বাউফলের সহিংস রাজণীতি আমার কিছু ভাবনা
উপজেলার পরিষদের কাছেই বাসা আমার, আর বাউফলের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয় আমার বাসার কাছাকাছি থাকায় বাউফলের সংঘাতময় ও অসহিষ্ণু রাজনীতির অনেক ঘটনার সাক্ষি আমি নিজেই, আগের সংঘাতময় রাজনীতির সচিত্র ডকুমেন্ট পাওয়াটা কঠিন কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ঘটনার সচিত্রতা এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এ কথাটা বাউফলের যারা রাজনীতি করেন, করতে আসবেন সবার মনে রাখতে হবে, কারন বর্তমান প্রজন্ম চরমতমভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত, সাথে সাথে সচেতন। তাই রাজনীতি করতে গিয়ে প্রযুক্তির ডকুমেন্টের ফাদে একবার পড়ে গেলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না, কারন হাতে নাতে প্রমান থাকতে আপনাদের কথা কে বিশ্বাস করতে যাবে।আগের সেই বোকা আম জনতাও নেই তেমনি অসচেতন রাজনৈতিকভাবে অন্ধ বিশ্বাসী তরুনরাও নেই।
আজকের তরুন যেমন নিজের কথা ভাবে তেমনি দেশটিকেও ভালোবাসে, রাজনৈতিকভাবেও সচেতন। বাউফলের আজকের ঘটনা সর্ম্পকে জানতে অনেকেই ফোন করেছেন, ফোন রাখার আগে সবার একটাই কথা এভাবে দেশ চলতে পারে না, মনে মনে ভাবলাম যাক কিছু সচেতন নাগরিক তাহলে আছে যারা দেশটাকে ভালোবাসে, দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশী, বাউফলের ভালো চান বলেই আমাকে ফোন দিয়েছে। তারা বাউফল সর্ম্পকে জানতে চায়, সাথে ভালো খবরের প্রত্যাশাটাই বেশি।
এ পর্যন্ত বাউফলে সহিংসতার বদলে সহিষ্ণু রাজনীতি কখনই দেখিনি, যে দল ক্ষমতায় ছিলো তাদের আধিপত্য সবসময় বিরাজমান ছিল, সেটা জোড় করেও হলেও তাদের আধিপত্য টিকিয়ে রেখেছেন। একে অপরকে মামলা, টেন্ডারবাজি, দলীয়করন, নিয়োগ বানিজ্য সবসময় ছিলো, সত্যিকারের উন্নয়ন খুব কমই হয়েছে, তবে একটা আশার দিকও আছে, আগের যে ক্যাডারবাহীনি নিয়ে রাজনীতি করা হতো তুলনামুলক সেটা কম। নিজের চোখেই ক্যাডারদের দেখেছি প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মারতে, বাসাটা হাসপাতালের সামনে থাকার কারনেই কোন ঘটনাই চোখ এড়িয়ে যেতনা হাসপাতালের সেবা গ্রহন করতে আসা আহত রাজনৈতিক কর্মীদের কারনে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে মারা গেছেন অনেকেই, কেউ হয়েছেন আহত, কেউ কি জানেন সেই সব পরিবারের কি অবস্থা? কোন রাজনৈতিকদলের নেতা তাদের খোজ নিয়েছেন? আজীবন সেই সব পরিবারের ভরনপোষণ নিয়েছে? বিভিন্ন সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতাদের কথায় যারা সহিংসতায় জড়িয়েছে তাদের কি অবস্থা জানেন? এবারের কোরবানীর ঈদে গিয়ে তাদের অনেকের দুর্দশা দেখে মনে মনে হাসলাম, কি ত্রাসটাই না করেছিলো, অথচ এখন টমটমের ড্রাইভার। এভাবে অনেক পরিবারের সন্তান নেতাদের কথায় তাদের জীবনটাকে ধ্বংস করছেন। রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতাদের পরিবর্তণ না থাকায় তারা অনেকটা হয়েছেন স্বৈরচারী, নিজের মতো করে দল চালান, দলের উপর নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন, নেই কোন দলের ভিতরে গনতন্ত্রের চর্চা, এখনতো বাউফলে নতুন ট্রাডেশিন চালু হয়েছে, টাকা খরচ করতে পারলেই নেতা হওয়া যায়।মাঝে মাঝে বাউফল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ি আমাদের উদ্ধার করার মতো কেউ কি নেই?
