শূন্যতা
১৫ই অক্টোবর রাত ১১.১৫ মিনিট।
প্রতিদিনের মতো কথা হচ্ছিলো।হঠাৎ করে ফোনের ওপাশ থেকে কোন মেসেজ আসছে না।অনেক মেসেজ দেওয়ার পরেও যখন কোন উত্তর পেলাম না,তখন মনে মনে খুব রাগ হচ্ছিলো।
সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে থেকে দুজন দুজনাকে সময় দিতে পারছিলাম না,আবার রাতে সম্পূর্ণ কথা বলা,শেষ হওয়ার আগেই উনি ঘুমিয়ে গেলো?আমার জন্যে কোন সময় নেই।
এতটা রাগ হচ্ছিল ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অনলাইন থেকে চলে গেলাম।কারন,১২ টার পর অনলাইনে থাকতে মানা।
ঘুম আসেনা না।
এপাশ-ওপাশ করে ,১ ঘন্টা পরে অনলাইনে ঢুকলাম,তুমি আসছো কি না দেখতে।কিন্তু তখনও পেলাম না।ফোনে কল দিলাম রিসিভ হয়নি।ফোনটা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে টিউশনি ছিলো,অনলাইনে তোমায় পেলাম না।অনেক কল দিলাম ফোন রিসিভ হলো না।মনে মনে আরও রাগ হলো।সারা রাত ঘুমানোর পর সকালে একবারও মনে পড়লো না?
থাক্-আমিও কল দিবো না।দেখি আমাকে উনার কখন মনে পড়ে।
পড়াতে চলে গেলাম।
পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে কল দিলাম রিসিভ হয়নি।দুপুর ১২ টার পর ফোন সুইচ অফ।তখন রাগ থেকে বেশী টেনশন হতে লাগলো।সব নাম্বারে কল দিতে চেষ্টা করলাম।সব নাম্বার বন্ধ।
বাড়ির নাম্বারে কল দিলাম তাও রিসিভ হয়নি।অনেক চেষ্টার পর সন্ধ্যায় বাড়ির নাম্বার রিসিভ হলো।আপু বললো একটা জরুরী কথা আছে,একটু পরে ফোন দিতে।
টেনশন আরও বেড়ে গেলো।সময় যেনো কাটছে না।কি হয়েছে ভেবে ভেবে চিন্তায় অস্থির।
একটু পর ফোন দিলাম।
সব কথা শুনে হৃদপিন্ডটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
না পারতেছি কাঁদতে,না পারতেছি কথা বলতে।খুব কষ্ট করে ২-১ কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম।কি করবো বোঝে উঠতে পারতেছিনা।চোখ দিতে জল পড়তেই ছোট বোন জিজ্ঞাসা করলো কি হয়ছে তোমার?
বললাম,সামনে পরীক্ষা তো টেনশনে কান্না পাচ্ছে।
বুকের ভিতরটা ফেঁটে যাচ্ছে,কাউকে বলতে পারছি না,বোঝতেও দিচ্ছি না।কি করবো তাও জানি না।কিভাবে কি হবে কোন উপায় পাচ্ছি না।
খুব অসহায় হয়ে গিয়েছিলাম।বড্ড একা লাগতো।সবার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হতো না।খাওয়া দাওয়া কিছু ভালোলাগতো না।
তোমার একটু খবর নেওয়ার জন্যে খুব অপেক্ষায় থাকতাম।কবে ফিরার আশায় বসে থাকতাম।কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে,তোমার শূন্যটা বুকে খুব আঘাত করতো।এক নিমিষে জীবনটা কেমন থমকে গেলো।তোমার শূন্যতা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
পরের দিন……..
