সময়ের সাথে জীবনের ভাবনা ২
বয়ষ আমার কতো হবে ২৫ কি ২৬ কিন্তু নিজেকে এতো বুড়ো লাগছে কেনো বুঝতে পারি না। পিছনের দিকে তাকালে এতো বড় অতীত চোখে পড়ে মাঝে মাঝে ভীত হয়ে পড়ি, অনেক সময় অস্থিরতা অনুভব করি, মনে হয় জীবনের অর্ধেকটা সময় পাড় হয়ে গেলো কিন্তু আমার কি অর্জন, এমন কিছু কি রেখে গেলাম যা আমাকে পৃথিবীর মানুষের কাছে জীবিত রাখবে অনন্তকাল, অনন্তকাল না হোক কয়েকটি বছর তো মনে রাখুক আমায়, নাহ অতীত ঘেটে আমি হতাশ, এই পৃথিবীতে আমি অনর্থক এসেছি আমার কোন অর্জন নেই যা আমায় বাচিয়ে রাখবে। এই যে অহেতুক বেচে থাকার কি লাভ?
ইদানিং ভবিষ্যত থেকে অতীত ভাবতে আমার ভালো লাগে। স্মৃতি রোমন্থনে এতো আনন্দ ...আগে অনুভব করিনি, বিশেষ করে কিশোর বয়ষটা আমাকে এতো আনন্দ দেয় ভাষায় উল্লেখ করা যাবে না। গ্রামের মেঠো পথে শিশির ভেজা ঘাসে হেটে বেড়ানো। মাঠে গরু চড়ানো, বর্ষা কালে ডোঙ্গায় চড়ে শাপলা ফুল তোলা, বড় বড় জোক দেখে চিৎকার। পানি উঠা ধান ক্ষেতে খেঝুর ছড়া কেটে পাকানোর জন্য ভিজিয়ে রাখা, শীতের সময় কলই ছড়া তোলে ধান ক্ষেতেই লবন দিয়ে সিদ্ধ করে সবাই মিলে খাওয়ার সে কি আনন্দ, লজ্জা আর নিরাপত্তার কোন বালাই ছাড়াই বাড়িতে ঢোকার পথে ক্লান্ত দুপুরে গাছের নিচে পাঠির উপর কি মিষ্টি ঘুম, গায়ের উপর বয়ে যায় শীতল দক্ষিনের বাতাস, নাকে লাগে মাঠির সোধা গন্ধ, আহ সেকি নির্ভেজাল নিশ্চিন্ত ঘুম, জাম গাছে জাম খেযে মুখ রাঙ্গিয়ে অতি ভোজনে বমি করা, ধান ক্ষেতে সেচ দিযে মাছ ধরা ..........ওহ সেকি আনন্দ।
কিছু কিছু স্মৃতি এতো সজীব আর জীবন্ত। মনে হয় আমি সেই সময় পৌছে গেছি, তবে এই অতীত বিচরনের জ্বালাও আছে, কিছু অতীত দুঃখবোধ আর না পাওয়ার আক্ষেপকে বাড়িয়ে তোলে, ভালো দিক হলো আমার অতীতে দুঃখবোধের ঘটনা একটু কমই আছে।
একটু যখন আনমনা হয়ে যাই তখনই অদৃশ্য হয়ে ভেসে উঠে অতীত, এই আনমনা সময়ে অতীতের আগমনে ভিন্নতা আছে,কখনো আনন্দ হয়ে কখনো দুঃখ হয়ে আসে, এই অতীতের আগমনে গতিশীলতা যেমন আছে তেমনি স্থবিরতাও আছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই অতীতটুকু আটকে রাখি, কিভাবে কিভাবে? পথ একটা পাই লিখে রেখে, কিন্তু সব সময় অতীত লিখতে ভালো লাগে না কারন কিছু প্রকাশযোগ্য কিছু অপ্রকাশযোগ্য। তবে সব লিখতে ইচ্ছে হয়,আড়াল করে কি লাভ, আগত প্রজন্মের জন্য সব লিখে রাখতে মন চায়, কিন্তু এই এক জীবনে আমিতো একা নেই আমার সাথে অনেক মানুষ জড়িত, আমার এই অতীত কলমের খাচায় বন্দি করাটা অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।
November 21, 2012 at 1:58pm
ইদানিং ভবিষ্যত থেকে অতীত ভাবতে আমার ভালো লাগে। স্মৃতি রোমন্থনে এতো আনন্দ ...আগে অনুভব করিনি, বিশেষ করে কিশোর বয়ষটা আমাকে এতো আনন্দ দেয় ভাষায় উল্লেখ করা যাবে না। গ্রামের মেঠো পথে শিশির ভেজা ঘাসে হেটে বেড়ানো। মাঠে গরু চড়ানো, বর্ষা কালে ডোঙ্গায় চড়ে শাপলা ফুল তোলা, বড় বড় জোক দেখে চিৎকার। পানি উঠা ধান ক্ষেতে খেঝুর ছড়া কেটে পাকানোর জন্য ভিজিয়ে রাখা, শীতের সময় কলই ছড়া তোলে ধান ক্ষেতেই লবন দিয়ে সিদ্ধ করে সবাই মিলে খাওয়ার সে কি আনন্দ, লজ্জা আর নিরাপত্তার কোন বালাই ছাড়াই বাড়িতে ঢোকার পথে ক্লান্ত দুপুরে গাছের নিচে পাঠির উপর কি মিষ্টি ঘুম, গায়ের উপর বয়ে যায় শীতল দক্ষিনের বাতাস, নাকে লাগে মাঠির সোধা গন্ধ, আহ সেকি নির্ভেজাল নিশ্চিন্ত ঘুম, জাম গাছে জাম খেযে মুখ রাঙ্গিয়ে অতি ভোজনে বমি করা, ধান ক্ষেতে সেচ দিযে মাছ ধরা ..........ওহ সেকি আনন্দ।
কিছু কিছু স্মৃতি এতো সজীব আর জীবন্ত। মনে হয় আমি সেই সময় পৌছে গেছি, তবে এই অতীত বিচরনের জ্বালাও আছে, কিছু অতীত দুঃখবোধ আর না পাওয়ার আক্ষেপকে বাড়িয়ে তোলে, ভালো দিক হলো আমার অতীতে দুঃখবোধের ঘটনা একটু কমই আছে।
একটু যখন আনমনা হয়ে যাই তখনই অদৃশ্য হয়ে ভেসে উঠে অতীত, এই আনমনা সময়ে অতীতের আগমনে ভিন্নতা আছে,কখনো আনন্দ হয়ে কখনো দুঃখ হয়ে আসে, এই অতীতের আগমনে গতিশীলতা যেমন আছে তেমনি স্থবিরতাও আছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই অতীতটুকু আটকে রাখি, কিভাবে কিভাবে? পথ একটা পাই লিখে রেখে, কিন্তু সব সময় অতীত লিখতে ভালো লাগে না কারন কিছু প্রকাশযোগ্য কিছু অপ্রকাশযোগ্য। তবে সব লিখতে ইচ্ছে হয়,আড়াল করে কি লাভ, আগত প্রজন্মের জন্য সব লিখে রাখতে মন চায়, কিন্তু এই এক জীবনে আমিতো একা নেই আমার সাথে অনেক মানুষ জড়িত, আমার এই অতীত কলমের খাচায় বন্দি করাটা অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।
November 21, 2012 at 1:58pm
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ০৬/১১/২০১৩sob kichu niyei jibon....