নোনা জলের গল্প
ধানমন্ডি থেকে সবার এক সাথে বেরোনর কথা ছিল। আমি বিজয় একাত্তর হলের সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে উৎসবকে ফোন দিলাম। ও বলল ধানমন্ডি যাওয়া লাগবে না। সরাসরি আরামবাগ চলে যেতে। শাহবাগ থেকে মৈত্রী বাস ধরে আরামবাগ নেমে আবার উৎসবকে ফোন দেয়ার পর বলল ফকিরাপুল যেতে। সেখানে সেন্ট মার্টিন পরিবহন এর কাউন্টার থেকে বাস ছাড়বে। কাউন্টারের সামনে পেলাম দীপ, ইশতিয়াক আর উৎস কে। আমরা আড্ডা দিতে দিতে উৎসব আমির নাইম আর সন্তু চলে এলো।
নয়টায় বাস। বাসে উঠার আগে খাওয়ার জন্য কাউন্টারের উল্টোপাশেই একটা হোটেলে ঢুকলাম। খেয়ে বের হয়ে ওদের ধূম্রপান আর ছোট কাজ সারতে সারতে বাস চলে এলো। বাসে উঠে পড়লাম। বাসের একদম প্রথম চারটা সিট আমাদের। আমি এ ওয়ানে বসে ছিলাম। জানালার পাশে।
বাস ঠিক নয়টায় ছাড়লো। বাসের সুপারভাইজার দারুন মানুষ ছিলেন। বাস প্রায় দেড়টার দিকে ফেনী পৌছে গেল। কিন্তু এগোনো বন্ধ হয়ে গেল। ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম। অনেক ঠেলে ঠুলে এগোনের পর বাইপাস দিয়ে ঢুকে গেলাম আমরা। এই রাস্তায় জ্যাম নেই। তাই সুপারভাইজার মামা বুদ্ধি করে এখান দিয়ে নিয়ে এসেছেন। যাত্রা বিরতির সময় ঘুম ভেঙে গিয়ে ছিল। আর ঘুম আসছিল না। অনেক চেষ্টারপর তিনটার দিকে মনে হয় ঘুম চলে এলো।
ঘুম ভেঙে দেখি সাতটা তখনো বাজে নি। বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা। মাইলস্টোন বলছে টেকনাফ তখন ৩২ কিলোমিটার দূরে। প্রায় আটটার দিকে কেয়ারি ঘাটে নামলাম। সময় লাগলো ১১ ঘন্টা। নাস্তা করে নিলাম পাশেই একটা হোটেলে। পরোটা, ডাল-সবজি, ডিম। খেয়ে দেয়ে শিপে গিয়ে উঠলাম।
শিপের গল্পটা তেমন কিছু না। এদিক ওদিক হাটাহাটি করে কাটিয়ে দিতে লাগলাম। বারান্দায় গিয়ে দাড়াতে দেখি সীগালরা পথ দেখাচ্ছে। শিপের চারদিকে অসংখ্য সীগাল উড়ছে। আমির ওর বুম বক্সটা গান ছাড়তে আমরা গলা মিলিয়ে গান গাইতে থাকলাম। কিন্তু রাতে ঘুম ভালো না হওয়ায় ঘুম পাচ্ছিলো আমার। টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙলো উৎসবের ডাকে। চোখ মেলে বাইরে তাঁকিয়ে দেখি বাইরে নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছে সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপ। দ্বীপের চারদিকে নীল জল। সে জলে ছায়া পরেছে নীল আকাশের। সেই ছায়ার মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা সাইজের নৌকা।
শিপ থেকে নেমে রিসোর্টে যাওয়ার ভ্যানের ভাড়া শুনে চোখ কপালে উঠে গেল। এক একটা ভ্যান ২০০ টাকা। কিন্তু কিছু করার নেই। নিলাম দুটো ভ্যান। এক একটায় চারজন করে। আমাদের রিসোর্টটা দ্বীপের আরেক প্রান্তে। ওপাশে ভিড় খুব কম। নেই বললেই চলে। রিসোর্টে পৌছুতে পনের মিনিটের মত লাগলো। রিসোর্টের নাম 'নীল দিগন্তে।' আমাদের দুটো রুম বুক করা ছিল। একটা রুম পেলাম আরেকটা রুম আধ ঘন্টা পর ক্লিন করা হলে পাবো।
রুমে ব্যাগ রেখে জ্যাকেট খুলে সোজা সৈকতে ছুটলাম। ভেবেছিলাম দুপুরে খেয়ে নামবো। কিন্তু পানি দেখে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। আবার রুমে ফিরে গেলাম। হাফ প্যান্ট পরে সোজা দৌড়। এক দৌড়ে পানিতে ঝাপ। আহ! সমুদ্র। আমার প্রথম সমুদ্র স্নান। বন্ধু উৎসবের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবো আমাকে এই ট্যুরে নিয়ে আসার জন্য। প্রায় ঘন্টা দুয়েক লাফালাফি-দাপাদাপি আর জলকেলির পর খেয়াল করলাম প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। রুমে ফিরে দেখি আরেকটা রুম তৈরী। সবাই গোসল করে খাওয়ার জন্য বেরোলাম।
রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করাই ছিল। কোরাল মাছ, আলুভর্তা আর ডাল। যে পরিমান ভাত খেলাম তা আমি সাধারনত দুই বেলায় খাই। খেয়ে আবার গেলাম সৈকতে। দৌড় ঝাপ আর সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে বিকেল কাটয়ে দিলাম। সন্ধ্যার নাস্তা করলাম স্কুইড আর চিংড়ি ভাজা দিয়ে। যেখানে নাস্তা করলাম ঠিক তার পেছনেই হুমায়ূন আহমেদের সমুদ্র বিলাস।
তারপর আবার কটেজে ফিরে গরম কাপড় পড়ে অন্ধকারে সৈকতে গিয়ে বসলাম। মোবাইল কটেজে রেখে এসেছি। প্রথমত চার্জ দেয়ার জন্য, দ্বিতীয়ত তারা দেখবো তাই। এখানে বিদ্যুৎ নেই। সন্ধ্যা ছ'টা থেকে রাত বারো পর্যন্ত জেনারেটর চালায়।
তারা দেখতে সত্যি বলতে সৈকতে বসিনি। শুয়ে পড়েছি। তার আগে সাথে নিয়ে আসা দুটো ফানুস উড়িয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ সৈকতে দাঁড়িয়ে রইলাম। চোখ বন্ধ করে শুনছিলাম সমুদ্রের গর্জন। জোয়ারের সময় এটা। তাই ঢেউ গুলো শক্তিশালী। খানিক পরে গিয়ে বসলাম। শুয়ে পড়লাম এক সময়। মাথার উপরে মুক্তোর মত জ্বলজ্বল করছে রাশি রাশি তারা। কানে আসছে বঙ্গোপসাগর এর ঢেউ এর সৈকতে আছড়ে পড়ার শব্দ। আকাশের দিকে তাঁকিয়ে থাকতে থাকতে আমি একসময় প্রবেশ করলাম অন্য এক জগতে। যে জগতে আমি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের অধিকার নেই। ভুল বললাম। একজনের আছে। ঠিক মুহূর্তে তার অভাবটাই সবচে বেশি পীড়া দিচ্ছিলো।
এমনি করে কতক্ষন কাটলো জানিনা। উৎসব ডাকলো আরো তিনটা ফানুস উড়িয়ে দেয়ার জন্য। ফানুস উড়িয়ে আমি, উৎসব, ইশতিয়াক, উৎস সৈকতে পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম চোখ বন্ধ করে। মনে হচ্ছিলো চারদিক থেকে পানি এসে বুঝি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভেসে যাচ্ছে সব। এই অনুভুতি সব কিছুর উর্ধ্বে!
আমির ডাকলো রাতে খেতে। টের পেলাম খিদে পেয়েছে। বেশ ভালোই খিদে পেয়েছে। এবার আর রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে না। সৈকতে একটা হোটেলে। ভাত, আলু ভর্তা, ডিম ভাজা, ডাল। স্বর্গীয় খাবার। সমুদ্রের হাওয়া মুখের রুচি আর পেটের খিদে দুটোই বাড়িয়ে দেয়। দুপুরের মত দুই বেলার খাবার খেলাম আবার। খেয়ে মামার কে সকালের নাস্তার অর্ডার দিয়ে আর ছেড়া দ্বীপে যাওয়ার ট্রলার ঠিক করার কথা বলে আবার সৈকতে বসলাম সবাই। অমাবশ্যার রাতে আট জন যুবক মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে। কেউ তারা দেখছে। কেউ সমুদ্র। কেউ তাঁকিয়ে আছে কিন্তু কিছু দেখছে না। সে শুনছে। সমুদ্রের গর্জন। কি অদ্ভুত এক দৃশ্য। পৃথিবীর কোন ফিল্ম মেকার কি কোন ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণ করতে পারবে? আসলে সৈকত ব্যাপারটাই অদ্ভুত। সৈকতে আছড়ে পরা ঢেউয়ের গর্জন জোরালো। কিন্তু এর অনুভূতি শান্ত।
প্রায় দশটার দিকে রিসোর্টে ফিরে ফিরলাম।
এই লেখা যখন লিখছি তখন উৎসবের প্রায় এক ঘুম হয়ে গেছে। আমির মাত্র ঘুমালো। আর পাশের রুমে ২৯ খেলা হচ্ছে। আর আমার হাতছানি দিয়ে ডাকছে ছেড়াদ্বীপ। এই ডাক অগ্রাহ্য করার উপায় আমার জানা নেই।
তরীকুল ইসলাম সৈকত
১৭/০১/২০১৮
(চলবে...)
