কবিতার গল্প
মনীষা খেপে গিয়ে একটি নয়, অনেকগুলো কথা বলেই ক্ষান্ত হলো না, সে হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে লাগল, কেন তার কথা শুনল না, কেনই বা তার কথা ভুলে গিয়ে নির্জল তাকে ফেলে চলে এল। রাত একটা হবে তখন, কোনও বীরপুরুষ এমন রাতে তার স্ত্রীকে একা ফেলে চলে আসে? না, কাপুরুষরা আসে, তুমি একটা কাপুরুষ ছাড়া কিছুই নও। নির্জলের কথা বলার সুযোগ ছিল না, এমনকি সে কোনোরকম সুযোগের সদ্ব্যবহারও করল না। এভাবে সবরকমের শ্লেষাত্মক বাক্যের তীর এসে তার দেহ-মনকে বেশ বিক্ষিপ্ত করে তুলল, সে থামানোর চেষ্টা না করে ক্ষমা চাইল, সে এই সংসারের কাছে ক্ষমা চাইল। মনীষা ঠিক তখনই ব্যাগ গোছাতে আরম্ভ করল, সে অযথাই আরও বাড়িয়ে নিল ব্যাপারটাকে, কোথায় যাবে মনীষা! মনীষা আচমকা কথা বন্ধ করে কোনো আগ-পিছ না ভেবে দরজা খুলে বের হয়ে এল, এই মুহূর্তের ঘটনাটি এত তড়িৎ-গতিতে ঘটে যেতে লাগল, সবকিছু থমকে গেল। নির্জলের গলায় কয়েকবার ঢোক গেলার শব্দ, মনীষার এহেন আচরণে সে রীতিমত থতমত হয়ে কোনো কূলকিনারা পেল না এই মধ্যরাতে কোথায় যাবে মেয়েটি। পিছু পিছু যাওয়ার মতো চিন্তাশক্তি লোপ পেল তার, মনীষার হনহন করে বড়সড় একটা ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাওয়ার মাঝে কী এমন খুঁজছিল, ঠিক এমন সময় হুইসেল বেজে উঠল, প্রহরীর গর্জন।
টানা দুইদিন মনীষার কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না, কেউ কোথাও নেই এমন অবস্থা নিয়ে দিনগুলো চলছে নির্জলের। রাতের বেলা কোনোভাবেই সে যেতে চায়নি সেখানে, তবু একপ্রকার জোর করে মনীষার কারণেই যেতে হলো। রাত যত গভীর হচ্ছিল, নির্জল কেমন যেন হয়ে উঠল, সে আর সহ্য করতে পারছিল না কিছুই। তারপরে যা হওয়ার তাই হলো। মনীষাকে একা ফেলেই ছুটে চলে এল ঘরে। কিছু একটা লিখতে বসেছে নির্জল। কবিতা লেখার ঝোঁকটা তাকে ছেড়ে যায়নি, এমন একটা কঠিন সময়ে দিব্যি কবিতার লাইনকে একটার পর একটা সাজাতে লাগল। ঠিক এমন সময়ে যে এল তাকেই সে চিন্তা করছিল এতক্ষণ, তার নাম আর রূপ নিয়ে সে বিভোর হয়েছিল অনেকক্ষণ, কবিতাটাও তাকে নিয়ে লেখা হচ্ছিল। চুলগুলো বেশ ভেজা ভেজা, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির ফোটা ফোটা জল ছাতার ভেতরে যে ঢুকবে সেটা জেনেও কিন্তিভা ঠিক এই ছাতাটি নিয়েই আবার বের হলো। ভেজা চুলে কিন্তিভাকে এত অদম্য এক ছন্দময় ঢেউয়ের উজানে ভেসে আসা কোনো মৎসকুমারী বলে কেউ বিদেশীনী ভাবলে ভুল করবে, সে যে কিন্তিভা, সে কোনো এক গাঁয়ের মেয়ে যার বিয়ে হচ্ছিল না কোনো এক কলঙ্কের দায়ে। তাই সে শহরের এক চার্চে এসে নিজের জন্ম-ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে নতুন নাম নিল, কিন্তিভা। সেই কিন্তিভার সঙ্গে আলাপ করতে করতেই কখন যে দরজা খুলে গেল, অগ্নিমুখে মনীষা যা তা করে গেল তার সঙ্গে, তারপর সবকিছু নিথর। মনীষা নেই, কিন্তিভাও কোথায় যেন লুকিয়ে গেল চুপিসারে
টানা দুইদিন মনীষার কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না, কেউ কোথাও নেই এমন অবস্থা নিয়ে দিনগুলো চলছে নির্জলের। রাতের বেলা কোনোভাবেই সে যেতে চায়নি সেখানে, তবু একপ্রকার জোর করে মনীষার কারণেই যেতে হলো। রাত যত গভীর হচ্ছিল, নির্জল কেমন যেন হয়ে উঠল, সে আর সহ্য করতে পারছিল না কিছুই। তারপরে যা হওয়ার তাই হলো। মনীষাকে একা ফেলেই ছুটে চলে এল ঘরে। কিছু একটা লিখতে বসেছে নির্জল। কবিতা লেখার ঝোঁকটা তাকে ছেড়ে যায়নি, এমন একটা কঠিন সময়ে দিব্যি কবিতার লাইনকে একটার পর একটা সাজাতে লাগল। ঠিক এমন সময়ে যে এল তাকেই সে চিন্তা করছিল এতক্ষণ, তার নাম আর রূপ নিয়ে সে বিভোর হয়েছিল অনেকক্ষণ, কবিতাটাও তাকে নিয়ে লেখা হচ্ছিল। চুলগুলো বেশ ভেজা ভেজা, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির ফোটা ফোটা জল ছাতার ভেতরে যে ঢুকবে সেটা জেনেও কিন্তিভা ঠিক এই ছাতাটি নিয়েই আবার বের হলো। ভেজা চুলে কিন্তিভাকে এত অদম্য এক ছন্দময় ঢেউয়ের উজানে ভেসে আসা কোনো মৎসকুমারী বলে কেউ বিদেশীনী ভাবলে ভুল করবে, সে যে কিন্তিভা, সে কোনো এক গাঁয়ের মেয়ে যার বিয়ে হচ্ছিল না কোনো এক কলঙ্কের দায়ে। তাই সে শহরের এক চার্চে এসে নিজের জন্ম-ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে নতুন নাম নিল, কিন্তিভা। সেই কিন্তিভার সঙ্গে আলাপ করতে করতেই কখন যে দরজা খুলে গেল, অগ্নিমুখে মনীষা যা তা করে গেল তার সঙ্গে, তারপর সবকিছু নিথর। মনীষা নেই, কিন্তিভাও কোথায় যেন লুকিয়ে গেল চুপিসারে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
চোখের আলোয়_সম্পূর্ণা ০৪/০৪/২০১৫ভালো লেগেছে ...
-
আসাদুজ্জামান তালুকদার শাকিল ০৪/০৪/২০১৫অসাধারন । আমার খুব ভালো লেগেছে কবি ।
-
তরুন ইউসুফ ০২/০৪/২০১৫বেশ লাগল
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ০২/০৪/২০১৫আরো গ্ল্প চাই।
-
উদ্বাস্তু নিশাচর ০২/০৪/২০১৫বাহ ভালো গদ্যকাব্য