অবচেতন মনের জরুরি অবতরন
কোন এক রবিবার। সকাল ১০টারও কিছু বেশি বাজে। ক্লাশের ডানদিকের সারির মাঝামাঝি এক চেয়ারে বসে প্রফেসরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। কোর্সের নাম এডভান্সড ফার্মাসিউটিক্যাল এনালাইসিস।এডভান্সড যেকোন কিছুই খারাপ। না পড়াশোনা না চাকরি। এই ক্লাশে আমি সাধারনত আমার মস্তিষ্ক নিয়ে দারুন এক হীনমন্যতায় ভুগী। তাই উপায়ান্তর না দেখে বাকি জীবনের অংক কষি। অংক কোনদিন মিলে না। মেলার কারনও নাই। ফর্মূলায় ভুল। অবস্থা বেশি বেগতিক দেখলে প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে ফ্রেগমেন্টেশন প্রসেস বুঝার চেষ্টা করে মস্তিষ্ককে বিকৃত করি। বেগতিক অংকের হিসাব সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
হঠাৎ ফোনে একটা কল আসলো। অপরিচিত নাম্বার। ইগনোর করে সাদাবোর্ডের অদ্ভুত সব লেখা দেখছি। বাস্তবতা বলে এই বোর্ডের লেখা যার কাছে যত অদ্ভুত, তার জীবনের অংক তত বেগতিক। এসব ভাবার মধ্যেই আরো ২ বার কল আসলো একই নাম্বার থেকে। ২০১৫ সালের পর সাধারনত জরুরি দরকার না হলে আমার ফোনে কেউ পরপর ৩-৪ টা কল দেয় না। টেলিকম অফিস থেকে বেহায়ার মত প্রমোশনাল যে কলগুলি আসে সেগুলাও একবারের বেশী না। মুহূর্তেই ৭টাকা প্রতি মিনিট আমলে বাংলাদেশে সব জায়গায় যে রিংটোন বাজতো, এমন এক শব্দ বেজে উঠলো ক্লাশের সমানে থেকে। পরে অবশ্য আবিষ্কার করেছিলাম, সেটা প্রফেসরের মোবাইল ছিলো। এই সুযোগে আমি ক্লাশের বাইরে চলে আসলাম। এবার আমি সেই অপরিচিত নাম্বারে ফোন দিলাম।
রিং হচ্ছে.....
হঠাৎ ওপাশ থেকে একজন পুরুষ বলে উঠলোঃ
'কি বাই, আজকা দুকান খুলতেন না। বাইত বইয়া গুমাইবেন?'
মেডিক্যাল সাইন্স অনুযায়ী সাধারনত আমাদের শরীরের রক্তচাপ ১২০/৮০ এর নিচে নেমে গেলে কিংবা রক্তে গ্লুকোজ লেভেল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেলে আমাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। এছাড়া জোরে কেউ থাপ্পর দিলেও এটা হতে পারে। লোকটার কথা শুনে আমার মধ্যেও এমন এক প্রতিক্রিয়া হলো। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে পাল্টা জবাব দিলামঃ
'কে?'
'বাই, আমি মতিন। দুকান খুলেন। আর কত গুমাইবেন।'
আমি ফোন রেখে এক গ্লাশ পানি গিললাম। ক্লাশে গেলাম। ক্লাশে ঢুকে দেখি প্রফেসর চিৎকার করে করে বলছেঃ
So, loss of radical group will give M-29 peak in this case....there will be a quiz next class !
অবচেতন মন সহসাই বলে উঠল, দোকানের কনসেপ্টটা মন্দ ছিলো না পাগলা। হলেও হতে পারে মতিন সাহেবের দোকানেই পাবি জীবনের নতুন ফর্মূলা। আরে বাহ্ নামটাও তো মনে আছে দেখছি...।।
হঠাৎ ফোনে একটা কল আসলো। অপরিচিত নাম্বার। ইগনোর করে সাদাবোর্ডের অদ্ভুত সব লেখা দেখছি। বাস্তবতা বলে এই বোর্ডের লেখা যার কাছে যত অদ্ভুত, তার জীবনের অংক তত বেগতিক। এসব ভাবার মধ্যেই আরো ২ বার কল আসলো একই নাম্বার থেকে। ২০১৫ সালের পর সাধারনত জরুরি দরকার না হলে আমার ফোনে কেউ পরপর ৩-৪ টা কল দেয় না। টেলিকম অফিস থেকে বেহায়ার মত প্রমোশনাল যে কলগুলি আসে সেগুলাও একবারের বেশী না। মুহূর্তেই ৭টাকা প্রতি মিনিট আমলে বাংলাদেশে সব জায়গায় যে রিংটোন বাজতো, এমন এক শব্দ বেজে উঠলো ক্লাশের সমানে থেকে। পরে অবশ্য আবিষ্কার করেছিলাম, সেটা প্রফেসরের মোবাইল ছিলো। এই সুযোগে আমি ক্লাশের বাইরে চলে আসলাম। এবার আমি সেই অপরিচিত নাম্বারে ফোন দিলাম।
রিং হচ্ছে.....
হঠাৎ ওপাশ থেকে একজন পুরুষ বলে উঠলোঃ
'কি বাই, আজকা দুকান খুলতেন না। বাইত বইয়া গুমাইবেন?'
মেডিক্যাল সাইন্স অনুযায়ী সাধারনত আমাদের শরীরের রক্তচাপ ১২০/৮০ এর নিচে নেমে গেলে কিংবা রক্তে গ্লুকোজ লেভেল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেলে আমাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। এছাড়া জোরে কেউ থাপ্পর দিলেও এটা হতে পারে। লোকটার কথা শুনে আমার মধ্যেও এমন এক প্রতিক্রিয়া হলো। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে পাল্টা জবাব দিলামঃ
'কে?'
'বাই, আমি মতিন। দুকান খুলেন। আর কত গুমাইবেন।'
আমি ফোন রেখে এক গ্লাশ পানি গিললাম। ক্লাশে গেলাম। ক্লাশে ঢুকে দেখি প্রফেসর চিৎকার করে করে বলছেঃ
So, loss of radical group will give M-29 peak in this case....there will be a quiz next class !
অবচেতন মন সহসাই বলে উঠল, দোকানের কনসেপ্টটা মন্দ ছিলো না পাগলা। হলেও হতে পারে মতিন সাহেবের দোকানেই পাবি জীবনের নতুন ফর্মূলা। আরে বাহ্ নামটাও তো মনে আছে দেখছি...।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সাইদ লিপু ২১/০৫/২০১৮দারুণ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১২/০৪/২০১৮অদ্ভুদ সুন্দর
-
Altamas Pasha ১১/০৪/২০১৮বিষয়বস্তু চমৎকার হয়েছে।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৯/০৩/২০১৮আচ্ছা।