www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আমার ঘরে বসন্ত

আমার ঘরে বসন্ত
তুমি এলে কই;
আমার ফাগুন দিনে
কেমনে তা সই।
আজ পলাশের রঙে
কাছে এসো প্রিয়;
তোমার মনের ধারা
গোপনেতে দিও।
----
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ১১৫০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০২/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • স্বপন গায়েন ১৫/০১/২০২০
    খুব ভাল
  • বেশ সুন্দর!
  • আমি-তারেক ১৬/০২/২০১৮
    bah onek sundor...
  • অনেকদিন পরে তারুণ্যে এলেন যে! অনেক অভিমান জমে আছে।এরকম কবিতা না পেলে অভিমানের পাল্লাটা ভারি হয়ে যাবে কিন্তু!
  • সুন্দর!
  • Shafi md Omar Faruq ১৪/০২/২০১৮
    মা
    শফি মোঃ ওমর ফারুক

    মা, তুমি কি জান; জীবনের জানালা ঠেলে কতো রোদ নেমে আসে শয্যায় ?
    মা, কেন সকল চেতনার শরীরে খেলা করে একাকিত্বের শৈশব ।
    মা, তুমি প্রাণান্তকর বটবৃক্ষের ছায়া, মৃত্তিকার দেহে প্রশান্তিময় মায়া।
    মা, তুমি স্বর্গীয় ফুটন্ত ফুল।
    তুমি; জননী, তুমি স্রোতস্বিনী; শত দুঃখের নন্দিনী ।
    তুমি; আবেগ মথিত নীলাভ চোখের চাহনি।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    এমন কোন জীবনানন্দ আছে যে মাকে পিছু ফেলে যায় ?
    তোমার এমন প্রেমানন্দ সুর মর্মের ভেতর বাজে সারাক্ষণ।
    কোথায় গেলে পাব এমন তৃষ্ণার জল, বল মা।
    এমন সু-উচ্চ দৃঢ় বন্ধন।
    কল্পনার আরশিতে স্মৃতির শিশিরে ব্যথিত দহনে তৃষ্ণার্ত বর্ষণ তুমি, মা।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    পালকের ঐশ্বর্যে সুন্দরের বর্ষানন্দে, চঞ্চল সুখানন্দের উল্লাস তুমি, "মা"।
    তুমি সকল গঞ্জনা - ব্যঞ্জনার বিমূর্ত প্রতীক।
    সুরমগ্ন রাগ রাগিণীর বিপ্লবী সংগীত।
    প্রাণের প্রহরে উজ্জীবিত বোধের আড়ালে প্রজ্জলিত আত্মার শক্তি, তুমি-"মা"।
    কি আশায় চরণে ধুলো দেব তোমার, আমি যে বড় হতভাগা- মা।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    মা, তোমার হর্ষ দ্যুতিতে সব কিছু চির উজ্জল
    তুমি অমৃত সিঞ্চন; আত্মায় মোহময় বিমুগ্ধ উচ্ছাস।
    দৃঢ় দীপ্ত তোমার আঁখি যুগল।
    অবিন্যাস্ত অবিনশ্বর জগতে তুমি চির উজ্জল।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি কোন নশ্বরতা নও।
    সৃজিত সুন্দর প্রকৃতির বুকে তুমি বসন্ত মঞ্জুরি।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    তব অক্ষয় তোমার চির মহিমা, সৌন্দর্য জ্যোতি, হয় শুধু চিরঞ্জীব বাড়বে শুধু অতি।
    ঝর্না বহে মিলে যায় নদীতে সুমধুর আবেগে।
    প্রেমময়ী আলিঙ্গন তোমার, কি দানে শোধাব তোমার জম্মঋণ বল "মা"।
    শতাব্দীর শেকড়ে বটবৃক্ষের নিঃশব্দময় দীর্ঘ ছায়া মেলে বসে আছ, তুমি মা।
    আত্মার আঁধারে অনাস্বাদিত অনুভূতি গুলো কতকাল বিদগ্ধ শোকে কাদবে, বল "মা"।
    তোমার বুকের নদীতে অলংকৃত স্বপ্নময় ভুবন, "মা"।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    কতো রোদ শুকিয়ে গেছে বসন্তের পাড় তোলা তোমার আঁচলে
    তুমি সুশীতল; অমর, অক্ষয়, অব্বয়।
    তোমার দুগ্ধঋণের কাতরতার উপবাসে আমি বড় নিঃস্ব; হতভাগা।
    কবি কি পারেন ? রহস্যের অপ্রকাশিত আকাশের নীলাভ নীলিমা দেখিয়ে দিতে ? বল "মা"।
    এমন ভালবাসার সুদৃঢ় ফারাক্কা বাঁধ আর কি হতে পারে ? বল - "মা"।
    তুমি অশ্বন্থের বেড়ে উঠা স্বপ্নের স্পন্দিত উম্মচন, শতাব্দীর উষ্ণ বীজ তলা।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    তুমি কেন কাঁধে তুলে নাও নিরন্তর উষর সময়ের দাহন।
