মরজিনা ও তার ক্ষমতা বিলাস
অলসপুর রাজ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জনকপূজারী বিখ্যাত মরজিনা তার ভক্তদের কাছে বলল, বাবার স্বপ্ন আর ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে দরকার ক্ষমতা। রাজ্যের ক্ষমতা। রাজ্যের উন্নয়ণ আর জনসেবার জন্য তাকে ক্ষমতায় বসতে হবে: মানে নেতা বানাতে হবে। ভক্তরা আধাত্মিক গুরুমাতার কথা মত জনগণকে বুঝিয়ে, কাঁদিয়ে, শাসিয়ে রাজ্যের সিংহাসনে বসিয়ে দিল। ভক্ত এবার ভাবল, তাদের কপাল বুঝি এবার খুলতে চলল। আগের জুলুমবাজ রাজার পরিবর্তে এখন দরদী মাতা রাজ্য চালাবেন বেশ। কিন্তু দিন যায়, সময় যায় রাজ্যে কোনো উন্নয়ণ হয় না, দিন দিন চরম রসাতলে যাচ্ছে। ভক্তরা ক্ষুব্ধ আর হতাশ...
মরজিনা এটা বুঝতে পেরে । ভক্তদের বলল, এভাবে শুধু সিংহাসনে বসার অধিকার পেলেও উন্নয়ণ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাকে সনদ তৈরি করার অধিকার দেবে। ভক্তরা তার কথায় স্বাধীন সনদ তৈরি করার সকল ক্ষমতা দিল। মরজিনা এবার ভক্তদের বলল, রাজ্যের উন্নয়ণের জন্য দরকার রাজ্যকে কলঙ্কমুক্ত করা আর বাবার স্বপ্ন পূরণ। জনগণকে এই কথাটা ভক্তরা খুব জোরে শোরে বুঝাতে লাগল- বাঁধিয়ে আর কাঁদিয়ে।
মরজিনা এবার তার আগের সকল রাজ-উত্তরাধিকারদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, স্বপ্ন পাখি মেরে, জনগণের মুখে তালা লাগিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করল। রাজ্য কলঙ্ক মুক্ত হল, কিন্তু ভক্তদের কোনো সুফল ফলল না। ভক্তরা ভীষণ বিরক্ত।
মরজিনা ভক্তদের বলল, রাজ্যসভা ঠিকমত চালাতে দরকার স্থায়ী সনদ আর ক্ষমতা। ভারসম্যের জন্য দরকার রাজতন্ত্র। ভক্তরা জনগণকে এই কথাটাই বুঝাতে লাগল, মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে। অবশেষে রাজতন্ত্র কায়েম হল, মরজিনার আশা পূরণ হল। ভক্তরা এবারও হতাশ.....
মরজিনা বলল, এবার থেকে উন্নয়ণের জোয়ারে রাজ্য ভেসে যাবে, কোনো পাহাড়ও ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু আমাকে তো সময় দিতে হবে! জনগণ সময় দিতে চায় না, গোলমাল করতে চায়। মরজিনা ভক্তদের বলল, উন্নয়ণের আর রাজ্য রক্ষার স্বার্থে এইসব নালায়েকদের মুখ বন্ধ করা খুবই জরুরী, প্রয়োজনে এদের বন্দী করে রাখো কয়েদখানায়। ক্ষুব্ধ জনগণকে বন্দী করা হল, মুখ বন্ধ করা হল। কাঙ্খিত উন্নয়ণের কোনো চেহারা তবুও ফুটতে দেখা যাচ্ছে না দেখে ভক্তরা এবারও ক্ষুব্ধ।
মরজিনা তার বিশেষ গোলামদের হুকুম দিলেন, এই সব বেয়াদব ভক্তদেরও হাজতে ঢুকাও। ভক্তরাও হাজতে গেল আর বাবার এমন স্বপ্ন পূরণের স্বপ্নও টুটে গেল। ততক্ষণে তারা মৃত্যুর দুয়ারে।
