ড্রাগন ফল চাষ স্বপ্ন দেখাল কৃষক মোখলেছুর রহমানকে
নরসিংদীর মনোহরদীতে অপরিচিত ড্রাগন ফল চাষ করে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন কৃষক মোখলেছুর রহমান। মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দি ইউনিয়নের দিঘাকান্দি গ্রামের এই কৃষক সর্ব প্রথম এই উপজেলায় সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলের চাষাবাদ শুরু করেন। মাত্র এক বছরে তিনি তার ড্রাগন চাষাবাদে সফলতা লাভ করেন। এই সাফল্য অনুপ্রাণিত করছে এলাকার অন্যসব কৃষকদেরও। মোখলেছুর রহমানের বাবা তমিজ উদ্দিন মাস্টার একজন বীর মুক্তিযোদ্বা এবং তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। কৃষক মোখলেছুর রহমান স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।
স্থানীয়দের কাছে মোখলেছুর রহমান এখন ড্রাগন ফল চাষী হিসেবেই সুপরিচিত। ড্রাগন চাষের বিষয়ে নিজের বাগানে বসে কথা হয় মোখলেছুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এইচ.এস.সি পাশ করে দীর্ঘ ৭ বছর একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকুরি করতেন। পরে এনজিওর চাকুরি ছেড়ে দিয়ে তিনি তার এক পরিচিত ড্রাগন চাষীর পরামর্শ নিয়ে বাড়তি আয়ের আশায় ড্রাগন চাষাবাদের সিদ্বান্ত নেন। বাড়িতে এসে প্রথমে তিনি প্রতিবেশি এক কৃষকের কাছ থেকে ৭০ শতাংশ জমি ১০ বছর মেয়াদে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষাবাদ শুরু করেন।
ড্রাগনের গাছ সোজা রাখার জন্য জমিতে পিলার স্থাপন করা হয়। জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ দুরত্ব বজায় রেখে জমি জুড়ে এমন ৪৫০টি পিলার স্থাপন করে প্রত্যেক পিলারের মাথায় একটি করে পরিত্যাক্ত ইজিবাইকের ট্রায়ার বেধে দেয়া হয়। ৪৫০ টি পিলারে ১৮০০ টি ড্রাগন চারা রোপন করা হয়। বাগানে পাঁচ জাতের ড্রাগনের চারা রোপন করা হয়েছে। এর মাঝে রয়েছে লাল, গোলাপি, সাদা, হলুদ ও মেজেন্ডা জাতের। এতে বাগানে এ পর্যন্ত তার সর্বমোট ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে বলেও তিনি জানান। বাগানটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, ক্যাকটাস গাছের মতো দেখতে ড্রাগনের গাছগুলো বেড়ে ইতিমধ্যে সিমেন্টের খুটির মাথায় ছুঁই ছুঁই করছে। ড্রাগন চাাষের জন্য আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে ইতিমধ্যে ড্রাগনের চারাগুলো বেশ পরিপক্কও হয়ে উঠেছে। বাগানের বয়স প্রায় এক বছর হয়। নয় মাসে ফুল এবং দশ মাস হতে ফল ধরা শুরু করেছে। প্রথম বছরে ফলও আসে বেশ। ফল দেখতে ও কিনতে ভিড় জমান এলাকাসহ দূর-দূরান্তের লোকজন। এরই মাঝে তিনি বাগানের ফল বিক্রি শুরু করেছেন। ফল বিক্রি করেও তিনি ভাল আয় করছেন। প্রথম ফলনে মোখলেছুর রহমান বাগান থেকে এক লক্ষ টাকার মতো ড্রাগন ফল বিক্রি করেন বলে জানান। কৃষক মোখলেছুর রহমান আরও জানান, ড্রাগন চারা রোপনের এক বছরের মাঝে গাছে ফুল আসে। ফুল আসার ২০-২৫ দিনের মধ্যে ফল হয়। প্রতিটি ড্রাগন গাছ ২০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজ উপজেলায় ড্রাগন চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অন্যন্য অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছেন মোখলেছুর রহমান।
ড্রাগন বাগানে তার যে টাকা খরচ হয়েছিল তা উঠে আসতে শুরু করেছে। ড্রাগন গাছ পরিচর্যায় ফেলে দেয়া অংশ দিয়ে একই জমির এক পাশে কাটিং/চারা তৈরি করতে শুরু করছেন তিনি। কিছুদিন পর এসব কাটিং/চারা বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করা যাবে বলেও তিনি জানান। মোখলেছুর রহমানের এ সফলতায় এলাকায় অনেকে তাকে মূল্যায়ন করে।
