আমি অনে কী করতাম
আমি অনে কী করতাম? আমি যে অনে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে।
লেখাপড়া করার সময় বাপ-মা, শিক্ষকরা বলতেন: ছাত্রজীবন সুখের জীবন; যদি না হতো এক্জামিনেশন। তখন কথার কোনো "ভাল" উপলব্ধি করতাম না। ভাবতাম, লেখাপড়া না থাকলে বুঝি এরচে ভাল হতো, লেখাপড়া শেষে আসবে চমৎকার জীবন। নেতাদের ডাকে ছাত্র-রাজনীতিতে নামলাম দেশোদ্ধারে। কত গাড়ি ভাঙ্গলাম, কাচ ভাঙ্গলাম, আগুন দিলাম মানুষের দাবি(!) আদায়ে। হরতাল আর অবরোধে জনহিতে কত ধ্বংসের নেশায় মেতে উঠতাম। ভাবতাম একদিন এর প্রতিফল পাব। নেতারা আমাদের মত নেতা-কর্মীদের অবশ্যই কোনো না কোনো ভাবে জীবন গড়ায় অবদান রাখবেন।
আজ ছাত্রজীবনের শেষে দেখি চারদিক শুধু দেখি অন্ধকার। কোনো আলো আর নেই। দুই বৎসর ঘুরলাম চাকরী নামক সোনার হরিণের পিছনে। কোনো (আমাদের পথপ্রদর্শক) নেতারাই আমার জন্য চাকরী বা ব্যবসার পথ দেখালেন না, বরং আবারো মূল রাজনীতিতে সম্পৃত্ত হতে বললেন। কী আর করব?
আবারো নেতা বনে গেলাম। নেতা (পাতি নেতা) হিসেবে ভালই সুনাম আছে আমার। নেতারা যাই দেন তাই আমার চলার পাথেয়। মানুষের অধিকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলনে আমার ভুমিকা দেখে (performance) নেতা খুব খুশি।
মানুষের স্বার্থে মানুষ পোড়াতে গিয়ে আজ আমি দগ্ধ! হাসপাতালের অগ্নি-বিভাগে আমি এখন ছটফট করছি। নেতা আমাকে হাসপাতালে দেখতে আসেন নি। আমার পাশে আমার পরিবার ছাড়া কেউ নেই। হাসপাতালের খরচ মেটানোর মত অবস্থা এখন আমার নেই। তারপর আছে (কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত) পুলিশের অত্যাচার। এখান থেকে কোনোরকমে বেঁচে গেলেও বিচারের হাত থেকে আমার মুক্তি নেই জানি। আমি অহন কী করতাম????????????
আমি সবাইকে বলতে চাই, সরকার আর বিরোধীদল আমাদের (জনগণ) গিনিপিগ মনে করে ক্ষমতার জন্য পরীক্ষা বা নিরীক্ষা (
experiment) চালাচ্ছে। আমরা অবোধের মত তাদের কথায় জীবন বিলাচ্ছি। আর কত আমরা গিনিপিগ হবো?
এখনো কি সময় হয় নি জেগে উঠবার? সময় হয় নি এসবের থেরকে বেরিয়ে আসবার? আমরা কেনো তাদের ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবো?
কথাগুলো বললাম। এরছাড়া আমার আর কী করার আছে?
আমি এইডা ছারা কী করতারি, কী করতাম অনে।
লেখাপড়া করার সময় বাপ-মা, শিক্ষকরা বলতেন: ছাত্রজীবন সুখের জীবন; যদি না হতো এক্জামিনেশন। তখন কথার কোনো "ভাল" উপলব্ধি করতাম না। ভাবতাম, লেখাপড়া না থাকলে বুঝি এরচে ভাল হতো, লেখাপড়া শেষে আসবে চমৎকার জীবন। নেতাদের ডাকে ছাত্র-রাজনীতিতে নামলাম দেশোদ্ধারে। কত গাড়ি ভাঙ্গলাম, কাচ ভাঙ্গলাম, আগুন দিলাম মানুষের দাবি(!) আদায়ে। হরতাল আর অবরোধে জনহিতে কত ধ্বংসের নেশায় মেতে উঠতাম। ভাবতাম একদিন এর প্রতিফল পাব। নেতারা আমাদের মত নেতা-কর্মীদের অবশ্যই কোনো না কোনো ভাবে জীবন গড়ায় অবদান রাখবেন।
আজ ছাত্রজীবনের শেষে দেখি চারদিক শুধু দেখি অন্ধকার। কোনো আলো আর নেই। দুই বৎসর ঘুরলাম চাকরী নামক সোনার হরিণের পিছনে। কোনো (আমাদের পথপ্রদর্শক) নেতারাই আমার জন্য চাকরী বা ব্যবসার পথ দেখালেন না, বরং আবারো মূল রাজনীতিতে সম্পৃত্ত হতে বললেন। কী আর করব?
আবারো নেতা বনে গেলাম। নেতা (পাতি নেতা) হিসেবে ভালই সুনাম আছে আমার। নেতারা যাই দেন তাই আমার চলার পাথেয়। মানুষের অধিকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলনে আমার ভুমিকা দেখে (performance) নেতা খুব খুশি।
মানুষের স্বার্থে মানুষ পোড়াতে গিয়ে আজ আমি দগ্ধ! হাসপাতালের অগ্নি-বিভাগে আমি এখন ছটফট করছি। নেতা আমাকে হাসপাতালে দেখতে আসেন নি। আমার পাশে আমার পরিবার ছাড়া কেউ নেই। হাসপাতালের খরচ মেটানোর মত অবস্থা এখন আমার নেই। তারপর আছে (কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত) পুলিশের অত্যাচার। এখান থেকে কোনোরকমে বেঁচে গেলেও বিচারের হাত থেকে আমার মুক্তি নেই জানি। আমি অহন কী করতাম????????????
আমি সবাইকে বলতে চাই, সরকার আর বিরোধীদল আমাদের (জনগণ) গিনিপিগ মনে করে ক্ষমতার জন্য পরীক্ষা বা নিরীক্ষা (
experiment) চালাচ্ছে। আমরা অবোধের মত তাদের কথায় জীবন বিলাচ্ছি। আর কত আমরা গিনিপিগ হবো?
এখনো কি সময় হয় নি জেগে উঠবার? সময় হয় নি এসবের থেরকে বেরিয়ে আসবার? আমরা কেনো তাদের ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবো?
কথাগুলো বললাম। এরছাড়া আমার আর কী করার আছে?
আমি এইডা ছারা কী করতারি, কী করতাম অনে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ৩০/১১/২০১৩একদম ঠিক আমরা সিড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবো কেন। খুব ভালো। আমার শততম পোষ্টে আপনার মন্তব্য থাকলে আমার ভালো লাগতো
-
אולי כולנו טועים ২৯/১১/২০১৩
sundor likhechen !!