ঈদ আনন্দ ও আমাদের সাম্যবাদ প্রাশ্চাত্যের সভ্যতায়
আজ শনিবার(৪ অক্টোবর)। মধ্যপ্রাচ্য সহ ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোতে ইদুল আযহা পালিত হচ্ছে! ইউরোপ আর আমেরিকাতে নামেই ঈদ, (শুধু মুুসলিমদের ঈদের সালাত আর কুরবানীতে সীমাবদ্ধ) আনন্দ আর খুশির রেশ পাওয়া যায় না, কারণ আজও অন্যান্য দিনের মতো একটা ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় মানুষদের। এই যেমন কপালের ফেরে আমাকে আজ ঈদের সালাতও পায় নি।
কী সুন্দর ব্যবস্থা এই সভ্য দেশগুলোতে! কী সুন্দর সাম্যতন্ত্র! কত উদার তাদের গণতন্ত্র! তারচেয়ে উদার তাদের মন মানুসিকতা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি(?)। তারা আমাদের মতো উন্নয়ণশীল দেশগুলোতে গণতন্ত্র ফেরি করে, মানবাধিকারের বস্তাপঁচা বাণী উগরায়। সাম্যবাদ শিক্ষা দেয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীলতা, তাদের দাবি ,অধিকার আদায়ের নিত্য নতুন ফর্মুলার অমৃত বাকবিতরণে আমাদের কান ঝালাপালা করে।
অথচ
তাদের দেশগুলোতে সংখ্যালঘুদের প্রতি করা হয় অমানবিক, অগ্রহণযোগ্য আচরণ।
আমাদের দেশে (বাংলাদেশ) সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উত্সবগুলোতে সরকারী ছুটি, এমনকি অনধিক দিবসে নির্বাহী আদেশে ছুটি রয়েছে। সকল পার্বণেই দেশে উত্সব বসন্ত দেখা যায়।
আমরা এসব দেশে সামান্য সরকারী ছুটিতো দুরে থাক, নির্বাহী আদেশে ছুটি ভোগ করতে পারি না। এই দিনগুলোতেও কাজ করতে হয়।
সেলুকাস!
তবে তারচেয়েও বিচিত্র আমরা নিজেরাই!
আমাদের দেশে এসব মোড়ল জাতীয় দেশের বা বুর্জোয়াদের রাষ্ট্রদূত বা এই জাতীয় কিছুদের যেমন সমাদর করা হয়,তাতে নিজেরাই লজ্জায় পড়ি! শাসক শ্রেণি, রাজনৈতিক দলের খয়ের খা থেকে সাংবাদিক পর্যন্ত যেমন চটকাচটকি করে আর আহলাদিপণায় আঙ্গুল কচলায় তাতে নিজেদের সংস্কৃতিকে বড়ই দেউলিয়াময় মনে হয়!
হায়রে রাজনীতি!
হায়রে ক্ষমাপ্রীতি!!
হায়রে মূর্খতা!!!!
হায়রে অবুজ!!
কবে যে এসব থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব, তবেই আমাদের আসল মুক্তি, আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা!!
উন্নয়ণশীল দেশগুলোর এখনই...... জাগরণ দরকার
না নেতাদের নয়
শুধু জনগণের
শুধু আম জনতার জাগরণ...
অবশ্যই একদিন
...........
০৪।১০।২০১৪
কী সুন্দর ব্যবস্থা এই সভ্য দেশগুলোতে! কী সুন্দর সাম্যতন্ত্র! কত উদার তাদের গণতন্ত্র! তারচেয়ে উদার তাদের মন মানুসিকতা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি(?)। তারা আমাদের মতো উন্নয়ণশীল দেশগুলোতে গণতন্ত্র ফেরি করে, মানবাধিকারের বস্তাপঁচা বাণী উগরায়। সাম্যবাদ শিক্ষা দেয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীলতা, তাদের দাবি ,অধিকার আদায়ের নিত্য নতুন ফর্মুলার অমৃত বাকবিতরণে আমাদের কান ঝালাপালা করে।
অথচ
তাদের দেশগুলোতে সংখ্যালঘুদের প্রতি করা হয় অমানবিক, অগ্রহণযোগ্য আচরণ।
আমাদের দেশে (বাংলাদেশ) সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উত্সবগুলোতে সরকারী ছুটি, এমনকি অনধিক দিবসে নির্বাহী আদেশে ছুটি রয়েছে। সকল পার্বণেই দেশে উত্সব বসন্ত দেখা যায়।
আমরা এসব দেশে সামান্য সরকারী ছুটিতো দুরে থাক, নির্বাহী আদেশে ছুটি ভোগ করতে পারি না। এই দিনগুলোতেও কাজ করতে হয়।
সেলুকাস!
তবে তারচেয়েও বিচিত্র আমরা নিজেরাই!
আমাদের দেশে এসব মোড়ল জাতীয় দেশের বা বুর্জোয়াদের রাষ্ট্রদূত বা এই জাতীয় কিছুদের যেমন সমাদর করা হয়,তাতে নিজেরাই লজ্জায় পড়ি! শাসক শ্রেণি, রাজনৈতিক দলের খয়ের খা থেকে সাংবাদিক পর্যন্ত যেমন চটকাচটকি করে আর আহলাদিপণায় আঙ্গুল কচলায় তাতে নিজেদের সংস্কৃতিকে বড়ই দেউলিয়াময় মনে হয়!
হায়রে রাজনীতি!
হায়রে ক্ষমাপ্রীতি!!
হায়রে মূর্খতা!!!!
হায়রে অবুজ!!
কবে যে এসব থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব, তবেই আমাদের আসল মুক্তি, আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা!!
উন্নয়ণশীল দেশগুলোর এখনই...... জাগরণ দরকার
না নেতাদের নয়
শুধু জনগণের
শুধু আম জনতার জাগরণ...
অবশ্যই একদিন
...........
০৪।১০।২০১৪
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১০/১০/২০১৪ত্রিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুজছি।
-
স্বপন রোজারিও(১) ০৮/১০/২০১৪খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ
-
স্বপন শর্মা ০৬/১০/২০১৪কি আর করা কপালের সুখ ভোগ করতেই হবে,,,,,
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০৫/১০/২০১৪অনেক ভালবাসা ঈদ মোবারক।
-
আফরান মোল্লা ০৫/১০/২০১৪অবশ্যই একদিন জনতার জাগরণ ঘটবে. . . .