অপূর্ণতা
সে রাগ করে অাছে।।ফোন দিচ্ছি ফোন ধরছে না,বার বার কেটে দিচ্ছে।।আমার কেমন জানি অসস্থি লাগছে,মনে হচ্ছে সব কিছু মাথার উপর ঘুরছে।।হঠাৎ করে, মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম।তারপর জ্ঞান ফিরে দেখি অামি হাসপাতালে।।
মা-বাবা কাঁদছে।।অামি একটু হেসে বললাম"কাঁদছো কেনো,অামি তো সুস্থ অাছি,একটু মাথা ঘুরে গেলো।"মা দৌঁড়ে বাইরে চলে গেলো।বাবাও কেমন জানি মুখ লুকিয়ে ফেললো।।কিছুই বোঝলাম না।কেও কোন কথা বলছে না।।
একটু পরে বাবাকে ডক্টর ডেকে নিলো।মা রুমে অাসলো।বাবা অামাকে জানাতে চাইছিলো না অামার কি হয়েছে।কিন্তু মা সামলাতে পারছিলো না,কেঁদে কেঁদে সব বলে দিলো।।
মাথায় যেনো বাজ পড়লো, প্রথম প্রথম বোঝতেই পারিনি,আমার এতো বড় অসুখ। ভার্সিটি উঠার পর হাল্কা মাথা ব্যাথা করতো।পাত্তা দিতাম না।।কেননা,আমি অামার কাজে ব্যাস্ত।।এতো ব্যাস্ততার মাঝে অসুখটা হয়ে যাবে বোঝিনি, একসময় রিলেশনে জড়িয়ে পড়লাম।আমি তকে অাদর করে সুইট বলে ডাকতাম।।সব ঠিক-ঠাক চলতে ছিলো।মাথার ব্যাথাটা পিছু ছাড়লো না।
অাজ অামার ব্রেন ক্যান্সারের ব্যাপারটা জানতে পারলাম।ডক্টর বলল,খুব তাড়াতাড়ি মারা যাবো,হাতে বেশী সময় নেই।। আমার জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।কেননা ওকে হয়তো শেষ দেখাও দেখতে পারবো না।।তবে তেমন ভয়ও করছে না।।নিষ্ঠুর পৃথিবী আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে।।ওকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না তবুও যে যেতে হবে।।এটায় ছিলো কপালের লিখন।।
তাকে মন ভরে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু সব কেমন জানি ঝাপসা দেখছি।একবার ভালবাসি বলতে ইচ্ছে হচ্ছে তবুও বলতে পারছি না।হাতটা ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে,তবুও ধরতে পারছি না।।
মাকে বলে অামার ডাইরীটা নিয়ে অাসতে,লিখতে বসলাম,
"জানি না তুমি কেমন অাছো,অভিমান করে অাছো আজও।।জানি অামার উপর খুব রাগ করে অাছো।রাগ ভাঙ্গার সময় ফুরিয়ে অাসছে যে,তুমি জানতেও পারলে না।খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো,কিন্তু পেলাম না তোমার দেখা।জানো প্রতিবার অামি যখন তোমার সাথে রাগ করতাম তুমি হাসিয়ে অামার রাগটা ভেঙ্গে দিতে,বেশীক্ষন রাগ করে থাকতেই পারতাম না।অনেক অাবদার করতাম তোমার মুখটা দেখবো বলে,তুমি হয়তো একটু বিরক্ত হতে।এখন থেকে অার হবে না।অাবদার মুক্তি নিচ্ছে।তুমি না চাইলেও মুক্ত হয়ে গেলো। অামি তো মারা যাবো,তোমার সাথে কথা বলতেও পারলাম না,দেখতেও পেলাম না,তবে একটা শেষ অাবদার ছিলো,মরে গেলে প্রত্যেক সপ্তাহে,না পারলে মাসে একবার হলেও অামার কবরের পাশে একটু বসে থেকো,অামার অপূর্ণ ভালোবাসার মাঝে একটু ছোঁয়া দিতে।।একটা গোলাপ এনো অামার জন্যে,একবার ভালোবাসি বলে,অামার অপূর্ণতা ভালোবাসাকে পূর্ণ করে দিও।আর............"
