আমাদের রাজনীতি ও গণতন্ত্র
রাজনীতি। এই দেশে আবহমান কাল থেকে চলে আসা এক শব্দ। অভিধানে,রাজার জন্য নীতি নাকি রাজ-চালনার নীতি তা ভালভাবে জানা না গেলেও পারিভাষিক ভাবে এর অর্থ যে, রাজ-দখলে প্রজাশোষণের নীতি তা আমরা সবাই জানি। আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে রাজনীতি দেখে আমরা সবাই এই নীতির সাথে অভ্যস্ত। যারা এটা করেন তারা শুধু ভোগের জন্যই করেন। অর্থ্যাৎ রাজভোগ। আমরা সবাই রাজনীতি বুঝি, করি এমনকি তাকে লালন করেই বেঁচে আছি। এখন তো মায়ের পেট থেকে বের হয়েই রাজনীতির মানে বুঝে এর সারাংশ বের করে ফেলে। আমরা রাজনীতি করব আর আমাদের দেশের বারোটা বাজাব ইনশাআল্লাহ।
গণতন্ত্র: আমরা অল্প বয়স থেকেই যেমন রাজনীতি বুঝি তেমনই গণতন্ত্রও বুঝি। গণতন্ত্র মানে হল (বঙ্গীয় রাজনীতিতে) আমরা বিচার মানি তবে তালগাছ আমার। আমি যা ইচ্ছে তা করতে পারব শুধু পাবলিক পারবে না। আরো বিশদভাবে বলতে হলে, যে তন্ত্র বা আইনের মাধ্যমে গণ বা পাবলিকের পশ্চাৎদেশে বাঁশ ঢুকানো যায় তাই হলো- গণতন্ত্র। অর্থ্যাৎ জনগণই ঠিক করে দেবে তারা কাকে ভোট দিয়ে ( বা না দিয়ে) তাদের এই বাঁশ দেয়ার কাজ সম্পাদন করবে।আমাদের এখানে প্রতি পাঁচ বছর পরপর একবার নির্বাচনের ( যা নিয়ে এখন দেশে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও চলছে) মাধ্যমে আমরা ঠিক করে দিই, কে আমাদের জান-মাল-সম্মানের বারোটা বাজাবেন আগামী পাঁচবছর।
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মূল নেতার হুকুমে আমাদের মাঝে প্রার্থী দেন আর বলেন, একটা কলাগাছ বা বলদ দাঁড় করে দিলাম, আপনারা এর দিকে তাকাবেন না<আপনারা মার্কা দেখে ভোট দেবেন। আমরাও মার্কা দেখেই ভোট দিয়ে চলে আসি: একবারও ভেবে দেখি না যাকে নির্বাচিত করছি সে আমাদের পশ্চাৎছিদ্রে ঠিক মত বাঁশ ঢুকাতে পারবে কিনা?
