হিয়ার দাহ্যে প্রিয় পর্ব ১৯
হিয়ার_দাহ্যে_প্রিয়
#তাবেরী ইসলাম
#পর্ব ১৯
আমার শাশুড়ি আম্মু বাসায় আসার পর নিজের রুমে আমাকে ডেকে নিলেন। বললেন রিমু তোমাকে তো বিয়ের সময় তেমন গহনা দেওয়া হয় নি।আমার একটা মাত্র ছোট ছেলে আমি চাই তোমরা সুখে থাক। হাতটা দাও এই বালা দুটো পড়িয়ে দিলেন আর গলায় একটা ছোট সিতার হার দিলেন।এ গুলো পড়বে আর সব সময় সাবধানে থাকবে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। যাও ছেলেটার কাছে একা একা আছে।
সিয়াম আগে থেকেই অনেকটা ভালোই। শাশুড়ি আম্মু আমায় উনাকে শুনিয়ে বাচ্চার কথা বলে থাকেন।বিয়ের এতগুলো দিন হলে গেল। আমাদের কোনো আশার প্রদীপ উনি দেখতে পাচ্ছেন না।আমার ভীষণ কান্না পায় মাঝে মাঝে। আল্লাহ কেন এরকম দিলেন।
তন্নি ভাবি সেদিন বললেন রিমু এবার একটা বাচ্চা নাও।আমাদের ঘর একটু নতুন আনন্দে ভরে উঠুক। তখনই মন খারাপ হয় আমি কেন অপারগ হলাম।
সিয়াম ভালো হতেই আবার ডিউটি জয়েন করেছেন। আজ ফ্রী তাই আমরা যাচ্ছি কিছু কাজে বাহিরে। আমাদের সব কাগজ পত্র জমা দিতে আমি আর সিয়াম পারি দিব সুদূর ইউকে তে। উনার চাচা তো ভাই সব মেনেজ করে দিয়েছেন।
রিমু চলো দেরি হচ্ছে তো।আসছি তো।রেডি অকে।
-"ভাবি আমরা আসছি দোয়া কর।
ভিসা অফিসে লম্বা সিরিয়াল। দাঁড়িয়ে থাকতে হলো প্রায় এক ঘন্টা। তার মধ্যে রোদ তো আছেই। নেয়ে ঘেমে একাকার অবস্থা।
দুপুরের খাবার খেতে এসেছি পানসিতে। দারুন সব আইটেম অডার করলেন। মাঝে মধ্যে ভিন্ন স্বাদ পেতে ভালোই লাগে।
আমরা কেন ইউকে যাচ্ছি সিয়াম, দেশে তো ভালোই আছি। রিমু আমি চাই না আমরা এখানে কারো কথা শুনে থাকি। ভালোবাসি আমি তোমাকে বিয়ে যেভাবেই হোক। তুমি আমার অনেক দোষ ত্রুটি ধরতে পারবে কিন্তু ভালোবাসায় খাদ রাখতে চাই না আমরা না হয় বাচ্চার জন্য বিদেশ যাব,তাতেও সুখ তুমি পাশে আছ তাই।
আমার চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরছে কয়জন মানুষ এমন সাথী পায় যা আমি পেয়েছি। মাথা এলিয়ে দিলাম উনার কাঁধে। হাত মুঠোয় নিয়ে শক্ত করে ধরে আছেন।
ইউকে এসেছি দুসপ্তাহ হলো। ভালো ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার জানালেন এটা কোনো সিরিয়াস বিষয় নয়।ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। অহনার বাসায় আছি আমরা এখন। ওর নাদুস নুদুস বাচ্চা দুটো দেখলেই মন ঝুড়িয়ে যায়।
আমাদের ও ওমন হবে বাচ্চা।বাতাসে উড়ছে জানালার পর্দা,হীম হাওয়া সিয়াম এসে জড়িয়ে নিলেন আমায়।জানালা বন্ধ করে পর্দা টানিয়ে দিলেন, শুয়ে পড়লাম বিছানায়। লন্ডনের অনেক পর্যটন যায়গা গুলো বেড়িয়েছি দু'জনে।
শীতের আগমনে হালকা কুয়াশা পড়ছে,
বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ করে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়েছি। ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দ কানে এসে পৌছাচ্ছে সাথে দূরত্ব আমাদের পোড়াচ্ছে,গভীরে ধীরে স্থীরে নিরবে যতনে। যা কেউ বুঝবে না ব্যস্ত এই শহরে, এ যে স্বপ্নের শহর ছেড়ে গেলে পস্তাবে রয়ে গেলেও সহে যাবে।
সিয়াম দেশে গিয়ে ফিরছেন আজ। আমার কাছে তার জন্য সারপ্রাইজ রয়েছে। রিমু রিমু কোথায় তুমি ডাকে ভাবনা থেকে বিচ্যুতি সৃষ্টি হলো। রাতের আকাশ জ্বলজ্বল করছে তারায় তারায়। আর আমার মনের আকাশে সে ভাসছে ভালোবাসায়।সিয়াম ঠোঁট চুয়ে দিলেন কপলে আমি কাঁদছি উনার হাত চেপে ধরলাম উদরে। সে আসছে আমাদের মাঝে হিয়ার দাহ্যে প্রিয়।সিয়াম কাঁদছেন এই প্রাপ্তির আনন্দের। সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দিলেন এই বার্তা সুখ সমীরণে। এভাবেই চলছে সময়।
সমাপ্ত
#তাবেরী ইসলাম
#পর্ব ১৯
