বিপ্লব এবং সাম্রাজ্যবাদ
নোবেল জয়ী গান রচিয়তা 'বব ডিলান'-এর বান্ধবী বিপ্লবী 'জন বায়েজ' ডিলানের উপর অত্যন্ত মনক্ষুন্ন হয়ে 'To Bobby' নামের একটি শোক গান লিখেছিলেন। কারণ বব ডিলান গিটার, হার্প আর গলা বাজিয়ে যুদ্ধ বিরোধী যে বিপ্লবেকে ভাষা এবং সুর দিয়েছিলেন, সেই বিপ্লব তথাকথিত সাফল্য অর্জনের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পর একসময় তিনি নিজেই এসবের বিরুদ্ধে চলেযান। বন্ধুর এমন স্ববিরোধী মনোভাবে দুঃখ পেয়েছিলেন জন। জন বায়েজ আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন শিল্পী। বব ডিলান শোনার অনেক আগে আমি জন বায়েজের 'বাংলাদেশ' শুনে অসম্ভব বিস্মিত হয়েছিলাম মনে পরে। তার পর একের পর এক। অসাধারণ ভিব্রেটো আর দৃঢ় কণ্ঠে তীব্র আক্রমণ সাথে গিটার। সে যাই হোক, অনেকে বব ডিলানকে স্ববিরোধী একটু অন্যধরনের ভাবলেও আমার ধারণা ডিলান হয়তো একটা দারুন ছলনার বিষয় বুঝেছিলেন। হয়তো সেজন্যই ঝাঁকিয়ে কাঁধ বেরিয়ে এসেছিলেন।
বিপ্লববাদ আসলে সাম্রাজ্যবাদের এক মহা ধূর্ত চক্রান্ত। সাম্রাজ্যবাদ ব্যবসা বোঝে। তার নিজেদের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষদের প্রথমে নেপথ্যে প্রশ্রয় দেয়। তার পর খুব গোপনে তাদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। আর একথা তো চিরন্তন সত্য যে মানুষের মনে বিপ্লবের থেকে বেশি বিপ্লবী জনপ্রিয় হয় (মানে সুভাষ চন্দ্র বসু আজও সমান জনপ্রিয় কিন্তু আশ পাশ দেখে মনেহয়না তার আদর্শ ততোটা জনপ্রিয় আছে এখনো)। এর পর সাম্রাজ্যবাদি যখনই বুঝতে পারে উক্ত বিপ্লবী এবং তাঁকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনমত ব্যাপক ভাবে ক্ষতিকারক হয়ে পড়ছে পুঁজিবাদের জন্য তখনই বিপ্লবীকে খুব গোপনে অথবা প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় এবং স্টাইল আইকন হিসাবে পেশ করা হয় পৃথিবীর সামনে। তার ছবি লাগানো টি-শার্ট, টুপি, ঘড়ি, প্যান্ট, জুতো, মোজা ইত্যাদি দেদার বিকোয় মার্কেটে। সাম্রাজ্যবাদ মজা এবং টাকা দুটোই লুটে নিয়ে চলে যায়। তাঁদের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই হয়না যে জনমত এখনো অবসর সময়ে নীরব প্রতিবাদ জানায় এসব প্রোডাক্ট কিনে, বরং তাতে ব্যবসায় লাভ হয় ব্যাপক নিঃসন্দেহে। উদাহরণ দেওয়ার কিছু নেই। গুগুলে 'চে' এবং জন লেননের মতো নিহত হওয়া অনেক বিপ্লবীদের সম্পর্কে যথেষ্ট বলা আছে। তবে এই নিউ মিডিয়াও পুঁজিবাদী অর্থনীতির এক মহান স্তম্ভ। তাই প্রকট এর থেকে একটু প্রচ্ছন্ন বিষয় গুলোতে জোর দিয়ে পড়লেই দাবিটা আপনার কাছেও পরিষ্কার হয়ে যাবে বন্ধু। এক মহান ধূর্ত স্টাটিস্টিকাল চক্রান্ত। একজন যুদ্ধের ময়দানে বিপ্লব করেছিলেন তাই তাকে সেনা দিয়ে গুলি করে মারা হলো আর অন্যজন গানের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছিলেন তাই হঠাৎ একদিন এক পাগল সমর্থক তাকে নিছক গুলি করে মারলো।
পুঁজিবাদ এক অসামান্য শয়তানি চিন্তাধারা। তারা সব দিক বজায় রেখে খুব উঁচু মানের ব্যবসা করে। পরিবর্তে আরাম দেয়, পয়সা দেয়, মায়ার পৃথিবীতে বাস্তব স্বর্গ দেখায়। আসলে সাম্রাজ্যবাদ আমাদের রক্তে রন্ধ্রে শিরায় ভাইরাসের মতো ঢুকে বসে আছে। আজ আমরা প্রতিবাদও করি সাম্রাজ্যবাদের নিয়ম মতো, ঠিক তারা যেভাবে চায়, সেই মতো। কারণ আমরা বুঝে গেছি মরার পরে স্বর্গ বলে কিছু নেই তাই মরার আগেই আমাদের স্বর্গ অনুভব করতে হবে। ফেমাস হতে হবে। একারণেই ফরাসি বিপ্লব এর মাথা গুলো বা গাদ্দাফির মতো একদা বিপ্লবী রাজত্ব পেয়ে পুঁজিবাদী হয়ে নিজেই নিজেদের কবর খুঁড়েছিল।
