ভাবুকের খেরোখাতা-২
আমি যা ভাবি সেগুলো টুকে রাখি,
আমার অধিকাংশ কথা আপনার সাথে দ্বিমত।
১.
বন্দুক আর বন্ধু দুটোই অনিয়ন্ত্রিত অগ্নোয়াস্ত্র,
বন্দুক বুলেট ছুড়ে বুক ঝাঝরা করে আর বন্ধু দুর্বলতায় আঘাত করে।
বন্ধুদের সাথে গোপন কথা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন;
পিস্তল যেমন নিরলস সার্ভিস দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে তেমনি সেটা নিজের উপর চালালে আপনার মৃত্যুটাও সহজ করে দিবে।
সো কেয়ারফুল!
২.
যারা জন্মগত পুঁজিবাদী তাদের নেতা বানানো উচিত নয় বা তাদের পিছে গরীবদের থাকাটাও গোলামী।
পুঁজিবাদীরা কখনো অর্থের অভাব বুঝতে পারেনা,
তারা অনুভব করতে ব্যর্থ যে- একজন শ্রমিক সারাদিন পরিশ্রম করে যখন রিক্ত হস্তে ঘরে ফিরেন তার মনের ভাবটা কি রকম হয়;
যারা গরীবের অভাব অনুভব করতে অক্ষম তারা আসলে জোঁক কোনো জনদরদী নেতা ফেতা নয়।
আশার কথা এই যে গরীব মানুষ গরীব নেতা পছন্দ করেনা।
ফলে, যে দুয়েকজন গরীব প্রতিবাদী রক্তচোষা জোঁকের মুখে লবণ দেওয়ার সাহস করে;
তাদের পদদলিত করে শত শত গরীব লোকজন জোঁকের রক্ত পিপাসা মিটাতে পা বাড়িয়ে দেয়।
৩.
মানবধিকার ও নারী অধিকারের মুল উদ্দেশ্য কি?
-ফুটপাতে ক্ষুধায় কাতর শিশু, পতিতা মা চৌরাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে খদ্দর খুঁজে জায়গা আছে যাবেন ৩০০ দিলেই চলবে!
টিভিতে দেখি সুশীলরা হিজিবিজি ঘটনা হাইলাইট করে শীতার্তদের অনুভুতি জানতে চায়;
আমাদের শান্তনার শেষবানী….
গৃহহীন ফুটপাতী-টোকাই আর অভাবী পতিতাদের সুস্হ্য জীবনে ফেরানোর আগেই বঙ্গবন্ধু খুন হয়ে গেছে।
৪.
বৈধ কায়দায় জন্ম দিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে,
গাড়ী-বাড়ী আর উন্নত চাকুরীর ব্যবস্হায় সন্তানের যথেষ্ট সুখ-আহ্লাদের নিদর্শন তৈরী করলেই পারফেক্ট বাবা-মা হওয়া যায় না।
পারফেক্ট বাবা-মা হতে গেলে পরকীয়া ছাড়তে হয়, বুঝছো মমিন।
৫.
আমি চাই
শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আরও বাড়ুক!
কারন ডিগ্রীধারীরা ক্ষেতের কাজ করতে চায় না সবাই চাকুরীর জন্য ছুটে;
চাকুরী না পেয়ে একদিন শিক্ষিতরা-
অশিক্ষিতদের সাথে কৃষকের হাল ধরবে তখন পেঁয়াজ চড়াদামে কিনতে হবেনা কৃষিখাতে বিপুল উৎপাদন ঘটবে।
(যেসব শিক্ষিত বেকারদের পৈত্রিক চাষযোগ্য পর্যাপ্ত জমি আছে ইহা তাদের থেরাপী)
৬.
মানবিক হউন,
অকারনে বাসস্টাফ আর বেওয়ারিশ কুকুরকে আঘাত করবেন না।
কুকুরকে আঘাত করে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন আপনার আঘাতে কুকুরটা অন্য কাউকে কামড় দিলেও লোকটা বেঁচে যাবে।
বাসস্টাফদের আঘাত করলে রক্ষা নেই;
বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সোজা গর্তে!