আমার শাশুড়ি আম্মু বাসায় আসার পর নিজের রুমে আমাকে ডেকে নিলেন। বললেন রিমু তোমাকে তো বিয়ের সময় তেমন গহনা দেওয়া হয় নি।আমার একটা মাত্র ছোট ছেলে আমি চাই তোমরা সুখে থাক। হাতটা দাও এই বালা দুটো পড়িয়ে দিলেন আর গলায় একটা ছোট সিতার হার দিলেন।এ গুলো পড়বে আর সব সময় সাবধানে থাকবে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। যাও ছেলেটার কাছে একা একা আছে।
সিয়াম আগে থেকেই অনেকটা ভালোই। শাশুড়ি আম্মু আমায় উনাকে শুনিয়ে বাচ্চার কথা বলে থাকেন।বিয়ের এতগুলো দিন হলে গেল। আমাদের কোনো আশার প্রদীপ উনি দেখতে পাচ্ছেন না।আমার ভীষণ কান্না পায় মাঝে মাঝে। আল্লাহ কেন এরকম দিলেন।
তন্নি ভাবি সেদিন বললেন রিমু এবার একটা বাচ্চা নাও।আমাদের ঘর একটু নতুন আনন্দে ভরে উঠুক। তখনই মন খারাপ হয় আমি কেন অপারগ হলাম।
সিয়াম ভালো হতেই আবার ডিউটি জয়েন করেছেন। আজ ফ্রী তাই আমরা যাচ্ছি কিছু কাজে বাহিরে। আমাদের সব কাগজ পত্র জমা দিতে আমি আর সিয়াম পারি দিব সুদূর ইউকে তে। উনার চাচা তো ভাই সব মেনেজ করে দিয়েছেন।
রিমু চলো দেরি হচ্ছে তো।আসছি তো।রেডি অকে।
-"ভাবি আমরা আসছি দোয়া কর।
ভিসা অফিসে লম্বা সিরিয়াল। দাঁড়িয়ে থাকতে হলো প্রায় এক ঘন্টা। তার মধ্যে রোদ তো আছেই। নেয়ে ঘেমে একাকার অবস্থা।
দুপুরের খাবার খেতে এসেছি পানসিতে। দারুন সব আইটেম অডার করলেন। মাঝে মধ্যে ভিন্ন স্বাদ পেতে ভালোই লাগে।
আমরা কেন ইউকে যাচ্ছি সিয়াম, দেশে তো ভালোই আছি। রিমু আমি চাই না আমরা এখানে কারো কথা শুনে থাকি। ভালোবাসি আমি তোমাকে বিয়ে যেভাবেই হোক। তুমি আমার অনেক দোষ ত্রুটি ধরতে পারবে কিন্তু ভালোবাসায় খাদ রাখতে চাই না আমরা না হয় বাচ্চার জন্য বিদেশ যাব,তাতেও সুখ তুমি পাশে আছ তাই।
আমার চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরছে কয়জন মানুষ এমন সাথী পায় যা আমি পেয়েছি। মাথা এলিয়ে দিলাম উনার কাঁধে। হাত মুঠোয় নিয়ে শক্ত করে ধরে আছেন।
ইউকে এসেছি দুসপ্তাহ হলো। ভালো ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার জানালেন এটা কোনো সিরিয়াস বিষয় নয়।ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। অহনার বাসায় আছি আমরা এখন। ওর নাদুস নুদুস বাচ্চা দুটো দেখলেই মন ঝুড়িয়ে যায়।
আমাদের ও ওমন হবে বাচ্চা।বাতাসে উড়ছে জানালার পর্দা,হীম হাওয়া সিয়াম এসে জড়িয়ে নিলেন আমায়।জানালা বন্ধ করে পর্দা টানিয়ে দিলেন, শুয়ে পড়লাম বিছানায়। লন্ডনের অনেক পর্যটন যায়গা গুলো বেড়িয়েছি দু'জনে।
শীতের আগমনে হালকা কুয়াশা পড়ছে,
বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ করে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়েছি। ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দ কানে এসে পৌছাচ্ছে সাথে দূরত্ব আমাদের পোড়াচ্ছে,গভীরে ধীরে স্থীরে নিরবে যতনে। যা কেউ বুঝবে না ব্যস্ত এই শহরে, এ যে স্বপ্নের শহর ছেড়ে গেলে পস্তাবে রয়ে গেলেও সহে যাবে।
সিয়াম দেশে গিয়ে ফিরছেন আজ। আমার কাছে তার জন্য সারপ্রাইজ রয়েছে। রিমু রিমু কোথায় তুমি ডাকে ভাবনা থেকে বিচ্যুতি সৃষ্টি হলো। রাতের আকাশ জ্বলজ্বল করছে তারায় তারায়। আর আমার মনের আকাশে সে ভাসছে ভালোবাসায়।সিয়াম ঠোঁট চুয়ে দিলেন কপলে আমি কাঁদছি উনার হাত চেপে ধরলাম উদরে। সে আসছে আমাদের মাঝে হিয়ার দাহ্যে প্রিয়।সিয়াম কাঁদছেন এই প্রাপ্তির আনন্দের। সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দিলেন এই বার্তা সুখ সমীরণে। এভাবেই চলছে সময়।
সমাপ্ত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
উত্তম চক্রবর্তী ২৪/০৯/২০২৪অসামান্য ভালো ভাবনার অবতারণা গল্পে।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৪/০৬/২০২৪চমৎকার
-
ফয়জুল মহী ২৩/০৬/২০২৪অসাধারণ প্রকাশ করেছেন
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৩/০৬/২০২৪চমৎকার