হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকির মুখে সাহেবেরচর সরকারী প্রাঃ বিঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকির মূখে পড়েছে সাহেবেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক বসত বাড়ি ও ফসলি জমি। দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন অব্যাহত থাকলেও সরকারী উদ্যোগের অভাবে নদী পাড়ের বহু পরিবার ঘর-বাড়ি,গাছ পালা ও ফসলি জমি হারিয়ে মনবতর জীবন-যাপন করছেন। তাই ভোক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার চেয়েছেন।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার সিদলা ইউনিয়নে ১৯৩৭ সালে নির্মিত ১৪ নংসাহেবেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ২/৩ গজ দুরে রয়েছে।এ সময় উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের ইউপি সদস্য লিটন মিয়া,সমাজ সেবক ফরিদ উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, সরকারী ভাবে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ না নিলে অচিরেই স্কুলটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে।এতে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ওই স্কুলে কর্মরত ৫ জন শিক্ষককেও পড়তে হবে সীমাহিন দূর্ভোগে।তারা আরো জানান,দীর্ঘদিন যাবত ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যহত ভাঙনে চরাঞ্চলে ভুমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শতশত পরিবার এখন গৃহহীন।এসব পরিবারের অনেকেই জীবিকার তাগিদে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ কেউ অভাব অনটনে, রোগে ভোগে নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।তাই ভুক্তভোগীদের আর্তি সরকার যেন নদী ভাঙনে অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাড়ায় এবং তাদের পূনবাসনের ব্যবস্থা করে।
উপজেলার সাহেবেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ জানান, ইতি পূর্বে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আধাপাকা স্কুল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে নির্মিত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি এখন বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।এটি পূণরায় বিলীন হলে এ এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।তাই তারা বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য আশু সরকারী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সূত্রমতে, প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে গত কয়েক বছরে সরকারী প্রাইমারী স্কুল,মসজিদসহ বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার সাহেবেরচর মধ্যপাড়া গ্রামের জালাল ফকিরের চারটি বসত ঘর,চাঁন মিয়ার তিনটি ঘর, শাজাহানের দুটি,রাজ্জাকের তিনটি,সুলতান ফকিরের দুটি,বারিকের তিনটি,বাদল মিয়ার চারটি,আরিফ উদ্দিনের চারটি,হেলিমের তিনটি,নবি হোসেনের তিনটি,সালামের তিনটি,হাজী পাড়ার কেরামত আলীর ৫টিসহ কয়েকশ বাড়ি-ঘর।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির স্বপন ও সিদলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কাঞ্চন জানান, সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য একটি প্রকল্প তৈরী করে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার সিদলা ইউনিয়নে ১৯৩৭ সালে নির্মিত ১৪ নংসাহেবেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ২/৩ গজ দুরে রয়েছে।এ সময় উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের ইউপি সদস্য লিটন মিয়া,সমাজ সেবক ফরিদ উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, সরকারী ভাবে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ না নিলে অচিরেই স্কুলটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে।এতে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ওই স্কুলে কর্মরত ৫ জন শিক্ষককেও পড়তে হবে সীমাহিন দূর্ভোগে।তারা আরো জানান,দীর্ঘদিন যাবত ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যহত ভাঙনে চরাঞ্চলে ভুমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শতশত পরিবার এখন গৃহহীন।এসব পরিবারের অনেকেই জীবিকার তাগিদে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ কেউ অভাব অনটনে, রোগে ভোগে নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।তাই ভুক্তভোগীদের আর্তি সরকার যেন নদী ভাঙনে অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাড়ায় এবং তাদের পূনবাসনের ব্যবস্থা করে।
উপজেলার সাহেবেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ জানান, ইতি পূর্বে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আধাপাকা স্কুল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে নির্মিত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি এখন বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।এটি পূণরায় বিলীন হলে এ এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।তাই তারা বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য আশু সরকারী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সূত্রমতে, প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে গত কয়েক বছরে সরকারী প্রাইমারী স্কুল,মসজিদসহ বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার সাহেবেরচর মধ্যপাড়া গ্রামের জালাল ফকিরের চারটি বসত ঘর,চাঁন মিয়ার তিনটি ঘর, শাজাহানের দুটি,রাজ্জাকের তিনটি,সুলতান ফকিরের দুটি,বারিকের তিনটি,বাদল মিয়ার চারটি,আরিফ উদ্দিনের চারটি,হেলিমের তিনটি,নবি হোসেনের তিনটি,সালামের তিনটি,হাজী পাড়ার কেরামত আলীর ৫টিসহ কয়েকশ বাড়ি-ঘর।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির স্বপন ও সিদলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কাঞ্চন জানান, সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য একটি প্রকল্প তৈরী করে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ৩০/১১/২০১৩অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এই দাবীই করছি। আমার শততম পোষ্টে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করবে
-
রাখাল ২৭/১১/২০১৩সাংবাদিক ছাব, সাংঘাতিক খবর দিছেন । ছবি কই?