ছাত্রসংগঠন নেতারা অনেকেই ছাত্র নয়, সেই পুরনো চেহারা এখনও দেখি, বিয়ে করেও ছাত্র নেতা, এখনকার ছাত্র নেতা ক্যাডার নিয়ে ঘোরেন, লেজুরবৃত্তি রাজনীতি করার কারনে মুল দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বা রাজনৈতিক দলের নেতার হুকুম বাস্তবায়নে ছাত্র নেতারা বিবেকের চোখে কাপড় লাগিয়ে নেমে পড়েন মারামারি থেকে অনেক কর্মকান্ডে। তাদের পরিনতি যে খূব ভালো হয়েছে তাও না। আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন এইসব মুর্খ ছাত্রনেতার বদলে মেধাবী ছাত্রনেতারা আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্ব দিবে।
নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছে অনেক পরিবার, শিক্ষক,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবিসহ সাধারন জনগন।আর কতদিন চলবে সংখ্যালঘু রাজণৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা এই নির্যাতন, যারা আমাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে আমাদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে।আমি বাউফলের সকল তরুন, জনগনের কাছে প্রত্যাশা আর আহবান করছি জনগনের জন্য যারা রাজনীতি করে না তাদের বর্জন করুন।তাদের সাথে আপনাদের সর্ম্পক ত্যাগ করুন, গান্ধীর মতো অসহযোগ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন।
আমার ব্যক্তিগতভাবে এইসব সহিংসতা ভালো লাগতনা, এখনও লাগে না, তাই আর সকলের মতও আমিও অনুরোধ করতে চাই বাউফলের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে- জনগনের প্রত্যাশা পুরনের রাজনীতি করেন, নিজের আর দলীয় স্বার্থের জন্য রাজনীতি নয়, আর যদি নিজের স্বার্থ নিয়ে পড়ে থাকেন ইতিহাসে যেমন আপনাদের নাম থাকবে না তেমনি বর্তমান সচেতন তরুনরাই আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
আর লিখতে ভালো লাগছে না, নোংরা রাজনীতি শিকার হতে অনেককে দেখেছি, সাথে সাথে যারা এই অপকর্মের নেতৃত্বে দিয়েছেন তাদেরও দেখেছি, অনেকের অনেক কিছূ জানি, সময় হলে সবকিছু এমনিতেই প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেইসব সুদিনের অপেক্ষায় রইলাম, যেদিন জনগন তার মোক্ষম অস্ত্রটা ব্যবহার করবেন।
তালহা বিন জসিম
২৫.১০.১৩
আজকের তরুন যেমন নিজের কথা ভাবে তেমনি দেশটিকেও ভালোবাসে, রাজনৈতিকভাবেও সচেতন। বাউফলের আজকের ঘটনা সর্ম্পকে জানতে অনেকেই ফোন করেছেন, ফোন রাখার আগে সবার একটাই কথা এভাবে দেশ চলতে পারে না, মনে মনে ভাবলাম যাক কিছু সচেতন নাগরিক তাহলে আছে যারা দেশটাকে ভালোবাসে, দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশী, বাউফলের ভালো চান বলেই আমাকে ফোন দিয়েছে। তারা বাউফল সর্ম্পকে জানতে চায়, সাথে ভালো খবরের প্রত্যাশাটাই বেশি।
এ পর্যন্ত বাউফলে সহিংসতার বদলে সহিষ্ণু রাজনীতি কখনই দেখিনি, যে দল ক্ষমতায় ছিলো তাদের আধিপত্য সবসময় বিরাজমান ছিল, সেটা জোড় করেও হলেও তাদের আধিপত্য টিকিয়ে রেখেছেন। একে অপরকে মামলা, টেন্ডারবাজি, দলীয়করন, নিয়োগ বানিজ্য সবসময় ছিলো, সত্যিকারের উন্নয়ন খুব কমই হয়েছে, তবে একটা আশার দিকও আছে, আগের যে ক্যাডারবাহীনি নিয়ে রাজনীতি করা হতো তুলনামুলক সেটা কম। নিজের চোখেই ক্যাডারদের দেখেছি প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মারতে, বাসাটা হাসপাতালের সামনে থাকার কারনেই কোন ঘটনাই চোখ এড়িয়ে যেতনা হাসপাতালের সেবা গ্রহন করতে আসা আহত রাজনৈতিক কর্মীদের