জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন
ভোট প্রদান (!) আর নির্বাচনে অংশগ্রহণের (?) জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সর্বদলীয় সরকার জনগণকে অভিনন্দন আর ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আবার বিরোধীদলও (১৮ দল) আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের জন্য। আমরা বেকুব জনগণ বুঝতে পারছি না কার অভিনন্দন আর ধন্যবাদ গ্রহণ করব বা আদৌ গ্রহণ করার যোগ্যতা হবে কীনা।
প্রধানমন্ত্রী সেদিন বিকেলে তার রাজকীয় বাসভবনের বাগানের মত চত্বরে বসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় (?) করলেন এই হঠকারিতার নির্বাচন নিয়ে। তিনি মহাখুশি আবারো ক্ষমতার দন্ড হাতে পাবার জন্য। বারবার তিনি আইন আর সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন আর বলছেন ক্ষমতার জন তিনি লোভি নন বা প্রধানমন্ত্রীত্ব চান না। জনগণের চাহিদার (!) মূল্য দিতেই তাকে বারবার ক্ষমতায় থাকতে হচ্ছে। আমরা জনগণ হাসব না কাঁদব? কান্নার জলও যে আজ ফুরিয়ে গেছে।
সংবিধান আর আইনের জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য সংবিধান আর আইন? আজ এই প্রশ্নটিই বারবার জাতির সামনে আসছে। যেই সংবিধানে মানুষের মতামত প্রতিফলিত হয় না, যেই সংবিধানে জনগণের অংশগ্রহণ নেই, যেই আইনে জনগণের মাঝে সমতা বা ভারসাম্য রক্ষা করা যায় না, যেই গনতন্ত্রে জনগণের সম্পৃক্ততা নাই এমন আইন , সংবিধান, (গণতন্ত্র ) জনগণ চায় না। সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় যে তা পরিবর্তন করা যাবে না (তারা বারবার নিজেদের স্বার্থে যদিও বারবার কাটাছেঁড়া করেছে), জনগণের স্বার্থে তা পরিবর্তন করা জরুরী। যদি এমন সংবিধান আর আইন জনগণের ঘাড়ে চাঁপিয়ে দেয়া হয় তাহলে জাতি বেশিদিন তা বইবে না।
যেই সংবিধান আর গণতন্ত্র মানুষের ভোটাধিকার কিংবা নাগরিক অধিকার কেড়ে নেই এমন সংবিধান পরিবর্তন করা (অবিলম্বে) খুবই জরুরী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনার চারপাশে যেসব চাটুকার বা তেলমর্দনকারী রয়েছে এরা আপনার শুভাকাংখি নয়। এদের কথায় আপনার বাবার স্বপ্নের বাকশালের দিকে যাবেন না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। ইতিহাসের শিক্ষা বড়ই নির্মম। ক্ষমতা লোভীদের ভরসায় আপনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার চিন্তাও করবেন না। সুশীল (?) সমাজকে অবহেলা করবেন না, নিজের বুঝটা বেশি বাড়াবেন না, অপরের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে শিখুন। এতে আপনার ও আপনার দলের জন্য মঙ্গল হবে। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে (এমন তামাশার নির্বাচনের জন্য) জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন।
ভোটের এই লড়াইটা শুধু আপনার বিরোধীদলের নেত্রীর মধ্যে নয়। জনগণের সাথে জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব। মানুষ আর ক্ষমতার মাঝে হিংস্রতা আর পশুত্বের লড়াই।
বিবেক আর বুদ্ধির কাছে প্রশ্ন করুন। নিজের সততার কাছে জবাব পাবেন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজের বিবেকের কাছে পরাজিত হওয়া মনুষ্যত্বের লক্ষণ নয়। আমরা প্রার্থনা করছি আপনাদের বদ্ধ বিবেক জাগ্রত হোক।
