www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নাফাকুম কই ২

ঢাকায় ব্যাগ গোছানোর সময় বেশ শীতের প্রস্তুতি নিয়ে এসে ছিলাম। রেমাক্রি এসে দেখি শীত নেই বললেই চলে। তবুও রাতে ঘুমানোর সময় বেশ আয়োজন করেই ঘুমিয়েছি। কিন্তু সকালে উঠে দেখি রাতে ঘুমের মধ্যে আমি হুডি, টী-শাড়ড়ট সব খুলে ফেলেছি! শুধু থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট পরে শুয়ে আছি। যা শীত আশা করেছিলাম তার ছিটেফোঁটাও নেই।

নাফাকুম কই সেটা আমরা দেখিনি, শুনেছি অনেক। ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃকর্ম সেরে রুমে গিয়ে আবার শুয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের বের হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল সাড়ে সাতটায়। সে সময়ের তখন অনেক বাকি। তাই ভাবলাম আরেকটু ঘুম দেই। কটেজের বারান্দা দিয়ে হেটে রুমে যাওয়ার সময় দেখি আমাদের সজিব, জামিল আর শান্ত সাঙ্গু নদীর শুকনো অংশ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে নিচে নামলাম। হেটে নদী পার হয়ে ওদের ধরে ফেললাম। তার জন্য অবশ্য ওদের বেশ কয়েকবার হাক দিতে হয়েছে।

এক সাথে সামনে এগিয়ে যাই আমরা চারজন। সাঙ্গুর অনেক যায়গা শীতকালে প্রায় হাটু পানি থাকলেও আমাদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অংশ বেশ গভীর। নদীর ওপারে রেমাক্রি ঝিড়ি। নদী উত্তরে যেদিকে গিয়ে দৃষ্টির বাইরে হারিয়ে গেছে সেখানে আকাশ ছুঁতে চাওয়া পাহাড়, যে পাহাড় সবুজ রঙের জামা পড়ে নিজের চারদিকে ধূম্রজাল দিয়ে ঢেকে রেখেছে। অসম্ভব সুন্দর এই দৃশ্যকে আরো মোহময় করে দেয় রেমাক্রি ঝিড়ির একটানা শব্দ। গতকাল রাতে যাকে সাঙ্গু নদীর বয়ে চলার শব্দ মনে করেছিলা সেটা আদতে রেমাক্রি নদীর রেমাক্রি ঝিড়ি হয়ে সাঙ্গুতে মিলনের শব্দ।

সজিবের ল্যান্ডস্কেপ আর আমাদের দু'একটা পোট্রেট তোলা শেষ করে কটেজে ফিরে দেখি প্রায় সবাই নাফাকুমের দিকে যাত্রা শুরু করতে তৈরী। আমিও প্রায় তৈরীই ছিলাম। অল্প কয়েকটা জিনিস গুছিয়ে নিয়ে রওনা করলাম।

রেমাক্রি নদী ধরে এগিয়ে যেতে হয়। রেমাক্রি নদী ধরে এগিয়ে গেলে মোটামুটি গতিতে এগিয়ে গেলে তিন ঘন্টা লাগে শুনেছি। আসলে পুরো জার্নিটাই নির্ভর করে হাটার গতি আর দলের সদস্য সংখ্যার উপর। আমাদের সদস্য সংখ্যা ৩১। নারী সদস্য ১৪। প্রায় কারোরই এই ধরনের হাটার অভ্যাস নেই বললেই চলে। তাই আমরা তিন ঘন্টার যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে রওনা হলাম সাড়ে সাতটার দিকে। সকালের নাস্তা করলাম রেমাক্রি নদী ধরে কিছু দূর এগিয়ে একটা পাড়ায়। ড্রাই কেক আর সেদ্ধ ডিম। নাস্তা করে এগোতেই আমাদের গাইড সাহেবের কাছে জঙ্গল থেকে শিকার করা হরিণের মাংসওয়ালার সাথে দেখা। দুই কেজি মাংস আছে। ৬০০ টাকা। মাংস কেনা হল। যে দোকানে নাস্তা খেয়েছিলাম সেখানে মাংস পৌছে দেয়া হল। তারা সেদ্ধ করে রাখবে। আমরা ফিরে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো। রাত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

