সময়ের পরিবর্তন
আমি লিখতে ভুলে গেছি।
আগের মতো কোন ছন্দ মাথায় আসে না।
সময়ের বিবর্তনে আমার অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে।শখের কাজগুলো কেমন ধামাচাপা পরে গেছে।
আগে কত ছবি আঁকতে পছন্দ করতাম।ছবি এঁকে রুমের দেয়ালের সাজিয়ে রাখা ছিলো,আমার অন্যতম শখ।বাড়িতে মেহমান আসলে ছবি নিয়ে ভালো মন্তব্য করলে মনের অজান্তে খুব ভালো লাগতো।খুব উৎসাহ পেতাম।আরো ভালো ভালো ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমার এই শখ আর তার জায়গাই রইলো না।হারিয়ে গেলো।আগের মতো এখন ছবি আঁকতে আর মন চায় না।
গাছ লাগাতে খুব ভালো লাগতো।টিফিনের টাকা জমিয়ে, প্রত্যেক বৃক্ষ মেলা থেকে গাছ কিনে নিয়ে আসতাম।আমার একটা শখের বাগান ছিলো,অনেক জায়গা থেকে গাছ সংগ্রহ করে নিজের হাতে বাগান করে ছিলাম।আমার সবচেয়ে পছন্দের গাছ ছিলো বেলী আর গন্ধরাজ ফুলের চারা।প্রত্যেকদিন সকালে গাছে ফুল ফুটেছে কি না দেখতাম।আর ওয়ার্ণিং করে যেতাম কেও যেনো একটা ফুলও না ছিঁড়ে।প্রত্যেক সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসার পরে ফুলের গন্ধে আমার মনটা ভরে যেতো।প্রত্যেক সকালে ফুল গাছের ফুলগুলো না দেখতে পারলে দিনটায় নষ্ট হয়ে যেতো।গাছের ফুলগুলো গুনে রাখতাম আর ফুলের কলিগুলো দেখতাম কবে ফুটবে।ফুলের সাথে কথা বলতাম মনে মনে।প্রত্যেক ফুলের সুভাষ নিতাম প্রাণ খুলে। সময়ের সাথে সাথে এই শখটাও হারিয়ে গেছে।এখন গাছ লাগতে চাইলেও পারি না।সময় নেই,নিজের জায়গা নেই।এই শখটাও বিলীন হয়ে গেছে।বাগান নষ্ট হয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।
খুব বই পড়তে পছন্দ করতাম,বই সংগ্রহ করে গুছিয়ে রাখতে ভালো লাগতো।৮ম শ্রেণীর JSC পরীক্ষার পর যত গল্পের বই আছে সব শেষ করে ফেলেছিলাম ৩ দিনে।আর শীতের দিনে গায়ে চাদর জড়িয়ে রোদ পোহাতে আর বই পড়তে খুব ভালো লাগতো।এখনো বই কিনি।আমার টিউশনের অর্ধেক টাকা শুধু বই কিনতেই চলে যায়।কিন্তু বাস্তবতার কারনে আগের মতো উপভোগ করে বই পড়তে পারি না।বইগুলো আমায় ডাকে প্রতি রাতে।যান্ত্রিক শহরে রাত জেগে বই পড়ে উঠা হয় না।সময় পেলেও খুব কম।
লিখতে পছন্দ করতাম,লিখার ছন্দ হারিয়ে গেছে।ক্যারিয়ার গঠন করার সময়ের কাছে,আমার জীবন থেকে এই ইচ্ছেগুলো শেষ হয়ে গেলো।সংসার ও পরিবারকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে জীবনের ছন্দ পাল্টে গেলো।এখন আর আগের মতো জীবনটাকে ছোট ছোট ইচ্ছের রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি না।
সময়ের স্রোতে একটি মেয়ের জীবনে চারদিক আলো/ছায়ার খেলায় মেতে উঠে।সংসার/পরিবার/ক্যারিয়ার গঠন করতে করতে মনের শখ/স্বপ্ন/ইচ্ছে সব চাপা পরে যায়।নিজে মনের ইচ্ছের কথা ভুলে যায়।জীবনের ব্যস্ততার মাঝে কখনো কারো জানা হয়ে উঠে না আমাদের শখ/ইচ্ছেগুলো।
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে আরেকটি বার নিজের শখ/ইচ্ছের কাছে।
ছোট জীবনে নিয়তির কাছে আমরা হেরে যায়।হেরে যায় বাস্তবতার কাছে।পুতুল খেলার দিনগুলো আর ফিরে আসে না।
বর্তমান যুগে আমাদের থেকে কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা যখন প্রেম-ভালবাসার রং খুঁজে,তখন আমরা প্রকৃতি আর ইচ্ছের রঙ্গে ডুবে যেতাম।আমাদের ছোট ছোট স্বপ্নগুলোই ছিলো ভালবাসা।
-তানজু এইচ।
আগের মতো কোন ছন্দ মাথায় আসে না।
সময়ের বিবর্তনে আমার অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে।শখের কাজগুলো কেমন ধামাচাপা পরে গেছে।
