গাঢ় গোলাপী শাড়ি
বৃষ্টি থেমে গেছে। বাতাস বইছে বেগতিক। যেকোন মুহূর্তে দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি নামবে। রাস্তায় হাঁটছি। সমান্তরাল হাইওয়ে। বেশ ভালো লাগছে। পুরো রাস্তা যে ফাঁকা তা স্বচক্ষে দেখার পরেও কেনো জানি বিশ্বাস হচ্ছে না। চোখের সামনে ভাসছে দুপুর ১২টার ফার্মগেটের জ্যাম, নিশ্বাসে ধোয়ার গন্ধ আর কানে কন্ট্রাকটারের 'এই মতিঝিল, মতিঝিল' শব্দ।
বিভ্রম কেটে গেলো হালকা এক হোঁচট খেয়ে ।
'কি ব্যাপার? পাগল নাকি আপনি? ফাঁকা রাস্তায় এভাবে কেউ ধাক্কা দেয়?'
আমার কানে কথা যাচ্ছে না। যাচ্ছে কম্পাংক। শ্রুতিমধুর কতোগুলি কম্পাংক। গোলাপী রঙের শাড়ি পড়া এই মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে, নীল আকাশের মাঝখানে একগুচ্ছ অর্কিড। দিনের আলোয় এইসব মেয়েদের দেখা যায় না। তখন আমরা দেখি সময় আর কার কত ঘাম।
'আপনি কি অন্ধ নাকি বোবা?'
(ঘটনাটি সত্যি নাকি কল্পনা বোঝার চেষ্টা করছি)
'কি হলো, বলেন? যদি সত্যি সত্যি অন্ধ বা বোবা হয়ে থাকেন তাহলে আমি এক্সট্রিমলি সরি !'
জী। আমি একজন অন্ধ মানুষ। দয়া করে বলবেন সেগুনবাগিচা যাওয়ার রাস্তাটা কোনদিকে? হাতে সময় নেই। জহুরুল হক ভাইয়ের বাসায় আজ আমার দাওয়াত। বৃষ্টি হওয়ার কারনে আমি চিনতে পারছি না কোন রাস্তায় আছি। যেখানেই যাচ্ছি সব জায়গাতেই স্যাতস্যাতে ভেজা।'
'সরি। আমি একদম বুঝি নি। এগেইন সরি। আপনি কিছু মনে না করলে, আমি আপনাকে সেগুনবাগিচা নামিয়ে দিচ্ছি। আমার সাথে রিক্সায় উঠতে সমস্যা আছে?'
'না না। তবে মানে আমার একটু চা পানের অভ্যাস আছে।'
মেয়েটা কি সত্যিই এত সুন্দর নাকি আমার মস্তিষ্ক বিকল হয়ে গেছে বুঝে উঠতে পারছি না। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকলে, নিউরোনাল সেল কিছু সময় তব্দা খেয়ে থাকে। এমন কিছুই হলো কি না !
'এইইই মামা.......' হঠাৎ বিকট এক চিৎকারে ঘোর কাটলো। কোমল শাড়ি পড়া মায়াময়ী চেহারার একটি মেয়ে এইভাবে কাউকে ডাকতে পারে তা আমার ধারনার বাইরে ছিলো। সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিকে জলের মত এক মায়া দিয়ে দিয়েছেন। তাই মুহূর্তেই কালবৈশাখী ঝড় নামলো। আপাতত সে মায়াতেই আটকা পড়েছি ।
বৃষ্টির ঘন চাদরে আমার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। গোলাপী শাড়ী পড়া মেয়েটা উৎকণ্ঠা নিয়ে চা-ওয়ালার পথ দেখছে। আমি আড়চোখে মেয়েটার গাঢ় গোলাপী শাড়িটা দেখছি। মেয়েটা মাথা ঝুকে ভেজা শাড়ি সামলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কেনো জানি তৎক্ষণাৎ আমার ঝাপসা দৃষ্টি আরো ঝাপসা হয়ে আসলো। রাত তখন প্রায় ১২টা......।।
বিভ্রম কেটে গেলো হালকা এক হোঁচট খেয়ে ।
'কি ব্যাপার? পাগল নাকি আপনি? ফাঁকা রাস্তায় এভাবে কেউ ধাক্কা দেয়?'
আমার কানে কথা যাচ্ছে না। যাচ্ছে কম্পাংক। শ্রুতিমধুর কতোগুলি কম্পাংক। গোলাপী রঙের শাড়ি পড়া এই মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে, নীল আকাশের মাঝখানে একগুচ্ছ অর্কিড। দিনের আলোয় এইসব মেয়েদের দেখা যায় না। তখন আমরা দেখি সময় আর কার কত ঘাম।
'আপনি কি অন্ধ নাকি বোবা?'
(ঘটনাটি সত্যি নাকি কল্পনা বোঝার চেষ্টা করছি)
'কি হলো, বলেন? যদি সত্যি সত্যি অন্ধ বা বোবা হয়ে থাকেন তাহলে আমি এক্সট্রিমলি সরি !'
জী। আমি একজন অন্ধ মানুষ। দয়া করে বলবেন সেগুনবাগিচা যাওয়ার রাস্তাটা কোনদিকে? হাতে সময় নেই। জহুরুল হক ভাইয়ের বাসায় আজ আমার দাওয়াত। বৃষ্টি হওয়ার কারনে আমি চিনতে পারছি না কোন রাস্তায় আছি। যেখানেই যাচ্ছি সব জায়গাতেই স্যাতস্যাতে ভেজা।'
'সরি। আমি একদম বুঝি নি। এগেইন সরি। আপনি কিছু মনে না করলে, আমি আপনাকে সেগুনবাগিচা নামিয়ে দিচ্ছি। আমার সাথে রিক্সায় উঠতে সমস্যা আছে?'
'না না। তবে মানে আমার একটু চা পানের অভ্যাস আছে।'
মেয়েটা কি সত্যিই এত সুন্দর নাকি আমার মস্তিষ্ক বিকল হয়ে গেছে বুঝে উঠতে পারছি না। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকলে, নিউরোনাল সেল কিছু সময় তব্দা খেয়ে থাকে। এমন কিছুই হলো কি না !
'এইইই মামা.......' হঠাৎ বিকট এক চিৎকারে ঘোর কাটলো। কোমল শাড়ি পড়া মায়াময়ী চেহারার একটি মেয়ে এইভাবে কাউকে ডাকতে পারে তা আমার ধারনার বাইরে ছিলো। সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিকে জলের মত এক মায়া দিয়ে দিয়েছেন। তাই মুহূর্তেই কালবৈশাখী ঝড় নামলো। আপাতত সে মায়াতেই আটকা পড়েছি ।
বৃষ্টির ঘন চাদরে আমার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। গোলাপী শাড়ী পড়া মেয়েটা উৎকণ্ঠা নিয়ে চা-ওয়ালার পথ দেখছে। আমি আড়চোখে মেয়েটার গাঢ় গোলাপী শাড়িটা দেখছি। মেয়েটা মাথা ঝুকে ভেজা শাড়ি সামলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কেনো জানি তৎক্ষণাৎ আমার ঝাপসা দৃষ্টি আরো ঝাপসা হয়ে আসলো। রাত তখন প্রায় ১২টা......।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মানিক হোসেন ১০/০৪/২০১৮খুবই রোমান্টিক।পড়ে ভালো লাগলো।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৭/০৩/২০১৮গল্পটা পড়ে ভাল লেগেছে।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৬/০৩/২০১৮ভাল হয়েছে