যাত্রা যখন শুরুর প্রথম এক ঘন্টায় আমরা তিন ভাগের এক ভাগ পথও পেরোতে পারিনি। সব কিছু সবার কাছে নতুন। যেখানেই যা দেখছে তার সামনেই সেলফি তুলতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কেউ না কেউ। তার দেখা দেখি আরো কয়েকজন। এই যুগের আরেকটা বরে শাপ এই সেলফি আর ডিজিটাল ক্যামেরা। কোন ফোটো রিল-ফিল নেই। যতক্ষন চার্য আর 'স্মৃতি ধারনি'তে যায়গা ততক্ষন ক্লিক ক্লিক। সেলফি তো আরো আশির্বাদ। একা একাই ছবি তোলা যায়। আরেকজন লাগে না। এমনি করে আস্তে আস্তে আমরা গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাই।

দলের গাইড ছিল দু'জন। একজন সামনে অন্যজন পিছনে। আমি পুরোটা পথ সামনের গাইডের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছি। পাহাড়ি মানুষ গুলোর পাহাড় বেয়ে চলার গতি আসুরিক। কিন্তু তবুও আমি তার সাথেই চলেছি। ফেরত আসার সময় তিনি বাহবাও দিলেন, 'আপনি অনেক হাটতে পারেন!' হাটতে হাটতে তার সাথে বেশ গল্প হলো। বগা লেকের গল্প বললেন। বগা লেকের নাম কিভাবে বগা লেক হলো এই সব। শুনে মনে হল রূপকথার গল্প শুনছি। এই পাহাড়ে যে কত রূপকথা লুকিয়ে আছে তার কোন ইয়ত্তা কি আছে? অবশ্য থাকবেই কি করে, আমরা সমতলের মানুষেরা তাদের তো মানুষই মনে করি না। আমরা ভুলে যাই এই ভূখন্ডে তারাই আদি।

নাফাকুমে যাওয়ার রাস্তাটা শীতকালে পায়ে হাটা হলেও বর্ষাকালে একমাত্র ভরসা নৌকা। কিন্তু এই শীতে হাটতে গিয়েও নদীর এপার ওপার করা লাগে বেশ কয়েকবার। কখনো গোড়ালি সমান পানি, কখনো না হাটু সমান একদম শেষ বার কোমর সমান পানি। জোকের ভয় শীতকালে না থাকলেও একদম যে নেই তা না। জোক আছে তবে তা খুবই অল্প পরিমানে আর ছোট ছোট। ছোট হোক আর বড় দলে নারী সদস্য থাকলে চিৎকার করতে জোক দেখা লাগে না। জোক শব্দটা উচ্চারণ করাই যথেষ্ঠ। আর আমরা তো জোক পা থেকে খুলেছি। আমাদের দলে জোক নিয়ে কি কি কাহিনী হয়েছে তা আর বিস্তারিত বলতে চাই না।

নাফাকুমের পথে যে অংশ টুকু পানি পার হতে হয় সেখানে প্রতিবার পা ফেলার আগে দেখে শুনে ফেলতে হয়। পানির নিচে কি আছে আমরা কিছুই জানিনা। গোড়ালি সমান পানিতে নিচটা দেখা গেলেও কোমর সমান পানিতে সে আশা করা বিরাট ভুল। ফলাফল আমরা কয়েকজন কোন ভাবে সামনে এগিয়ে গেলেও বাকিদের পানির অংশটুকু পার করাতে আবার পানিতে নামতে হয়েছে।