(চলবে……)
প্রতিদিনের মতো কথা হচ্ছিলো।হঠাৎ করে ফোনের ওপাশ থেকে কোন মেসেজ আসছে না।অনেক মেসেজ দেওয়ার পরেও যখন কোন উত্তর পেলাম না,তখন মনে মনে খুব রাগ হচ্ছিলো।
সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে থেকে দুজন দুজনাকে সময় দিতে পারছিলাম না,আবার রাতে সম্পূর্ণ কথা বলা,শেষ হওয়ার আগেই উনি ঘুমিয়ে গেলো?আমার জন্যে কোন সময় নেই।
এতটা রাগ হচ্ছিল ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অনলাইন থেকে চলে গেলাম।কারন,১২ টার পর অনলাইনে থাকতে মানা।
ঘুম আসেনা না।
এপাশ-ওপাশ করে ,১ ঘন্টা পরে অনলাইনে ঢুকলাম,তুমি আসছো কি না দেখতে।কিন্তু তখনও পেলাম না।ফোনে কল দিলাম রিসিভ হয়নি।ফোনটা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে টিউশনি ছিলো,অনলাইনে তোমায় পেলাম না।অনেক কল দিলাম ফোন রিসিভ হলো না।মনে মনে আরও রাগ হলো।সারা রাত ঘুমানোর পর সকালে একবারও মনে পড়লো না?
থাক্-আমিও কল দিবো না।দেখি আমাকে উনার কখন মনে পড়ে।
পড়াতে চলে গেলাম।
পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে কল দিলাম রিসিভ হয়নি।দুপুর ১২ টার পর ফোন সুইচ অফ।তখন রাগ থেকে বেশী টেনশন হতে লাগলো।সব নাম্বারে কল দিতে চেষ্টা করলাম।সব নাম্বার বন্ধ।
বাড়ির নাম্বারে কল দিলাম তাও রিসিভ হয়নি।অনেক চেষ্টার পর সন্ধ্যায় বাড়ির নাম্বার রিসিভ হলো।আপু বললো একটা জরুরী কথা আছে,একটু পরে ফোন দিতে।
টেনশন আরও বেড়ে গেলো।সময় যেনো কাটছে না।কি হয়েছে ভেবে ভেবে চিন্তায় অস্থির।
একটু পর ফোন দিলাম।
সব কথা শুনে হৃদপিন্ডটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
না পারতেছি কাঁদতে,না পারতেছি কথা বলতে।খুব কষ্ট করে ২-১ কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম।কি করবো বোঝে উঠতে পারতেছিনা।চোখ দিতে জল পড়তেই ছোট বোন জিজ্ঞাসা করলো কি হয়ছে তোমার?
বললাম,সামনে পরীক্ষা তো টেনশনে কান্না পাচ্ছে।
বুকের ভিতরটা ফেঁটে যাচ্ছে,কাউকে বলতে পারছি না,বোঝতেও দিচ্ছি না।কি করবো তাও জানি না।কিভাবে কি হবে কোন উপায় পাচ্ছি না।
খুব অসহায় হয়ে গিয়েছিলাম।বড্ড একা লাগতো।সবার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হতো না।খাওয়া দাওয়া কিছু ভালোলাগতো না।
তোমার একটু খবর নেওয়ার জন্যে খুব অপেক্ষায় থাকতাম।কবে ফিরার আশায় বসে থাকতাম।কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে,তোমার শূন্যটা বুকে খুব আঘাত করতো।এক নিমিষে জীবনটা কেমন থমকে গেলো।তোমার শূন্যতা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
পরের দিন……..
(চলবে……)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
sudipta chowdhury ২৮/১২/২০১৯Lacking of loving person's existence is not recoverable in life
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ২৬/১০/২০১৯সহজ ভাবে বলছেন, ভালো লাগছে , দেখা যাক আগামী ।
-
এইচ আর মুন্না ২৬/১০/২০১৯অনন্য সুন্দর লিখন ভঙ্গি
-
জাহিরুল মিলন ২৩/১০/২০১৯হুম
-
তৈয়বা মনির ১৭/১০/২০১৯সুন্দর...ভালো লাগল...শুভকামনা
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/১০/২০১৯জীবনের কাহিনী!
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৬/১০/২০১৯নাইস