মরজিনার সবশেষ কী হল? পাশের রাজা যখন দেখল -তার সব ভক্ত আর ক্ষুব্দ প্রজারা বন্দী আর মৃত্যুর পথের যাত্রী; আর সবগুলো অথর্ব আর পঙ্গু। সুতরাং বিনা যুদ্ধে এসব পঙ্গুদের সায়েস্তা করে রাজ্য দখল করর। মরজিনাকে তার খাস মহলের রক্ষিতা বানানোর প্রস্তাবের জেরে মরজিনা আত্মহত্যা করল। এভাবে মরজিনার রাজ-খায়েস মিটল।
মরজিনা এটা বুঝতে পেরে । ভক্তদের বলল, এভাবে শুধু সিংহাসনে বসার অধিকার পেলেও উন্নয়ণ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাকে সনদ তৈরি করার অধিকার দেবে। ভক্তরা তার কথায় স্বাধীন সনদ তৈরি করার সকল ক্ষমতা দিল। মরজিনা এবার ভক্তদের বলল, রাজ্যের উন্নয়ণের জন্য দরকার রাজ্যকে কলঙ্কমুক্ত করা আর বাবার স্বপ্ন পূরণ। জনগণকে এই কথাটা ভক্তরা খুব জোরে শোরে বুঝাতে লাগল- বাঁধিয়ে আর কাঁদিয়ে।
মরজিনা এবার তার আগের সকল রাজ-উত্তরাধিকারদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, স্বপ্ন পাখি মেরে, জনগণের মুখে তালা লাগিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করল। রাজ্য কলঙ্ক মুক্ত হল, কিন্তু ভক্তদের কোনো সুফল ফলল না। ভক্তরা ভীষণ বিরক্ত।
মরজিনা ভক্তদের বলল, রাজ্যসভা ঠিকমত চালাতে দরকার স্থায়ী সনদ আর ক্ষমতা। ভারসম্যের জন্য দরকার রাজতন্ত্র। ভক্তরা জনগণকে এই কথাটাই বুঝাতে লাগল, মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে। অবশেষে রাজতন্ত্র কায়েম হল, মরজিনার আশা পূরণ হল। ভক্তরা এবারও হতাশ.....
মরজিনা বলল, এবার থেকে উন্নয়ণের জোয়ারে রাজ্য ভেসে যাবে, কোনো পাহাড়ও ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু আমাকে তো সময় দিতে হবে! জনগণ সময় দিতে চায় না, গোলমাল করতে চায়। মরজিনা ভক্তদের বলল, উন্নয়ণের আর রাজ্য রক্ষার স্বার্থে এইসব নালায়েকদের মুখ বন্ধ করা খুবই জরুরী, প্রয়োজনে এদের বন্দী করে রাখো কয়েদখানায়। ক্ষুব্ধ জনগণকে বন্দী করা হল, মুখ বন্ধ করা হল। কাঙ্খিত উন্নয়ণের কোনো চেহারা তবুও ফুটতে দেখা যাচ্ছে না দেখে ভক্তরা এবারও ক্ষুব্ধ।
মরজিনা তার বিশেষ গোলামদের হুকুম দিলেন, এই সব বেয়াদব ভক্তদেরও হাজতে ঢুকাও। ভক্তরাও হাজতে গেল আর বাবার এমন স্বপ্ন পূরণের স্বপ্নও টুটে গেল। ততক্ষণে তারা মৃত্যুর দুয়ারে।
মরজিনার সবশেষ কী হল? পাশের রাজা যখন দেখল -তার সব ভক্ত আর ক্ষুব্দ প্রজারা বন্দী আর মৃত্যুর পথের যাত্রী; আর সবগুলো অথর্ব আর পঙ্গু। সুতরাং বিনা যুদ্ধে এসব পঙ্গুদের সায়েস্তা করে রাজ্য দখল করর। মরজিনাকে তার খাস মহলের রক্ষিতা বানানোর প্রস্তাবের জেরে মরজিনা আত্মহত্যা করল। এভাবে মরজিনার রাজ-খায়েস মিটল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাসউদুর রহমান খান ০৭/০১/২০১৪
-
এফ সাকি ৩১/১২/২০১৩ভাই! আপনার টেকনিক অপূর্ব ! অবস্থা সেদিকেই তো এগোচ্ছে দিনদিন।
-
প্রবাসী পাঠক ৩১/১২/২০১৩স্যাটায়ার ভাল লিখেছেন।
হাসতে হাসতে শেষ!!
ব্যাপক মজা পাইলাম!