আপনি কিন্তু পাগল না
আপনি কিন্তু পাগল না। সত্যিই আপনি পাগল না। সবাই যদি একযোগে এসেও জিজ্ঞেস করে, “তুই কি পাগল?” এক শব্দে উত্তর দিন, “না”।
মধ্যরাতে মনে চাইতেই পারে একটু নাচতে হাত-পা ছড়িয়ে। এই তো আমাদের ঝুমুর, সেদিন বলে ও নাকি মধ্যরাতে রবীন্দ্রসঙ্গীত চালিয়ে নেচেছে সারা ঘরময়! মনে চাইতেই পারে ঘরের দরজা লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান গাইতে, বেসুরো গান, কাটা তালে, ভগ্ন লয়ে! আমাদের রেজা? এতো বিচ্ছিরি গান গায়! কিন্তু ও গায়, কাউকে পরোয়া না করেই গায়। বাথরুমের দরজা লাগিয়ে দেওয়ার পর নিজেকে ওর বিশাল কোনো গায়কের মতো মনে হয়। কেউ আবার দরজা লাগিয়ে কান্নাকাটিও করে। যাই হোক, এদের সবাই কিন্তু সমান না।
এই যেমন ধরুন, ঝুমুর, ওর পরিবারে অনেক সমস্যা। বাবা-মায়ের সাথে বনিবনা হচ্ছে না ক’দিন যাবত। রেজার তো ফেইলে ফেইলে জীবনটাকেই ফেইল মনে হচ্ছে! আমাদের প্রিতম তো সেদিন বলেই বসলো, “আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি। মরে গেলে কেমন হয়?” মধ্যরাতে সবাই যখন ঘুমোচ্ছে তখন ঝুমুরের মনে হলো ও একটু নাচবে? কেন? ঘুমিয়ে গেলে তো সব ভুলেই যেত। মাঝ রাতে রেজার কেন মনে হলো গলা ছেড়ে দিয়ে গান গাইতে? ও তো গান না গেয়ে অন্যকিছু করার কথাও ভাবতে পারতো! কেন ওকে গানই গাইতে হবে? তাও মাঝরাতে? এই সবকিছু মাঝরাতেই কেন? দিনের বেলা কি নাচতে মনে চায় না? গাইতে মনে চায় না? কে কি বলেন জানিনা, আমি আমার মতো করে একটু গুছিয়ে বলতে চেষ্টা করছি।
সম্ভবত এরা লুকাতে চায় নিজেকে সবার থেকে। নিরিবিলি, শান্ত একটা পরিবেশ চায়। যেখানে হয়তো কেউ তাকে দেখছে না। শুনছে না তাকে। একটা সময় সে সবাইকে শুনাতে চাইতো, বুঝাতে চাইতো। আজ হয়তো সে ক্লান্ত। এখন লুকানোই ভালো। একাই ভালো।
লুকিয়েই বা যাবে কোথায়? কি করবে? একা থাকতে কতক্ষণই বা ভালো লাগে? হয়তো এসব ভাবতে ভাবতে সে খুঁজে পায় রাত। মাঝরাত। সবাই চুপ। সব চুপ। নিশ্চুপ। আর... অন্ধকার। আর কি চাই বলুন? মনের মতো সুন্দর একটা পরিবেশ। আবেগী মন তখন কাতর দুঃখে। অনেক কাঁদে। আর রেজারা গায় গান। ঝুমুররা নাচে। নাচেরটা জানিনা, তবে বলবো গান আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। এগুলোও হয়তো কান্না। কান্নার অন্যরূপ। হয়তো নিজেকে ব্যস্ত রাখা, সবার চোখের আড়ালে, সবার থেকে, সবার মাঝে বসেই। পাগলামি নয়।
মধ্যরাতে মনে চাইতেই পারে একটু নাচতে হাত-পা ছড়িয়ে। এই তো আমাদের ঝুমুর, সেদিন বলে ও নাকি মধ্যরাতে রবীন্দ্রসঙ্গীত চালিয়ে নেচেছে সারা ঘরময়! মনে চাইতেই পারে ঘরের দরজা লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান গাইতে, বেসুরো গান, কাটা তালে, ভগ্ন লয়ে! আমাদের রেজা? এতো বিচ্ছিরি গান গায়! কিন্তু ও গায়, কাউকে পরোয়া না করেই গায়। বাথরুমের দরজা লাগিয়ে দেওয়ার পর নিজেকে ওর বিশাল কোনো গায়কের মতো মনে হয়। কেউ আবার দরজা লাগিয়ে কান্নাকাটিও করে। যাই হোক, এদের সবাই কিন্তু সমান না।
এই যেমন ধরুন, ঝুমুর, ওর পরিবারে অনেক সমস্যা। বাবা-মায়ের সাথে বনিবনা হচ্ছে না ক’দিন যাবত। রেজার তো ফেইলে ফেইলে জীবনটাকেই ফেইল মনে হচ্ছে! আমাদের প্রিতম তো সেদিন বলেই বসলো, “আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি। মরে গেলে কেমন হয়?” মধ্যরাতে সবাই যখন ঘুমোচ্ছে তখন ঝুমুরের মনে হলো ও একটু নাচবে? কেন? ঘুমিয়ে গেলে তো সব ভুলেই যেত। মাঝ রাতে রেজার কেন মনে হলো গলা ছেড়ে দিয়ে গান গাইতে? ও তো গান না গেয়ে অন্যকিছু করার কথাও ভাবতে পারতো! কেন ওকে গানই গাইতে হবে? তাও মাঝরাতে? এই সবকিছু মাঝরাতেই কেন? দিনের বেলা কি নাচতে মনে চায় না? গাইতে মনে চায় না? কে কি বলেন জানিনা, আমি আমার মতো করে একটু গুছিয়ে বলতে চেষ্টা করছি।
সম্ভবত এরা লুকাতে চায় নিজেকে সবার থেকে। নিরিবিলি, শান্ত একটা পরিবেশ চায়। যেখানে হয়তো কেউ তাকে দেখছে না। শুনছে না তাকে। একটা সময় সে সবাইকে শুনাতে চাইতো, বুঝাতে চাইতো। আজ হয়তো সে ক্লান্ত। এখন লুকানোই ভালো। একাই ভালো।
লুকিয়েই বা যাবে কোথায়? কি করবে? একা থাকতে কতক্ষণই বা ভালো লাগে? হয়তো এসব ভাবতে ভাবতে সে খুঁজে পায় রাত। মাঝরাত। সবাই চুপ। সব চুপ। নিশ্চুপ। আর... অন্ধকার। আর কি চাই বলুন? মনের মতো সুন্দর একটা পরিবেশ। আবেগী মন তখন কাতর দুঃখে। অনেক কাঁদে। আর রেজারা গায় গান। ঝুমুররা নাচে। নাচেরটা জানিনা, তবে বলবো গান আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। এগুলোও হয়তো কান্না। কান্নার অন্যরূপ। হয়তো নিজেকে ব্যস্ত রাখা, সবার চোখের আড়ালে, সবার থেকে, সবার মাঝে বসেই। পাগলামি নয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৮/০২/২০২২ভাবতেই হবে। সুন্দর সৃজন।