মনোহরদীর কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, এই এলাকার মাটি এবং আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগি। আমরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পক্ষ থেকে সর্বদা বাগানটি পরিদর্শন করে চাষিকে উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয়দের কাছে মোখলেছুর রহমান এখন ড্রাগন ফল চাষী হিসেবেই সুপরিচিত। ড্রাগন চাষের বিষয়ে নিজের বাগানে বসে কথা হয় মোখলেছুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এইচ.এস.সি পাশ করে দীর্ঘ ৭ বছর একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকুরি করতেন। পরে এনজিওর চাকুরি ছেড়ে দিয়ে তিনি তার এক পরিচিত ড্রাগন চাষীর পরামর্শ নিয়ে বাড়তি আয়ের আশায় ড্রাগন চাষাবাদের সিদ্বান্ত নেন। বাড়িতে এসে প্রথমে তিনি প্রতিবেশি এক কৃষকের কাছ থেকে ৭০ শতাংশ জমি ১০ বছর মেয়াদে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষাবাদ শুরু করেন।
ড্রাগনের গাছ সোজা রাখার জন্য জমিতে পিলার স্থাপন করা হয়। জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ দুরত্ব বজায় রেখে জমি জুড়ে এমন ৪৫০টি পিলার স্থাপন করে প্রত্যেক পিলারের মাথায় একটি করে পরিত্যাক্ত ইজিবাইকের ট্রায়ার বেধে দেয়া হয়। ৪৫০ টি পিলারে ১৮০০ টি ড্রাগন চারা রোপন করা হয়। বাগানে পাঁচ জাতের ড্রাগনের চারা রোপন করা হয়েছে। এর মাঝে রয়েছে লাল, গোলাপি, সাদা, হলুদ ও মেজেন্ডা জাতের। এতে বাগানে এ পর্যন্ত তার সর্বমোট ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে বলেও তিনি জানান। বাগানটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, ক্যাকটাস গাছের মতো দেখতে ড্রাগনের গাছগুলো বেড়ে ইতিমধ্যে সিমেন্টের খুটির মাথায় ছুঁই ছুঁই করছে। ড্রাগন চাাষের জন্য আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে ইতিমধ্যে ড্রাগনের চারাগুলো বেশ পরিপক্কও হয়ে উঠেছে। বাগানের বয়স প্রায় এক বছর হয়। নয় মাসে ফুল এবং দশ মাস হতে ফল ধরা শুরু করেছে। প্রথম বছরে ফলও আসে বেশ। ফল দেখতে ও কিনতে ভিড় জমান এলাকাসহ দূর-দূরান্তের লোকজন। এরই মাঝে তিনি বাগানের ফল বিক্রি শুরু করেছেন। ফল বিক্রি করেও তিনি ভাল আয় করছেন। প্রথম ফলনে মোখলেছুর রহমান বাগান থেকে এক লক্ষ টাকার মতো ড্রাগন ফল বিক্রি করেন বলে জানান। কৃষক মোখলেছুর রহমান আরও জানান, ড্রাগন চারা রোপনের এক বছরের মাঝে গাছে ফুল আসে। ফুল আসার ২০-২৫ দিনের মধ্যে ফল হয়। প্রতিটি ড্রাগন গাছ ২০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজ উপজেলায় ড্রাগন চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অন্যন্য অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছেন মোখলেছুর রহমান।
ড্রাগন বাগানে তার যে টাকা খরচ হয়েছিল তা উঠে আসতে শুরু করেছে। ড্রাগন গাছ পরিচর্যায় ফেলে দেয়া অংশ দিয়ে একই জমির এক পাশে কাটিং/চারা তৈরি করতে শুরু করছেন তিনি। কিছুদিন পর এসব কাটিং/চারা বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করা যাবে বলেও তিনি জানান। মোখলেছুর রহমানের এ সফলতায় এলাকায় অনেকে তাকে মূল্যায়ন করে।
মনোহরদীর কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, এই এলাকার মাটি এবং আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগি। আমরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পক্ষ থেকে সর্বদা বাগানটি পরিদর্শন করে চাষিকে উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ০৬/০৯/২০২১শিক্ষনিয় পোষ্ট।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৭/১১/২০২০সুন্দর পোষ্ট
-
ফয়জুল মহী ০২/১১/২০২০Good post