প্রকৃত শান্তির কথা বলতে চাইছিনা, বললে হয়তো রেগে যেতে পারো। আসলে ভাবছিলাম একটা নতুন মতবাদের কথা। দেখো ভেবে, সময় যদি হয় ☺
বিপ্লববাদ আসলে সাম্রাজ্যবাদের এক মহা ধূর্ত চক্রান্ত। সাম্রাজ্যবাদ ব্যবসা বোঝে। তার নিজেদের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষদের প্রথমে নেপথ্যে প্রশ্রয় দেয়। তার পর খুব গোপনে তাদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। আর একথা তো চিরন্তন সত্য যে মানুষের মনে বিপ্লবের থেকে বেশি বিপ্লবী জনপ্রিয় হয় (মানে সুভাষ চন্দ্র বসু আজও সমান জনপ্রিয় কিন্তু আশ পাশ দেখে মনেহয়না তার আদর্শ ততোটা জনপ্রিয় আছে এখনো)। এর পর সাম্রাজ্যবাদি যখনই বুঝতে পারে উক্ত বিপ্লবী এবং তাঁকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনমত ব্যাপক ভাবে ক্ষতিকারক হয়ে পড়ছে পুঁজিবাদের জন্য তখনই বিপ্লবীকে খুব গোপনে অথবা প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় এবং স্টাইল আইকন হিসাবে পেশ করা হয় পৃথিবীর সামনে। তার ছবি লাগানো টি-শার্ট, টুপি, ঘড়ি, প্যান্ট, জুতো, মোজা ইত্যাদি দেদার বিকোয় মার্কেটে। সাম্রাজ্যবাদ মজা এবং টাকা দুটোই লুটে নিয়ে চলে যায়। তাঁদের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই হয়না যে জনমত এখনো অবসর সময়ে নীরব প্রতিবাদ জানায় এসব প্রোডাক্ট কিনে, বরং তাতে ব্যবসায় লাভ হয় ব্যাপক নিঃসন্দেহে। উদাহরণ দেওয়ার কিছু নেই। গুগুলে 'চে' এবং জন লেননের মতো নিহত হওয়া অনেক বিপ্লবীদের সম্পর্কে যথেষ্ট বলা আছে। তবে এই নিউ মিডিয়াও পুঁজিবাদী অর্থনীতির এক মহান স্তম্ভ। তাই প্রকট এর থেকে একটু প্রচ্ছন্ন বিষয় গুলোতে জোর দিয়ে পড়লেই দাবিটা আপনার কাছেও পরিষ্কার হয়ে যাবে বন্ধু। এক মহান ধূর্ত স্টাটিস্টিকাল চক্রান্ত। একজন যুদ্ধের ময়দানে বিপ্লব করেছিলেন তাই তাকে সেনা দিয়ে গুলি করে মারা হলো আর অন্যজন গানের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছিলেন তাই হঠাৎ একদিন এক পাগল সমর্থক তাকে নিছক গুলি করে মারলো।
পুঁজিবাদ এক অসামান্য শয়তানি চিন্তাধারা। তারা সব দিক বজায় রেখে খুব উঁচু মানের ব্যবসা করে। পরিবর্তে আরাম দেয়, পয়সা দেয়, মায়ার পৃথিবীতে বাস্তব স্বর্গ দেখায়। আসলে সাম্রাজ্যবাদ আমাদের রক্তে রন্ধ্রে শিরায় ভাইরাসের মতো ঢুকে বসে আছে। আজ আমরা প্রতিবাদও করি সাম্রাজ্যবাদের নিয়ম মতো, ঠিক তারা যেভাবে চায়, সেই মতো। কারণ আমরা বুঝে গেছি মরার পরে স্বর্গ বলে কিছু নেই তাই মরার আগেই আমাদের স্বর্গ অনুভব করতে হবে। ফেমাস হতে হবে। একারণেই ফরাসি বিপ্লব এর মাথা গুলো বা গাদ্দাফির মতো একদা বিপ্লবী রাজত্ব পেয়ে পুঁজিবাদী হয়ে নিজেই নিজেদের কবর খুঁড়েছিল।
প্রকৃত শান্তির কথা বলতে চাইছিনা, বললে হয়তো রেগে যেতে পারো। আসলে ভাবছিলাম একটা নতুন মতবাদের কথা। দেখো ভেবে, সময় যদি হয় ☺
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/১১/২০১৯সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/১১/২০১৯ভালো লাগলো।