ভাগ্যবিড়ম্বনা (লজ্জা ছিলো বেশি)
ভাপাপিঠা
ক্লাস ফোরে পড়ি। ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার পর খালাতো ভাই ফরিদের সাথে মেঝোখালার বাসা ধনিয়ায় যাই। তখন এই ধনিয়া গ্রামের মতোই ছিলো।
খালার বাসাও টিনসেডের ছিল। আমাকে একরুমে বসিয়ে ফরিদভাই যেন কোথায় গিয়েছেন। খালাম্মা একটা প্লেটে করে আমার প্রিয় ভাঁপাপিঠা নিয়ে আসেন। আমি রুমে একাই, তাই লজ্জা থাকা সত্ত্বেও ভালো করেই খেতে পারছিলাম। আমি খাচ্ছি আর চিন্তা করছি, খালা যদি আরেকটা পিঠা নিয়ে আসতো!!
কেননা আমার সবচেয়ে প্রিয় পিঠার নাম ভাঁপাপিঠা।
এমন সময় খালাম্মা রুমে ঢুকে আমাকে লজ্জায় সামান্য খেতে দেখে বললো, আমার ভাগনে বুঝি এতো বড় পিঠা খেতে পারছে না? নষ্ট করে কী আর লাভ, অর্ধেকটা নিয়ে যাই, বলেই অর্ধেক পিঠা নিয়ে চলে যান।
আমি আর কী করবো? অদ্ভুত আর করুণচোখে খালার প্রস্থানপথে তাকিয়ে থাকি।
লজ্জায় না ভালো করে স্বাদের ভাঁপাপিঠা খেতে পারলাম, না কাউকে এই শোকের কথা বলতে পারলাম!
সকালের নাস্তা
বন্ধু মোমিনের সাথে ওদের বাসায় যাই। ওদের বাসার কাছেই আমার বড়খালার বাড়ি। ওনার সাথে নানাবাড়ির সম্পর্ক অনেকদিন ধরে বন্ধ। তাই এই খালাকে আমি ভালো করে চিনতাম না, কেউ ওনার সাথে যোগাযোগ রাখতো না। আমি আর মোমিন খুব ভোরে ওদের বাড়ির কাছেই নারিকেল আর সুপাড়ি বাগানে যাই। পথেই খালার বাসা পড়ে (আমি প্রথমে জানতাম না)। বাগান থেকে ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। এক বয়স্ক মহিলা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, আমার বোন-পুত এসেছে গো, আমার ভাগিনা এসেছে। কতদিন ধরে সোনার মুখটা দেখিনা। মহিলা বলছেন আর আমাকে টেনে টেনে এক বাড়িতে নিয়ে ঢুকেন।
চৌকিতে বসিয়ে আমাকে ওনার পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি তোমার বড়খালা। খালা আমার সাথে অনেক খোশগল্প, স্মৃতিকথা বলেন, কিছু বুঝতে পারি, কিছু না বুঝে হা করে খালার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি-দেখতে যে আমার মায়ের মতো। একই চোখের দৃষ্টি, মুখের অভিব্যক্তি।
খালা অনেক কথা বললেও শুধু মুড়ি খেতে দেন, আর বলেন-তোমার ওই খালাতো তোমার জন্য ভালো নাস্তা বানিয়ে রেখেছেন!
বেলা এগারোটার পর খালার কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যখন মোমিনদের বাড়ি যাই তখন সবার নাস্তা খাওয়া শেষ। খালা (মোমিনের মা) বললেন.বড়খালার বাসা থেকেতো ভালো ভালো খাবার খেয়ে এসেছো, ভালোই হয়েছে, আমাদের এসব পচা খাবার তোমার কি ভালো লাগত?
লজ্জা ছিলো বেশি, তাই আর খালাকে বলতে পারি নি আমার এখনো নাস্তা করা হয় নি।
সেদিন সকালের নাস্তা আর খাওয়া হয় নি, খালি পেটে দুপুরে বাড়ি ফিরে এসে ভাত খাই।
ক্লাস ফোরে পড়ি। ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার পর খালাতো ভাই ফরিদের সাথে মেঝোখালার বাসা ধনিয়ায় যাই। তখন এই ধনিয়া গ্রামের মতোই ছিলো।
খালার বাসাও টিনসেডের ছিল। আমাকে একরুমে বসিয়ে ফরিদভাই যেন কোথায় গিয়েছেন। খালাম্মা একটা প্লেটে করে আমার প্রিয় ভাঁপাপিঠা নিয়ে আসেন। আমি রুমে একাই, তাই লজ্জা থাকা সত্ত্বেও ভালো করেই খেতে পারছিলাম। আমি খাচ্ছি আর চিন্তা করছি, খালা যদি আরেকটা পিঠা নিয়ে আসতো!!
