ঈদ মুবারক প্রসঙ্গ কুরবানী
ঈদুল আযহা চলে এসেছে। চলছে কুরবানীর মহা ধামাকা। পত্রিকা আর টিভি নিউজে আসছে পশু কুরবানীর খবর। অমুক নেতা বা অমুক সমাজসেবী এবারের ঈদে ১০-১৫ টা গরু, ১৫টা ছাগল বা মহিষ, ভেড়া কুরবানী দিচ্ছেন। কেউ ১০ লাখ টাকা দামের পশু কুরবানী দিচ্ছেন। এই খবরে মনে প্রশ্ন জাগে আসলেই কি কুরবানী ইবাদতের জন্য দিচ্ছে নাকি এসব লোক দেখানো?
আপাতত তাই মনে হয়। কেননা একজনের পক্ষে একটা পশু কুরবানী দেয়াই যথেষ্ট। আর কুরবানী হলো শর্ত সাপেক্ষে সামর্থবানদের জন্য ওয়াজিব বা সুন্নাত। আজ যেভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও জাঁকজমকের সাথে পশু জবেহ হচ্ছে তা-কি আসলে কুরবানী? এখানে একটা কথা প্রসঙ্গক্রমে বলা দরকার যে, ইবাদত কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে- হালাল উপার্জন। এই কুরবানীর অর্থ কি হালালের পথে?
ইসলামের প্রাথমিক কথা হচ্ছে:- আমল বা কাজ নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং আমি বিষয়টি কুরবানীদাতার উপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত হচ্ছে ছোট শিরক। সুতরাং কুরবানী করতে গিয়ে শিরক করে ফেলছি কী-না তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
কারো টাকা-পয়সা, সম্পদ বেশি থাকতেই পারে। এইজন্য ইসলামে তা ব্যায়ের বিভিন্ন রাস্তাও আছে। সদাকা একটি উত্তম পন্থা। রাসুল সা. বলেছেন: জাহান্নাম থেকে বাঁচো, একটি খেজুরের বিনিময়ে হলেও।
কুরবানীর অর্থদান বা পশুদান:-
সম্পদশালীরা এখানে যেটা করতে পারেন তাহলো:- আপনার টাকা যেটা অতিরিক্ত পশু ক্রয়ে ব্যায় করার চিন্তা করেন তা দিয়ে আপনার পাশের বেকার অভাবী লোকদের কর্মসংস্থান করতে পারেন। অথবা অনেককে অর্থ দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন। যারা মাংস নয় মৌলিক অনেক বিষয় থেকে বঞ্চিত। যেমন, বাসস্থান-অন্ন- বস্ত্র ইত্যাদি.
আপনি যদি কুরবানী দিতেই ইচ্ছুক হোন, তাহলে এই কাজটা করতে পারেন- আপনার একটার বেশি পশুগুলো এতিমখানায় দিয়ে দিতে পারেন।
কুরবানী করার ব্যাপারটা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তাই আসুন এটা নিয়ে প্রচারণা যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখি।
রাসুল সা. বলেছেন: সম্পদশালী বা ধনী সম্পদের প্রাচুর্যে নয়; বরং প্রকৃত সম্পদশালী হলো সেই ব্যক্তি যার মন ধনী।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারক
আপাতত তাই মনে হয়। কেননা একজনের পক্ষে একটা পশু কুরবানী দেয়াই যথেষ্ট। আর কুরবানী হলো শর্ত সাপেক্ষে সামর্থবানদের জন্য ওয়াজিব বা সুন্নাত। আজ যেভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও জাঁকজমকের সাথে পশু জবেহ হচ্ছে তা-কি আসলে কুরবানী? এখানে একটা কথা প্রসঙ্গক্রমে বলা দরকার যে, ইবাদত কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে- হালাল উপার্জন। এই কুরবানীর অর্থ কি হালালের পথে?
ইসলামের প্রাথমিক কথা হচ্ছে:- আমল বা কাজ নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং আমি বিষয়টি কুরবানীদাতার উপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত হচ্ছে ছোট শিরক। সুতরাং কুরবানী করতে গিয়ে শিরক করে ফেলছি কী-না তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
কারো টাকা-পয়সা, সম্পদ বেশি থাকতেই পারে। এইজন্য ইসলামে তা ব্যায়ের বিভিন্ন রাস্তাও আছে। সদাকা একটি উত্তম পন্থা। রাসুল সা. বলেছেন: জাহান্নাম থেকে বাঁচো, একটি খেজুরের বিনিময়ে হলেও।
কুরবানীর অর্থদান বা পশুদান:-
সম্পদশালীরা এখানে যেটা করতে পারেন তাহলো:- আপনার টাকা যেটা অতিরিক্ত পশু ক্রয়ে ব্যায় করার চিন্তা করেন তা দিয়ে আপনার পাশের বেকার অভাবী লোকদের কর্মসংস্থান করতে পারেন। অথবা অনেককে অর্থ দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন। যারা মাংস নয় মৌলিক অনেক বিষয় থেকে বঞ্চিত। যেমন, বাসস্থান-অন্ন- বস্ত্র ইত্যাদি.
আপনি যদি কুরবানী দিতেই ইচ্ছুক হোন, তাহলে এই কাজটা করতে পারেন- আপনার একটার বেশি পশুগুলো এতিমখানায় দিয়ে দিতে পারেন।
কুরবানী করার ব্যাপারটা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তাই আসুন এটা নিয়ে প্রচারণা যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখি।
রাসুল সা. বলেছেন: সম্পদশালী বা ধনী সম্পদের প্রাচুর্যে নয়; বরং প্রকৃত সম্পদশালী হলো সেই ব্যক্তি যার মন ধনী।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারক
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১৭/১০/২০১৩ঠিক আমার মনের গহীনে থাকা কথা গুলো ফুটে উঠেছে আপনার লেখয়।আপনাকে জানায় হাজার সালাম এই লেখার জন্য।আপনি সত্য ফুটিয়ে তুলতে সার্থক হয়েছেন।ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।রইল শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
-
אולי כולנו טועים ১৫/১০/২০১৩আমি ঠিক এই বিষয়টি লিখতে চাইছিলাম -
যা আপনি লিখে দিয়েছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ll