রোহিঙ্গা নির্যাতনের শেষ কোথায়
রোহিঙ্গা নির্যাতনের শেষ কোথায়?
লেখক:-তানজু এইচ
কবি বলেছিলেন:-
গাহি সাম্যের গান–
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান ,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ
ধর্মজাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের
জ্ঞাতি ।
মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।আমাদের সাথে অন্য কোন প্রানীর ব্যাবধান হলো বুদ্ধির ব্যাবধান।আমরা মানুষ এটাই আমাদের বড় পরিচয়।সৃষ্টিকর্তা আমাদের পৃথিবীতে পাঠানোর পরে আমাদের মাঝে গড়ে উঠেছে ধর্ম,বর্ণ,জাতির বিভেদ।ধর্ম,বর্ণ,জাতি সব বাদ দিলাম,তাহলে আমাদের পরিচয় কি?আমরা মানুষ এটাই আমাদের পরিচয়।
কোথায় যেনো শুনেছিলাম,মানুষের মস্তিষ্ক যখন অসুস্থ হয়ে যায়,তখন তারা হত্যা,নির্যাতন নামক নানা অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়।
থাকুক এসব কথা,এখন আসি রোহিঙ্গা প্রসংঙ্গ।
প্রশ্ন হলো-রোহিঙ্গা কারা???
উত্তর হলো:- রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং, মংডু, কিয়কতাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন ও পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন ও আন এলাকায় মিশ্রভাবে বসবাস করে থাকে। বর্তমান ২০১২ সালে, প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয় যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।
আমাদের জনপ্রিয় সার্চ ইন্জিন গুগুলের মধ্যে,রোহিঙ্গা সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া আছে।আমি বাড়িয়ে বললাম না।রোহিঙ্গা সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা সার্চ করে পড়ে নিন।
আমার ২য় প্রশ্ন হলো-তারা নির্যাতিত কেনো?
ওরা মুসলিম বলে নির্যাতিত??নাকি অন্য কোন কারন??
আচ্ছা রোহিঙ্গা পরিচয় ছাড়া তাদের আরেকটা পরিচয় আছে,ওরা মানুষ।আমাদের সবার মতোই তারা,শুধু মাত্র জাত ও ধর্ম ভিন্ন।তাহলে তারা কেনো নির্যাতিত হবে?সব কিছু বাদ দিয়ে আমরা যদি বলি,মানুষ হিসেবে কি পৃথিবী তাদের কোন অধিকার নেই?জাত,ধর্ম,বর্ণ সব বাদ দিয়ে তাদের আমরা মানুষ বলে পৃথিবী একটু স্বাধীনতা দিতে পারি না?
দুনিয়াতে সব কিছু মানা যায়,কিন্তু বিনা অন্যায়ে নির্যাতন সয্য করা যায় না।হ্যাঁ অন্যায় করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।কিন্তু এর জন্য সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠির কি দোষ?জনগোষ্ঠী ধংস্ব করলেই কি অন্যায় থেকে রেহায় পাওয়া যাবে?যে অন্যায় করে,সে যে কোন বংশে জন্মগ্রহন করে অন্যায় করতে পারে।
শুনেছি একটি দেশের সরকার জনগনের প্রিয় বন্ধু।আর সেই সরকারই যদি হত্যা,নির্যাতন নামক জঘন্য অন্যায় করাতে থাকে,তাহলে তাকে আমরা কি বলবো?সরকার নাকি হত্যাকারী?
শুধু সরকার হলেই চলে না সরকারের মতো দায়িত্ব পালন করতে হয়।
আর যারা এমন অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়েছেন,তাদের হৃদয়ে মায়া-দয়া নেই?কিভাবে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে?মানবতা,মূল্যবোধ বলতে কিছু নেই?সব হারিয়ে গেছে।সকল হত্যাকারীর চোখের সামনে কালো পর্দায় ডাকা আছে।তাই তারা অন্যায় কাজ থেকে বিরত হচ্ছে না।
আচ্ছা-কোন ধর্মে লিখা আছে-মানব হত্যা পূণ্যের কাজ?কোন সংবিধানে লিখা আছে-বিনা মানুষ হত্যা করতেই হবে?
তাহলে আমরা মানুষ জাতি কিভাবে মূল্যবোধহীন,মানবতাহীন হতে পারি?