হাটতে হঠাৎ টের পেলাম পানি আছড়ে পড়ার শব্দ। শব্দের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে শব্দ বাড়তে লাগোলো। এই শব্দের সাথে সাথে হাটার গতি বেড়ে গেল। প্রায় দৌড়ে এগিয়ে গেলাম সেদিকে। এগোতে গিয়ে দেখি কয়েকজন ফিরে আসছে। তারা বলল সামনে রাস্তা পিচ্ছিল। তবুও গতি না কমিয়ে সাবধানে এগিয়ে যেতে লাগলাম। আরো মিনিট তিনেক এগোনোর পর খুঁজে পেলাম নাফাকুম। দাঁড়িয়ে পড়লাম। আছড়ে পড়া পানির দিকে তাঁকিয়ে মনে মনে নিজেকেই জিজ্ঞেস করলাম, এই-ই নাফাকুম? ওপাশে নাফাকুম ঝর্ণা সগর্বে জবাব দিচ্ছে। সময় বেলা ১১টা।

নাফাকুম খুঁজে পেলেও নামলাম না সেখানে। পিছনে ফিরে গেলাম আবার। উৎসব আর আইরিন আসেনি এখনো। ওদের এগিয়ে নিয়ে এসে জামা খুলে শুধু থ্রি কোয়াটার পরে নেমে গেলাম। সাথে আরো সব বন্ধু বান্ধবীরা। ব্যাপক জলকেলি করার পর মনে হল সানগ্লাসটা পড়া দরকার। উপরে গিয়ে সানগ্লাসটা নিয়ে এলাম। বান্দবী নরীন তখন ছবি তুলছে তন্ময়ের ফোন দিয়ে। বেশ ফটোগ্রাফিও হলো। ব্যাপক জলকেলির পর প্রায় দেড় ঘন্টা পর উঠে এলাম। গা মুছে প্যান্ট থেকে পানি ঝড়িয়ে আবার পড়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষন সজিবের ক্যামেরাটা নিয়ে আমিই ছবি তুলতে শুরু করলাম। গলায় একটা ডিএসএলআর থাকলে বেশ দাম বেড়ে যায়। সবাই চারদিক থেকে ডাকাডাকি। কাউকে নিরাশ করি নাই। সবাইকে সুখ দিতে গিয়ে বন্ধু আবতাহী রহমান উৎসবকে একটু কষ্ট দিয়ে ফেললাম। উৎসব চাচ্ছিলো ঝর্ণার পাশে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিতে। আমরা তিনজন। আমি উৎসব আইরিন। সবার ডাকে সারা দিতে গিয়ে এই আড্ডায় যোগ দিতে দেরি করে ফেলেছি। পরে ক্যামেরা বন্ধ করে আড্ডায় যোগ দিলাম।

