www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

একই প্রকল্প ২বার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ভুয়া প্রকল্প ও একই প্রকল্প দুইবার দেখিয়ে এলজিএসপি ও এডিপি কর্মসূচির বেশিরভাগ অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।তাই স্থানীয় দেড় শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত একাধিক লিখিত অভিযোগ পত্র এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী,স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (এলজিএসপি-২) বরাবর দাখিল করে অর্থ আতœসাতের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অভিযোগপত্র ও অন্যান্য সূত্রে জানাগেছে,হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত এলজিএসপি-২ প্রকল্পের অর্থ অনিয়ম,দূনীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যামে আত্নসাত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সবচেয়ে বেশি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৬নং পুমদি ইউনিয়নে।উপজেলার পুমদি ইউপি চেয়ারম্যান আরজুল ইসলাম একই অর্থ বছরে একই প্রকল্প এলজিএসপি ও এডিপির মধ্যে দুইবার দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আতœসাত করেছেন।পুমদি ইউনিয়নে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে এলজিএসপির মোট ৯টি প্রকল্পের মধ্যে ১২ লক্ষ ৫২ হাজার ১১৫ টাকা বরাদ্দ হয়।এতে ৫০ নং প্রকল্পের ৪টি সহ ইউনিয়নের তালিকায় দেখানো হয়েছে ১৪টি প্রকল্প।একই অর্থ বছরে উপজেলার তালিকায় এডিপির প্রকল্পেও দেখানো হয়েছে ৭টি।এতে বরাদ্দ রয়েছে ৭ লক্ষাধিক টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যাক ওয়ার্ডে শতকরা ৫জন ভোটারের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্থবায়নের নির্দেশ থাকলেও তা না মেনে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা কোন সভা না করে পছন্দের লোক দিয়ে তদারকি কমিটি গঠন করে ওইসব প্রকল্পের অর্থ আতœসাত করেন।
উপজেলার বিজিসিসি কমিটির ১২ জন ইউপি মেম্বারের নামে ৬৭হাজার টাকা ও ৪ লাখ ২৩ হাজার ১১৫টাকা ইউপি চেয়ারম্যান ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেই আত্নসাত করেন। উপজেলার কুচিয়াখালী ব্রীজ থেকে আতিরা সড়কের কালভার্টের নামে বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা গত ৪ বছর পূবে নির্মিত কালভাট দেখিয়ে অর্থ আতœসাত করে।মধ্য পুমদি গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার বাড়ি থেকে কুচিয়াখালী ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা পূর্ণ নির্মানে এলজিএসপির বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৫টাকা একই অর্থ বছরে এডিপি প্রকল্পে বরাদ্দ দেখিয়েও অর্থ আতœসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে,ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ও তথ্যসেবা কেন্দ্রর উপকরন ক্রয়ের নামে বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা ইউএনওর কার্যালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর (১শতাংশ) বাবদ প্রাপ্ত ১ লাখ টাকার ব্যায় দেখিয়ে আত্নসাত করেন। তাছাড়া পুমদি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নলকূপ ও রিং কার্লভাট স্থাপনের নামে কয়েক লাখ টাকা আতœসাত, এলজিএসপি ও এডিপি প্রকল্পের অর্থ আত্নসাতসহ জাইকা অর্থায়নে রূপসা বিল উপ-প্রকল্পে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বাদ দিয়ে বিধি লঙ্গন করে চেয়ারম্যানের সহোদর ভাই শহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও অনুগত লোকদের সদস্য করে কমিটি গঠন করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গত ২৬ নভেম্বর অভিযোগকৃত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন কালে চেয়ারম্যানের ভাই শহিদুলের প্রতি বিক্ষুব্দ জনতা মারমূখি হয়ে উঠে।পরে স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ মসময় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামসুদ্দিন ভূইয়া,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল,আফতাব উদ্দিনসহ উপস্থিত শতাধিক লোকজন জানান,চেয়ারম্যান আরজুল ইসলাম নলকূপ স্থাপনের নামে অনেকের কাছ থেকে ১০/১২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন কিন্তুু প্রত্যেককে ৫/৬ হাজার টাকা মূল্যের নলকূপ দিয়ে বাকি টাকা আতœসাত করেছেন বলেও তারা সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে পুমদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আরজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, পুমদি ইউনিয়নের সকল প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। আমি কোন দূনীর্তির সাথে জড়িত নই।তবে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে এসব প্রকল্পের কয়েকটি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ১২৭০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩০/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • প্রবাসী পাঠক ৩০/১১/২০১৩
    সর্বত্রই অর্থ আত্মসাত এর প্রতিযোগিতা চলছে।

    আপনার লেখার সাথে তথ্যসুত্রের লিঙ্কটা এড করে দিলে লেখার গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।
    ধন্যবাদ।
 
Quantcast