কারনে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে মারা গেছেন অনেকেই, কেউ হয়েছেন আহত, কেউ কি জানেন সেই সব পরিবারের কি অবস্থা? কোন রাজনৈতিকদলের নেতা তাদের খোজ নিয়েছেন? আজীবন সেই সব পরিবারের ভরনপোষণ নিয়েছে? বিভিন্ন সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতাদের কথায় যারা সহিংসতায় জড়িয়েছে তাদের কি অবস্থা জানেন? এবারের কোরবানীর ঈদে গিয়ে তাদের অনেকের দুর্দশা দেখে মনে মনে হাসলাম, কি ত্রাসটাই না করেছিলো, অথচ এখন টমটমের ড্রাইভার। এভাবে অনেক পরিবারের সন্তান নেতাদের কথায় তাদের জীবনটাকে ধ্বংস করছেন। রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতাদের পরিবর্তণ না থাকায় তারা অনেকটা হয়েছেন স্বৈরচারী, নিজের মতো করে দল চালান, দলের উপর নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন, নেই কোন দলের ভিতরে গনতন্ত্রের চর্চা, এখনতো বাউফলে নতুন ট্রাডেশিন চালু হয়েছে, টাকা খরচ করতে পারলেই নেতা হওয়া যায়।মাঝে মাঝে বাউফল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ি আমাদের উদ্ধার করার মতো কেউ কি নেই?
ছাত্রসংগঠন নেতারা অনেকেই ছাত্র নয়, সেই পুরনো চেহারা এখনও দেখি, বিয়ে করেও ছাত্র নেতা, এখনকার ছাত্র নেতা ক্যাডার নিয়ে ঘোরেন, লেজুরবৃত্তি রাজনীতি করার কারনে মুল দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বা রাজনৈতিক দলের নেতার হুকুম বাস্তবায়নে ছাত্র নেতারা বিবেকের চোখে কাপড় লাগিয়ে নেমে পড়েন মারামারি থেকে অনেক কর্মকান্ডে। তাদের পরিনতি যে খূব ভালো হয়েছে তাও না। আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন এইসব মুর্খ ছাত্রনেতার বদলে মেধাবী ছাত্রনেতারা আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্ব দিবে।
নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছে অনেক পরিবার, শিক্ষক,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবিসহ সাধারন জনগন।আর কতদিন চলবে সংখ্যালঘু রাজণৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা এই নির্যাতন, যারা আমাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে আমাদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে।আমি বাউফলের সকল তরুন, জনগনের কাছে প্রত্যাশা আর আহবান করছি জনগনের জন্য যারা রাজনীতি করে না তাদের বর্জন করুন।তাদের সাথে আপনাদের সর্ম্পক ত্যাগ করুন, গান্ধীর মতো অসহযোগ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন।
আমার ব্যক্তিগতভাবে এইসব সহিংসতা ভালো লাগতনা, এখনও লাগে না, তাই আর সকলের মতও আমিও অনুরোধ করতে চাই বাউফলের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে- জনগনের প্রত্যাশা পুরনের রাজনীতি করেন, নিজের আর দলীয় স্বার্থের জন্য রাজনীতি নয়, আর যদি নিজের স্বার্থ নিয়ে পড়ে থাকেন ইতিহাসে যেমন আপনাদের নাম থাকবে না তেমনি বর্তমান সচেতন তরুনরাই আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
আর লিখতে ভালো লাগছে না, নোংরা রাজনীতি শিকার হতে অনেককে দেখেছি, সাথে সাথে যারা এই অপকর্মের নেতৃত্বে দিয়েছেন তাদেরও দেখেছি, অনেকের অনেক কিছূ জানি, সময় হলে সবকিছু এমনিতেই প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেইসব সুদিনের অপেক্ষায় রইলাম, যেদিন জনগন তার মোক্ষম অস্ত্রটা ব্যবহার করবেন।
তালহা বিন জসিম
২৫.১০.১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৮/১০/২০১৩চরম সত্য তুলে ধরার জন্য অভিনন্দন।