আমরা দুইটায় ফেরার পথ ধরলাম। আবার সেই গাইডের সাথেই। আগের বার যে পথ দুই ঘটায় পাড় হতে পারিনি এবার তারচে বেশি পথ পাড়ি দিলাম দেড় ঘন্টায়। নাফাকুম যাওয়ার পথে শেষ যে দোকানটা সেটায় বসলাম। আমি আর গাইড। এখনো আর কেউ আসেনি। প্রচন্ড ক্ষুধা পেটে। কিন্তু মানি ব্যাগ আরেকজনের কাছে। সে পিছনে রয়ে গেছে। একটু পর তন্ময় আর নীতি এলো। তন্ময়ের কাছে থেকে কিছু টাকা নিয়ে দুটো সিদ্ধ ডিম খেলাম। একটু পর আরো কয়েকজন এলো। এখনো উৎসব আইরিনের খবর নাই। যে কয়েকজন এসেছিল তারা খেয়ে দেয়ে আবার রওনা হচ্ছে। বসে রইলাম। সবাই আসলে এক সাথে যাবো। কিন্তু ঘন্টা খানেক পরেও কোন খবর নেই কারো। হঠাৎ দেখি বন্ধু জামিলের সাদা কালো স্টাইপের সাদা কালো টিশার্ট এর আবছা কিছু একটা। খুব ভাল্লাগলো। কিন্তু ভালো লাগা মেজাজ খারাপে পরিনত হলো যখন দেখি এরা নদীর পারে পাথরের উপর আরাম করে বসল। সাথে সাথে উঠে রওনা দিলাম। বের হয়ে দেখি রবিন আর সোহানাও রওনা দিচ্ছে। সোহানা মেয়েটা কোমরে ব্যাথা পেয়ে কাহিল। রবিন ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এক সাথে হাটতে হাটতে কখন যেন এগিয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে রেমাক্রি নদী শেষ করে সাঙ্গুতে পৌছে গেলাম। এসে দেখি আগের গ্রুপ সাঙ্গুতে জলকেলি করছে। রুমে যায়নি কেন জিজ্ঞেস করতে জানালো কারো কাছেই রুমের চাবি নেই। সব রুমের চাবি একজনের কাছেই। আর সে শেষ দলে। তারা কখন আসবে কেউ জানেনা। তখন আমার মনে পড়লো আমার রুমের চাবি উৎসবের কাছে। ব্যাস আমিও বাধ্য হয়ে জলকেলিতে যোগ দিলাম। আধ ঘন্টার মত জলকেলি করে ভাবলাম কটেজে গিয়ে বসি। যদি এক্সট্রা চাবি থাকে তাহলে হয়তো রুম খুলে ভেজা কাপড় বদলাতে পারবো। কিন্তু এসে হতাশ হলাম। তারা জানালো চাবি নাই। ভেজা কাপড়ে বসে রইলাম কটেজের বারান্দায়। আড্ডা দিচ্ছিলাম আর এই লেখাটা শুরু করেছিলাম। হঠাৎ কটেজের এক কর্মচারী এসে বললেন এক্সট্রা চাবি মনে হয় পাওয়া গেছে। তিনি রুম খুলে দিলে রুমে গিয়ে শুকনো কাপড় পরার ব্যবস্থা করলাম সবাই। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার হয়ে গেছে।

অনেকক্ষণ পর শেষ দলের পুলক দেখি রুমের দরজায় উঁকি দিলো। জিজ্ঞেস করলাম আইরিন উৎসব কই? যা বলল শুনে গলা শুকিয়ে গেল। আইরিন নাকি অন্ধকারে নদী পার হতে পারবেনা। এই জন্য নৌকা পাঠানো হয়েছে। নৌকা নাকি অনেকদূর ঘুরে যাবে। কারন সাঙ্গু থেকে সরাসরি রেমাক্রি নদীতে নৌকা দিয়ে যাওয়া যায় না। অন্তত এই শীতে। বর্ষার খবর জানিনা। নৌকা গেছে সেটা নিশ্চিন্তের ব্যাপার। কিন্তু সমস্যা হল আইরিন অন্ধকারে প্রায় চোখে দেখে না। মূলত দেখে কিন্তু আত্নবিশ্বাস পায় না। আর এই রাস্তায় তো আইরিন এর বিশ্বাস-আন্তবিশ্বাসের কোন কথাই আসে না। খোঁজ খবর নেয়ার উপায় একটাই টেলিপ্যাথি। আমার সেই ক্ষমতা নেই। তাই বসে রইলাম চুপচাপ।

আরো অনেকক্ষণ পর উৎসবের গলা শুনতে পেলাম। আমি উঠে যাওয়ার আগেই উৎসব রুমে ঢুকে গেল। আমি জিজ্ঞেস করার আগেই সব খুলে বলল। কিছুই হয় নি। অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল তাই দেরি হয়েছে। আমি আর কি বলব???