    জীবনের কঠোর দরজা ঠেলে তুমি উঠে দাড়াও মা।
    জীবন নদী হলে, হৃদয় কি চির সবুজ হয় ? বল- মা।
    সভ্যতার দেহে জীবনের কি রং ছিটাও তুমি স্বপ্ন বুনে ?
    কোথায় গেলে পাব বল, এমন তৃষ্ণার জল, সু-উচ্চ বন্ধন।
    কল্পনার আরশিতে স্মৃতির শিশির চরম আহত বিলাপ তোলে।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    সমগ্র পৃথিবী জয় করে আমি তোমার চরণে তুলে দেব।
    তুমি চরণে ঠাই দিয়ো মা,
    মেঘ কি থেমে যায় অসহ ঝড়ের তাণ্ডবে ?
    কখন অসহ দহন মুখোমুখি দাড়ায় ?
    জীবন কি জানে প্রাচীন পৃথিবীর মত নদী বহমান।
    তুমি কি দেওয়ালের অপর পৃষ্টের জীবন উল্টিয়ে দ্যাখ ? বল -"মা"।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    তুমি চিরকাল দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আত্মায় বীরত্ব গাঁথা বুনে দাও।
    উচ্চ শিখরে উন্নত তোমার সম্মান, নক্ষত্রের ন্যায় চির উজ্জল ঐ হিমাদ্রির চোখে।
    তুমি বাক্যহীন কাব্য, নিসর্গের সমস্ত শরীর জুড়ে অসীম আনন্দ।
    তুমি অসীম, নীলাকাশের মত অসীম, বুকের পাঁজরে তোমার উদার ভালবাসা সীমাহীন।
    তোমার দুচোখে দেখেছি নদের দুকুল, বিস্তীর্ণ জীবনের পৃথিবী।
    তুমি চঞ্চল, বিহ্বল, ক্লান্তিহীন উচ্ছল রোদে বোধের আঁচল ।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    আত্মায় তোমার কাঁদা মাটির গন্ধ,
    জীবনে তোমার ঝিলের জলের শাপলা ফোঁটা পদ্ম ছায়ার সুবাস-মা।
    তুমি কেন নিঃশ্বাস ফেল ? দিবসের নিঃশব্দ বিদায়ে
    কি শব্দ আওড়াও আত্মায়, এতো অশ্রু কোথায় জমা তোমার -"মা"।
    নদের কোন সংযোগ কি আছে তোমার দুচোখে ?
    নদের মতই কি বহুদূর যেয়ে বাক নেয় জীবন তোমার বল "মা" ?
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    তুমি কি জীবন হতে তরুলতা হও, তরুলতা হতে নদী, নদী হতে জীবন।
    চিরদিন মানুষের পাঁজরে বহমান কোন পদ্মটি ফুটে রয় ?
    আত্মার ভীতর জেগে থাকে জীবনের প্রাচীন উৎসব।
    দহনের একান্ত অগ্নি; দুঃখের দীর্ঘ নদী কেন তোমার নিত্য সাথী, বল "মা"।
    তুমি কাব্য, কাব্য ফুল, শিমূল পারুলের রক্তিম লাল উল্লাস।
    বসন্তের চরণে আত্মসুখী কচি পাতার সুবাস।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    তুমি কোমল ফাগুনে চন্দন শুভ্র পুস্পের উল্লাস, সকল কাব্য শৈলীর সৃজিত বিন্যাস।
    জোছনা কি জানে মা, কুয়াশা কেন এতোটা শীর্ণ ?
    অশ্রুর বর্ষণে স্নিগ্ধ শিশির,মূর্ত গোলাপের দীর্ঘশ্বাসেও তুমি কেন হাস "মা"।
    চোখের দীঘিতে কেন আঁক শুষ্ক আত্মার দহন।
    দুঃখের বাদলে ভিজিয়ে সুখ লুকিয়ে কেন কাদলে মা ?
    অন্ধকারে প্রদীপ জ্বালিয়ে সুখের কপালে নীল জামা পরিয়ে দিলে তুমি, "মা"
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    বুকের বিপুল ব্যাথার মাঝে স্বর্গসম সুখ এঁকে দিলে, সূর্য ডোবা নীরব রক্তপাতের মতো, "মা"।
    কতো বসন্তের কোমল রোদ বিছিয়ে দিলে শীত আর গ্রীষ্মের উষ্ণ তাপে।
    কোন রহস্যে বিশ্বাসের বাঁকলে কেন আঁকলে মরা ফাগুণ।
    তৃষ্ণা জেগে উঠলে মরু ঝড়ের আদলে কেন আঁক সুখের বাদল।
    রোদকে ছুড়ে ফেলে বৃষ্টি কি মেঘের আঁচলে আত্মা ধোয় ? "মা"
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।

    তুমি সৃষ্টি আমি বিনাশ, আত্মার মর্মরে সৃষ্টের উল্লাস
    তুমি আত্মার অহংকার, শীতলতা, ত্রিশূলের বিশ্ব জোড়া হাসি, "মা"।
    আমার আত্মার শীতলতায় তোমায় বড্ড ভালবাসি "মা"।
    "মা"- "মা"- মাগো, তুমি জননী আমার।
 
Quantcast