কিছু বলার নেই।তাদের অবস্থা দেখে বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রান দেওয়া হচ্ছে,কিন্তু ত্রান দিয়ে আর কত দিন চলে,হাজার হাজার মানুষ।মানুষ হিসেবে আমরা কিছু করতে পারি না।
জনগন দেশের বোঝা নয়।জনগনেই দেশের সম্পদ।জনগন না থাকলে দেশ দিয়ে কি হবে?দেশ বা রাষ্ট্রের কোন প্রয়োজন নেই জনগন ছাড়া।ধর্ম,জাতি আর মানুষের মধ্যে সমতা না থাকলে দেশ থাকার কোন প্রয়োজন নেই।হয় বাংলাদেশের মতো তাদের মুক্তি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হবে,তাদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। নির্যাতন সয্য করার বিষয় না।এসব অন্যায় থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মুক্ত হতেই হবে।।আর্থিক সহায়তা দেওয়া যায়।কিন্তু মনের শান্তি দেওয়া যায় না।সু্স্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মনের শান্তি বড় শান্তি।ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুরাও হত্যা থেকে রেহাই পাইনি।আমরা মানুষ আমাদের রয়েছে বেঁচে থাকার অধিকার।সমাজে সকল ধর্ম,বর্ণের সাথে মিলে মিশে বেঁচে থাকার অধিকার।সমান্য এতটুকু করতে না পারলে আমরা কিসের মানুষ।আমাদের মানবতা,মূল্যবোধ কোথায়?
সর্বশেষে তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।তাদের একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
“মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের হেফাজত করুন,অত্যাচার থেকে মুক্তি দিন।(আমিন)”
Writer:-Tanju H
লেখক:-তানজু এইচ
কবি বলেছিলেন:-
গাহি সাম্যের গান–
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান ,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ
ধর্মজাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের
জ্ঞাতি ।
মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।আমাদের সাথে অন্য কোন প্রানীর ব্যাবধান হলো বুদ্ধির ব্যাবধান।আমরা মানুষ এটাই আমাদের বড় পরিচয়।সৃষ্টিকর্তা আমাদের পৃথিবীতে পাঠানোর পরে আমাদের মাঝে গড়ে উঠেছে ধর্ম,বর্ণ,জাতির বিভেদ।ধর্ম,বর্ণ,জাতি সব বাদ দিলাম,তাহলে আমাদের পরিচয় কি?আমরা মানুষ এটাই আমাদের পরিচয়।
কোথায় যেনো শুনেছিলাম,মানুষের মস্তিষ্ক যখন অসুস্থ হয়ে যায়,তখন তারা হত্যা,নির্যাতন নামক নানা অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়।
থাকুক এসব কথা,এখন আসি রোহিঙ্গা প্রসংঙ্গ।
প্রশ্ন হলো-রোহিঙ্গা কারা???
উত্তর হলো:- রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং, মংডু, কিয়কতাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন ও পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন ও আন এলাকায় মিশ্রভাবে বসবাস করে থাকে। বর্তমান ২০১২ সালে, প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয় যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।
আমাদের জনপ্রিয় সার্চ ইন্জিন গুগুলের মধ্যে,রোহিঙ্গা সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া আছে।আমি বাড়িয়ে বললাম না।রোহিঙ্গা সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা সার্চ করে পড়ে নিন।
আমার ২য় প্রশ্ন হলো-তারা নির্যাতিত কেনো?
ওরা মুসলিম বলে নির্যাতিত??নাকি অন্য কোন কারন??
আচ্ছা রোহিঙ্গা পরিচয় ছাড়া তাদের আরেকটা পরিচয় আছে,ওরা মানুষ।আমাদের সবার মতোই তারা,শুধু মাত্র জাত ও ধর্ম ভিন্ন।তাহলে তারা কেনো নির্যাতিত হবে?সব কিছু বাদ দিয়ে আমরা যদি বলি,মানুষ হিসেবে কি পৃথিবী তাদের কোন অধিকার নেই?জাত,ধর্ম,বর্ণ সব বাদ দিয়ে তাদের আমরা মানুষ বলে পৃথিবী একটু স্বাধীনতা দিতে পারি না?