৭.
ধৈর্য সম্পর্কে ধর্মের সুন্দর সুন্দর বানী থাকার পরেও অনাকাঙ্খিত ধর্মযুদ্ধ রক্ষক্ষয়ী ক্রুসেড সৃষ্টির ইতিহাস পড়লে মনে হয়,
পৃথিবীর ধর্মযোদ্ধারা ভুল ছিলো উভয়ে ধৈর্যের বাহিরের যুদ্ধ করে পৃথিবী অশান্ত রেখেছিলো কয়েকশ বছর।
৮.
সৃষ্টার কাছে সৃষ্টি দুর্বল-
সৃষ্টির সেরা জীবেরা,
ভয়ংকর ভয়ংকর শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র তৈরী করছে কারন:
কেয়ামতের আগে নিজেরাই তা ব্যবহার করে শিঙাধারী ফেরেশতাদের পৃথিবী ধ্বংসের কাজটা সহজ করে দিবে।
৯.
“আমরা করবো জয় নিশ্চয়”
-কিভাবে?
এইতো মা/বাবা পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে দিচ্ছে।
১০.
বাঙালী আইন মানেনা।
যখন বিপদে পড়েন তখন আইনের আশ্রয় নেন,
সমস্যা তা নয়;
সমস্যা হলো,
যারা দেশের মঙ্গল কামনা করেন মঞ্চে শ্লোগানে দেশকে ইউরোপ আমেরিকা কিংবা সিংঙ্গাপুরের কাতারে দেখতে চান আবার তারাই দেশের অরাজকতা বন্ধ করতে আইনের সংস্কার পছন্দ করেনা।
আমার অধিকাংশ কথা আপনার সাথে দ্বিমত।
১.
বন্দুক আর বন্ধু দুটোই অনিয়ন্ত্রিত অগ্নোয়াস্ত্র,
বন্দুক বুলেট ছুড়ে বুক ঝাঝরা করে আর বন্ধু দুর্বলতায় আঘাত করে।
বন্ধুদের সাথে গোপন কথা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন;
পিস্তল যেমন নিরলস সার্ভিস দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে তেমনি সেটা নিজের উপর চালালে আপনার মৃত্যুটাও সহজ করে দিবে।
সো কেয়ারফুল!
২.
যারা জন্মগত পুঁজিবাদী তাদের নেতা বানানো উচিত নয় বা তাদের পিছে গরীবদের থাকাটাও গোলামী।
পুঁজিবাদীরা কখনো অর্থের অভাব বুঝতে পারেনা,
তারা অনুভব করতে ব্যর্থ যে- একজন শ্রমিক সারাদিন পরিশ্রম করে যখন রিক্ত হস্তে ঘরে ফিরেন তার মনের ভাবটা কি রকম হয়;
যারা গরীবের অভাব অনুভব করতে অক্ষম তারা আসলে জোঁক কোনো জনদরদী নেতা ফেতা নয়।
আশার কথা এই যে গরীব মানুষ গরীব নেতা পছন্দ করেনা।
ফলে, যে দুয়েকজন গরীব প্রতিবাদী রক্তচোষা জোঁকের মুখে লবণ দেওয়ার সাহস করে;
তাদের পদদলিত করে শত শত গরীব লোকজন জোঁকের রক্ত পিপাসা মিটাতে পা বাড়িয়ে দেয়।
৩.
মানবধিকার ও নারী অধিকারের মুল উদ্দেশ্য কি?
-ফুটপাতে ক্ষুধায় কাতর শিশু, পতিতা মা চৌরাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে খদ্দর খুঁজে জায়গা আছে যাবেন ৩০০ দিলেই চলবে!
টিভিতে দেখি সুশীলরা হিজিবিজি ঘটনা হাইলাইট করে শীতার্তদের অনুভুতি জানতে চায়;
আমাদের শান্তনার শেষবানী….
