হাতিবের ছেলেবেলা
ফুঁ দিলে বাতি নেভে না
ছোট্ট শিশু হাতিব। কথা বলা শিখেছে কেবল। মার সাথে নানীর বাড়ি বেড়াতে গেছে। রাতে নানার সাথে ঘুমুতে যায়। মাটির বিছানায় খেজুর পাতার উপর কাথা বিছানো। নানা তাকে বলল: হাতিব! কুপিটা নিভিয়ে দেতো। হাতিব বলে, কীভাবে করব নানা?
নানা: তাও জানিস না বোকা?
হাতিব: আমি পারব না নানা।
নানা: ফুঁ দে, ফুঁ দিয়ে দেখ কেমনে নিভে যায়
হাতিব: আমি ফুঁ দেব না
নানা: কেন?
হাতিব: ফুঁ দিলে কুপি নিভবে না
নানা: তর্ক করিস না, ফুঁ দে; নিভে যাবে
হাতিব: আমি ফুঁ দিলে তো আগুন নিভে যাবে; কুপি তো নিভবে না!
নানা: হায়রে বোকা, শুধু তর্ক করিস? কুপি কি আলাদা?
হাতিব: জানি না নানা, শুধু জানি- আগুন নিভে যায়,কুপি নিভে না ।
( বলুন তো কার বুদ্ধি ভাল)
সে যে ব্যাথা পেতো!
সেই হাতিব। ক্লাস থ্রি'তে উঠেছে। ক্লাসের এক ছেলের সাথে তার একদিন ঝগড়া হয়। স্বল্পভাষি হাতিবের প্রতিপক্ষ ছেলেটি এক পর্যায়ে তাকে মারে। হাতিব শুধু বলল: মারামারি ভাল না, আমি যদি মারি, তাহলে আমার আর তোমার মাঝে কোনো প্রার্থক্য থাকবে না। তাই তোমার গায়ে হাত তুললাম না।
: পারলে হাত তোল
: তুমি খারাপ, তাই বলে আমি ভাল হব না কেন?
সংগীরা ও তার বন্ধুরা বলতে লাগল, তুই তাকে মারলি না কেন? ভয় পেয়েছিস? আমরা আছি না?
: আমি কবিতায় পড়েছি- কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়; তাই বলে কি কুকুরের কাজ মানুষের শোভা পায়?
: কবিতা আউড়াস? দূর্বলের পছন্দ কবিতা।
বাড়িতে এসে সে এ ব্যপারে কাউকে কিছু বলে নি। কিন্তু তার সংগীদের কাছে ঘটনাটা জানতে পেরে তার বড় জিগ্যেস করে: তুই আমাকে বলিস নে কেন?
: আপনাকে বললে তো আপনি তাকে মারতেন
: তো?
: সে তো ব্যথা পেতো। আমার তাতে কী লাভ হত?
: তুই বোকা বলে তুই লাভ-লোকসানের কিছুই বুঝিস না।
ছোট্ট শিশু হাতিব। কথা বলা শিখেছে কেবল। মার সাথে নানীর বাড়ি বেড়াতে গেছে। রাতে নানার সাথে ঘুমুতে যায়। মাটির বিছানায় খেজুর পাতার উপর কাথা বিছানো। নানা তাকে বলল: হাতিব! কুপিটা নিভিয়ে দেতো। হাতিব বলে, কীভাবে করব নানা?
নানা: তাও জানিস না বোকা?
হাতিব: আমি পারব না নানা।
নানা: ফুঁ দে, ফুঁ দিয়ে দেখ কেমনে নিভে যায়
হাতিব: আমি ফুঁ দেব না
নানা: কেন?
হাতিব: ফুঁ দিলে কুপি নিভবে না
নানা: তর্ক করিস না, ফুঁ দে; নিভে যাবে
হাতিব: আমি ফুঁ দিলে তো আগুন নিভে যাবে; কুপি তো নিভবে না!
নানা: হায়রে বোকা, শুধু তর্ক করিস? কুপি কি আলাদা?
হাতিব: জানি না নানা, শুধু জানি- আগুন নিভে যায়,কুপি নিভে না ।
( বলুন তো কার বুদ্ধি ভাল)
সে যে ব্যাথা পেতো!
সেই হাতিব। ক্লাস থ্রি'তে উঠেছে। ক্লাসের এক ছেলের সাথে তার একদিন ঝগড়া হয়। স্বল্পভাষি হাতিবের প্রতিপক্ষ ছেলেটি এক পর্যায়ে তাকে মারে। হাতিব শুধু বলল: মারামারি ভাল না, আমি যদি মারি, তাহলে আমার আর তোমার মাঝে কোনো প্রার্থক্য থাকবে না। তাই তোমার গায়ে হাত তুললাম না।
: পারলে হাত তোল
: তুমি খারাপ, তাই বলে আমি ভাল হব না কেন?
সংগীরা ও তার বন্ধুরা বলতে লাগল, তুই তাকে মারলি না কেন? ভয় পেয়েছিস? আমরা আছি না?
: আমি কবিতায় পড়েছি- কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়; তাই বলে কি কুকুরের কাজ মানুষের শোভা পায়?
: কবিতা আউড়াস? দূর্বলের পছন্দ কবিতা।
বাড়িতে এসে সে এ ব্যপারে কাউকে কিছু বলে নি। কিন্তু তার সংগীদের কাছে ঘটনাটা জানতে পেরে তার বড় জিগ্যেস করে: তুই আমাকে বলিস নে কেন?
: আপনাকে বললে তো আপনি তাকে মারতেন
: তো?
: সে তো ব্যথা পেতো। আমার তাতে কী লাভ হত?
: তুই বোকা বলে তুই লাভ-লোকসানের কিছুই বুঝিস না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১৩/১০/২০১৩গল্পের ভাষার সরলতা পাঠককে আকৃষ্ট করে।চমৎকার ভাবনা র একটি গল্প।ভালো লাগলো।এটা কি এখানেই শেষ? আপনার জন্য রইল ভালবাসা এবং শুভকামনা।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ১২/১০/২০১৩খুব মজা পেলাম।