আগে কত ছবি আঁকতে পছন্দ করতাম।ছবি এঁকে রুমের দেয়ালের সাজিয়ে রাখা ছিলো,আমার অন্যতম শখ।বাড়িতে মেহমান আসলে ছবি নিয়ে ভালো মন্তব্য করলে মনের অজান্তে খুব ভালো লাগতো।খুব উৎসাহ পেতাম।আরো ভালো ভালো ছবি আঁকার চেষ্টা করতাম।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমার এই শখ আর তার জায়গাই রইলো না।হারিয়ে গেলো।আগের মতো এখন ছবি আঁকতে আর মন চায় না।
গাছ লাগাতে খুব ভালো লাগতো।টিফিনের টাকা জমিয়ে, প্রত্যেক বৃক্ষ মেলা থেকে গাছ কিনে নিয়ে আসতাম।আমার একটা শখের বাগান ছিলো,অনেক জায়গা থেকে গাছ সংগ্রহ করে নিজের হাতে বাগান করে ছিলাম।আমার সবচেয়ে পছন্দের গাছ ছিলো বেলী আর গন্ধরাজ ফুলের চারা।প্রত্যেকদিন সকালে গাছে ফুল ফুটেছে কি না দেখতাম।আর ওয়ার্ণিং করে যেতাম কেও যেনো একটা ফুলও না ছিঁড়ে।প্রত্যেক সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসার পরে ফুলের গন্ধে আমার মনটা ভরে যেতো।প্রত্যেক সকালে ফুল গাছের ফুলগুলো না দেখতে পারলে দিনটায় নষ্ট হয়ে যেতো।গাছের ফুলগুলো গুনে রাখতাম আর ফুলের কলিগুলো দেখতাম কবে ফুটবে।ফুলের সাথে কথা বলতাম মনে মনে।প্রত্যেক ফুলের সুভাষ নিতাম প্রাণ খুলে। সময়ের সাথে সাথে এই শখটাও হারিয়ে গেছে।এখন গাছ লাগতে চাইলেও পারি না।সময় নেই,নিজের জায়গা নেই।এই শখটাও বিলীন হয়ে গেছে।বাগান নষ্ট হয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।
খুব বই পড়তে পছন্দ করতাম,বই সংগ্রহ করে গুছিয়ে রাখতে ভালো লাগতো।৮ম শ্রেণীর JSC পরীক্ষার পর যত গল্পের বই আছে সব শেষ করে ফেলেছিলাম ৩ দিনে।আর শীতের দিনে গায়ে চাদর জড়িয়ে রোদ পোহাতে আর বই পড়তে খুব ভালো লাগতো।এখনো বই কিনি।আমার টিউশনের অর্ধেক টাকা শুধু বই কিনতেই চলে যায়।কিন্তু বাস্তবতার কারনে আগের মতো উপভোগ করে বই পড়তে পারি না।বইগুলো আমায় ডাকে প্রতি রাতে।যান্ত্রিক শহরে রাত জেগে বই পড়ে উঠা হয় না।সময় পেলেও খুব কম।
লিখতে পছন্দ করতাম,লিখার ছন্দ হারিয়ে গেছে।ক্যারিয়ার গঠন করার সময়ের কাছে,আমার জীবন থেকে এই ইচ্ছেগুলো শেষ হয়ে গেলো।সংসার ও পরিবারকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে জীবনের ছন্দ পাল্টে গেলো।এখন আর আগের মতো জীবনটাকে ছোট ছোট ইচ্ছের রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি না।
সময়ের স্রোতে একটি মেয়ের জীবনে চারদিক আলো/ছায়ার খেলায় মেতে উঠে।সংসার/পরিবার/ক্যারিয়ার গঠন করতে করতে মনের শখ/স্বপ্ন/ইচ্ছে সব চাপা পরে যায়।নিজে মনের ইচ্ছের কথা ভুলে যায়।জীবনের ব্যস্ততার মাঝে কখনো কারো জানা হয়ে উঠে না আমাদের শখ/ইচ্ছেগুলো।
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে আরেকটি বার নিজের শখ/ইচ্ছের কাছে।
ছোট জীবনে নিয়তির কাছে আমরা হেরে যায়।হেরে যায় বাস্তবতার কাছে।পুতুল খেলার দিনগুলো আর ফিরে আসে না।
বর্তমান যুগে আমাদের থেকে কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা যখন প্রেম-ভালবাসার রং খুঁজে,তখন আমরা প্রকৃতি আর ইচ্ছের রঙ্গে ডুবে যেতাম।আমাদের ছোট ছোট স্বপ্নগুলোই ছিলো ভালবাসা।
-তানজু এইচ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৫/০৩/২০২০ভালো লেখা
-
আরজু নাসরিন পনি ২৫/১১/২০১৯রুঢ় বাস্তবতায় অনেক শখই মনের ভেতর গুমরে কাঁদে।
-
নুর হোসেন ২২/১১/২০১৯হতাশা বোধ করলে কিছুদিন অবসর গ্রহন করুন, ভাল লাগবে।
-
নাসরীন আক্তার রুবি ২০/১১/২০১৯বাহ্ ষন্যরকম লেখা
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২০/১১/২০১৯বাস্তব রূপ ফুটে উঠেছে লেখায়।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/১১/২০১৯মনস্থির করুন।
আবার সবকিছু হবে।