সময়ের সাথে জীবনের ভাবনা ১২
সকালবেলা জিমনেসিয়াম থেকে বাসায় ফিরতেছিলাম, টঙ্গী স্টেশন রোডের তিন রাস্তার মাথায় আসলাম, রাস্তাটা পার হবো, ওভার ব্রিজদিয়ে পার হতে শরীরে বল পাচ্ছিলাম না, তার উপর হরতাল, তাই নিচ দিয়ে রাস্তা পারহচ্ছিলাম, হঠাত করে চিতকার শুনলাম মাগো মাগো মাগো.... তাকিয়ে দেখি দুই গাড়িরমাঝ খানে রিকসা, একটা গাড়ি দাড়িয়ে ছিলো মাঝখানে রিকসা ছিলো, পিছন থেকে একটা গাড়িজোড়ে চালিয়ে এসেছে ঠিকমতো ব্রেক করতে পারে নাই, রিকসা যাত্রীসহ ড্রাইভার দুই গাড়ির মাঝখানেচাপা পড়ে আছে, পুরো চ্যাপ্টা হয়ে গেছে দুজন, ওহ একবার তাকিয়ে আর তাকাতে পারিনি, মানুষের ভিরঢেলে বাসায় যাচ্ছি আর নিজের জীবনের কথা ভাবছি, মৃত্যু ভাবনা আমাকে গ্রাস করেফেললো, চারিদিকে এতো মানুষ, এতো কোলাহল কিন্তু আমার ভিতরে চলছে কঠিন কঠিন প্রশ্ন, নিজেকেবড় অসহায় মনে হলো, এতো ঠুনকো আমার জীবন। অথচ কতো প্লান, কতো আবেগ, কতো দুশ্চিন্তা,কতো ভালো থাকার আয়োজন, ধর্মবিশ্বাসী হিসেবে নিজেকে একটু পর্যালোচনা করলাম, ওহ আমি ভীত হয়ে পড়লাম, আমিতো অনেকপাপ করেছি, এখন যদি মরে যাই তাহলে কি হবে? কেমন জানি আমার পা আড়স্ট হয়ে আসছে, প্রথমেযেটা মনে আসলো আমার মা বাবার কথা, তাদের উপর আমার যে দায়িত্ব তা আমি পালন করতে পারিনি, কোনরকম বাসায় এসেই মায়ের খোজ নিলাম, নাস্তা করলো কিনা, ডাক্তার আবার কবে দেখাবে. ওষধআছে কিনা, এরপর বাবাকে ফোন দিলাম, আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে দায়িত্ব পালন করতে হবে।সবার যে অধিকার আছে তা যথাযথ তাদের ফেরত দিতে হবে।
মৃত্যু যেমন নিশ্চিত তেমনি আবার চরমতমঅনিশ্চিত, আমরা সবাই জানি কোন এক সময় মারা যাবো কিন্তু কখন তা জানি না, এখানেই এ ইঅনিশ্চয়তা আমাদের মৃত্যু চিন্তাকে ভুলিয়ে দেয়, খুব ইচ্ছে হয় দেখতে- যদি আমি আমার মৃত্যুর দিনক্ষন জানতাম তাহলে আমি কি করতাম। ভাবতে ছিলাম মৃত্যু নিয়ে আমার কোনপ্রস্তুতি আছে কি? এখন বললে নেই, এখন মৃত্যুকে ভয় পাই, কিন্তু একটা সময় ছিল মৃত্যুর জন্য আমার প্রস্তুতি ছিলো, তখন মৃত্যুকে ভয়তো দূরের কথা মরার পরেবেহেশততো পাবোই সেই স্বপ্নে বিভোর থাকতাম, আর এখন মৃত্যুকে ভয় পাই তবে অবিশ্বাসীহয়ে মাঝে মাঝে মৃত্যুকে অবহেলা করি, তখন ভাবি যা হবার হবে এখন এইকাজটা করে নেই। মানুষের জীবনে মৃত্যু না থাকলে কি হতো, মানুষ কি খুব অবিশ্বাসীহয়ে পড়তো, আমার মনে হয় মানুষ খুব বেসামাল হয়ে পড়তো, নিজেকে নিয়ন্ত্রনের মাত্রাটা কমে যেতো, কোন একসময় হয়তো একগুয়ে হয়ে পড়তো জীবনটা, হয়তো জীবন নিয়ে কারো কোন আয়োজন থাকতো না, কিভালো থাকা কি খারাপ থাকা কিছুই যায় আসতো না, পারিবারিক বন্ধনও থাকতো না, কারন এইমৃত্যু আছে বলেই নিজের উপর কিছু দায়িত্ব চাপিয়ে দেই, মৃত্যু নাথাকলে সভ্যতা বলে কিছু থাকবে?
মৃত্যুর হাত থেকে কি মুক্তি আছে, থাকলে একবার দেখে নিতাম মৃত্যুহীন জীবন কেমন, তারপর না হয় সেচ্ছায় মৃত্যূ কে বেছেনিতাম।
November 13, 2013 at 11:11am
মৃত্যু যেমন নিশ্চিত তেমনি আবার চরমতমঅনিশ্চিত, আমরা সবাই জানি কোন এক সময় মারা যাবো কিন্তু কখন তা জানি না, এখানেই এ ইঅনিশ্চয়তা আমাদের মৃত্যু চিন্তাকে ভুলিয়ে দেয়, খুব ইচ্ছে হয় দেখতে- যদি আমি আমার মৃত্যুর দিনক্ষন জানতাম তাহলে আমি কি করতাম। ভাবতে ছিলাম মৃত্যু নিয়ে আমার কোনপ্রস্তুতি আছে কি? এখন বললে নেই, এখন মৃত্যুকে ভয় পাই, কিন্তু একটা সময় ছিল মৃত্যুর জন্য আমার প্রস্তুতি ছিলো, তখন মৃত্যুকে ভয়তো দূরের কথা মরার পরেবেহেশততো পাবোই সেই স্বপ্নে বিভোর থাকতাম, আর এখন মৃত্যুকে ভয় পাই তবে অবিশ্বাসীহয়ে মাঝে মাঝে মৃত্যুকে অবহেলা করি, তখন ভাবি যা হবার হবে এখন এইকাজটা করে নেই। মানুষের জীবনে মৃত্যু না থাকলে কি হতো, মানুষ কি খুব অবিশ্বাসীহয়ে পড়তো, আমার মনে হয় মানুষ খুব বেসামাল হয়ে পড়তো, নিজেকে নিয়ন্ত্রনের মাত্রাটা কমে যেতো, কোন একসময় হয়তো একগুয়ে হয়ে পড়তো জীবনটা, হয়তো জীবন নিয়ে কারো কোন আয়োজন থাকতো না, কিভালো থাকা কি খারাপ থাকা কিছুই যায় আসতো না, পারিবারিক বন্ধনও থাকতো না, কারন এইমৃত্যু আছে বলেই নিজের উপর কিছু দায়িত্ব চাপিয়ে দেই, মৃত্যু নাথাকলে সভ্যতা বলে কিছু থাকবে?
মৃত্যুর হাত থেকে কি মুক্তি আছে, থাকলে একবার দেখে নিতাম মৃত্যুহীন জীবন কেমন, তারপর না হয় সেচ্ছায় মৃত্যূ কে বেছেনিতাম।
November 13, 2013 at 11:11am
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।