প্রধানমন্ত্রী সেদিন বিকেলে তার রাজকীয় বাসভবনের বাগানের মত চত্বরে বসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় (?) করলেন এই হঠকারিতার নির্বাচন নিয়ে। তিনি মহাখুশি আবারো ক্ষমতার দন্ড হাতে পাবার জন্য। বারবার তিনি আইন আর সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন আর বলছেন ক্ষমতার জন তিনি লোভি নন বা প্রধানমন্ত্রীত্ব চান না। জনগণের চাহিদার (!) মূল্য দিতেই তাকে বারবার ক্ষমতায় থাকতে হচ্ছে। আমরা জনগণ হাসব না কাঁদব? কান্নার জলও যে আজ ফুরিয়ে গেছে।
সংবিধান আর আইনের জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য সংবিধান আর আইন? আজ এই প্রশ্নটিই বারবার জাতির সামনে আসছে। যেই সংবিধানে মানুষের মতামত প্রতিফলিত হয় না, যেই সংবিধানে জনগণের অংশগ্রহণ নেই, যেই আইনে জনগণের মাঝে সমতা বা ভারসাম্য রক্ষা করা যায় না, যেই গনতন্ত্রে জনগণের সম্পৃক্ততা নাই এমন আইন , সংবিধান, (গণতন্ত্র ) জনগণ চায় না। সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় যে তা পরিবর্তন করা যাবে না (তারা বারবার নিজেদের স্বার্থে যদিও বারবার কাটাছেঁড়া করেছে), জনগণের স্বার্থে তা পরিবর্তন করা জরুরী। যদি এমন সংবিধান আর আইন জনগণের ঘাড়ে চাঁপিয়ে দেয়া হয় তাহলে জাতি বেশিদিন তা বইবে না।
যেই সংবিধান আর গণতন্ত্র মানুষের ভোটাধিকার কিংবা নাগরিক অধিকার কেড়ে নেই এমন সংবিধান পরিবর্তন করা (অবিলম্বে) খুবই জরুরী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনার চারপাশে যেসব চাটুকার বা তেলমর্দনকারী রয়েছে এরা আপনার শুভাকাংখি নয়। এদের কথায় আপনার বাবার স্বপ্নের বাকশালের দিকে যাবেন না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। ইতিহাসের শিক্ষা বড়ই নির্মম। ক্ষমতা লোভীদের ভরসায় আপনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার চিন্তাও করবেন না। সুশীল (?) সমাজকে অবহেলা করবেন না, নিজের বুঝটা বেশি বাড়াবেন না, অপরের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে শিখুন। এতে আপনার ও আপনার দলের জন্য মঙ্গল হবে। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে (এমন তামাশার নির্বাচনের জন্য) জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন।
ভোটের এই লড়াইটা শুধু আপনার বিরোধীদলের নেত্রীর মধ্যে নয়। জনগণের সাথে জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব। মানুষ আর ক্ষমতার মাঝে হিংস্রতা আর পশুত্বের লড়াই।
বিবেক আর বুদ্ধির কাছে প্রশ্ন করুন। নিজের সততার কাছে জবাব পাবেন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজের বিবেকের কাছে পরাজিত হওয়া মনুষ্যত্বের লক্ষণ নয়। আমরা প্রার্থনা করছি আপনাদের বদ্ধ বিবেক জাগ্রত হোক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাসউদুর রহমান খান ০৭/০১/২০১৪
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ০৭/০১/২০১৪আলাদীন দ্য মা... ফা...
-
আরাফাত মুন্না ০৭/০১/২০১৪ভাল লাগলো লেখাটি। শাসক গোষ্ঠীর কবে টনক নড়বে আল্লাহ ভাল জানে!
কিন্তু, ক্ষমতার লোভে সরকার ও হাসিনা অন্ধ হয়ে আছে।
বিবেক হারিয়ে গেছে!!
তাই, মিথ্যাচার করতে তার একটুও বুক কাঁপেনা!