রাতের খেলাধূলা ও বিদ্যুতের অপচয়
ছোটবেলা দেখতাম বিভাগীয় শহরে অথবা জেলা শহরের সরকারি আবাসিক এলাকাতে রাতের বেলা বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে কর্মজীবি মানুষেরা ভলিবল বা বেডমিন্টন খেলতে। সারাদিনের কর্মক্রান্ত আর ব্যস্ততার পর সামান্য এই আয়োজন মন মেজাজে ফুরফুরে অবস্থা এনে থাকে। এদের বেশিরভাগ ছিল পরিজন ছেড়ে আসা (বিবাহিত) ব্যাচেলর।
আজকাল শুধু মফস্বল শহরেই নয় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও দেখছি ইলেক্ট্রিক লাইট জ্বালিয়ে বেডমিন্টন, ক্রিকেট, ভলিবল বা অন্যান্য খেলাধুলা হচ্ছে। বুঝতে পারছি ডিজিটাল (!)যুগে আমরা বহুদুর এগিয়ে। এই যে বাতি জ্বালিয়ে খেলার আয়োজন তা কিন্তু শুধু বড়রা বা কর্মজীবিরাই জড়িত নেয় আজকাল, অনেক শিশু কিশোর, ছাত্ররাও তাতে জড়িত। যে বয়সে আমরা রাতের বেলা লেখাপড়া ছাড়া বাইরে থাকাটাই নিষিদ্ধ ছিল আজ সেই বয়সের ছেলেরা অনায়াসে রাতের পর রাত বাইরে কাটাচ্ছে। অভিভাবকরা নির্বিকার। যেসব ছেলেরা বাতি জ্বালিয়ে রাতে খেলাধুলা করছে তাদের পড়াশোনার সময় কখন সেটাই বুঝা কঠিন। দিনের বেলায় আড্ডা আর রাতে খেলাধূলা কী সুন্দর ব্যবস্থা?
অত্যন্ত দূঃখের বিষয় এই যে- কাগজে কলমে শিক্ষার হার ভয়ানক ভা্বে বাড়লেও বাস্তবে গ্রামাঞ্চলে ৮০ শতাংশ সন্তানরা শিক্ষার বাইরে। যারা অত্যন্ত ইস্কুলে বা কলেজে যায় তাদেরও আজ লেখাপড়া করতে হয় না। পরীক্ষা দিলেই যদি পাস করা যায় তাহলে লেখাপড়ার কী দরকার। তাই লেখাপড়া করতে না দেখলেও এই ছেলে-মেয়েরাই পরীক্ষার পর দেখি সবাই উত্তীর্ণ।
সমাজের এই যে ক্রান্তিকাল চলছে শুধু রাজনীতির দৈন্যতার কারণে আমার কলামে শুধু এটাই আলোচনার বিষয় নয়: ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে এই যে ইলেক্ট্রিক বাতি জ্বালানো হচ্ছে, তা অবৈধ (বিপজ্জক) সংযোগের মাধ্যমে। প্রশাসন একেবারে নিশ্চুপ! দেশের এই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অবৈধ আর নির্বিবাধে ব্যবহার হয়ে নাগরিক জীবনে জটিলতা তৈরি করছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওদের কী দোষ? এই গরীব দেশে সরকারীভাবে ( রাতে সংসদ বা স্টেডিয়ামে ফ্লাইট লাইটে খেলা, আলোক সজ্জ্বা ইত্যাদি )বিদ্যুতের ব্যাপক অপচয় হয়। প্রশাসন যেখানে নির্বিকার সেখানে আমরা সাধারণ কী করব?
তাই দেখে যাও প্রাণ খুলে! বলো না কিছু মুখ ফুটে! দেয়ালেরও কান আছে!!!
আজকাল শুধু মফস্বল শহরেই নয় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও দেখছি ইলেক্ট্রিক লাইট জ্বালিয়ে বেডমিন্টন, ক্রিকেট, ভলিবল বা অন্যান্য খেলাধুলা হচ্ছে। বুঝতে পারছি ডিজিটাল (!)যুগে আমরা বহুদুর এগিয়ে। এই যে বাতি জ্বালিয়ে খেলার আয়োজন তা কিন্তু শুধু বড়রা বা কর্মজীবিরাই জড়িত নেয় আজকাল, অনেক শিশু কিশোর, ছাত্ররাও তাতে জড়িত। যে বয়সে আমরা রাতের বেলা লেখাপড়া ছাড়া বাইরে থাকাটাই নিষিদ্ধ ছিল আজ সেই বয়সের ছেলেরা অনায়াসে রাতের পর রাত বাইরে কাটাচ্ছে। অভিভাবকরা নির্বিকার। যেসব ছেলেরা বাতি জ্বালিয়ে রাতে খেলাধুলা করছে তাদের পড়াশোনার সময় কখন সেটাই বুঝা কঠিন। দিনের বেলায় আড্ডা আর রাতে খেলাধূলা কী সুন্দর ব্যবস্থা?
অত্যন্ত দূঃখের বিষয় এই যে- কাগজে কলমে শিক্ষার হার ভয়ানক ভা্বে বাড়লেও বাস্তবে গ্রামাঞ্চলে ৮০ শতাংশ সন্তানরা শিক্ষার বাইরে। যারা অত্যন্ত ইস্কুলে বা কলেজে যায় তাদেরও আজ লেখাপড়া করতে হয় না। পরীক্ষা দিলেই যদি পাস করা যায় তাহলে লেখাপড়ার কী দরকার। তাই লেখাপড়া করতে না দেখলেও এই ছেলে-মেয়েরাই পরীক্ষার পর দেখি সবাই উত্তীর্ণ।
সমাজের এই যে ক্রান্তিকাল চলছে শুধু রাজনীতির দৈন্যতার কারণে আমার কলামে শুধু এটাই আলোচনার বিষয় নয়: ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে এই যে ইলেক্ট্রিক বাতি জ্বালানো হচ্ছে, তা অবৈধ (বিপজ্জক) সংযোগের মাধ্যমে। প্রশাসন একেবারে নিশ্চুপ! দেশের এই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অবৈধ আর নির্বিবাধে ব্যবহার হয়ে নাগরিক জীবনে জটিলতা তৈরি করছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওদের কী দোষ? এই গরীব দেশে সরকারীভাবে ( রাতে সংসদ বা স্টেডিয়ামে ফ্লাইট লাইটে খেলা, আলোক সজ্জ্বা ইত্যাদি )বিদ্যুতের ব্যাপক অপচয় হয়। প্রশাসন যেখানে নির্বিকার সেখানে আমরা সাধারণ কী করব?
তাই দেখে যাও প্রাণ খুলে! বলো না কিছু মুখ ফুটে! দেয়ালেরও কান আছে!!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এফ সাকি ১৩/০১/২০১৪
সবতো পরের মাল,
নিজেই দোষী পরকে দূষে
কাটবো নাকি খাল।