সারাংশ দেখো
হাতিব ক্লাস টু'তে পড়ে। লেখাপড়ায় ভাল হলেও স্কুলের ম্যাডামের ছেলের কারণে কোনো সময় ক্লাসে এক নম্বর হতে পারে না। এ বছর তার বড় মামা ঢাকা থেকে তার জন্য বাংলা ও ইংরেজি বইয়ের নোট বই নিয়ে আসে। নোট বই জিনিসটা তার কাছে নতুন। শিশু শ্রেণি আর প্রথম শ্রেণিতে ওর মা-ই পাঠ্য বইয়ের সব দেখতেন।
এবার সে দেখল, বাংলা ও ইংরেজি বইয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর সে নোট বুকে পাচ্ছে।
গতকাল বাংলা (রফিক) স্যার বন্দে আলী মিয়ার "আমাদের গ্রাম" কবিতার ১ নং প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করে আসার জন্য বলেছিলেন। রাতে সে তার নোটবুকে দেখে এক নং প্রশ্ন "আমাদের গ্রাম" কবিতায় বর্ণিত গ্রামের বর্ণনা দাও-এর উত্তরে লেখা রয়েছে "সারাংশ" দেখ।
হাতিব ভাবল এতো ছোট উত্তর কীভাবে হয়? সে কয়েকবার পড়ল " সারাংশ দেখ"। সে ভাবল নোটবুকে প্রতিটি কবিতা বা গদ্যের প্রথমে সারাংশ নামক একটা বিষয় দেয়া আছে। তাকে বোধ হয় তাই পড়তে বলা হয়েছে। পরবর্তিতে তার চাচাত ভাইয়ের মাধ্যমে এই সত্যটাই উপলব্ধি করল।
পরদিন স্কুলে গিয়ে দেখে সবাই ক্লাস শুরুর আগে দুমছে পড়ছে সারাংশ দেখ। সে ভাবল, আজ সবাইকে গণ পিটুনি খাওয়াবে। তাই সে চুঁপ থাকল।
বাংলা স্যার প্রথম বেঞ্চির এক ছাত্রকে উত্তর বলাতে সে যখন বলল, সারাংশ দেখ", স্যার তো হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ তার দিকে চেয়ে থেকে হঠাত প্রলয়ংকরী হাসিতে ফেটে পড়লেন। তারপর পুরো ব্যাপারটা হাতিবের জন্য উপভোগ্য হল না। স্যার বিষয়টা বুঝিয়ে দিয়ে ক্লাসের ইতি টানলেন।
এবার সে দেখল, বাংলা ও ইংরেজি বইয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর সে নোট বুকে পাচ্ছে।
গতকাল বাংলা (রফিক) স্যার বন্দে আলী মিয়ার "আমাদের গ্রাম" কবিতার ১ নং প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করে আসার জন্য বলেছিলেন। রাতে সে তার নোটবুকে দেখে এক নং প্রশ্ন "আমাদের গ্রাম" কবিতায় বর্ণিত গ্রামের বর্ণনা দাও-এর উত্তরে লেখা রয়েছে "সারাংশ" দেখ।
হাতিব ভাবল এতো ছোট উত্তর কীভাবে হয়? সে কয়েকবার পড়ল " সারাংশ দেখ"। সে ভাবল নোটবুকে প্রতিটি কবিতা বা গদ্যের প্রথমে সারাংশ নামক একটা বিষয় দেয়া আছে। তাকে বোধ হয় তাই পড়তে বলা হয়েছে। পরবর্তিতে তার চাচাত ভাইয়ের মাধ্যমে এই সত্যটাই উপলব্ধি করল।
পরদিন স্কুলে গিয়ে দেখে সবাই ক্লাস শুরুর আগে দুমছে পড়ছে সারাংশ দেখ। সে ভাবল, আজ সবাইকে গণ পিটুনি খাওয়াবে। তাই সে চুঁপ থাকল।
বাংলা স্যার প্রথম বেঞ্চির এক ছাত্রকে উত্তর বলাতে সে যখন বলল, সারাংশ দেখ", স্যার তো হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ তার দিকে চেয়ে থেকে হঠাত প্রলয়ংকরী হাসিতে ফেটে পড়লেন। তারপর পুরো ব্যাপারটা হাতিবের জন্য উপভোগ্য হল না। স্যার বিষয়টা বুঝিয়ে দিয়ে ক্লাসের ইতি টানলেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাখাল ২৪/১০/২০১৩সারাংশ দেখবো
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৮/১০/২০১৩হুমম খুবই উপভোগ্য।তবে শিক্ষক যে ভূমিকায় ছিলেন, তা কিন্তু সচারচর হয়না।আগে পিটিয়ে নিতেন তারপর বোঝাতেন।তবে সবাই এক রকম হয়না।ভালো লাগলো।
-
Înšigniã Āvî ০৬/১০/২০১৩
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ০৫/১০/২০১৩বেশ মজা পেয়েছু সাজিদ ভাই