তিমিরের ঙ-কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহেবের প্রদত্ত ভাষণটি এখন হাঁট-বাজার কিংবা অনলাইনে বহুল চর্বিত বিষয়। বিশেষ করে ফেসবুকে এর উন্মাদনা লক্ষণীয়। এতে তার সহজ-সরলতা ও রসবোধের(sense of humor) পরিচয় পাই। সহজ বা সরলতা বিষয়টা আপেক্ষিক ও তর্কের বিষয় হতে পারে কিন্তু তার কৌতুকপ্রিয়তা এর আগেও আমরা দেখেছি।এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে( বিশেষ করে ইউটিউবে)তার কয়েকটি বক্তৃতা ভাইরাল হয়েছিল । উনার নেত্রী মহোদয়ের রসবোধও অত্যন্ত প্রখর এবং স্পষ্টবাদের ধারক।
কিন্তু এই রসবোধের আড়ালে বা তার ভাষণে আমাদের জন্য কী শিক্ষনীয় তা সবাই উপলব্ধি করতে পারছে না কেননা আমরা এমন এক জাতি যারা মাতৃ-উদরে থেকেই রাজনীতি করা শুরু করি। নইলে তিনি যে ভাষায় জাতির শিক্ষিত (বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষানুরাগীদের) শ্রেণীদের অতি মোলায়েম ও স্নেহভরে যে বাঁশটা দিলেন তাতে কয়েকদিন দম বন্ধ হয়ে থাকার কথা ছিল, উল্টো দেখতে পাচ্ছি, তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সরব! সেলুকাস!!
উনি চমৎকার রসবোধ ও সাবলীলভাবে বুঝিয়ে দিলেন, এই দেশে যে কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে একমাত্র যোগ্যতা হলো রাজনীতি। আর তাতে একমাত্র যোগ্যতা হলো তেলমর্দন বা পদলেহন। এর আগের বক্তৃতায় বলেছিলেন, কিভাবে রাজকোষ থেকে তার পরিবারের জন্য প্রতিদিন ঔষুধের জন্য খরচ হয় আর পদ থেকে সড়ে গেলে যা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
উনার নেত্রীও চমৎকার রসবোধের অধিকারী। তিনিও বলেছিলেন খোলাসা করে, এই দেশের ক্ষমতার পট-পরিবর্তনকারী জনগণ নয়! তিনিও জনগণের চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, গণতন্ত্র মানে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নয় বরং গণের জন্য নীতিমালার মাধ্যমে আইনসিদ্ধ পন্থায় জনগণকে বাঁশ দেয়া।
আমরা তাদের এই খুল্লম-খোল্লা রসবোধ কী কারণে বারবার দেখি! কারণ একটাই- (এই জাতীয় গণতন্ত্র হলো কেতাবী সৌন্দর্য! উনারা আমাদের খেলার পুতুল মনে করছেন) আজীবনের জন্য ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেছেন। কখনো যে জবাবদিহিতার জন্য কোথাও দাড়াতে হবে তা ভাবতেই পারছেন না। যেমনটা আমরা পারছি না। সুতরাং সৈয়দ হকের ভাষায়, খেলারাম খেলে যা! আমরা আছি সময়ের অপেক্ষায়.......
কিন্তু এই রসবোধের আড়ালে বা তার ভাষণে আমাদের জন্য কী শিক্ষনীয় তা সবাই উপলব্ধি করতে পারছে না কেননা আমরা এমন এক জাতি যারা মাতৃ-উদরে থেকেই রাজনীতি করা শুরু করি। নইলে তিনি যে ভাষায় জাতির শিক্ষিত (বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষানুরাগীদের) শ্রেণীদের অতি মোলায়েম ও স্নেহভরে যে বাঁশটা দিলেন তাতে কয়েকদিন দম বন্ধ হয়ে থাকার কথা ছিল, উল্টো দেখতে পাচ্ছি, তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সরব! সেলুকাস!!
উনি চমৎকার রসবোধ ও সাবলীলভাবে বুঝিয়ে দিলেন, এই দেশে যে কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে একমাত্র যোগ্যতা হলো রাজনীতি। আর তাতে একমাত্র যোগ্যতা হলো তেলমর্দন বা পদলেহন। এর আগের বক্তৃতায় বলেছিলেন, কিভাবে রাজকোষ থেকে তার পরিবারের জন্য প্রতিদিন ঔষুধের জন্য খরচ হয় আর পদ থেকে সড়ে গেলে যা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
উনার নেত্রীও চমৎকার রসবোধের অধিকারী। তিনিও বলেছিলেন খোলাসা করে, এই দেশের ক্ষমতার পট-পরিবর্তনকারী জনগণ নয়! তিনিও জনগণের চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, গণতন্ত্র মানে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নয় বরং গণের জন্য নীতিমালার মাধ্যমে আইনসিদ্ধ পন্থায় জনগণকে বাঁশ দেয়া।
আমরা তাদের এই খুল্লম-খোল্লা রসবোধ কী কারণে বারবার দেখি! কারণ একটাই- (এই জাতীয় গণতন্ত্র হলো কেতাবী সৌন্দর্য! উনারা আমাদের খেলার পুতুল মনে করছেন) আজীবনের জন্য ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেছেন। কখনো যে জবাবদিহিতার জন্য কোথাও দাড়াতে হবে তা ভাবতেই পারছেন না। যেমনটা আমরা পারছি না। সুতরাং সৈয়দ হকের ভাষায়, খেলারাম খেলে যা! আমরা আছি সময়ের অপেক্ষায়.......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হক ০৬/০৩/২০১৭ধন্যবাদ!