কেননা আমার সবচেয়ে প্রিয় পিঠার নাম ভাঁপাপিঠা।
এমন সময় খালাম্মা রুমে ঢুকে আমাকে লজ্জায় সামান্য খেতে দেখে বললো, আমার ভাগনে বুঝি এতো বড় পিঠা খেতে পারছে না? নষ্ট করে কী আর লাভ, অর্ধেকটা নিয়ে যাই, বলেই অর্ধেক পিঠা নিয়ে চলে যান।
আমি আর কী করবো? অদ্ভুত আর করুণচোখে খালার প্রস্থানপথে তাকিয়ে থাকি।
লজ্জায় না ভালো করে স্বাদের ভাঁপাপিঠা খেতে পারলাম, না কাউকে এই শোকের কথা বলতে পারলাম!
সকালের নাস্তা
বন্ধু মোমিনের সাথে ওদের বাসায় যাই। ওদের বাসার কাছেই আমার বড়খালার বাড়ি। ওনার সাথে নানাবাড়ির সম্পর্ক অনেকদিন ধরে বন্ধ। তাই এই খালাকে আমি ভালো করে চিনতাম না, কেউ ওনার সাথে যোগাযোগ রাখতো না। আমি আর মোমিন খুব ভোরে ওদের বাড়ির কাছেই নারিকেল আর সুপাড়ি বাগানে যাই। পথেই খালার বাসা পড়ে (আমি প্রথমে জানতাম না)। বাগান থেকে ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। এক বয়স্ক মহিলা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, আমার বোন-পুত এসেছে গো, আমার ভাগিনা এসেছে। কতদিন ধরে সোনার মুখটা দেখিনা। মহিলা বলছেন আর আমাকে টেনে টেনে এক বাড়িতে নিয়ে ঢুকেন।
চৌকিতে বসিয়ে আমাকে ওনার পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি তোমার বড়খালা। খালা আমার সাথে অনেক খোশগল্প, স্মৃতিকথা বলেন, কিছু বুঝতে পারি, কিছু না বুঝে হা করে খালার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি-দেখতে যে আমার মায়ের মতো। একই চোখের দৃষ্টি, মুখের অভিব্যক্তি।
খালা অনেক কথা বললেও শুধু মুড়ি খেতে দেন, আর বলেন-তোমার ওই খালাতো তোমার জন্য ভালো নাস্তা বানিয়ে রেখেছেন!
বেলা এগারোটার পর খালার কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যখন মোমিনদের বাড়ি যাই তখন সবার নাস্তা খাওয়া শেষ। খালা (মোমিনের মা) বললেন.বড়খালার বাসা থেকেতো ভালো ভালো খাবার খেয়ে এসেছো, ভালোই হয়েছে, আমাদের এসব পচা খাবার তোমার কি ভালো লাগত?
লজ্জা ছিলো বেশি, তাই আর খালাকে বলতে পারি নি আমার এখনো নাস্তা করা হয় নি।
সেদিন সকালের নাস্তা আর খাওয়া হয় নি, খালি পেটে দুপুরে বাড়ি ফিরে এসে ভাত খাই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহির রহমান ২৪/০২/২০১৫...
-
অ ২৪/০২/২০১৫মজা পেলুম ।
-
সহিদুল ইসলাম ২৩/০২/২০১৫লজ্জা নারীর ভুষন। আপনি কি ...
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৩/০২/২০১৫ভালো লাগলো
-
সাইদুর রহমান ২৩/০২/২০১৫অভিজ্ঞতার সুন্দর পোষ্ট।
অনেক শুভেচ্ছা। -
সবুজ আহমেদ কক্স ২৩/০২/২০১৫কয়েক বার পড়া হলো ............।।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৩/০২/২০১৫দারুন