হাতের ডাইরীটা পড়ে গেলো,চোখের আলো নিভে যাচ্ছে।শুধু মনে একটা ছবি ভেসে উঠল।।অনেক কথা লিখার ছিলো পারলাম না, ক্ষনিকের জীবনে সবই অপূর্ণতা থেকে গেলো। চোখটাও বন্ধ হয়ে আসলো।ঝাপসা চোখে দেখলাম সবাই পাশে কাঁদছে।তারপর জীবনে চলে এলো শান্তির ঘুম।।
[হয়তো অনেক ভালোবাসা এভাবেই শেষ হয়ে যায়, অপূর্ণতা থেকে যায়।মান-অভিমানে,শেষ ইচ্ছের বলিদান দিতে হয়,চাওয়াটুকু অপূর্ণতাই হয়ে থাকে।
অল্প সময়ের মাঝেও জীবনের কোন ভরসা নেই,তবুও অামরা স্বপ্ন দেখি,ভালো থাকার স্বপ্ন,ভালো রাখার স্বপ্ন।তবুও আশায় থাকি কবে অাসবে সেই দিন,যদিও মনেই থাকে না মৃত্যু আমার সন্নিকটে।। তবুও ভালবাসা বেঁচে থাকে হৃদয়ে,প্রেম জেগে থাকে স্মৃতির পাতায়,আর মনের মানুষ ছবি হয়ে থাকে দেয়ালের ফ্রেমে,আর না হয় ভালবাসার মানুষের পাশে।।
সবশেষে বলতে পারি,
“ভালোবাসা বেঁচে থাকুক ভালোবাসার মাঝে।”]
##তানজু এইচ##
(বি : দ্রঃ-লেখাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক)
মা-বাবা কাঁদছে।।অামি একটু হেসে বললাম"কাঁদছো কেনো,অামি তো সুস্থ অাছি,একটু মাথা ঘুরে গেলো।"মা দৌঁড়ে বাইরে চলে গেলো।বাবাও কেমন জানি মুখ লুকিয়ে ফেললো।।কিছুই বোঝলাম না।কেও কোন কথা বলছে না।।
একটু পরে বাবাকে ডক্টর ডেকে নিলো।মা রুমে অাসলো।বাবা অামাকে জানাতে চাইছিলো না অামার কি হয়েছে।কিন্তু মা সামলাতে পারছিলো না,কেঁদে কেঁদে সব বলে দিলো।।
মাথায় যেনো বাজ পড়লো, প্রথম প্রথম বোঝতেই পারিনি,আমার এতো বড় অসুখ। ভার্সিটি উঠার পর হাল্কা মাথা ব্যাথা করতো।পাত্তা দিতাম না।।কেননা,আমি অামার কাজে ব্যাস্ত।।এতো ব্যাস্ততার মাঝে অসুখটা হয়ে যাবে বোঝিনি, একসময় রিলেশনে জড়িয়ে পড়লাম।আমি তকে অাদর করে সুইট বলে ডাকতাম।।সব ঠিক-ঠাক চলতে ছিলো।মাথার ব্যাথাটা পিছু ছাড়লো না।
অাজ অামার ব্রেন ক্যান্সারের ব্যাপারটা জানতে পারলাম।ডক্টর বলল,খুব তাড়াতাড়ি মারা যাবো,হাতে বেশী সময় নেই।। আমার জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।কেননা ওকে হয়তো শেষ দেখাও দেখতে পারবো না।।তবে তেমন ভয়ও করছে না।।নিষ্ঠুর পৃথিবী আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে।।ওকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না তবুও যে যেতে হবে।।এটায় ছিলো কপালের লিখন।।
তাকে মন ভরে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু সব কেমন জানি ঝাপসা দেখছি।একবার ভালবাসি বলতে ইচ্ছে হচ্ছে তবুও বলতে পারছি না।হাতটা ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে,তবুও ধরতে পারছি না।।
মাকে বলে অামার ডাইরীটা নিয়ে অাসতে,লিখতে বসলাম,