ওরা ফ্রেশ হওয়ার পর রাত্রের খাবার খেতে গেলাম। রাত্রে আবার বার বি কিউ এর আয়োজন আছে। বার বি কিউ এর আয়োজনের পাশে বসে এই এখন লিখছি। ১৫ কেজি মুরগী পোড়া হচ্ছে। উৎসবের মতে 'দোযখের মুরগী!' হোটেলের গ্রীল চিকেনও একই ক্যাটাগরিতে পড়ে। বারবিকিউ হচ্ছে।

এইযে এখন লিখছি, এই লেখা লেখার সময় ১১ তারিখ হয়ে গেছে। ঘড়িতে সময় রাত ২ টা ১৩ মিনিট। আমরা একটু আগে বারবিকিউ চিকেন খেয়ে উঠলাম। তার আগে আমরা সাঙ্গু নদীর তীরে বসে গান গেয়েছি। সত্যি বলতে আমি গান গাইনি। আমি শুনেছি। তবে সেটা সাঙ্গু নদীর গান। তার অবিরাম ছুটে চলা। তারও আগে যখন বারবিকিউ তৈরী হচ্ছিলো তখন আমরা নদীর পাড়ে নৌকায় বসে জীবন সম্পর্কিত কিঞ্চিত গভীরালোচনা করেছিলাম। সেই আলোচনার মূল বিষয় বস্তু ছিল কার কেমন জীবন কেমন যাচ্ছে। যদিও আমরা যারা সেখানে বসেছিলাম সবাই সবার জীবন সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান রাখি। কারণ আমরা বন্ধু। আমি আমার ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে বেশ সুখে আছি, আরেক বন্ধু তার চাকরী সামলাতে হিমশিম খেলেও বছরের সেরা এমপ্লয়ি সেই, আরেকজন সদ্য পঞ্চত্ব প্রাপ্ত। সেও সুখে আছে।

এই লেখা যখন লিখছি মানে ১১ তারিখ রাত ২ টা ১৩ মিনিট থেকে এখন ২ টা ২৫ মিনিট এতোক্ষন আমি কি লিখেছি আমি নিজেই জানিনা। কারন এই প্রথম আমি কিঞ্চিত পাহাড়ি মদ্য পান পূর্বক হালকা 'টাল' অনুভব করছি। এই মদ্য পানের পিছনে আমার বন্ধুদের কোন প্ররোচনা নেই। আমি নিজের ইচ্ছায় মদ্য পান করেছি। এমনকি আমি যে দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর বিয়ার ব্যাতিত কোন মদ্য স্পর্শ করি নাই তাও আমার নিজের ইচ্ছায়। ধর্মীয় সংস্কারর বা সামাজিক সংস্কার নামক অদ্ভুত হাবিজাবি আমার মাঝে নেই। আমি বরং আমার মদ্যপান নিয়ে কিঞ্চিত লজ্জিত। পানের পিছনের গল্প বলি। আমি সকল মদেরই গন্ধ পছন্দ করি। পাহাড়ি মদের টা সবচে পছন্দের আজকে যেন খুব ইচ্ছা হলো চেখে দেখার।

গত কালের মত আজও ঘুমুতে যাচ্ছি আর ওপাশ থেকে ভেসে আসছে রেমাক্রির সাঙ্গুতে মিলিত হওয়ার শব্দ। এই শব্দ যে কতটা নেশা জাগানিয়া তা কোন ভাষায় আর কোন শব্দে আমি গুছিয়ে লিখবো আমি জানি না।

কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে রেমাক্রি থেকে চলে যাবো। কিন্তু রেমাক্রি আর নাফাকুম মনের মধ্যে রয়ে যাবে অনেকদিন। হয়তো চির দিন। রেমাক্রি থেকে যাবো থানচি সেখান থেকে বান্দরবান সেখান থেকে ঢাকা।

তরীকুল ইসলাম সৈকত
১০/১২/১৭

(চলবে...)
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৮৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১২/১২/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast