আমার প্রিয়
এই তো গৌধুলি বিকেলে হাটছি সমুদ্রের পারে, বালুকা রাশিতে স্নিগ্ধ জলের জড়াজড়ি। একটা ঝিনুক কুড়িয়ে হাতে নিয়েছি। চোখে চশমা রোদের তাপ যেন না ছোয়।
সামনে এগুতেই সেই পরিচিত মুখ ভেসে উঠলো,যার অবাক করা চাউনি তাকিয়ে আছে আমার দিকে অপলক ভাবে।আমি একবার পিছনে তাকিয়ে সামনে হাটা ধরলাম।
ও এগিয়ে আসছে এদিকে। সত্ত্যি বলতে ওকে দেখে অবাক হই নি। এটাই তো কথা ছিলো হবার।এক সময় কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতাম এই মানুষের। আজ এসব ভাবাও অবান্তর। এর মধ্যে জাবের এসে আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল কবে এসেছি, তাকে কেন জানাই নি?? কেমন আছি??
স্বাভাবিক ভাবেই বললাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন??বললে না কবে এসেছ? প্রায় দু বছর হবে এসেছি এখানে। ভাবি কেমন আছেন দেখছি কেন??
এখনো মনে আছে তাহলে আমি ভাবলাম ভুলে গেছ।জাবেরের কথা গুনে হাসলাম। সবকিছু কি ভুলা যায় আর কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া ভালো। আপনি তো এগিয়ে গিয়েছেন থেমে থাকে নি কিছুই তাহলে। ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেছেন বেড়াতে।
জাবের বিষন্ন মনে বলে উঠলো আসলে আমরা আলাদা থাকছি, ছেলে মেয়ে নেই এখনো একাই আছি।আমি বললাম Are you happy feel this life?? জাবের মাথা ঝাকিয়ে yeah বলল।
ও কথা বলেই যাচ্ছে,আর আমি ভাবছি এই অর্থ বিত্তের জন্যই তো সেদিন অনুভূতি গুলো চাপা পড়ে ছিলো।
এটা কি ভালোবাসা ছিলো?? প্রাক্তন বলব না কি বলব? আবির এগিয়ে এসে বললেন তোমার কফি। পরিচয় করিয়ে দেই এই হলো আবির মাহমুদ আমার
হাজবেন্ড আর আমার ক্লাস মিট জাবের।
দুজন গল্প জুড়ে দিয়েছে আর হাটছে, আমি হাটছি সামনে। কয়েকটি ছবিও তোলে দিলো জাবের আমাদের,আমাদের সাথে সেলফিও তোলে ও।আবির অনেক স্বাভাবিক ভাবে বেপারটা নিয়েছে বিষয়টিতে অবাক হলাম আমি কিছু।
সন্ধ্যার পর খাওয়ার জন্য ইনভাইট করেন জাবেরকে।আমি আবিরের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালাম, কি বলছেন উনি?? আমি ফিসফিস করে বললাম কি করছেন আপনি?? আবির শুধু হাসছেন।
অতিথি আপ্যায়নে জন্য নিয়ে এলেন বিজের নামি হোটেলে। বিদেশিয় খাবারের সাথে কিছু দেশি খাবারের আইটেম যুক্ত করেছি। আমি রান্না করে এনেছিলাম এগুলো সাথে।
আবির বিষণ রাগি স্বভাবের আর শান্ত প্রকৃতির বাহিরের খাবার কমই খেতে চান। তাই রান্না করে এনেছিলাম সাথে। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে উনি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন আর জাবের আমাদের দেখছে।
খাওয়ার পর্ব শেষে কিছুক্ষন হাটাহাটির পর বিদায় নিয়ে চলে আসি।ও শুধু বলল ভালো থেক সব সময় এই দোয়া করি। আসলেই জীবন বদলে সময়ের সাথে।ওর চোখ অনেক কিছুই বলছিলো।
আমি আবিরকে জিজ্ঞেস করলাম এত কিছুর কি দরকার ছিলো?? বিদেশের মাটিতে টাকা হিসেব করে খরচ করতে হবে।
উনি হেসে আঙ্গুলের ভাজে নিজের আঙ্গুল তুলে বললেন এই যে পাশাপাশি বসে আছি আমরা। কাউকে তো বুঝাতে হয় আমি perfect for you.কেউ ছেড়ে দিয়ে আমাকে লাভবান করে দিয়েছে এর জন্যে ট্রিট তো দিতেই হয়।
উনার কাঁদে মাথা এলিয়ে দিলাম। এ জীবন যায় তবু শেষ না হয়,আমার প্রিয় যেন আমার ভালোবাসায় রয়।
#আমার_প্রিয়
#তাবেরী ইসলাম
সামনে এগুতেই সেই পরিচিত মুখ ভেসে উঠলো,যার অবাক করা চাউনি তাকিয়ে আছে আমার দিকে অপলক ভাবে।আমি একবার পিছনে তাকিয়ে সামনে হাটা ধরলাম।
ও এগিয়ে আসছে এদিকে। সত্ত্যি বলতে ওকে দেখে অবাক হই নি। এটাই তো কথা ছিলো হবার।এক সময় কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতাম এই মানুষের। আজ এসব ভাবাও অবান্তর। এর মধ্যে জাবের এসে আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল কবে এসেছি, তাকে কেন জানাই নি?? কেমন আছি??
স্বাভাবিক ভাবেই বললাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন??বললে না কবে এসেছ? প্রায় দু বছর হবে এসেছি এখানে। ভাবি কেমন আছেন দেখছি কেন??
এখনো মনে আছে তাহলে আমি ভাবলাম ভুলে গেছ।জাবেরের কথা গুনে হাসলাম। সবকিছু কি ভুলা যায় আর কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া ভালো। আপনি তো এগিয়ে গিয়েছেন থেমে থাকে নি কিছুই তাহলে। ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেছেন বেড়াতে।
জাবের বিষন্ন মনে বলে উঠলো আসলে আমরা আলাদা থাকছি, ছেলে মেয়ে নেই এখনো একাই আছি।আমি বললাম Are you happy feel this life?? জাবের মাথা ঝাকিয়ে yeah বলল।
ও কথা বলেই যাচ্ছে,আর আমি ভাবছি এই অর্থ বিত্তের জন্যই তো সেদিন অনুভূতি গুলো চাপা পড়ে ছিলো।
এটা কি ভালোবাসা ছিলো?? প্রাক্তন বলব না কি বলব? আবির এগিয়ে এসে বললেন তোমার কফি। পরিচয় করিয়ে দেই এই হলো আবির মাহমুদ আমার
হাজবেন্ড আর আমার ক্লাস মিট জাবের।
দুজন গল্প জুড়ে দিয়েছে আর হাটছে, আমি হাটছি সামনে। কয়েকটি ছবিও তোলে দিলো জাবের আমাদের,আমাদের সাথে সেলফিও তোলে ও।আবির অনেক স্বাভাবিক ভাবে বেপারটা নিয়েছে বিষয়টিতে অবাক হলাম আমি কিছু।
সন্ধ্যার পর খাওয়ার জন্য ইনভাইট করেন জাবেরকে।আমি আবিরের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালাম, কি বলছেন উনি?? আমি ফিসফিস করে বললাম কি করছেন আপনি?? আবির শুধু হাসছেন।
অতিথি আপ্যায়নে জন্য নিয়ে এলেন বিজের নামি হোটেলে। বিদেশিয় খাবারের সাথে কিছু দেশি খাবারের আইটেম যুক্ত করেছি। আমি রান্না করে এনেছিলাম এগুলো সাথে।
আবির বিষণ রাগি স্বভাবের আর শান্ত প্রকৃতির বাহিরের খাবার কমই খেতে চান। তাই রান্না করে এনেছিলাম সাথে। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে উনি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন আর জাবের আমাদের দেখছে।
খাওয়ার পর্ব শেষে কিছুক্ষন হাটাহাটির পর বিদায় নিয়ে চলে আসি।ও শুধু বলল ভালো থেক সব সময় এই দোয়া করি। আসলেই জীবন বদলে সময়ের সাথে।ওর চোখ অনেক কিছুই বলছিলো।
আমি আবিরকে জিজ্ঞেস করলাম এত কিছুর কি দরকার ছিলো?? বিদেশের মাটিতে টাকা হিসেব করে খরচ করতে হবে।
উনি হেসে আঙ্গুলের ভাজে নিজের আঙ্গুল তুলে বললেন এই যে পাশাপাশি বসে আছি আমরা। কাউকে তো বুঝাতে হয় আমি perfect for you.কেউ ছেড়ে দিয়ে আমাকে লাভবান করে দিয়েছে এর জন্যে ট্রিট তো দিতেই হয়।
উনার কাঁদে মাথা এলিয়ে দিলাম। এ জীবন যায় তবু শেষ না হয়,আমার প্রিয় যেন আমার ভালোবাসায় রয়।
#আমার_প্রিয়
#তাবেরী ইসলাম
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০১/০২/২০২৩সুন্দর।
-
মীর মামুন হোসেন ৩০/১২/২০২২অন্যন
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৫/১২/২০২২সুন্দর ব্যাখ্যা।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ১৪/১২/২০২২অতি সুন্দর লেখা!
-
ফয়জুল মহী ১২/১২/২০২২অতুলনীয় ভাবনার উপস্থাপন।
শুভেচ্ছা অফুরন্ত। -
ফয়জুল মহী ১২/১২/২০২২অনন্য