"জানি না তুমি কেমন অাছো,অভিমান করে অাছো আজও।।জানি অামার উপর খুব রাগ করে অাছো।রাগ ভাঙ্গার সময় ফুরিয়ে অাসছে যে,তুমি জানতেও পারলে না।খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো,কিন্তু পেলাম না তোমার দেখা।জানো প্রতিবার অামি যখন তোমার সাথে রাগ করতাম তুমি হাসিয়ে অামার রাগটা ভেঙ্গে দিতে,বেশীক্ষন রাগ করে থাকতেই পারতাম না।অনেক অাবদার করতাম তোমার মুখটা দেখবো বলে,তুমি হয়তো একটু বিরক্ত হতে।এখন থেকে অার হবে না।অাবদার মুক্তি নিচ্ছে।তুমি না চাইলেও মুক্ত হয়ে গেলো। অামি তো মারা যাবো,তোমার সাথে কথা বলতেও পারলাম না,দেখতেও পেলাম না,তবে একটা শেষ অাবদার ছিলো,মরে গেলে প্রত্যেক সপ্তাহে,না পারলে মাসে একবার হলেও অামার কবরের পাশে একটু বসে থেকো,অামার অপূর্ণ ভালোবাসার মাঝে একটু ছোঁয়া দিতে।।একটা গোলাপ এনো অামার জন্যে,একবার ভালোবাসি বলে,অামার অপূর্ণতা ভালোবাসাকে পূর্ণ করে দিও।আর............"
হাতের ডাইরীটা পড়ে গেলো,চোখের আলো নিভে যাচ্ছে।শুধু মনে একটা ছবি ভেসে উঠল।।অনেক কথা লিখার ছিলো পারলাম না, ক্ষনিকের জীবনে সবই অপূর্ণতা থেকে গেলো। চোখটাও বন্ধ হয়ে আসলো।ঝাপসা চোখে দেখলাম সবাই পাশে কাঁদছে।তারপর জীবনে চলে এলো শান্তির ঘুম।।
[হয়তো অনেক ভালোবাসা এভাবেই শেষ হয়ে যায়, অপূর্ণতা থেকে যায়।মান-অভিমানে,শেষ ইচ্ছের বলিদান দিতে হয়,চাওয়াটুকু অপূর্ণতাই হয়ে থাকে।
অল্প সময়ের মাঝেও জীবনের কোন ভরসা নেই,তবুও অামরা স্বপ্ন দেখি,ভালো থাকার স্বপ্ন,ভালো রাখার স্বপ্ন।তবুও আশায় থাকি কবে অাসবে সেই দিন,যদিও মনেই থাকে না মৃত্যু আমার সন্নিকটে।। তবুও ভালবাসা বেঁচে থাকে হৃদয়ে,প্রেম জেগে থাকে স্মৃতির পাতায়,আর মনের মানুষ ছবি হয়ে থাকে দেয়ালের ফ্রেমে,আর না হয় ভালবাসার মানুষের পাশে।।
সবশেষে বলতে পারি,
“ভালোবাসা বেঁচে থাকুক ভালোবাসার মাঝে।”]
##তানজু এইচ##
(বি : দ্রঃ-লেখাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Rabia Onti ১৪/১১/২০১৭অসাধারণ অনবদ্য গল্প
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১২/১১/২০১৭বেশ চমৎকার
-
ফয়জুল মহী ১০/১১/২০১৭অনুপম ভাবনার প্রকাশ ।
-
সোলাইমান ০৮/১১/২০১৭অনুভবের অসাধারন উপস্থাপনায় অভিভূত!!
প্রিয় কবির জন্য এক রাশ রক্তিম শুভেচ্ছা ও গভীর ভালোবাসা রেখে গেলাম।
ভালো থাকুন সবসময়!! -
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৮/১১/২০১৭ভালই ভেবেছেন কল্পনার রুপায়ণে ।
'ভালোবাসা বেঁচে থাকুক ভালোবাসার মাঝে ।'
উপসংহারটি বেশ হয়েছে । ধন্যবাদ । -
কামরুজ্জামান সাদ ০৮/১১/২০১৭পুরো গল্পটাতেই কেমন বিষাদ ছেয়ে আছে
-
আব্দুল হক ০৭/১১/২০১৭সুন্দর ধন্যবাদ
-
সোলাইমান ০৭/১১/২০১৭nice