উদারতা ও আমাদের ভোটাধিকার
প্রিয় দেশবাসী, সংগ্রামী জনতা!
(এই সম্বোধনের কারণে হয়ত আমার জেল-হাজত, জরিমানা হতে পারে, কেননা এটা যে শুধু রাজনৈতিকদের জন্য বরাদ্দ। তারপরও করলাম, বিকল্প না থাকার কারণে। ) আপনার নিশ্চয়ই এই টেনশনের যুগে ভালই আছেন?
দেশে এখন নিত্য নতুন নাট্য মঞ্চত্ব হচ্ছে, আর আমরা তা রক্তের বিনিময়ে উপভোগ করে যাচ্ছি। এখন আমরা নির্বাচন নাটকে আছি। দেশের অর্ধেকেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত হয়েও মহা খুশিতে আছে (সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মতে) যেহেতু তাদের কষ্ট করে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে না। কী সুন্দর আর অদ্ভুত নির্বাচন! যারা বা কারা নির্বাচিত হচ্চে, তাদের চেহারাও জনগণের দেখার প্রয়োজন নেই, পাবলিক ডিমান্ডেরও ব্যবস্থা নেই। তারা এখন সর্বেসর্বা, পার্টি চেয়ারম্যানের তেল মর্দনেই ব্যস্ত থাকবেন। জনগণের জন্য বা জনতার প্রতি তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। যেহেতু তারা জনতার ভোটে নির্বাচিত নন।
আমাদের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা করলেন যে আমাদের আর কষ্ট করার দরকার নেই, তাদেরও পয়সা নষ্ট হল না। এজন্য সাধুবাধ পেতেই পারেন। তারা আরো সাধুবাধ পাবেন যদি বাকি আসনেরও তারা একটা রফাদফা করতে পারেন। খামোকা এই সমঝোতার নির্বাচনে পয়সা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। বাকি আসনগুলোর জন্য তারা প্রার্থীদের মাঝে লটারীর ব্যবস্থা করতে পারেন অথবা বেগম হাসিনা যা ভাল বোঝেন তা করবেন।
শীতের এই দিনে কষ্ট করে কী দরকার ভোট কেন্দ্রে যাবার? আসুন আমাদের এই (ফালতু এবং প্রহসনের)ভোটাধিকার নির্বাচন কমিশন আর সরকারের ঘাড়ে অর্পণ করে কৃতার্থ হই। আপনার উদার জাতি, না হয় আরেকটু উদার হলাম। ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।
(এই সম্বোধনের কারণে হয়ত আমার জেল-হাজত, জরিমানা হতে পারে, কেননা এটা যে শুধু রাজনৈতিকদের জন্য বরাদ্দ। তারপরও করলাম, বিকল্প না থাকার কারণে। ) আপনার নিশ্চয়ই এই টেনশনের যুগে ভালই আছেন?
দেশে এখন নিত্য নতুন নাট্য মঞ্চত্ব হচ্ছে, আর আমরা তা রক্তের বিনিময়ে উপভোগ করে যাচ্ছি। এখন আমরা নির্বাচন নাটকে আছি। দেশের অর্ধেকেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত হয়েও মহা খুশিতে আছে (সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মতে) যেহেতু তাদের কষ্ট করে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে না। কী সুন্দর আর অদ্ভুত নির্বাচন! যারা বা কারা নির্বাচিত হচ্চে, তাদের চেহারাও জনগণের দেখার প্রয়োজন নেই, পাবলিক ডিমান্ডেরও ব্যবস্থা নেই। তারা এখন সর্বেসর্বা, পার্টি চেয়ারম্যানের তেল মর্দনেই ব্যস্ত থাকবেন। জনগণের জন্য বা জনতার প্রতি তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। যেহেতু তারা জনতার ভোটে নির্বাচিত নন।
আমাদের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা করলেন যে আমাদের আর কষ্ট করার দরকার নেই, তাদেরও পয়সা নষ্ট হল না। এজন্য সাধুবাধ পেতেই পারেন। তারা আরো সাধুবাধ পাবেন যদি বাকি আসনেরও তারা একটা রফাদফা করতে পারেন। খামোকা এই সমঝোতার নির্বাচনে পয়সা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। বাকি আসনগুলোর জন্য তারা প্রার্থীদের মাঝে লটারীর ব্যবস্থা করতে পারেন অথবা বেগম হাসিনা যা ভাল বোঝেন তা করবেন।
শীতের এই দিনে কষ্ট করে কী দরকার ভোট কেন্দ্রে যাবার? আসুন আমাদের এই (ফালতু এবং প্রহসনের)ভোটাধিকার নির্বাচন কমিশন আর সরকারের ঘাড়ে অর্পণ করে কৃতার্থ হই। আপনার উদার জাতি, না হয় আরেকটু উদার হলাম। ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ১৮/১২/২০১৩ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়। কিন্তু আমারা যারা সাধারণ জনগণ তারা স্বেচ্ছায় বারবার বেলতলায় যাই। এবং প্রতিবারই প্রতারিত হই। আমরা প্রতিবারই কিছু অযোগ্য , দুর্নীতিবাজদের সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত করে পাঁচ বছরের জন্য দেশ লুটের অনুমতি দেই। সাংসদদের অপকর্মের কিছুটা হলেও দায় আমাদের জনগনের ছিল। কিন্তু এবার আর আমাদের দায়ভার নিতে হবে না । কারণ এই নির্বাচনে ভোটারের কোন সম্পৃক্ততাই নাই।
-
জি,মাওলা ১৮/১২/২০১৩হুম ভাল ব লে ছেন