যা দেখবে যা শুনবে বলবে তার অর্ধেক
বাচাল। যারা বেশি কথা বলে বা অতিরিক্ত কথা বলে। একে আরো বলে- আড্ডাবাজ, মুখফসকা, অতিভাষী,প্রগলভ, বাক্যবাগীশ, বক্তিয়ার, বকতুড়ে। অকারণ বকবক করে এমন লোককে আমরা সাধারণত বাচাল বলি।
আল্লাহপাক আমাদের সুন্দর অবয়বে দুইটা কান, নাক, ঠোঁট,চোখ দিয়ে তৈরি করেছেন, এর মাঝে দিয়েছেন একটি মুখ।
এখন দুইটা করে দেয়া প্রতিটি অঙ্গ আর প্রতঙ্গ দিয়ে শুধু তার কাঙ্খিত কাজ যেমন শোনা যায়, দেখা যায় ইত্যাদি...আর মুখ দিয়ে করতে হয় দুইটি কাজ:- খাওয়া আর কথা বলা। এর মানে হল:- দেখা যাবে বেশি, শোনাও যাবে বেশি আর কথা বলতে হবে খুবই কম; জেনে বুঝে শোনে আর অনুধাবন করে। এই জন্য গুণীজন বলেছেন:-
"চোখ দুই, কান দুই
মুখ এক
যা দেখবি যা শুনবি
বলবি তার অর্ধেক।"
কিন্তু আমরা উল্টোটা করছি। যা শুনি যা দেখি তারচেয়েও বেশি বলি; এমনকি শোনার চেয়ে, দেখার চেয়ে ভিন্ন বলে ফেলি।
আমাদের ধর্মে কম কথা বলতে বলা হয়েছে। হাদিসে বলা আছে: যে চুপ রয়েছে সে মুক্তি লাভ করেছে। অপর হাদিসে এসেছে: যদি মিষ্টি কথা বলতে না পারো, তাহলে চুপ থাকো।
রাসূল সা. কম কথা বলতেন। আর বেশি অর্থবোধক শব্দ দ্বারা এই উম্মতকে নসিহত করতেন।
অতিরিক্ত কথা বললে ৫টি মারাত্মক ( কবীরাহ গুনাহ) অপরাধ তার দ্বারা ঘটে থাকে, যা সে নিজে কখনো অনুধাবন করতে পারে না।
১. মিথ্যাকথা: বাচালরা সাধারণত বেশিরভাগই মিথ্যে বলে থাকে। কারণ এতো সত্য কথা এরা পাবে কোথায়?
২. গীবত করা: বেশি কথা বলাতে অপরের দোষ বর্ণনাটাই বেশি আসে। যেখানে দেখবেন অযথা কথা হচ্ছে, দেখবেন পরের চর্চাই বেশি হচ্ছে।
৩. অপবাদ: বাচালেরা অপরকে মিথ্যা অপবাদে খুবই পাকা।
৪. চোখলখুরী: একজনের কথা অপরজনের কাছে প্রকাশ করে বেড়ায়। পরস্পরে ঝগড়া বাঁধায়। বেশি কথা বললে এই দোষটি থাকবেই।
৫. ছিদ্রান্বেষণ: পরের দোষ খোজা আর ত্রুটি খোজে এরা মজা পায়। অপরকে নিয়ে হাস্য-তামাশা করে। আল-কুরআনে অপরকে নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে খুবই গর্হিত কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
সুতরাং আসুন আমরা কম কথা বলি, কম হাসি-তামাশা করি। বেশি দেখি, শুনি আর হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করে বিষয়টি বুঝি। তারপর কথা বলি অল্পভাষায়। কারণ আমরা জেনেছি বেশি বললে অনেক অপরাধ ঘটে যায় মনের অজান্তে।
সবাই ভাল থাকুন।।।।।।
আল্লাহপাক আমাদের সুন্দর অবয়বে দুইটা কান, নাক, ঠোঁট,চোখ দিয়ে তৈরি করেছেন, এর মাঝে দিয়েছেন একটি মুখ।
