আমার বইমেলা
একদিন আর একবার বইমেলায় ঘুরলেই যেন মন ভরে না। বারবার ঘুরতে ইচ্ছে হয়। তাই,এবারের বইমেলায় কয়েকবার যাওয়ার ইচ্ছে হলো। কুমিল্লা থেকে গেলাম ঢাকায়, উঠলাম বড় মামার বাসায়। মামার বাসা বেশ বড়, থাকে মাত্র তিনজন; মামা-মামি আর ছোট্ট মামাতো বোন, ‘অবন্তিকা’ নাম তার। দেখলেই খুব আদর করতে ইচ্ছে করে। এবার যেন সে অন্যরকম, আমার কাছে আসছে না। ভেবেছিলাম, ও কাছে এলে ওর জন্য আনা খেলনাটা ব্যাগ থেকে বের করে ওর হাতে দিব। কিন্তু তা আর হল না, ও কাছে আসছে না। রাগ করল কিনা বুঝতে পারছি না।
ওর কাছে নিজেই গেলাম, বললাম, ‘তোমার জন্য দারুন একটি খেলনা এনেছি, নিবে?’
ও বলল, ‘কী খেলনা দিবে?’
আমি বলি‘আগে বলো, তোমাকে যা বলেছিলাম তা করছ তো?’
ও চোখ বড় করে বলে ‘কী,বলেছিলে?’
‘তোমাকে নাচ-গান শিখতে বলেছিলাম। ভালো করে পড়াশুনো করতে বলেছিলাম। মনে নেই তোমার?’
‘তুমি আগে শিখো, তারপর আমাকে বোলো, বুঝছ?’
পিচ্চি মেয়েটি কী যে তর্ক করতে শিখেছে, আমাকেই হার মানতে হয়।
নরম স্বরে বললাম, ‘আচ্ছা আমিই আগে শিখব। এখন আমার সাথে একটি রবীন্দ্রসংগীত গাইবে?’
ও মাথা নেড়ে বলে,‘না,এই গান না। মাইকেল জ্যাকসনের গান হোক। তুমি নাচো,আমি গাই।’
এবার আরও নরম স্বরে বললাম, ‘থাক,আর গান গাইতে হবে না। চলো,ছাদে উঠি। আকাশ দেখি, পাখিও দেখা যাবে। দেখবে?’
‘না। এখন না। অনেক রোদ এখন। ত্বকের ক্ষতি হবে।’
এতটুকুন মেয়ের কী রূপচর্চা! নিজেই অবাক হই।
‘আচ্ছা, ঠিক আছে। ছাদে যেতে হবে না। আমার সাথে বইমেলায় যাবে? তোমাকে ছড়ার বই কিনে দিব।’
‘খুব গরম পড়ছে বাইরে, আমার সহ্য হবে না। তুমি যাও। আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে এসো, প্লিজ।’
‘কতদিন পর তোমাদের বাসায় এলাম, তুমি এমন করবে আমার সাথে! শুধু কম্পিউটার নিয়েই থাকবে?’
ও তবু কম্পিউটারে গেম খেলতে ব্যস্ত। ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ও ভ্রুক্ষেপও করছে না। আমি ওকে খেলনাটা বের করে দেই। তারপর ওর কাছ থেকে চলে আসি।
কিছুক্ষণ পর বইমেলায় যাই। মাথার ওপর রোদের উত্তাপ কড়া থেকে মিষ্টি হয়ে আসে। অনেকরকম বই দেখি। কিছু বই কিনি। আর কিনি আইসক্রিম। গলতে থাকা আইসক্রিম নিয়ে ফিরতে থাকি মামার বাসায়।
বইমেলা এলেই ঢাকায় না এসে পারি না। তবে একদিন ঘুরলেই মন ভরে না। বারবার যেতে ইচ্ছে করে। আর বলতে ভালো লাগে, কম্পিউটারের চেয়ে বইমেলার আনন্দ অনেক অনেক বেশি। এই আনন্দ হৃদয় স্পর্শ করে, মন ছুঁয়ে যায়। এই আনন্দ শুধু বইমেলাতেই পাওয়া যায়।
ওর কাছে নিজেই গেলাম, বললাম, ‘তোমার জন্য দারুন একটি খেলনা এনেছি, নিবে?’
