হিংসা
নির্মলা বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। কাল সারা রাত তার উপর ধকল গিয়েছে। প্রায় রাতই তাকে এভাবে নির্ঘুম কাটাতে হয়। তার এতে অভিযোগ নেই। অন্যের সুখেই তার সুখ; সুখের পায়রা উড়তে দেখলে তার খুব আনন্দ হয়। তার একটু দুঃখ হয়, সকাল সকাল উঠে যদি কাজলকে নাস্তা বানিয়ে দিতে পারত, কিন্তু এই শরীর নিয়ে উঠতে পারল না। কাজল কাল কেমন যেন হয়ে উঠেছিল; বাইরে প্রচন্ড ঝড়, তার ভেতরে জেগে উঠল আদিম পিপাশা, নাছোড়বান্দা এক যুবক সাগরের গর্জনে বালুকাময় তীরে প্রচন্ড আঘাত হানল। নির্মলা আনন্দে বিহ্বল, তার প্রাণপুরুষকে এমন চিত্তচাঞ্চল্যে ভরপুর দেখে। নির্মলা এখনও শিহরিত, এভাবে কাজল থাকুক, তার বুকে সারা রাতের সুখগুলো জমতে থাকুক। কাজল চলে গেল, অফিস খানিকটা দূরে বলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায় সে। দরজায় আবার কড়া নাড়ার শব্দ হয়। কাজল কি তবে আবার ফিরে এসেছে। অগোছালো নির্মলা দরজা খুলে, একটু অবাক হয়, তারপর প্রচন্ড! কাজল নয়, কাজলের কলিগ, এই সময়ে! মেয়েটি কাজলের সঙ্গে একই অফিসে পাশাপাশি কাজ করে, নাম তার শোযানা। নির্মলা খানিকটা ব্যতিব্যস্ত হয়ে নিজের শরীরে জড়িয়ে থাকা কাপড়গুলো ঠিক করতে থাকে। শোযানা ভেতরে আসে। নির্মলা একটু সময় নিয়ে ওয়াশ রুমে যায়, নিজেকে আয়নায় দেখে।
আঃ, কী ভাবছে শোযানা, তার গালে, ঠোটে, পরনের কাপড়ে কালকের ঝড় আর প্রলয়খন্ডের স্পষ্ট চিহ্ন, ভারী লজ্জা হয় তার।
শোযানা বসার রুমে প্রথমে বসলেও তারপর সারা ঘরে হেঁটে বেড়ায়। শোযানার যৌবন ধাক্কা খায়, এত প্রগাঢ়, এত গভীরতা তাদের ভালোবাসায়। ভালোবাসা না ছাই, পুরুষ কী আর ভালোবাসে, শরীর, তবে কী তার শরীর নেই, প্রশ্নে বিদ্ধ হয় নিজেই। আক্রোশে ফেটে পড়ে। উলট পালট করতে থাকে নির্মলার রাতের অভিসার। বিছানায় নিজেকে বিছিয়ে দেয়, ভাবে এই বুঝি কাজল এল; ঝড় উঠবে, প্রচন্ড বেগে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। কিন্তু, এই নির্মলা তা হতে দেবে না। নির্মলাকে সে আজ দেখাবে ঝড়ের পরে কী হয়।
ঝড়ের অস্থির উন্মত্ততায় সব যেমন আলোড়িত হয়, ঠিক তারপরই সবকিছু নিমিষে নীরব নিথর হয়ে যায়। নির্মলার আর সাড়া নেই। একটি শরীর হয়ে পড়ে আছে। নির্মলার দিকে তাকিয়ে আছে শোযানা। শোযানার বুকফাটা কল্লোল ধনি। এ সে কী করল। সবকিছু থেমে যায়। মৃত্যুই কি সবকিছুর সমাধান! সময় টিক টিক করে এগুতে থাকে। নির্মলার রক্ত বয়ে চলে মেঝের উপর।
আঃ, কী ভাবছে শোযানা, তার গালে, ঠোটে, পরনের কাপড়ে কালকের ঝড় আর প্রলয়খন্ডের স্পষ্ট চিহ্ন, ভারী লজ্জা হয় তার।
শোযানা বসার রুমে প্রথমে বসলেও তারপর সারা ঘরে হেঁটে বেড়ায়। শোযানার যৌবন ধাক্কা খায়, এত প্রগাঢ়, এত গভীরতা তাদের ভালোবাসায়। ভালোবাসা না ছাই, পুরুষ কী আর ভালোবাসে, শরীর, তবে কী তার শরীর নেই, প্রশ্নে বিদ্ধ হয় নিজেই। আক্রোশে ফেটে পড়ে। উলট পালট করতে থাকে নির্মলার রাতের অভিসার। বিছানায় নিজেকে বিছিয়ে দেয়, ভাবে এই বুঝি কাজল এল; ঝড় উঠবে, প্রচন্ড বেগে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। কিন্তু, এই নির্মলা তা হতে দেবে না। নির্মলাকে সে আজ দেখাবে ঝড়ের পরে কী হয়।
ঝড়ের অস্থির উন্মত্ততায় সব যেমন আলোড়িত হয়, ঠিক তারপরই সবকিছু নিমিষে নীরব নিথর হয়ে যায়। নির্মলার আর সাড়া নেই। একটি শরীর হয়ে পড়ে আছে। নির্মলার দিকে তাকিয়ে আছে শোযানা। শোযানার বুকফাটা কল্লোল ধনি। এ সে কী করল। সবকিছু থেমে যায়। মৃত্যুই কি সবকিছুর সমাধান! সময় টিক টিক করে এগুতে থাকে। নির্মলার রক্ত বয়ে চলে মেঝের উপর।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তরীকুল ইসলাম সৈকত ২০/০৫/২০১৭দারুন ছিল।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৭/০৫/২০১৭ভালো।
-
আলম সারওয়ার ১৭/০৫/২০১৭অসাধারণ গল্প