এখন দুইটা করে দেয়া প্রতিটি অঙ্গ আর প্রতঙ্গ দিয়ে শুধু তার কাঙ্খিত কাজ যেমন শোনা যায়, দেখা যায় ইত্যাদি...আর মুখ দিয়ে করতে হয় দুইটি কাজ:- খাওয়া আর কথা বলা। এর মানে হল:- দেখা যাবে বেশি, শোনাও যাবে বেশি আর কথা বলতে হবে খুবই কম; জেনে বুঝে শোনে আর অনুধাবন করে। এই জন্য গুণীজন বলেছেন:-
"চোখ দুই, কান দুই
মুখ এক
যা দেখবি যা শুনবি
বলবি তার অর্ধেক।"
কিন্তু আমরা উল্টোটা করছি। যা শুনি যা দেখি তারচেয়েও বেশি বলি; এমনকি শোনার চেয়ে, দেখার চেয়ে ভিন্ন বলে ফেলি।
আমাদের ধর্মে কম কথা বলতে বলা হয়েছে। হাদিসে বলা আছে: যে চুপ রয়েছে সে মুক্তি লাভ করেছে। অপর হাদিসে এসেছে: যদি মিষ্টি কথা বলতে না পারো, তাহলে চুপ থাকো।
রাসূল সা. কম কথা বলতেন। আর বেশি অর্থবোধক শব্দ দ্বারা এই উম্মতকে নসিহত করতেন।
অতিরিক্ত কথা বললে ৫টি মারাত্মক ( কবীরাহ গুনাহ) অপরাধ তার দ্বারা ঘটে থাকে, যা সে নিজে কখনো অনুধাবন করতে পারে না।
১. মিথ্যাকথা: বাচালরা সাধারণত বেশিরভাগই মিথ্যে বলে থাকে। কারণ এতো সত্য কথা এরা পাবে কোথায়?
২. গীবত করা: বেশি কথা বলাতে অপরের দোষ বর্ণনাটাই বেশি আসে। যেখানে দেখবেন অযথা কথা হচ্ছে, দেখবেন পরের চর্চাই বেশি হচ্ছে।
৩. অপবাদ: বাচালেরা অপরকে মিথ্যা অপবাদে খুবই পাকা।
৪. চোখলখুরী: একজনের কথা অপরজনের কাছে প্রকাশ করে বেড়ায়। পরস্পরে ঝগড়া বাঁধায়। বেশি কথা বললে এই দোষটি থাকবেই।
৫. ছিদ্রান্বেষণ: পরের দোষ খোজা আর ত্রুটি খোজে এরা মজা পায়। অপরকে নিয়ে হাস্য-তামাশা করে। আল-কুরআনে অপরকে নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে খুবই গর্হিত কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
সুতরাং আসুন আমরা কম কথা বলি, কম হাসি-তামাশা করি। বেশি দেখি, শুনি আর হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করে বিষয়টি বুঝি। তারপর কথা বলি অল্পভাষায়। কারণ আমরা জেনেছি বেশি বললে অনেক অপরাধ ঘটে যায় মনের অজান্তে।
সবাই ভাল থাকুন।।।।।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুলতান মাহমুদ ১১/১২/২০১৩ধন্যবাদ লেখককে
-
ফাহমিদা ফাম্মী ২৪/১১/২০১৩অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ
-
জহির রহমান ১৮/১১/২০১৩সুন্দর একটি বিষয়ে উপস্থাপন করার জন্য শুভেচ্ছা। প্রবন্ধটি ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
"চোখ দুই, কান দুই
মুখ এক
যা দেখবি যা শুনবি
বলবি তার অর্ধেক।" -
রাখাল ১৭/১১/২০১৩কাঁচামাল দুই কান আর দুই চোখ কিন্তু মিলতো একটাই
তাই বেশী বকবক চলতেই থাকে ভাই!