বিড়ম্বনা ৬ষ্ঠ পর্ব মামা ভাগ্নে
বিড়ম্বনা ৬ষ্ঠ পর্ব ( মামা ভাগ্নে )
"ভাই একটু দেখি"
বৈশাখের এক। নববর্ষের প্রথমদিনে টিউবওয়েলে কাপড় কাচতে গিয়ে কপালের বা পাশ ডান্ডা দিয়ে কেটে ফেলি। হাসপাতালে যাই।চারটা সেলাই দিয়ে অপারেটর সাহেব বললেন, ভাল করে সেলাই দিয়ে দিলাম, ভবিষ্যতে কোনো দাগ থাকবে না। ভাল ব্যাপারটা হল- দিনকে দিন কাটা দাগটা স্পষ্ট থেকে স্পষ্ট হচ্ছে।
সেলাইয়ের পর বললেন একটা ইনজেকশন দিতে হবে। সরকারী হাসপাতাল তাই এখানে হবে না, বাইরে থেকে দিতে হবে।
কাপাসিয়া বাজারে গিয়ে ইনজেকশনে দিয়ে সঙ্গী ফুফাত ভাইয়ের ফুসিলে (ইচ্ছে ) আমাদের বিখ্যাত "মনোরম" সিনেমা হলে ১২টার শোতে ঢুকি।
আমরা যখন হলে প্রবেশ করি তখন ছবি আরম্ভ হয়ে গেছে। বিলাসে ঢুকতেই চোখ অন্ধকার। লাইটম্যান নিচের দিকে লাইট মেরে আমাদের ভিতরে ঢুকাচ্ছেন। এক সারিতে আমি দর্শকদের পা (হাটু) ধরে ধরে " এক্সকিউজ মি, ভাই একটু দেখি, সরি, ভাই পাটা সামলান ইত্যাদি বলে কাঙ্খিত সিটে যাচ্ছি। আমার ফুফাত ভাই আমার সামনের সারিতে বসেন।
ধীরে ধীরে যখন আমার চারপাশ স্পষ্ট হতে লাগল, আমি চারিদিকে তাকিয়ে দর্শক দেখতে লাগলাম। সামনে থেকে ফুফাত ভাই বললেন, তোর বামে তাকা। আমি তাকিয়েতো হতভম্ব! দেখি আমার বাম পাশে দুইজনের পর মেজো মামা বসে আছেন। ফুফাত ভাই বললেন, কীরে? ......
আমি বললাম, আস্তে বলেন, এতে চিল্লানের কী হলো?
আমার তো লজ্জায় মিইয়ে যাচ্ছি, একটু আগের কথা মনে করে (ভাই একটু দেখি) মামা না জানি তখন কেমন বিব্রত অবস্থায় পরেছিলেন!
বিরতীর পর মামা বের হয়ে আর ফিরে আসেন নি বিলাসে। অন্য ক্লাসে গিয়েছেন নাকি একেবারে বের হয়ে গেছেন বলতে পারি নি। কারণ বিড়ম্বনা যে উনারই বেশি।
কয়েকদিন আগে আমাদের ঘরোয়া আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন ." বাংলা সিনেমার দিন শেষ। এখন আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা যায় না, সালমান শাহ মরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংশ হয়ে গেছে।" উনি আর কখনো সিনেমা হলে যাবেন না।
"ভাই একটু দেখি"
বৈশাখের এক। নববর্ষের প্রথমদিনে টিউবওয়েলে কাপড় কাচতে গিয়ে কপালের বা পাশ ডান্ডা দিয়ে কেটে ফেলি। হাসপাতালে যাই।চারটা সেলাই দিয়ে অপারেটর সাহেব বললেন, ভাল করে সেলাই দিয়ে দিলাম, ভবিষ্যতে কোনো দাগ থাকবে না। ভাল ব্যাপারটা হল- দিনকে দিন কাটা দাগটা স্পষ্ট থেকে স্পষ্ট হচ্ছে।
সেলাইয়ের পর বললেন একটা ইনজেকশন দিতে হবে। সরকারী হাসপাতাল তাই এখানে হবে না, বাইরে থেকে দিতে হবে।
কাপাসিয়া বাজারে গিয়ে ইনজেকশনে দিয়ে সঙ্গী ফুফাত ভাইয়ের ফুসিলে (ইচ্ছে ) আমাদের বিখ্যাত "মনোরম" সিনেমা হলে ১২টার শোতে ঢুকি।
আমরা যখন হলে প্রবেশ করি তখন ছবি আরম্ভ হয়ে গেছে। বিলাসে ঢুকতেই চোখ অন্ধকার। লাইটম্যান নিচের দিকে লাইট মেরে আমাদের ভিতরে ঢুকাচ্ছেন। এক সারিতে আমি দর্শকদের পা (হাটু) ধরে ধরে " এক্সকিউজ মি, ভাই একটু দেখি, সরি, ভাই পাটা সামলান ইত্যাদি বলে কাঙ্খিত সিটে যাচ্ছি। আমার ফুফাত ভাই আমার সামনের সারিতে বসেন।
ধীরে ধীরে যখন আমার চারপাশ স্পষ্ট হতে লাগল, আমি চারিদিকে তাকিয়ে দর্শক দেখতে লাগলাম। সামনে থেকে ফুফাত ভাই বললেন, তোর বামে তাকা। আমি তাকিয়েতো হতভম্ব! দেখি আমার বাম পাশে দুইজনের পর মেজো মামা বসে আছেন। ফুফাত ভাই বললেন, কীরে? ......
আমি বললাম, আস্তে বলেন, এতে চিল্লানের কী হলো?
আমার তো লজ্জায় মিইয়ে যাচ্ছি, একটু আগের কথা মনে করে (ভাই একটু দেখি) মামা না জানি তখন কেমন বিব্রত অবস্থায় পরেছিলেন!
বিরতীর পর মামা বের হয়ে আর ফিরে আসেন নি বিলাসে। অন্য ক্লাসে গিয়েছেন নাকি একেবারে বের হয়ে গেছেন বলতে পারি নি। কারণ বিড়ম্বনা যে উনারই বেশি।
কয়েকদিন আগে আমাদের ঘরোয়া আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন ." বাংলা সিনেমার দিন শেষ। এখন আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা যায় না, সালমান শাহ মরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংশ হয়ে গেছে।" উনি আর কখনো সিনেমা হলে যাবেন না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৮/১০/২০১৩চমৎকার আপনার বলার ভঙ্গি।খুব ভালো লাগলো।খুবই হাস্যকর সেই সাথে বিব্রতকর।
-
সহিদুল হক ২৯/০৯/২০১৩ঠিকই, মামার বিড়ম্বনাই বেশি।
-
Înšigniã Āvî ২৯/০৯/২০১৩খুব ভাল লেখা
-
সাইফুল ইসলাম মোল্লা ২৮/০৯/২০১৩বাহ! বেশ চমত্কার লেখা ও অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ
-
সালমান মাহফুজ ২৮/০৯/২০১৩ভালো লিখেছেন সাজিদ ভাই ।