গৃহহীন ফুটপাতী-টোকাই আর অভাবী পতিতাদের সুস্হ্য জীবনে ফেরানোর আগেই বঙ্গবন্ধু খুন হয়ে গেছে।
৪.
বৈধ কায়দায় জন্ম দিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে,
গাড়ী-বাড়ী আর উন্নত চাকুরীর ব্যবস্হায় সন্তানের যথেষ্ট সুখ-আহ্লাদের নিদর্শন তৈরী করলেই পারফেক্ট বাবা-মা হওয়া যায় না।
পারফেক্ট বাবা-মা হতে গেলে পরকীয়া ছাড়তে হয়, বুঝছো মমিন।
৫.
আমি চাই
শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আরও বাড়ুক!
কারন ডিগ্রীধারীরা ক্ষেতের কাজ করতে চায় না সবাই চাকুরীর জন্য ছুটে;
চাকুরী না পেয়ে একদিন শিক্ষিতরা-
অশিক্ষিতদের সাথে কৃষকের হাল ধরবে তখন পেঁয়াজ চড়াদামে কিনতে হবেনা কৃষিখাতে বিপুল উৎপাদন ঘটবে।
(যেসব শিক্ষিত বেকারদের পৈত্রিক চাষযোগ্য পর্যাপ্ত জমি আছে ইহা তাদের থেরাপী)
৬.
মানবিক হউন,
অকারনে বাসস্টাফ আর বেওয়ারিশ কুকুরকে আঘাত করবেন না।
কুকুরকে আঘাত করে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন আপনার আঘাতে কুকুরটা অন্য কাউকে কামড় দিলেও লোকটা বেঁচে যাবে।
বাসস্টাফদের আঘাত করলে রক্ষা নেই;
বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সোজা গর্তে!
৭.
ধৈর্য সম্পর্কে ধর্মের সুন্দর সুন্দর বানী থাকার পরেও অনাকাঙ্খিত ধর্মযুদ্ধ রক্ষক্ষয়ী ক্রুসেড সৃষ্টির ইতিহাস পড়লে মনে হয়,
পৃথিবীর ধর্মযোদ্ধারা ভুল ছিলো উভয়ে ধৈর্যের বাহিরের যুদ্ধ করে পৃথিবী অশান্ত রেখেছিলো কয়েকশ বছর।
৮.
সৃষ্টার কাছে সৃষ্টি দুর্বল-
সৃষ্টির সেরা জীবেরা,
ভয়ংকর ভয়ংকর শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র তৈরী করছে কারন:
কেয়ামতের আগে নিজেরাই তা ব্যবহার করে শিঙাধারী ফেরেশতাদের পৃথিবী ধ্বংসের কাজটা সহজ করে দিবে।
৯.
“আমরা করবো জয় নিশ্চয়”
-কিভাবে?
এইতো মা/বাবা পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে দিচ্ছে।
১০.
বাঙালী আইন মানেনা।
যখন বিপদে পড়েন তখন আইনের আশ্রয় নেন,
সমস্যা তা নয়;
সমস্যা হলো,
যারা দেশের মঙ্গল কামনা করেন মঞ্চে শ্লোগানে দেশকে ইউরোপ আমেরিকা কিংবা সিংঙ্গাপুরের কাতারে দেখতে চান আবার তারাই দেশের অরাজকতা বন্ধ করতে আইনের সংস্কার পছন্দ করেনা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম আলমগীর হোসেন ২৬/০১/২০২০খুবিই ভাল
-
আসিফ খন্দকার ২৪/০১/২০২০ভালো লেগেছে
-
ইবনে মিজান ১৬/০১/২০২০শুভকামনা
-
কল্পনা বিলাসী ২৫/১২/২০১৯ধন্যবাদ, অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
আমার পেজে ঘুরে আসতে পারেন।
https://www.bangla-kobita.com/salmaety/post20141106061709/ -
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/১২/২০১৯লিখতে থাকুন। তবে আইনের মধ্যে থেকেই লিখতে হবে।