ্ঞা কোরে কেড়ে নেন?
ভয়ে আমি আমার সেই ফুটো জুতোজোড়ার ওপর ওদেরই দরজার এককোনায় রাখা ওদেরই একজোড়া পুরনো জুতো এনে আমার জুতোর ফুটোগুলো ঢেকে তারপর তাদের ঘরে ঢুকলাম।
কিন্তু তারপরও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না, এতো অভিজাত সুস্বাদু খাবার ছিল তারপরও খেতে পারছিলাম না। এই ভেবে যদি কেউ জুতোর ফুটোর ওপর থেকে জুতোটা সরিয়ে ফেলে তখন...??
যদি কোন কারনে উপরে রেখে আসা জুতোজোড়া সরে আমার জুতোর ফুটোগুলো বেরিয়ে পড়ে তখন?? দুশ্চিন্তায় খাবার আন্তরিকতা সবকিছু ফেলে তখন শুধু পালানোর পথ খুজছিলাম...।।
মানুষের জীবনে কিছু কিছু সময় আসে বাস্তবতার নগ্ন রুপ উপলব্ধির স্বার্থে। হয়তো আমার জীবনেও ওরকম কিছু সময় এসেছিলো আমাকে পরিবর্তনের স্বার্থে। হয়তো ওই সময়টা আমাকে বোঝাতে এসেছিলো “সুখটা একধরনের অসুখ”। মাঝে মাঝে এসে শুধু ভুগিয়ে যায়...।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৭/০৪/২০১৮দারুন হয়েছে
-
আফিয়া খাতুন মলি ৩১/১০/২০১৪ভালো লিখেছেন।
-
একনিষ্ঠ অনুগত ৩১/১০/২০১৪এমনি অনেক ঘটনা ঘটে যায় যা দিয়ে যায় খুব বড় এক শিক্ষা...
-
অ ৩০/১০/২০১৪বেশ ভালো লাগল ।
-
রাশেদ আহমেদ শাওন ৩০/১০/২০১৪সুন্দর লেখা
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ৩০/১০/২০১৪অনেক ভাল লাগল।
-
রক্তিম ৩০/১০/২০১৪ভাল লাগলো অকপটে স্বীকার করি।
-
সুজন ৩০/১০/২০১৪ভালো
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ৩০/১০/২০১৪মেঘ দেখে তোরা করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে। লেখার মান ভালো লাগলো।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ৩০/১০/২০১৪জীবনের খুঁটিনাটি থেকে কিছু কথা নিয়ে একটা লেখা সাজালেও যে গল্প হয়ে উঠতে পারে তা ই দেখলাম। অনেক শুভেচ্ছা কবি।