পরিবারতন্ত্র: আমাদের মাঝে এখন ব্যাপক প্রচলিত আর পরিচিত শব্দ হচ্ছে "পরিবারতন্ত্র''। এর মানে হল- হুল ফুটানোর যোগ্যতা থাকুক আর না থাকুক বাবার যোগ্যতা বা মায়ের যোগ্যতাতেই সন্তান যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। রাজনীতিতে বা পীরতন্ত্রে এখন যুবরাজ বা সাহেবজাদাদের দৌরাত্ম ব্যাপক। আমরাও বুঝে না বোঝার ভান করে দলের জন্য (পীরের জন্য) নিজের জান দিয়ে ফেলি। কখনো যে যোগ্যতা থাকলেও দলের নেতা হতে পারব না তা আমরা ভালভাবে জেনেও দলের জন্য নিজের সব উৎসর্গ করে দিতে পারি। আমরা পারব না কেন, আমরা যে বীরের জাতি; আমরা লড়তে পারি, জিততে পারি কিন্তু ভোগ করতে পারি না । ভোগ করবেন আমাদের মহান নেতারা আর ছাপোষারা।
আমরা রাজনীতি করি, আর নিজেরাই আগুন দিয়ে নিজেদের জ্বালাই, পোড়াই, ধ্বংস করি। কারণ আমরা গণতন্ত্রে আর পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা রাজনীতি বুঝি, লালন করি। আসুন হে মহান বৈঙ্গলিক জাতি- রাজনীতি করি আর গণতন্ত্রের চর্চা করি।
গণতন্ত্র: আমরা অল্প বয়স থেকেই যেমন রাজনীতি বুঝি তেমনই গণতন্ত্রও বুঝি। গণতন্ত্র মানে হল (বঙ্গীয় রাজনীতিতে) আমরা বিচার মানি তবে তালগাছ আমার। আমি যা ইচ্ছে তা করতে পারব শুধু পাবলিক পারবে না। আরো বিশদভাবে বলতে হলে, যে তন্ত্র বা আইনের মাধ্যমে গণ বা পাবলিকের পশ্চাৎদেশে বাঁশ ঢুকানো যায় তাই হলো- গণতন্ত্র। অর্থ্যাৎ জনগণই ঠিক করে দেবে তারা কাকে ভোট দিয়ে ( বা না দিয়ে) তাদের এই বাঁশ দেয়ার কাজ সম্পাদন করবে।আমাদের এখানে প্রতি পাঁচ বছর পরপর একবার নির্বাচনের ( যা নিয়ে এখন দেশে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও চলছে) মাধ্যমে আমরা ঠিক করে দিই, কে আমাদের জান-মাল-সম্মানের বারোটা বাজাবেন আগামী পাঁচবছর।
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মূল নেতার হুকুমে আমাদের মাঝে প্রার্থী দেন আর বলেন, একটা কলাগাছ বা বলদ দাঁড় করে দিলাম, আপনারা এর দিকে তাকাবেন না<আপনারা মার্কা দেখে ভোট দেবেন। আমরাও মার্কা দেখেই ভোট দিয়ে চলে আসি: একবারও ভেবে দেখি না যাকে নির্বাচিত করছি সে আমাদের পশ্চাৎছিদ্রে ঠিক মত বাঁশ ঢুকাতে পারবে কিনা?
পরিবারতন্ত্র: আমাদের মাঝে এখন ব্যাপক প্রচলিত আর পরিচিত শব্দ হচ্ছে "পরিবারতন্ত্র''। এর মানে হল- হুল ফুটানোর যোগ্যতা থাকুক আর না থাকুক বাবার যোগ্যতা বা মায়ের যোগ্যতাতেই সন্তান যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। রাজনীতিতে বা পীরতন্ত্রে এখন যুবরাজ বা সাহেবজাদাদের দৌরাত্ম ব্যাপক। আমরাও বুঝে না বোঝার ভান করে দলের জন্য (পীরের জন্য) নিজের জান দিয়ে ফেলি। কখনো যে যোগ্যতা থাকলেও দলের নেতা হতে পারব না তা আমরা ভালভাবে জেনেও দলের জন্য নিজের সব উৎসর্গ করে দিতে পারি। আমরা পারব না কেন, আমরা যে বীরের জাতি; আমরা লড়তে পারি, জিততে পারি কিন্তু ভোগ করতে পারি না । ভোগ করবেন আমাদের মহান নেতারা আর ছাপোষারা।
আমরা রাজনীতি করি, আর নিজেরাই আগুন দিয়ে নিজেদের জ্বালাই, পোড়াই, ধ্বংস করি। কারণ আমরা গণতন্ত্রে আর পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা রাজনীতি বুঝি, লালন করি। আসুন হে মহান বৈঙ্গলিক জাতি- রাজনীতি করি আর গণতন্ত্রের চর্চা করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ১০/১২/২০১৩অসাধারণ লিখেছেন সাজিদ ভাই