ও বলল, ‘কী খেলনা দিবে?’
আমি বলি‘আগে বলো, তোমাকে যা বলেছিলাম তা করছ তো?’
ও চোখ বড় করে বলে ‘কী,বলেছিলে?’
‘তোমাকে নাচ-গান শিখতে বলেছিলাম। ভালো করে পড়াশুনো করতে বলেছিলাম। মনে নেই তোমার?’
‘তুমি আগে শিখো, তারপর আমাকে বোলো, বুঝছ?’
পিচ্চি মেয়েটি কী যে তর্ক করতে শিখেছে, আমাকেই হার মানতে হয়।
নরম স্বরে বললাম, ‘আচ্ছা আমিই আগে শিখব। এখন আমার সাথে একটি রবীন্দ্রসংগীত গাইবে?’
ও মাথা নেড়ে বলে,‘না,এই গান না। মাইকেল জ্যাকসনের গান হোক। তুমি নাচো,আমি গাই।’
এবার আরও নরম স্বরে বললাম, ‘থাক,আর গান গাইতে হবে না। চলো,ছাদে উঠি। আকাশ দেখি, পাখিও দেখা যাবে। দেখবে?’
‘না। এখন না। অনেক রোদ এখন। ত্বকের ক্ষতি হবে।’
এতটুকুন মেয়ের কী রূপচর্চা! নিজেই অবাক হই।
‘আচ্ছা, ঠিক আছে। ছাদে যেতে হবে না। আমার সাথে বইমেলায় যাবে? তোমাকে ছড়ার বই কিনে দিব।’
‘খুব গরম পড়ছে বাইরে, আমার সহ্য হবে না। তুমি যাও। আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে এসো, প্লিজ।’
‘কতদিন পর তোমাদের বাসায় এলাম, তুমি এমন করবে আমার সাথে! শুধু কম্পিউটার নিয়েই থাকবে?’
ও তবু কম্পিউটারে গেম খেলতে ব্যস্ত। ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ও ভ্রুক্ষেপও করছে না। আমি ওকে খেলনাটা বের করে দেই। তারপর ওর কাছ থেকে চলে আসি।
কিছুক্ষণ পর বইমেলায় যাই। মাথার ওপর রোদের উত্তাপ কড়া থেকে মিষ্টি হয়ে আসে। অনেকরকম বই দেখি। কিছু বই কিনি। আর কিনি আইসক্রিম। গলতে থাকা আইসক্রিম নিয়ে ফিরতে থাকি মামার বাসায়।
বইমেলা এলেই ঢাকায় না এসে পারি না। তবে একদিন ঘুরলেই মন ভরে না। বারবার যেতে ইচ্ছে করে। আর বলতে ভালো লাগে, কম্পিউটারের চেয়ে বইমেলার আনন্দ অনেক অনেক বেশি। এই আনন্দ হৃদয় স্পর্শ করে, মন ছুঁয়ে যায়। এই আনন্দ শুধু বইমেলাতেই পাওয়া যায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০১/০৬/২০১৭এক উজ্জল উপস্থাপন।
-
জয়শ্রী রায় মৈত্র ২৭/০৫/২০১৭নতুন প্রজন্মের কাছে বইমেলা এবং বই পড়া ধীরে ধীরে হয়তঃ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে । তবুও আমাদের হৃদয়ে বিরাজ করবে বইমেলা এবং বই পড়া । লেখককে ধন্যবাদ গল্পের মাধ্যমে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য । লেখকের প্রতি রইল শুভকামনা ।
-
সাঁঝের তারা ২৪/০৫/২০১৭বেশ ভাল...