দুনিয়াতে সব কিছু মানা যায়,কিন্তু বিনা অন্যায়ে নির্যাতন সয্য করা যায় না।হ্যাঁ অন্যায় করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।কিন্তু এর জন্য সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠির কি দোষ?জনগোষ্ঠী ধংস্ব করলেই কি অন্যায় থেকে রেহায় পাওয়া যাবে?যে অন্যায় করে,সে যে কোন বংশে জন্মগ্রহন করে অন্যায় করতে পারে।
শুনেছি একটি দেশের সরকার জনগনের প্রিয় বন্ধু।আর সেই সরকারই যদি হত্যা,নির্যাতন নামক জঘন্য অন্যায় করাতে থাকে,তাহলে তাকে আমরা কি বলবো?সরকার নাকি হত্যাকারী?
শুধু সরকার হলেই চলে না সরকারের মতো দায়িত্ব পালন করতে হয়।
আর যারা এমন অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়েছেন,তাদের হৃদয়ে মায়া-দয়া নেই?কিভাবে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে?মানবতা,মূল্যবোধ বলতে কিছু নেই?সব হারিয়ে গেছে।সকল হত্যাকারীর চোখের সামনে কালো পর্দায় ডাকা আছে।তাই তারা অন্যায় কাজ থেকে বিরত হচ্ছে না।
আচ্ছা-কোন ধর্মে লিখা আছে-মানব হত্যা পূণ্যের কাজ?কোন সংবিধানে লিখা আছে-বিনা মানুষ হত্যা করতেই হবে?
তাহলে আমরা মানুষ জাতি কিভাবে মূল্যবোধহীন,মানবতাহীন হতে পারি?
কিছু বলার নেই।তাদের অবস্থা দেখে বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রান দেওয়া হচ্ছে,কিন্তু ত্রান দিয়ে আর কত দিন চলে,হাজার হাজার মানুষ।মানুষ হিসেবে আমরা কিছু করতে পারি না।
জনগন দেশের বোঝা নয়।জনগনেই দেশের সম্পদ।জনগন না থাকলে দেশ দিয়ে কি হবে?দেশ বা রাষ্ট্রের কোন প্রয়োজন নেই জনগন ছাড়া।ধর্ম,জাতি আর মানুষের মধ্যে সমতা না থাকলে দেশ থাকার কোন প্রয়োজন নেই।হয় বাংলাদেশের মতো তাদের মুক্তি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হবে,তাদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। নির্যাতন সয্য করার বিষয় না।এসব অন্যায় থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মুক্ত হতেই হবে।।আর্থিক সহায়তা দেওয়া যায়।কিন্তু মনের শান্তি দেওয়া যায় না।সু্স্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মনের শান্তি বড় শান্তি।ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুরাও হত্যা থেকে রেহাই পাইনি।আমরা মানুষ আমাদের রয়েছে বেঁচে থাকার অধিকার।সমাজে সকল ধর্ম,বর্ণের সাথে মিলে মিশে বেঁচে থাকার অধিকার।সমান্য এতটুকু করতে না পারলে আমরা কিসের মানুষ।আমাদের মানবতা,মূল্যবোধ কোথায়?
সর্বশেষে তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।তাদের একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
“মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের হেফাজত করুন,অত্যাচার থেকে মুক্তি দিন।(আমিন)”
Writer:-Tanju H
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Abheek ২৫/০৯/২০১৭ভালো হয়েছে
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১৩/০৯/২০১৭আপনার গবেষণার ফলপ্রসু একটি প্রয়াস পড়ে ভাল লাগলো । আরো আরো চেষ্টা করুন জনমত তৈরী করুন । আল্লাহ সবার সহায় হোন ।
-
রেজাউল আবেদীন ১২/০৯/২০১৭তথ্যবহুল লিখা। কোন মুসলিম নিরপরাধে মারা যাক তা একজন মুসলিম ভাই হিসেবে আমি কিছুতেই কামনা করতে পারি না। কারন আমি ও মানুষ। বিবেক বোধ তথা ইসলাম ধর্মের প্রতি রয়েছে পরিপূর্ণ ও অগাধ আস্থা। মহান আল্লাহ্ বিধর্মীদেরকে ও হেদায়াত দান করুন আর তাদের চক্ষুতে পর্দা ফেলে দিক যেন তারা বোনদের দিকে , মা-চাচিদের দিকে চোখ তুলে তাকায়ে ও কিছু না দেখতে পারে, মনে করে যে তারা ওখানে কেউ নেই। আল্লাহ্ রোহিঙ্গাদের জান, মাল, নিজেদের বসত ভিটা হেফাজত করুন। আমিন।
-
এম এম হোসেন ১১/০৯/২০১৭আমিন।