নয়টায় বাস। বাসে উঠার আগে খাওয়ার জন্য কাউন্টারের উল্টোপাশেই একটা হোটেলে ঢুকলাম। খেয়ে বের হয়ে ওদের ধূম্রপান আর ছোট কাজ সারতে সারতে বাস চলে এলো। বাসে উঠে পড়লাম। বাসের একদম প্রথম চারটা সিট আমাদের। আমি এ ওয়ানে বসে ছিলাম। জানালার পাশে।
বাস ঠিক নয়টায় ছাড়লো। বাসের সুপারভাইজার দারুন মানুষ ছিলেন। বাস প্রায় দেড়টার দিকে ফেনী পৌছে গেল। কিন্তু এগোনো বন্ধ হয়ে গেল। ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম। অনেক ঠেলে ঠুলে এগোনের পর বাইপাস দিয়ে ঢুকে গেলাম আমরা। এই রাস্তায় জ্যাম নেই। তাই সুপারভাইজার মামা বুদ্ধি করে এখান দিয়ে নিয়ে এসেছেন। যাত্রা বিরতির সময় ঘুম ভেঙে গিয়ে ছিল। আর ঘুম আসছিল না। অনেক চেষ্টারপর তিনটার দিকে মনে হয় ঘুম চলে এলো।
ঘুম ভেঙে দেখি সাতটা তখনো বাজে নি। বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা। মাইলস্টোন বলছে টেকনাফ তখন ৩২ কিলোমিটার দূরে। প্রায় আটটার দিকে কেয়ারি ঘাটে নামলাম। সময় লাগলো ১১ ঘন্টা। নাস্তা করে নিলাম পাশেই একটা হোটেলে। পরোটা, ডাল-সবজি, ডিম। খেয়ে দেয়ে শিপে গিয়ে উঠলাম।
শিপের গল্পটা তেমন কিছু না। এদিক ওদিক হাটাহাটি করে কাটিয়ে দিতে লাগলাম। বারান্দায় গিয়ে দাড়াতে দেখি সীগালরা পথ দেখাচ্ছে। শিপের চারদিকে অসংখ্য সীগাল উড়ছে। আমির ওর বুম বক্সটা গান ছাড়তে আমরা গলা মিলিয়ে গান গাইতে থাকলাম। কিন্তু রাতে ঘুম ভালো না হওয়ায় ঘুম পাচ্ছিলো আমার। টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙলো উৎসবের ডাকে। চোখ মেলে বাইরে তাঁকিয়ে দেখি বাইরে নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছে সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপ। দ্বীপের চারদিকে নীল জল। সে জলে ছায়া পরেছে নীল আকাশের। সেই ছায়ার মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা সাইজের নৌকা।
শিপ থেকে নেমে রিসোর্টে যাওয়ার ভ্যানের ভাড়া শুনে চোখ কপালে উঠে গেল। এক একটা ভ্যান ২০০ টাকা। কিন্তু কিছু করার নেই। নিলাম দুটো ভ্যান। এক একটায় চারজন করে। আমাদের রিসোর্টটা দ্বীপের আরেক প্রান্তে। ওপাশে ভিড় খুব কম। নেই বললেই চলে। রিসোর্টে পৌছুতে পনের মিনিটের মত লাগলো। রিসোর্টের নাম 'নীল দিগন্তে।' আমাদের দুটো রুম বুক করা ছিল। একটা রুম পেলাম আরেকটা রুম আধ ঘন্টা পর ক্লিন করা হলে পাবো।
রুমে ব্যাগ রেখে জ্যাকেট খুলে সোজা সৈকতে ছুটলাম। ভেবেছিলাম দুপুরে খেয়ে নামবো। কিন্তু পানি দেখে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। আবার রুমে ফিরে গেলাম। হাফ প্যান্ট পরে সোজা দৌড়। এক দৌড়ে পানিতে ঝাপ। আহ! সমুদ্র। আমার প্রথম সমুদ্র স্নান। বন্ধু উৎসবের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবো আমাকে এই ট্যুরে নিয়ে আসার জন্য। প্রায় ঘন্টা দুয়েক লাফালাফি-দাপাদাপি আর জলকেলির পর খেয়াল করলাম প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। রুমে ফিরে দেখি আরেকটা রুম তৈরী। সবাই গোসল করে খাওয়ার জন্য বেরোলাম।
রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করাই ছিল। কোরাল মাছ, আলুভর্তা আর ডাল। যে পরিমান ভাত খেলাম তা আমি সাধারনত দুই বেলায় খাই। খেয়ে আবার গেলাম সৈকতে। দৌড় ঝাপ আর সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে বিকেল কাটয়ে দিলাম। সন্ধ্যার নাস্তা করলাম স্কুইড আর চিংড়ি ভাজা দিয়ে। যেখানে নাস্তা করলাম ঠিক তার পেছনেই হুমায়ূন আহমেদের সমুদ্র বিলাস।
তারপর আবার কটেজে ফিরে গরম কাপড় পড়ে অন্ধকারে সৈকতে গিয়ে বসলাম। মোবাইল কটেজে রেখে এসেছি। প্রথমত চার্জ দেয়ার জন্য, দ্বিতীয়ত তারা দেখবো তাই। এখানে বিদ্যুৎ নেই। সন্ধ্যা ছ'টা থেকে রাত বারো পর্যন্ত জেনারেটর চালায়।
তারা দেখতে সত্যি বলতে সৈকতে বসিনি। শুয়ে পড়েছি। তার আগে সাথে নিয়ে আসা দুটো ফানুস উড়িয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ সৈকতে দাঁড়িয়ে রইলাম। চোখ বন্ধ করে শুনছিলাম সমুদ্রের গর্জন। জোয়ারের সময় এটা। তাই ঢেউ গুলো শক্তিশালী। খানিক পরে গিয়ে বসলাম। শুয়ে পড়লাম এক সময়। মাথার উপরে মুক্তোর মত জ্বলজ্বল করছে রাশি রাশি তারা। কানে আসছে বঙ্গোপসাগর এর ঢেউ এর সৈকতে আছড়ে পড়ার শব্দ। আকাশের দিকে তাঁকিয়ে থাকতে থাকতে আমি একসময় প্রবেশ করলাম অন্য এক জগতে। যে জগতে আমি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের অধিকার নেই। ভুল বললাম। একজনের আছে। ঠিক মুহূর্তে তার অভাবটাই সবচে বেশি পীড়া দিচ্ছিলো।
এমনি করে কতক্ষন কাটলো জানিনা। উৎসব ডাকলো আরো তিনটা ফানুস উড়িয়ে দেয়ার জন্য। ফানুস উড়িয়ে আমি, উৎসব, ইশতিয়াক, উৎস সৈকতে পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম চোখ বন্ধ করে। মনে হচ্ছিলো চারদিক থেকে পানি এসে বুঝি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভেসে যাচ্ছে সব। এই অনুভুতি সব কিছুর উর্ধ্বে!
আমির ডাকলো রাতে খেতে। টের পেলাম খিদে পেয়েছে। বেশ ভালোই খিদে পেয়েছে। এবার আর রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে না। সৈকতে একটা হোটেলে। ভাত, আলু ভর্তা, ডিম ভাজা, ডাল। স্বর্গীয় খাবার। সমুদ্রের হাওয়া মুখের রুচি আর পেটের খিদে দুটোই বাড়িয়ে দেয়। দুপুরের মত দুই বেলার খাবার খেলাম আবার। খেয়ে মামার কে সকালের নাস্তার অর্ডার দিয়ে আর ছেড়া দ্বীপে যাওয়ার ট্রলার ঠিক করার কথা বলে আবার সৈকতে বসলাম সবাই। অমাবশ্যার রাতে আট জন যুবক মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে। কেউ তারা দেখছে। কেউ সমুদ্র। কেউ তাঁকিয়ে আছে কিন্তু কিছু দেখছে না। সে শুনছে। সমুদ্রের গর্জন। কি অদ্ভুত এক দৃশ্য। পৃথিবীর কোন ফিল্ম মেকার কি কোন ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণ করতে পারবে? আসলে সৈকত ব্যাপারটাই অদ্ভুত। সৈকতে আছড়ে পরা ঢেউয়ের গর্জন জোরালো। কিন্তু এর অনুভূতি শান্ত।
প্রায় দশটার দিকে রিসোর্টে ফিরে ফিরলাম।
এই লেখা যখন লিখছি তখন উৎসবের প্রায় এক ঘুম হয়ে গেছে। আমির মাত্র ঘুমালো। আর পাশের রুমে ২৯ খেলা হচ্ছে। আর আমার হাতছানি দিয়ে ডাকছে ছেড়াদ্বীপ। এই ডাক অগ্রাহ্য করার উপায় আমার জানা নেই।
তরীকুল ইসলাম সৈকত
১৭/০১/২০১৮
(চলবে...)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৯/০৯/২০২৩নান্দনিক প্রকাশ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৬/০৩/২০১৮ভাল লাগল
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ২৫/০১/২০১৮বহত খুব