www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মত্স অফিসার (ভাগ্য বিড়ম্বনা ৫ম পর্ব)

ভাগ্য বিড়ম্বনা: ৫ম পর্ব

মত্স অফিসার

কাগজপত্র সত্যায়ন করা,বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক; কী যে এক বিড়ম্বনা! তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে। হাতে কোনো কাজ না থাকলেও আমরা যখন কাগজ সত্যায়নের জন্য যেতাম তখন নানান কৃত্রিম ঝামেলা উপস্থিত করে  আমাদের দেরি করিয়ে মজা পেতেন দেশের এই সব প্রথম শ্রেণির নাগরিকবৃন্দ! তবে এই বিড়ম্বনা থেকে আমি মুক্তি পেয়েছিলাম ছোট খালুর মাধ্যমে।

একদিন উনার বাসায় গিয়ে দেখি ড্রয়ারে মৎস্য অফিসারের রাবার ষ্ট্যাম্প। আমি খালুকে জিনিসটার ব্যাপারে বললে, তিনিও তার বিড়ম্বনার কথা বললেন। আমি উনার কাছ থেকে সিলটা নিয়ে চলে আসি। মত্স অফিসারের সিগনেচার আমার পরিচিত, উনি শর্ট হ্যান্ডে সিগনেচার করতেন। আমি উনার সিগনেচার নকল করে কাজ চালাতে লাগলাম। অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবদের কাজ চালিয়ে নাস্তা পানিও খেতে পারতাম! ভালই চলছিল।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে কাগজ পত্র নিয়ে গিয়েছি নিবন্ধনের জন্য। প্রধান রেজিষ্ট্রার অফিসার আমার কাগজ দেখে বললেন, তোমার বাড়ি গাজীপুর?
-জ্বি! কাপাসিয়ায়।
-কাপাসিয়ার মৎস্য অফিসার তো আমার মেয়ের জামাই! (বিশ্বাস করুন, আমার পেটের ভিতর তখন সব ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।) আমি দেখি ওনি আমার কাগজপত্র ফাইলে রেখে নিবন্ধন ফরমের লেজটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন-
তুমি আবার বাড়ি যাবে কবে?

-সামার ভেকেশনে!
- যাওয়ার আগে আমার সাথে দেখা করে যাবে।
-জ্বি স্যার!
- পিঠা খাবে? আমার এক আত্মীয় ছাত্র তোমার মত নতুন ভর্তি হয়েছে। সে বাড়ি থেকে আমার জন্য পিঠা নিয়ে এসেছে।
- জ্বি স্যার! আমি পানি খাব।
--------------------
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৮৬১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast