www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

💚 আপন চোখে নিজ মুখ যায় না তব দেখা 💚

@ আপন চোখে নিজ মুখ যায় না তব দেখা @
================================

কপালের নীচে নাক আর নাকের দুপাশে দুটি কাজল কালো চোখ । আর এই দুই চোখ দিয়ে সারা বিশ্বকে আমরা দেখি প্রাণ ভরে। ব্যতিক্রম শুধু নিজের মুখ।হায়রে ,যে ধারণ করলো তোমায়,তাকেই দেখোনা তুমি অথচ যা তোমার সামনেই কত অবজ্ঞায় !তবুও তোমাকে জড়িয়ে রেখেছে ধরে সে।বিধাতার কি আশ্চর্য সৃষ্টিলীলা!!
.
কিন্তু প্রশ্নটা আসে বিধাতা এমনটা করল কেনো?
আপনি হয়তো বলবেন আরে তাছাড়া তো "আয়না" আবিষ্কার হতো না!কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত আয়না(মিরর) আবিষ্কার না হলেই ভালো হতো।হয়তো বলবেন একি বলেরে বাবা , মূর্খের মতো,আপনি কি খুব বিশ্রী দেখতে নাকি? হ্যাঁ হতে পারে !কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজবেও না আবার পুড়বেও না, আমি আমার ধারনা থেকে একচূলও নড়ছিনা। বিধাতা হয়তো চায়নি যে আমরা নিজের মুখটা নিজে দেখতে পায়।প্রশ্ন জাগছে,কেনো বিধাতা এমন ভাববে? উত্তরটা দেওয়ার আগে একটা প্রশ্ন রাখছি,কণিষ্কের মুন্ডুহীন ছবিটা দেখেছেনতো? ইতিহাসের পাতায় যখন কণিষ্কের ছবিটা দেখি তখন তাঁর সমন্ধে আমাদের কোনো ধারনা বা অনুভূতি আসে কি? সব কিছু থাকার সত্বেও শুধুমাত্র মুন্ডুটা না থাকার কারনে একটা অসম্পুর্নতা বিরাজ করে। ঠিক সেই কারনেই সৃষ্টিকর্তা আমাদের মুন্ডুসহ নিজের মুখটা নিজেকে দেখতে দিতে চাননি ।কারন মুখ হল এমনই একটি অঙ্গ যেটা দেখে আমরা নিজের মনের কাছে দাম্ভিকতা বা বিমর্ষতা প্রকাশ করি।যার ফলস্বরূপ আমাদের মুখছবিটা অন্যের মুখের সাথে তুলনা করি এবং অন্যের চেয়ে ভালো হলে দাম্ভিকতায় ভুগি আর খারাপ হলে বিমর্ষতায় ভুগি।কিন্তু নিজের মুখটা জন্মেও কোনোদিন না দেখলে এই ধরনের সমস্যাগুলো কোনো দিনই আসতো না।আমি সুন্দর বলে দম্ভ বা আমি কুৎসিত বলে সারাটা জীবন মনের গভীরে দুঃর্খটার কোনো স্থান হতো না। তাহলে ভালো হতো না কি? একটু ভেবে দেখবেন।
.

মুখমন্ডলের মধ্যে চোখ থাকলেও যেমন ওই চোখ মুখটাকে কোনো দিনই দেখতে পায়না। মুখটাকে দেখতে হলে আয়নার সাহায্য নিতে হয়। আর আয়না না থাকলে অন্যকে জিজ্ঞেস করি চোখে সান গ্লাসটা পরে কেমন দেখতে লাগছে আমায় ?খুব অবাক রকম অনুভূতি।অনেকটা বোকা বোকা প্রশ্ন! চোখেই চশমা অথচ অন্যকে জিজ্ঞেস করতে হচ্ছে সেটা দেখার জন্য !
ঠিক তেমনই নিজের সব দোষ-ত্রূটি আমরা নিজেরা খুঁজে পায়না। দেখা তো অনেক দূরের কথা।নিজের দোষ-ত্রূটি ধরতে হলে অন্যের দৃষ্টিতে নিজেকে দেখার বা অনুভবের চেষ্টা করতে হবে ।নিজের সমন্ধে অন্যের অভিমত,সমালোচনা গুলো মন দিয়ে অনুধাবন করতে হবে।
.
তবে দুঃর্খ্যের কথা হল বেশীর ভাগ মানুষ নিজেকে নিয়ে অন্যের সমালোচনা হজম করতে পারেনা ।কিন্তু সমালোচনা মানে তো তিরষ্কার করা নয়। সমালোচনা মানে অন্যের চোখে নিজের লাইন চূত্য কর্মকান্ডকে ধরা।ছন্দপতন হয়ে যাওয়া ছন্দকে ধরা।অথবা চেনা ছন্দ্রের বাইরে যাওয়া নতুন কোন অচেনা ছন্দকে আবিষ্কার করা।সেটা ভালোও হতে পারে আবার মন্দও।তবে আয়নায় যেমন বাঁ হাত কে ডান হাত এবং ডান হাতকে বাঁ হাত বলে মনে হয়,তাবলে কি সত্যি সত্যি আপনার হাত দুটি স্থান বদল করে নিয়েছে?নিশ্চয় উত্তরটা বলার অপেক্ষা রাখেনা! তাই আপনি সেই আপাত মনে হওয়াকে উপেক্ষা করে নিজের সার্বিক অবয়বটা দেখেন । ঠিক সেই রকমই সমালোচকও যদি কিছু আপাতদৃষ্টিতে ত্রূটির কথা বলে থাকে ,সেটাকে ঠান্ডা মাথায় এড়িয়ে গিয়ে তাঁর সঠিক গঠন মূলক সমালোচনাকে পাথেয় করে নিজেকে শুধরে নিতে হবে। কারন গঠন মূলক সমালোচনা আপনাকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে যা আপনার ভবিষৎ এর মসৃন পথের পাথেয়।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১১৭২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৩/০৫/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast